চে’র হত্যাকারীর দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিলেন কিউবার চিকিৎসকরা। কিউবার সরকারি সংবাদ মাধ্যমের খবর, ১৯৬৭ সালে যিনি বিপ্লবী নেতা চে’কে হত্যা করেছিলেন, বলিভিয়াতে কর্মরত চিকিৎসকরা তাঁর দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন।

চে’র হত্যাকারীর দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিলেন কিউবার চিকিৎসকরা। কিউবার সরকারি সংবাদ মাধ্যমের খবর, ১৯৬৭ সালে যিনি বিপ্লবী নেতা চে’কে হত্যা করেছিলেন, বলিভিয়াতে কর্মরত চিকিৎসকরা তাঁর দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন।
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর কিউবার সামনে উপস্থিত হয় চ্যালেঞ্জের সময়।সোভিয়েত থেকে আসা বিপুল পরিমাণ অনুদান বন্ধ হয়ে পথ চলা হয়ে ওঠে বিপদসঙ্কুল। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় কমাতে বাধ্য হয় সরকার। তথাপি মাথা নীচু করেননি কাস্ত্রো। এখানেই কার্যকরী হয় তার দীর্ঘদিন ধরে মানুষের মধ্যে বপন করে আসা বিপ্লবের বীজ।
তোমাদের বাবা এমন একজন মানুষ ছিলেন, যিনি তার মন যা চেয়েছে সেইমতো কাজ করেছিলেন। যিনি তার বিশ্বাসের প্রতি ছিলেন সম্পূর্ণ অবিচল। একজন ভালো বিপ্লবী হয়ে ওঠো। কৌশল আয়ত্ত করতে কঠোর অধ্যয়ন করো, যা তোমাদেরকে প্রকৃতির উপর নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা দেয়।
আমি এখন তোমাকে চিঠি লিখছি, যদিও তুমি এই চিঠিটি অনেক পরে পাবে, অনেক পরে। কিন্তু আমি তোমাকে জানাতে চাই যে আমি তোমার কথাই ভাবছি। আশাকরি তুমি একটি খুব শুভ জন্মদিন কাটাচ্ছো। তুমি এখন প্রায় একজন পূর্ণ নারী। যেভাবে ছোটদের লিখি সেভাবে তোমাকে লিখতে পারি না।
আমরা কখনও কোনো বিশেষ সুবিধা পাই সেটা আমার বাবা পছন্দ করতেন না। মা’ও সেই পথ অনুসরণ করেছিলেন। চার শিশু সন্তান নিয়ে মা বিধবা হওয়ার ফলে বাবার বন্ধুরা সাহায্য করতে চেয়েছিলেন। বাবার মতো স্নেহ তাঁরা দেখাতে না পারলেও বিভিন্ন জিনিস দিয়ে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন। তবে মা তাদের সে কাজ করতে দেন নি। তিনি আমাদের বলেছিলেন- ‘সবসময় নিজের পা মাটিতে শক্ত করে রাখবে, যা নিজেরা আয় করো নি তা যেতে দাও।’ এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা ছিল।
আমাদের দেশে অনেকেই বলছেন-বামপন্থীরা অপ্রাসঙ্গিক। আসলে তারা চাইছেন বামপন্থীরা অপ্রাসঙ্গিক হোক।