পুনরুজ্জীবিত করা দূর, অর্থনীতি আরও সংকুচিত হয়।

পুনরুজ্জীবিত করা দূর, অর্থনীতি আরও সংকুচিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপিকে নাকি নির্বাচনে পরাস্ত করা যায় না! কর্পোরেট মিডিয়া ও ধামাধরা মুখপাত্রদের মারফত সারা দেশে এমনটাই
শ্রেণিবিভক্ত সমাজে যতদিন শোষক – শোষিত থাকবে ততদিনই ওরা-আমরাও থাকবে।
উন্নয়ন মানে তো সবার সমৃদ্ধি, সর্বার্থে প্রগতি! আজকের পৃথিবীতে সম্পদের বৈষম্য নির্মাণের অন্যতম স্থপতিই হল বেসরকারিকরণ। এহেন উন্নয়নমূলক কর্মসূচিটি নিস্কন্টক রাখতেই পুঁজিকে বিবিধ পরিকল্পনা করতে হয়, এমনকি দাঙ্গা অবধি সংগঠিত করতে হয়।
বিজেপির শাসনে গ্রাম শহর নির্বিশেষে গরীব মানুষের অবস্থা আরো খারাপ হয়েছে, কমেছে ক্রয় ক্ষমতা, চাহিদা কমেছে, কিন্তু পুঁজি উৎপাদন কমায়নি মুনাফার লোভে – অতি উৎপাদন সমস্যার আকার নিয়েছে।
মোদী যতই নেহরুর বিরোধী সাজুন না কেন, আসলে তিনিও তাকেই অনুসরণ করেছেন, কিছুটা অতিক্রমও করেছেন। ঐ একই আক্ষেপ বুকে চেপে তিনি প্রমাণ করতে চাইছেন কর্পোরেটরা দেশের জন্য অনেক কিছু করছেন- আর তাই সরকারী আর্থিক নীতিতে কর্পোরেটদেরই সর্বাধিক করছাড় দেওয়া চলছে। আন্তর্জাতিক ফিন্যান্স পূঁজির শব্দকোষে গায়ের চামড়া বলে কোনও শব্দ নেই যে!
দাবিব্যাঙ্কিং আইন সংশোধনী বিল ২০২১ বাতিল করোব্যাঙ্ক বিক্রি চলবে না আবার দেশব্যাপী দুদিন ব্যাঙ্ক ধর্মঘট পালিত হবে আগামী ১৬-১৭ ডিসেম্বর
ন্যুনতম সহায়ক মুল্য হল সেই ব্যবস্থা যার কারনে কেন্দ্রীয় খাদ্যভান্ডারে খুব বেশি প্রভাব না ফেলেই সারা দেশজূড়ে ফসল বিক্রির ক্ষেত্রে কৃষকদের লাভজনক দাম পাওয়ার নিশ্চয়তা বজায় থাকে। ফসলে সহায়ক মূল্য বাড়ানো হলে সরকারী গুদামে চাপ বেশি না বাড়িয়েও কৃষকদের আয় বৃদ্ধি পায়। ঐ তিনটি রাজ্য (পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তর প্রদেশ) বাদে সারা দেশে নিজেদের গুদাম স্থাপনের কাজে এফসিআই’র অকর্মণ্যতা নিশ্চই রয়েছে। সেই কারনেই কয়েকটি রাজ্য সরকার খাদ্য মজুত করার কাজে নিজস্ব সংস্থাগুলিকে কাজে লাগাতে বাধ্য হয়েছে। যেখানেই রাজ্য সরকারের সংস্থাগুলি সেই কাজ পরিচালনা করেছে, মজুতের কাজে খুব সফল না হলেও এদের কারনেই সেই সব রাজ্যে কৃষকরা লাভজনক আয় করতে পেরেছেন। তাই উচিত হবে গুটিকয়েক রাজ্যে নিজেদের কাজে পরিধিকে সীমাবদ্ধ না রেখে সর্বভারতীয় স্তরে এফসিআইকে আরও সক্রিয় করে তোলা অর্থাৎ কেন্দ্রীয় খাদ্য মজুত প্রক্রিয়াকে আরও বিস্তৃত করা।
মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের অধঃস্তন সহযোগী হয়ে উঠতে বর্তমানে যে কায়দায় নয়া-উদারবাদী সংস্কার চলছে তার ভিত্তি লুকিয়ে রয়েছে কর্পোরেটদের সাথে সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক শক্তির আঁতাতের ভিতরে। সংবিধানের সংজ্ঞা অনুযায়ী এক ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্র থেকে আরএসএস’র পরিকল্পনামতো ভারতকে এক অসহিষ্ণু, কর্তৃত্বকারী ফ্যাসিবাদী দেশে বদলে ফেলার পরিকল্পনাই হল ‘হিন্দুত্ব রাষ্ট্র’।
দেশের কতিপয় ধনী এবং নিজেদের পছন্দের তালিকায় থাকা ধান্দাবাজদের মুনাফার স্বার্থে মোদী সরকার যেভাবে করছাড়ের পুরস্কার দিয়েছে সেই ক্ষতি মিটিয়ে নিতেই দেশের জনগণের উপরে করের বোঝা ক্রমশ বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই অর্থনৈতিক মন্দা এবং মহামারীর দ্বিবিধ প্রকোপে জনসাধারনের জীবন জীবিকা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, তার উপরে সরকার বাড়তি করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে।