Who said facts are facts? সুতরাং নির্মানই শেষ কথা নয়। প্রকরণ, সত্য, মিথ্যা, আংশিক সত্য, এক সত্যকে অপ্রকাশিত রাখা তার কৌশল। যাই হোক, নির্মাণ নির্ভর করে নির্মাতার শ্রেণী দৃষ্টিভঙ্গির উপর ।

Who said facts are facts? সুতরাং নির্মানই শেষ কথা নয়। প্রকরণ, সত্য, মিথ্যা, আংশিক সত্য, এক সত্যকে অপ্রকাশিত রাখা তার কৌশল। যাই হোক, নির্মাণ নির্ভর করে নির্মাতার শ্রেণী দৃষ্টিভঙ্গির উপর ।
আজকের ভারতে আমরা দ্বিবিধ আক্রমণের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছি। একদিকে রাজনৈতিক স্বাধীনতা যার অপব্যবহার করে বিজেপির মতো সাম্প্রদায়িক দল নিজেদের কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, আরেকদিকে মুনাফার শৃঙ্খলে সবকিছু জড়িয়ে ফেলায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতাটুকু কার্যত কর্পোরেটদের হাতে সঁপে দেওয়া হয়েছে যার সুবাদে যা কিছুই হোক না কেন, কোথাও কোনও প্রতিবাদ নেই, কোনও বিরুদ্ধ স্বর নেই।
আমি চাইবো আমাদের ইতিহাসের শিক্ষা এই প্রত্যয়েই স্থিত হোক, আমরা ধর্মনিরপেক্ষ, সাধারণতন্ত্র বিশিষ্ট গণতান্ত্রিক দেশ হিসাবে ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাব এবং অতীতের ভুলকেই পুনরাবৃত্ত করে ভারতকে একটি ‘হিন্দু পাকিস্তান’-এ পরিণত হতে না দেবার শপথ গ্রহণ করব।
সাভারকারের প্রতিটি মুচলেকা আসলে তার বিশ্বাসের প্রতিফলন। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইকে আদপে স্বাধীনতা সংগ্রাম মনে না করার ধারনা প্রতিফলিত হয়েছে তার নিদারুণ ক্ষমা প্রার্থনায়।
লোকসভায় সিপিআই(এম) নেতা কমরেড এ.কে গোপালন স্পষ্টতই জানিয়ে দিলেন যে গণতন্ত্র, মানুষের অধিকার এবং স্বার্থরক্ষার যেকোনো সংগ্রামে পার্টি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার লড়াই চালিয়ে যাবে।
স্বাধীনতা সংগ্রাম সঞ্জাত এই নানাবিধ ভাবনার প্রেক্ষাপটেই ‘ভারতের ধারনা’। তাঁকে মূল সূত্র রেখেই ভারতের সংবিধান। স্বাধীন ভারতের প্রাথমিক কাজ এই সংবিধানকে রক্ষা করা এবং সংবিধানের নির্দেশকে কার্যকরী করা। অতীতের মতই সেক্ষেত্রে বামপন্থী শক্তিকে ধারাবাহিকভাবে লড়াই জারি রাখতে হয়েছে।
মানুষের স্বার্থ এবং আধুনিক ভারত গড়ে তুলতে কমিউনিস্টরা ধারাবাহিকভাবে প্রতিটি প্রশ্নে গৌরবোজ্বল ভূমিকা পালন করেছে। এই সত্যকে স্বীকার করার কোন বিকল্প থাকতে পারে না।
কাদের অথবা কাকে সমর্থন দেওয়া হচ্ছে এই প্রশ্নের চাইতে বেশি গুরুত্বপুর্ন হল সমর্থনের প্রেক্ষিত, সময়ের দাবীকে চিনে নেওয়া এবং সেই অনুযায়ী সঠিক সিধান্ত কার্যকর করা। কমরেড জ্যোতি বসু এই রণকৌশল আমাদের সামনে ব্যখ্যা করেছেন, তাকে প্রয়োগ করে অতীতে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির মোকাবিলা করেছেন।
আজকের দিনে অনেকেই নানা ভ্রান্ত তথ্যের শিকার (এইসব ভ্রান্তি অনেক ক্ষেত্রেই ইচ্ছাকৃত প্রচারিত) হয়ে ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহ এবং সিপাহি মঙ্গল পান্ডের সম্পর্কে যথাযথ মূল্যায়ন করতে পারেন না। তাদের সেই ভ্রন্তির সুযোগ নিয়ে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি মানুষের মগজে আক্রমণ নামিয়ে আনে, যাতে মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করে নিজেদের কায়েমি স্বার্থ চরিতার্থ হয়। সবারই মনে রাখা উচিত কার্ল মার্কসই প্রথম ব্যাক্তি যিনি এই বিদ্রোহকে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম বলে উল্লেখ করেছিলেন। সেই ঐতিহাসিক মূল্যায়ন সকলেরই পড়া উচিত
দেশটা আমাদের ,একে রক্ষা করতে হবে আমাদেরই। দেশরক্ষার কাজে সামিল করতে হবে দেশের ব্যপকতম যুবসমাজকে। বিপথগামিতার পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে ভুল পথে চলা যুবদের। আমরা তা পারব।