সদ্য সমাপ্ত ২৩তম পার্টি কংগ্রেসের পরে নবগঠিত পলিট ব্যুরোর এটিই প্রথম বৈঠক। কাজ এবং দায়িত্ব বণ্টন সংক্রান্ত আলোচনায় যা নির্ধারিত হয়েছে সেইসব এই বছর ১৮-১৯ জুন কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে বিবেচনার জন্য পেশ করা হবে।

সদ্য সমাপ্ত ২৩তম পার্টি কংগ্রেসের পরে নবগঠিত পলিট ব্যুরোর এটিই প্রথম বৈঠক। কাজ এবং দায়িত্ব বণ্টন সংক্রান্ত আলোচনায় যা নির্ধারিত হয়েছে সেইসব এই বছর ১৮-১৯ জুন কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে বিবেচনার জন্য পেশ করা হবে।
আরএসএস- সংঘ পরিবার কর্তৃক সাম্প্রদায়িক রাজনীতি প্রচারের উদ্দেশ্যে ধর্মীয় উৎসবের সুযোগ নেওয়ার নিন্দা জানাচ্ছে সিপিআই(এম)। শান্তি বজায় রাখা ও ধর্মের নামে মানুষকে বিভক্ত করার চক্রীদের উদ্দেশ্য ব্যর্থ করতে সকল শ্রেণীর মানুষকে আহ্বান জানাচ্ছে সিপিআই(এম)। শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে সারা দেশে পার্টির সকল ইউনিটকেই যথাযথ কর্মসূচি গ্রহনের আহ্বান জানানো হচ্ছে।
কর্তৃত্ববাদী শাসনের অভিমুখে ক্রমবর্ধমান হিন্দুত্ব-কর্পোরেট শাসনের প্রতিরোধে আগামী দিনে বাম ও গণতান্ত্রিক শক্তিকে দ্বিগুন উৎসাহে ভর করে এগোতে হবে, নতুন রণকৌশলে বিবর্তিত হতে হবে।
২০২১ সালের শুধু নভেম্বর মাসেই, ৬৮ লক্ষ বেতনপ্রাপ্ত শ্রমিক নিজেদের কাজ হারিয়েছেন। বিগত ১৭-সপ্তাহে শহরাঞ্চলে বেকারত্বের সূচক সর্বোচ্চ হয়েছে এবং সামগ্রিক বেকারত্ব শেষ ৯-সপ্তাহে সর্বোচ্চ অবস্থায় পোঁছে গেছে।
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের আমলে দেশের জাতীয় সম্পদের নিরলস লুট অব্যাহত রয়েছে। জাতীয় পতাকার বাহক সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়াকে টাটাদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। মোদি সরকার কর্তৃক এই বিক্রি টাটাদের বিনামূল্যে উপহার দেওয়ার সমতুল্য। টাটারা এই বিক্রির সূত্রে ১৫৩০০ কোটি টাকার ঋণের দায় নেবে, বোঝাই যাচ্ছে পরবর্তীকালে সেই ঋণ সম্পর্কে নতুন সিদ্ধান্ত হবে। কেন্দ্রীয় সরকারকে কেবলমাত্র ২৭০০ কোটি টাকা নগদ দিয়েই এয়ার ইন্ডিয়ার ৪৬২৬২ কোটি টাকা মূল্যের বিপুল সম্পদের মালিক হল টাটা গোষ্ঠী। অবশিষ্ট ঋণের ৪৬,২৬২ কোটি টাকার দায় বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার, যার অর্থ এই ঋণ পরিশোধের ভার জনগণের উপরে চাপানো হবে।
বিভিন্ন সময়ে নানাবিধ শারীরিক সমস্যা সত্ত্বেও কমরেড বিজন ধর পার্টির কাজে অক্লান্ত পরিশ্রম চালিয়ে গেছেন। পার্টির লক্ষ্যের প্রতি উচ্চ স্তরের অঙ্গীকারই তার এহেন আচরণের ব্যাখ্যা। ত্রিপুরায় হিংসাত্মক আক্রমণের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে পার্টি যখন সাহসিকতার সাথে লড়াই চালাচ্ছে তখন কমরেড বিজন ধরের এবং গত মাসে তারই সহকর্মী কমরেড গৌতম দাসের মৃত্যু পার্টির জন্য একটি বড় ক্ষতি।
কৃষকদের উপর ভয়াবহ বর্বরতায় জড়িত যাদের ক্যামেরায় দেখা গেছে সেইসব পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। গুয়াহাটি হাইকোর্টের একজন সিটিং জজের অধীনে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাচ্ছে সিপিআই(এম)। উচ্ছেদ কর্মসূচি এখনই বন্ধ করতে হবে, নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আসামে বিজেপি সরকারের সাম্প্রদায়িক, বিদ্বেষী রাজনীতির স্বরুপ উন্মোচন করতে এবং তাকে প্রতিরোধ করতে সেই রাজ্যের ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক শক্তিসমুহের লড়াইকে সমর্থন জানাচ্ছে পলিট ব্যুরো।
মহামারী মোকাবিলায় প্রোটোকল এবং নির্দেশিকা সবই কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয়েছে। কোভিড আক্রান্তদের ক্ষতিপূরণ দেবার মূল দায়িত্ব তাই কেন্দ্ররই বহন করা উচিত। সুপ্রিম কোর্ট এখনও এই মামলায় চূড়ান্ত রায় দেয়নি। এই দায় বহনে কেন্দ্রের প্রাথমিক দায়িত্ব নিশ্চিত করতে হবে এবং ক্ষতিপূরণের পরিমাণও যথার্থরুপে বৃদ্ধি করতে হবে।
কমরেড গৌতম দাশ ১৯৬৮ সালে পার্টিতে যোগ দেন, ১৯৮৬ সালে ত্রিপুরা রাজ্য কমিটিতে নির্বাচিত হন। ১৯৯৪ সালে রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীতে এবং ২০১৮ সালে রাজ্য সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালে ২১তম পার্টি কংগ্রেসে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। শেষ তিন বছর লাগাতার সন্ত্রাসের মোকাবিলা করেই তিনি ত্রিপুরায় পার্টি পরিচালনার জন্য অবিচলভাবে নিজের কাজ করেছেন।
যে কায়দায় বিজেপি’র গুন্ডাবাহিনী পরিচালিত হয়েছে তাতে রাজ্য সরকারের এই ঘটনায় সরাসরি যোগসাজশ স্পষ্ট হয়েছে। এই হামলাগুলি হয়েছে কারণ শাসক দল বিজেপি ত্রিপুরা রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের কার্যকলাপ দমন করার চেষ্টা করতে চেয়েও বারে বারে ব্যর্থ হয়েছে।