পঞ্চদশ কংগ্রেসের পর থেকে গোটা দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়। সংযুক্ত সরকার বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিলেও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উদারীকরণকেই অনুসরণ করায় তার জনপ্রিয়তা কমে। শেষে জনতা দল ভেঙে গেলে নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে বিজেপি পরিচালিত এনডিএ সরকার গঠিত হয়। এই সময় বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণে কংগ্রেসকে ইস্যুভিত্তিক সমর্থনের ভিত্তিতে সরকার গঠনের প্রস্তাব দিলে সে প্রয়াস ব্যর্থ হয়। ফলে পরিস্থিতি দেশের পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। এই প্রেক্ষাপটে অনুষ্ঠিত পার্টি কংগ্রেস বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ব্যাপকভিত্তিক আন্দোলন কর্মসূচী গ্রহণ করে।
Tag: CPIM
23rd Party Congress: Secretary States
একটি শক্তিশালী কমিউনিস্ট পার্টি, শক্তিশালী বাম ঐক্য এবং বাম-গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট গঠনের প্রচেষ্টাকে জোরদার করার সংকল্প নিয়েছে সিপিআই(এম)। আমরা আপনাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি এবং দেশপ্রেমিকদের কাছে আমাদের সাংবিধানিক সাধারণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য ও হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির বিস্তৃত ফ্রন্ট তৈরি করে বিকল্প জনস্বার্থবাহী নীতি রুপায়নের সংগ্রামকে আরও শক্তিশালী করার জন্য সমবেত সংকল্পের আবেদন করছি।
The Journey Towards The 23rd Party Congress (Part II)
কনভেনশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মার্কসবাদ-লেনিনবাদের ভিত্তিতে একটি বিপ্লবী পার্টি গড়ে তোলার লক্ষ্যে আহুত হয় সপ্তম কংগ্রেস। সরকারের গণতন্ত্রবিরোধী ও জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে জোরদার লড়াই সংগঠিত করার মাধ্যমেই গণতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দেওয়া হয়। সংশোধনবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ একদশকের বেশি সময়কাল ধরে চলতে থাকা মতাদর্শত সংগ্রামের পরিণতিতে অনুষ্ঠিত সপ্তম পার্টি কংগ্রেস নতুন পার্টি কর্মসূচী ও আশু কর্তব্য সম্পর্কে প্রস্তাব গ্রহণ করে। পলিটব্যুরোয় নির্বাচিত নয়জন সদস্য পরবর্তীকালে ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনে ‘নবরত্ন’ হিসাবে পরিচিত হয়।
The Journey Towards The 23rd Party Congress (Part I)
১৯১৭ সালের রুশ বিপ্লবের ৩ বছরের মাথায় বর্তমান উজবেকিস্তানের তাসখন্দে ১৯২০ সালের ১৭ অক্টোবর তৈরি হয় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্ত বহু ভারতীয় সেইসময়ে প্রবাসে থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন ব্রিটিশদের অত্যাচার এড়াতে। এদেরই একটা অংশ মুখ্যত এম এন রায়ের উদ্যোগে লেনিন তথা বলশেভিক পার্টির সাথে যোগাযোগ স্থাপন করেন। তৃতীয় আন্তর্জাতিকের দ্বিতীয় কংগ্রেসের (১৯২০) অব্যবহিত পরেই এই ভারতীয়দের বিপ্লবীদের নিয়ে গঠিত হয় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি। ভারতে কাজ করার জন্য সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয়।এই সাতজন ছিলেন এম.এন. রায়, এভলিন রায়-ট্রেন্ট, অবনী মুখার্জি, রোজা ফিটিংগভ, মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ শফিক এবং আচার্য। শফিক দলের সম্পাদক নির্বাচিত হন।
Rebuff US Pressures
মোদি সরকারকে এখন অবশ্যই QUAD-এর মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটি কৌশলগত সামরিক জোটে যোগদানের বিপদগুলো উপলব্ধি করতে হবে যা হুমকি এবং চাপের জন্য সমস্ত দরজাগুলো খুলেছিল। ভারত সরকারকে এই সংকটে ভারতের সর্বোচ্চ জাতীয় স্বার্থকে অক্ষুণ্ন রাখতে হবে এবং এই ধরনের মার্কিন চাপের কাছে নতি স্বীকার করা চলবে না।
