Site icon CPI(M)

‘The hardest thing to see is what is in front of your eyes.’- The Setting

india-bloc

বিজয় পাল

মোদী-মমতা দুই স্বৈরাচারীর কার্যকলাপ নিয়ে অনেক আলোচনা ইতোমধ্যেই হয়েছে। সেই সব আলোচনার সংযোজন হিসেবেই আরও কয়েকটি কথা জনতার দরবারে পেশ করাই এই লেখার উদ্দেশ্য।

২০১১ সালে নানা রঙের রামধনু জোট গঠন করে মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসীন হয়েছিল। বছর না ঘুরতেই সেই জোট ভেঙে গেল। মমতার সঙ্গ ছাড়ল প্রায় সবাই। জোটে কংগ্রেস, এনসিপি, এসইউসিআই ,  পিডিএস, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা , জিএনএলএফ সহ নানা নামের নকশাল গোষ্ঠী, তথাকথিত জমি আন্দোলনের নামে গড়ে তোলা হরেকরকম গোষ্ঠী, মাওবাদীদের প্রকাশ্য গোষ্ঠী- ‘জনসাধারণের কমিটি’ ছাড়াও নানা এনজিও , জামাতের নানা নানা গোষ্ঠী প্রভৃতি তার সঙ্গী ছিল।

কংগ্রেস প্রথমে জোট ত্যাগ করে। তারপর একে একে এনসিপি, এসইউসিআই , পিডিএস, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসে। আর কয়েকটি গোষ্ঠী ক্ষমতার লোভে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে মিশে যায়। কিছু আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা না করেই উবে যায়। কেন এমন হল ? এই নিয়ে প্রচার মাধ্যম নীরব থেকে গেল। একমাত্র কংগ্রেস দল প্রকাশ্যে মমতা ব্যানার্জির স্বৈরাচারী কার্যকলাপের নিন্দা করে জোট পরিত্যাগ করে। কী ছিল সেই স্বৈরাচারী কার্যকলাপ ? অজস্র কারণের মধ্যে একটি প্রধান কথা ছিল এই যে, মমতা ব্যানার্জি কংগ্রেসের সহযোগিতা নিয়ে ক্ষমতা দখল করে কংগ্রেসকেই নিকেষ করতে চেয়েছে। এসইউসিআই ও নকশালদের নানা গোষ্ঠী জোট ছাড়লেও মমতা ব্যানার্জির কাছে তাদের অভ্যন্তরীণ নানা দায়ের কারণে তৃণমূল কংগ্রেস- বিরোধী জোট এড়িয়ে চলছে।          

এমন ঘটল কেন ? তৃণমূল কংগ্রেস পর্যালোচনা করে এর কোন জবাব দেবে ভাবাই মূর্খামি। কিন্তু  বিদ্বজ্জন যাঁরা মমতা ব্যানার্জির মধ্যে বামেদের থেকেও বেশি বামপন্থার সন্ধান পেয়েছিলেন তাঁরা এই নিয়ে কোন সিরিয়াস সমীক্ষা করেছেন বলে নজরে আসেনি।

আবার যাঁরা এখনও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে বিজেপি – বিরোধীতার উপাদান খুঁজে পাওয়ায় বিজেপি – তৃণমূল বিরোধী জোট বা সমঝোতা এড়িয়ে চলছেন তাঁদের কোন আলোচনায় মমতা ব্যানার্জি – কে কেন আরএসএস ‘দুর্গা’ বলেছিল, কেন বামফ্রন্টের পরাজয়ে আরএসএস উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিল, কেন আরএসএস ভাইপোর গ্রেপ্তারি – কে ‘ইন্দ্রিয় সুখ’ অর্জন ছাড়া আর কিছু লাভ দেখতে পায় না — এর কোন যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।      

যাইহোক, মূল কথা হল বামফ্রন্টের ৩৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটাতে যে জোট তৈরি করা হয়েছিল তা এক বছরের মধ্যেই ভেঙে চৌপাট হয়ে গেল। এ নিয়ে তৃণমূল নেত্রী বললেন, আমাদের কাউকে দরকার নেই , তৃণমূল কংগ্রেস একাই একশো। কংগ্রেস – কে তিনি গদ্দার বলেন। আরও বলেন — এই জন্যই আমি কংগ্রেস ছেড়েছিলাম। কংগ্রেস কেন ছেড়েছিলেন সে আলোচনায় না গিয়ে আমরা শুধু বলতে চাই কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে ঘর কন্যা করলেন। তারপর বার কয়েক এদিক ওদিক করে ২০১১ – তে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করলেন কেন ? জোট না করলে ক্ষমতায় আসতে পারতেন ? মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদে আপনার একজন জেলা পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল। সেই জেলা পরিষদ আপনি দখল নিলেন। কতদূর স্বৈরাচার হলে একাজ করা যায় ?        

এখন আমরা কী দেখছি ? এখন আর মমতা ব্যানার্জি তৃণমূল কংগ্রেস একাই একশো বলেন না। বলেন আমি একাই একশো। গ্রাম পঞ্চায়েত , পঞ্চায়েত সমিতি , জেলা পরিষদ, কাউন্সিলর নির্বাচন থেকে বিধায়ক, সাংসদ পর্যন্ত সব স্তরের সব প্রার্থীর ক্ষেত্রে আপনি বলেন- কে প্রার্থী দেখার দরকার নেই। ধরে নিন আমিই প্রার্থী। সব প্রার্থীই আপনি অথচ সেই তারা যখন ফেঁসে যায় তখন আপনি বলেন ; এর সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই । যে করেছে সে বুঝবে। কতো নৃশংস রকমের স্বৈরাচারী হলে এমন করা যায় ও বলা যায় !  

অন্যদিকে বামফ্রন্ট-কে দেখুন। ৩৪ বছর সরকার চালিয়ে তারপর ১৩ বছর সরকারের বাইরে থেকেও বামফ্রন্ট অটুট। একটু চিন্তা করে দেখুন তো — ৩৪ বছরে বাম শাসনে এমন সময় কি ছিল না যে, সিপিআই (এম) বামফ্রন্ট ভেঙে দিয়ে একাই লড়লে সরকার গঠন করতে পারত না ? বা এখন কেরালায় সিপিআই (এম) ভাবলে এমন করতে পারে কিনা ? বাস্তবতা হল , এমন কথা সিপিআই (এম) কল্পনাও করে না — করতে পারে না। কারণ ক্ষমতা দখল করাই একমাত্র লক্ষ্য নয়। ক্ষমতায় এসে কিছু করে কম্মে খাওয়ার ভাবনার বিরুদ্ধে তার মৌলিক সংগ্রাম। ৩৪ বছরে দু’চার জন যে তেমন করেনি তাও নয়। কিন্তু সে হল বিকৃতি ও বিচ্যুতি। যাদের এমন কার্যকলাপ দেরিতে নজরে এসেছে তাদের সম্পর্কে সঠিক সময়ে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হয়নি বা নেওয়া যায়নি তা নিয়ে বাইরে শত্রু – মিত্ররা যা সমালোচনা করেন তার থেকে অনেক বেশি আলোচনা হয় পার্টির ভেতরে। বাইরে থেকে অনেক শুভাকাঙ্ক্ষীরাও সবটা বুঝতে পারেন না। তাই তাঁরা সঠিক সমালোচনা করে অনেক সময় ভুল সিদ্ধান্তে পৌঁছন। তবুও সেই সমালোচনা আমাদের কাছে মহার্ঘ্য। যাক, প্রসঙ্গে ফিরে আসি।

এই জোট রাজনীতি , মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে আপোস না করেও সবাইকে নিয়ে কীভাবে চলতে হয় তার অনন্য নজির ভারতের সংসদীয় ব্যবস্থায় একমাত্র সিপিআই (এম ) করে দেখিয়েছে, দেখাচ্ছে। এটা কীভাবে সম্ভব হচ্ছে ? এর উত্তরে বলতেই হবে যে, নিজ দলের মধ্যে গণতান্ত্রিক বাতাবরণ না রেখে জনগণের জন্য বা অন্য রাজনৈতিক দলের জন্য গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা করা যায় না। তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের কোন অনুশীলন নেই। বস্তুতপক্ষে এমন অনুশীলন করার মনোভাব নিয়ে একজন কেউ  তৃণমূল কংগ্রেস করতে যায়নি। তাই কেবলমাত্র রাজ্য সরকার দখল করার ভিত্তিতে বাকি সব কিছু দখল করার মনোভাব সর্বোচ্চ নেত্রীর মনের মধ্যে গেঁড়ে বসে আছে। সে কারণেই সব স্বশাসিত সংস্থা বিনা নির্বাচনে দখল করেছেন। কলেজ, স্কুল, সমবায়, গ্রন্থাগার, উচ্চ মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ, কলেজ ছাত্র সংসদ , বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালন সংসদ, কলেজ ও বিদ্যালয় পরিচালন কমিটি…।   

