সাম্রাজ্যবাদের শৃঙ্খল মুক্ত করে সাম্যের স্বদেশ গড়ার স্বপ্ন ছিল দুই চোখে। সেই স্বপ্নের বাস্তবায়নের জন্য ব্যক্তিজীবনে একের পর এক আত্মত্যাগ করে গেছেন। স্বপ্নকে হৃদয়ে লালন করেই ব্রিটিশ কারাগারের নির্মম অত্যাচার হাসিমুখে সহ্য করেছিলেন।
Tag: CommunistInIndia
‘In the mouth of the fly and in the sting of a scorpion’ – An Introspect
এই করে দেশের সর্বসাধারণের সর্বনাশ করা হচ্ছে। এদেশের যুবকগণ দেশের মুক্তির জন্যে কম নিগ্রহ ভোগ করেননি। ফাঁসিকাঠে ঝুলে আপনাদের প্রাণ তাঁরা হাসিমুখে বলি দিয়েছেন, কারাবরণ তাঁরা করেছেন এবং আরো কত প্রকারে যে নির্যাতিত তাঁরা হয়েছেন কে তার খবর রাখে। কিন্তু বর্তমানে দেশের এ দুর্দিনে তাঁদের কি কোনো কাজ নেই করার?
The Man, The Communist: A Memoir
পার্টি যাতে সংশোধনবাদের গাড্ডায় না পরে, তার জন্য মূল ভূমিকা নেন কমরেড মুজফ্ফর আহ্মদ। সে রকমই, ১৯৬৭ সাল থেকে পার্টির ওপর সংকীর্ণবাদীদের আক্রমণ শুরু হয়। তখন তাদের হাত থেকেও পার্টিকে রক্ষা করার মূল ভূমিকা গ্রহন করেন তিনি।
The Life, The Practice- The Legacy
কমিউনিস্ট পার্টির কাজে কমরেডদের সামনে এমন কিছু নির্দিষ্ট মুহূর্ত আসে যখন ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করতে হয়। আমাদের দেশে দু’বার পার্টি ভেঙেছে, প্রথমবার সেই লড়াই ছিল সময়োপযোগী করার নামে কমিউনিস্ট পার্টিকে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির লেজুড়ে পরিণত করার বিরুদ্ধে সংগ্রাম। পরেরবার জনগণের শক্তিতে আস্থা হারিয়ে নিজেরাই বিদ্রোহে ফেটে পড়ার সংকীর্ণতায় পা জড়িয়ে ফেলেন কিছুজন। কমিউনিস্ট পার্টির কাজে এই ঘটনা নতুন কিছু না। লেনিনকেও এই সমস্যার সমাধান করেই এগোতে হয়েছিল, মাও সে তুং কেও।
‘Broadest Mobilization Of Secular Forces Against Hindutwa’ – Yechury Explained
কাদের অথবা কাকে সমর্থন দেওয়া হচ্ছে এই প্রশ্নের চাইতে বেশি গুরুত্বপুর্ন হল সমর্থনের প্রেক্ষিত, সময়ের দাবীকে চিনে নেওয়া এবং সেই অনুযায়ী সঠিক সিধান্ত কার্যকর করা। কমরেড জ্যোতি বসু এই রণকৌশল আমাদের সামনে ব্যখ্যা করেছেন, তাকে প্রয়োগ করে অতীতে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির মোকাবিলা করেছেন।
Man Made Famine: Jyoti Basu
১৯৪৩ সালে তৎকালীন বাংলায় দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। কমিউনিস্ট পার্টি নিজের সমস্ত শক্তি একত্রিত করে মানুষকে বাঁচানোর কাজে নামে – সংগ্রামের ইতিহাসে সেও এক অনন্য নজীর। মানুষের দুর্দশা এবং সরকারের অপদার্থতা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে একটি ছোট পুস্তিকা (হ্যান্ডবুক) প্রকাশিত হয়, শিরোনাম ছিল ‘দ্য ম্যান মেড ফ্যামিন’।ইংরেজিতে সেই লেখা ছিল জ্যোতি বসুরই।
Artist’s Way: A Retrospect
সময় যখন ডাক দেয় তখন উচিত কথা বলার জন্য সাহসে ভর করে সব কিছুকে বাজি রাখতে প্রস্তুত, এমনকী নিজেদের নিরাপত্তা পর্যন্ত, বিবেকবান সেই সৃষ্টিশীল মানুষদেররই— একমাত্র তাঁদেরই— আমরা শিল্পী হিসেবে স্বীকার করব, শ্রদ্ধা জানাব। আর কাউকে নয়। কখনই নয়।
Md Abdullah Rasul: A Legacy
দাঙ্গার ইতিহাস যেমন রয়েছে, তার উল্টোদিকে মানুষের সম্প্রীতির ইতিহাসও আছে, আর আছে সেই ইতিহাসে কমিউনিস্ট পার্টির ভূমিকা।
The Journey Towards The 23rd Party Congress (Part IV)
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) এর ২৩ তম পার্টি কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হচ্ছে কেরালার কান্নুরে। নতুন পরিস্থিতিতে নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থানকে আরো দৃঢ় করে লড়াইয়ের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে এই কংগ্রেস থেকে।
The Journey Towards The 23rd Party Congress (Part I)
১৯১৭ সালের রুশ বিপ্লবের ৩ বছরের মাথায় বর্তমান উজবেকিস্তানের তাসখন্দে ১৯২০ সালের ১৭ অক্টোবর তৈরি হয় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্ত বহু ভারতীয় সেইসময়ে প্রবাসে থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন ব্রিটিশদের অত্যাচার এড়াতে। এদেরই একটা অংশ মুখ্যত এম এন রায়ের উদ্যোগে লেনিন তথা বলশেভিক পার্টির সাথে যোগাযোগ স্থাপন করেন। তৃতীয় আন্তর্জাতিকের দ্বিতীয় কংগ্রেসের (১৯২০) অব্যবহিত পরেই এই ভারতীয়দের বিপ্লবীদের নিয়ে গঠিত হয় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি। ভারতে কাজ করার জন্য সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয়।এই সাতজন ছিলেন এম.এন. রায়, এভলিন রায়-ট্রেন্ট, অবনী মুখার্জি, রোজা ফিটিংগভ, মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ শফিক এবং আচার্য। শফিক দলের সম্পাদক নির্বাচিত হন।