Mallu Swarajyam: Polit Bureau Statement
নিজামের সামন্তবাদী শোষণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে কম বয়সেই যুক্ত হয়েছিলেন মাল্লু স্বরাজ্যম। ১৯৪৬ থেকে ১৯৫১ সাল অবধি তেলেঙ্গানায় সশস্ত্র সংগ্রামে সক্রিয় ছিলেন। অস্ত্র চালনায় দক্ষতা অর্জন করে অন্য মহিলাদেরও সংগ্রামে অংশগ্রহন করতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন।
General Strike: Peoples’ Struggle(Part II)
আগামী ২৮-২৯ মার্চ ২০২২ এর এই সাধারণ ধর্মঘটকে গুণগতভাবে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে হবে এই স্বৈরাচারী ও ধ্বংসাত্মক সরকার কে চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য, দৃঢ়তার সাথে এগিয়ে যেতে হবে আরো উন্নত চেতনার দিকে যার মাধ্যমে এই নয়া উদারবাদের রাজনীতিকেই সাফল্যের সাথে মোকাবিলা করে পরাজিত করা সম্ভব হয় দেশ এবং দেশের মানুষকে বাঁচানোর স্বার্থে।
General Strike: Peoples’ Struggle(Part I)
এই সাধারণ ধর্মঘট ১৯৯১ সালে নয়া উদারনীতি পর্বের আরম্ভের পরে একবিংশতিতম ধর্মঘট হতে চলেছে। এই তিন দশকের লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, প্রতিটি সাধারণ ধর্মঘটের মধ্য দিয়ে এবং তার মধ্যে শিল্প ও পরিষেবা ক্ষেত্রে সংগঠিত ও অসংগঠিত অংশ মিলিয়ে অসংখ্য নির্দিষ্ট দাবি আদায়ের লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে, ট্রেড ইউনিয়ন সমূহের সংযুক্ত মঞ্চ গড়ে উঠেছে, সম্প্রসারিত হয়েছে, এবং শেষ পর্যন্ত ২০০৯ সালে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলিকে এক ছাতার নীচে আনতে সক্ষম হয়েছে।
Comrade Aijaz Ahmad: A Report
গতকাল ৯ মার্চ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রখ্যাত মার্কসবাদী বুদ্ধিজীবী, তাত্ত্বিক ও কমরেড – আইজাজ আহমেদের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করছে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)৷ তিনি সিপিআই(এম) এর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন এবং দেশ জুড়ে অসংখ্য সেমিনার, সভায় বক্তৃতার কাজে সর্বদা সময় দিতে ইচ্ছাপ্রকাশ করতেন। আইজাজ আহমদ এক অত্যন্ত সম্মানীয় তাত্ত্বিক হিসাবেই সুপরিচিত ছিলেন। মার্কসবাদের সমর্থনে তাঁর রচনাগুলির মর্যাদা ধ্রুপদী সাহিত্যের মতোই যা একের পর এক প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে। ভিসা সংক্রান্ত বাধ্যবাধকতা এবং অসুস্থতার কারণে তাকে ভারত ছাড়তে বাধ্য করা হয়। মৃত্যুর আগে অবধি তাঁর দেশে ফেরার ইচ্ছা বজায় ছিল। তিনি দেশে ফিরতে পারেননি, এই ঘটনা দুঃখজনক। সমাজতন্ত্রে আস্থাশীল এবং সেই লক্ষ্যে সংগ্রামরত বিশ্বব্যাপী মানুষের জন্য তার মৃত্যু এক বিশাল ক্ষতি বিশেষ।
The Ukraine Crisis: The IMF Connection
পুতিন যা করছেন তাকে কোনোভাবেই আন্তর্জাতিক লগ্নী পুঁজির আধিপত্যের বিরুদ্ধে লড়াই বলা যায় না। আন্তর্জাতিক লগ্নী পুঁজির স্বার্থে কাজ করে এমন সংস্থার হাতের পুতুল কোন প্রতিবেশী দেশের আধিপত্যের বিরুদ্ধে আদর্শগত সংগ্রাম পরিচালনা করার মতো কোনও সমাজতান্ত্রিকও তিনি নন। তার উদ্বেগ শুধুমাত্র রাশিয়ার নিরাপত্তা সংক্রান্ত, ন্যাটোর নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা রাশিয়ার এলাকাতেই সেই দুশ্চিন্তা সীমাবদ্ধ৷ আইএমএফ’র তরফে দেয় ‘সহায়তা’র বদলে ইয়ানুকোভিচকে তিনি যে বিকল্প সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তারও উদ্দেশ্য ছিল এটুকুই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক স্বার্থের পক্ষে আইএমএফের ভূমিকা নিয়েই তিনি চিন্তাগ্রস্থ, সাধারণভাবে নয়া-উদারনীতির প্রবর্তক হিসেবে আইএমএফের ভূমিকা নিয়ে তার কোন মাথাব্যাথা নেই। নয়া-উদারবাদ যেভাবে জনজীবনে গভীর অসাম্য এবং চূড়ান্ত দারিদ্র ডেকে আনে, পুতিন এখনও অবধি তার চাইতে খুব একটা বেশি কিছু অর্জন করতে পারেন নি এটুকু বলাই যায়।