যারা এই পৃথিবীর শোষণের কারাগার গুলিকে ভেঙেছেন, তাঁরাও কোনো ফরিস্তা নন! পয়গম্বরও নন। তারা সাধু সন্ন্যাসীও নন। মানুষ! রক্ত মাংসের মানুষ। নেলসন ম্যাণ্ডেলাও রক্ত মাংসের মানুষ।
Tag: Communism
Man Made Famine: Jyoti Basu
১৯৪৩ সালে তৎকালীন বাংলায় দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। কমিউনিস্ট পার্টি নিজের সমস্ত শক্তি একত্রিত করে মানুষকে বাঁচানোর কাজে নামে – সংগ্রামের ইতিহাসে সেও এক অনন্য নজীর। মানুষের দুর্দশা এবং সরকারের অপদার্থতা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে একটি ছোট পুস্তিকা (হ্যান্ডবুক) প্রকাশিত হয়, শিরোনাম ছিল ‘দ্য ম্যান মেড ফ্যামিন’।ইংরেজিতে সেই লেখা ছিল জ্যোতি বসুরই।
Md Abdullah Rasul: A Legacy
দাঙ্গার ইতিহাস যেমন রয়েছে, তার উল্টোদিকে মানুষের সম্প্রীতির ইতিহাসও আছে, আর আছে সেই ইতিহাসে কমিউনিস্ট পার্টির ভূমিকা।
Marxism At 21st Century: An Introduction For Chinese Conditions
পুঁজিবাদকে উৎখাত করতে হয়। উপড়ে ফেলার সেই কাজ মূলত নির্ভর করে পূঁজির শাসনের বিরুদ্ধে শ্রমজীবী মানুষদের নেতৃত্বে সংগঠিত আন্দোলনসমূহের উপরে যা ক্রমাগত চলতি সমাজে শ্রেণিসংগ্রামের তীব্রতা বস্তুগতভাবে বাড়িয়ে চলে। আন্দোলনের বস্তুগত সামর্থ্যলাভ আসলে সমাজ বদলের লড়াইতে ‘বিষয়ীগত উপকরন’ যোগান দেয় এবং সেই সামর্থ্য অর্জনের জন্যই নিরন্তর সংগ্রাম একান্ত প্রয়োজন। সংকটকালীন পরিস্থিতি, যা হল সমাজ বদলের লড়াইয়ে ‘বিষয়গত উপাদান’ তা যতই তীব্র আকার নিক না কেন যদি পূঁজির শোষণ উচ্ছেদের লক্ষ্যে পূর্বোক্ত ‘বিষয়ীগত উপকরন’ যথাযথরুপে প্রস্তুত না থাকে তবে সমাজ বদলের সংগ্রাম সমাজবিপ্লবের স্তরে উন্নীত হতে পারে না।
100 Years Of CPC: A Note
শান্তিপূর্ণ বৈদেশিক নীতি, প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের সাথে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা এবং দক্ষিণ এশিয়াসহ গোটা পৃথিবীতে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে গণসাধারণতন্ত্রী চীনের সাফল্য সম্পর্কে দুনিয়াজূড়ে মানুষজন প্রত্যাশায় বুক বেঁধেছেন।
“De Omnibus Dubitandum” Or Doubt Everything!
কার্ল হাইনরিখ মার্কস’কে এইসব তত্বের যুক্তিজাল বিস্তার না করেও সারা পৃথিবীতে মানুষ শ্রদ্ধা জানাবেন যিনি মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে সত্যের অনুসন্ধানে নিজের গোটা জীবনটুকুই চরম দুঃখ-দারিদ্র-লাঞ্ছনার কবলে নিয়ে গেছেন কিন্তু মানুষের স্বার্থের পরিপন্থি কিছু মাথা নামিয়ে মেনে নিয়ে অথবা প্রচলনের সাথে আপোষ-রফা করে কখনো নিজের অস্তিত্ব রক্ষা করেন নি। অনেকেই এই কঠিন পরীক্ষায় অনেকটা এগিয়ে গিয়েও পরে হেরে যান। আর তাই মার্কসবাদকে নিজেদের জীবনের চর্চায় প্রয়োগ করেন যারা সেই কমিউনিস্টদের মুল্যায়ন একমাত্র মৃত্যুর পরেই হয়। আর তাই ২০৩ তম জন্মদিবসে তাকে স্মরন করতে গিয়েও মার্কসের মৃত্যুর পরে হাইগেটে তার সমাধিক্ষেত্রে বন্ধু, কমরেড ফ্রেডেরিখ এঙ্গেলস’র বলা সেই কথা আমাদের স্মরনে রাখতেই হবে “ An immeasurable loss has been sustained by the militant proletariat of Europe and America , and by historical science, in the death of this man, The gap that has been left by the departure of this mighty spirit will soon enough make itself felt….. and I make bold to say that, though he may have had many opponents, he had hardly one personal enemy”।