এই যে দখলদারি মনোভাব এর মধ্যেই রয়েছে স্বৈরাচারের লক্ষণ। ইতিহাসের অভিজ্ঞতা হল, স্বৈরাচারের দরকার স্তাবককুল ও দুস্কৃতিকুল। এই দুই অপশক্তি তৈরি করতে ও লালন করতে ঢালাও দুর্নীতির সুযোগ ও অনুমোদন দরকার। তাই নেত্রীকে বলতেই হয়- সব একা খাবেন না, ভাগ করে খাবেন। তাই নানা ছলে অনুদান , মেলা , খেলা (ক্রীড়া নয়) জলসা, পারিতোষিক – এর এতো আয়োজন। তাই, মুখ্যমন্ত্রী – কে বলো নয়, দিদি – কে বলো। তাই বাংলা তৃণমূল কংগ্রেস কেই চায় নয় , নিজের মেয়ে-কে চায়।     

স্বৈরতন্ত্রের আর একটি লক্ষণ হল প্রশ্ন করতে পারে এমন কাউকে ধারে কাছে ঠেসতে না দেওয়া। মানুষের প্রশ্ন করার অধিকারও এরা অনুমোদন করে না।

এবার দেখুন, বিজেপির হাল কী। এনডিএ – এর হাত ধরে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসেন। ইন্ডিয়া ব্লক গঠনের আগে কেউ মনে করে বলতে পারবেন যে, এনডিএ – এর বৈঠক হয়েছে। আর ঠিক একই কারণে বিজেপি ‘ র সর্বোত্তম স্বাভাবিক মিত্র শিব সেনা দল জোট ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।  গত দশ বছরে  এনডিএ’ র অন্তর্ভুক্ত এমন কোন দল প্রায় নেই যারা কোন না কোন সময়ে ছেড়ে বেরিয়ে গেছে আবার নানা কারণে যোগ দিয়েছে। এই নানা কারণের মধ্যে অন্যতম হল আঞ্চলিক দলগুলির নেতাদের ওপর ইডি সিবিআই – এর হামলা। আর একটি কারণ অবশ্যই ক্ষমতার সঙ্গে না থাকলে দল থাকবে না।

দেশ বাঁচাতে বিজেপি – কে পরাস্ত করার লক্ষ্যে ইন্ডিয়া ব্লক গড়ে তোলার আতঙ্কে প্রায় গত পাঁচ বছর পরে মোদীর এনডিএ – র কথা মনে পড়ে। তাসত্ত্বেও খেয়াল করুন, এনডিএ – র কোন নির্বাচনী ইশতেহার নেই। এই প্রসঙ্গে বলা দরকার ইন্ডিয়া ব্লক আগেই ঘোষণা করেছে এটা কোন দেশব্যাপী নির্বাচনী জোট নয়। তাই তাদের মধ্যে দেশব্যাপী কোন আসন সমঝোতার আলোচনাও হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই তাদের অভিন্ন ইশতেহার প্রকাশের প্রশ্নও আসে না। তারা নির্বাচনের পরে বাস্তবতানুযায়ী সরকার গঠনের আগে অভিন্ন কর্মসূচি কর্মসূচি গ্রহণ করবে। কিন্তু এনডিএ – তো তা নয়। তাদের তো ঘোষিত নির্বাচনী জোট। তবুও অভিন্ন ইশতেহার নেই। এ রাজ্যে বামফ্রন্ট আজ পর্যন্ত কোন সাধারণ নির্বাচন তা লোকসভা, বিধানসভা, পঞ্চায়েত বা পুরসভা যাইহোক না কেন ইশতেহার ছাড়া লড়াই করেনি। এই পার্থক্য কেন ? কারণ , বামফ্রন্টের মধ্যে ন্যূনতম আদর্শগত ঐক্য আছে। ক্ষমতা দখল ছাড়াও লড়াইয়ের অভিন্ন ইস্যু আছে। এনডিএ – এর মধ্যে এমন কোন আদর্শগত ঐক্য নেই। বিজেপি’ র নিজস্ব যে এজেন্ডা আছে তার একটিতেও শরিক দলগুলিকে রাজি করাতে পারবে না। তাই ইশতেহার প্রকাশের কথা এরা ভাবতেই পারে না। কিন্তু সরকার গঠনের পরে নিজেদের আঞ্চলিক সুবিধা আদায় করে এরা চোখ বুঁজে থাকে। নেহাত বিপদে পড়লে নানা রকম অবস্থান গ্রহণ করে।

দেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক দলগুলির এমন সুবিধাবাদ ও বিজেপির মতাদর্শের অভ্যন্তরে থাকা ফ্যাসিবাদী প্রবণতা নরেন্দ্র মোদী – কে স্বৈরাচারী বানাতে মদত জুগিয়েছে। যে বিজেপি ‘ আ্য পার্টি উইদ ডিফারেন্স ‘ বলে যাত্রা শুরু করেছিল আজ সেই বিজেপি সত্যিই দেশের মধ্যে সবচেয়ে ভিন্নধর্মী পার্টিতে পরিণত হয়েছে। তফাৎ শুধু এই যে, ইতিবাচক দিকে ভিন্ন না হয়ে কুৎসিততম দিকে হয়েছে। অর্থ ও এজেন্সি ব্যবহার করে দল ভাঙানো, নির্বাচনে পরাজিত হয়েও নির্লজ্জের মতো ক্ষমতার কুর্শি দখল করতে এমন কোন অনৈতিক কাজ নেই যা মোদী – অমিত শাহ্ করেনি। দুর্নীতির প্রশ্নে নরেন্দ্র মোদী সব সীমা অতিক্রম করেছে। কেবিনেটে সিদ্ধান্ত করে করোনা কালে ‘ পিএম কেয়ার ফান্ড ‘ গড়ে তাকে অডিটের আওতার বাইরে রেখেছেন। নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কালো টাকা সংগ্রহের দুর্নীতিমূলক কাজের স্বার্থে তাকে গোপন রাখার মতো সংবিধান – বিরোধী আইন বানিয়েছিলেন। যা সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্পষ্ট হয়েছে। পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখল করতে নির্বাচন কমিশন , বিচারক নিয়োগের স্বচ্ছতা ধ্বংস করেছেন। হোয়াটসঅ্যাপ ইউনিভার্সিটি খুলে মিথ্যা, বিকৃতি, আজগুবি, কল্পিত প্রচারের মাধ্যমে দলের মধ্যে ও জনগণের মধ্যে চিন্তাশক্তিহীন, জ্ঞানশূন্য উন্মাদ, জল্লাদ তৈরির পথ নিয়েছেন। স্তাবকবাহিনী পরিবৃত হয়ে নিজেই নিজেকে অবতার প্রচারের মতো জঘন্য অপরাধ করে চলেছেন। নিজের জীবন বৃত্তান্ত নিয়ে হাজারো মিথ্যাচার করে হাস্যকর হয়েছেন। কিন্তু দলের মধ্যে এই নিয়ে প্রতিবাদ করার মতো কাউকে রাখেননি।  মোদী বিজেপি দলটাকেই গ্রাস করেছেন। তাই বিজেপির ইশতেহারে দলের নাম দূরবীন দিয়ে দেখতে হয়। প্রচ্ছদ জুড়ে মোদীর ঢাউস ছবি। তারপরেও ‘বিজেপি কা গ্যারান্টি নয়’, ‘মোদী কা গ্যারান্টি’। বিজেপি দলের এমন অধঃপতন ভাবা যায়! লক্ষ করুন এই সব বিষয়ে তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে মোদীর কী অসম্ভব ধরনের মিল। মমতার মতোই মোদী দল ও সরকারের মধ্যে চূড়ান্ত স্বৈরাচারী হয়ে উঠেছেন।

এই মিলের প্রধান কারণ মমতা মোদী তৈরি হয়েছে একই আরএসএস – এর জঠর থেকে। যাদের চিন্তায়,গঠনে, কাজে গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই। আছে গণতন্ত্র নিধন করে স্বৈরাচারের ভায়া হয়ে ফ্যাসিবাদ কায়েম করা।

তাই আমরা বলছি, বিজেপি – তৃণমূল কংগ্রেস এক পাকস্থলীর দুই মুখ। এক পাকস্থলী- কে সার্জারি করতে হলে দুই মুখ-কে পরাস্ত করা ছাড়া বিকল্প নেই। দেশব্যাপী বামপন্থীদের শক্তি বৃদ্ধি করে ইন্ডিয়া ব্লক- এর সরকার গঠন ছাড়া এই মুহূর্তে দেশ বাঁচানোর আর কোন বিকল্প নেই।

Spread the word