তবে কি প্রযুক্তি মানেই খারাপ?

তবে কি প্রযুক্তি মানেই খারাপ?
অন্নদাতারা ধ্বংস হলে সারা দেশে বিধ্বংস নেমে আসে – এটা স্বতঃসিদ্ধ বিষয়।
সমাজতন্ত্র নির্মাণের পথে কার্যকরী পূর্বশর্ত হিসাবে মার্কস-এঙ্গেলস দুজনেই শ্রমিক-কৃষক জোটের পক্ষেই ছিলেন।
অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ সেন সারা জীবন শ্রমজীবী গরীব জনগণের স্বার্থরক্ষায় কাজ করে গেছেন। এই কাজের মাধ্যমেই তিনি প্রগতিশীল দর্শনকে উর্ধে তুলে ধরেছেন। তার স্ত্রী জয়তী ঘোষ, কন্যা জাহ্নবী সহ পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েই তাকে স্মরণ করেছে সিপিআই(এম)।
আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে কৃষকদের আন্দোলন-সংগ্রাম এক নতুন নজির রেখেছে। এই আন্দোলন সরাসরি বিজেপি সরকারের নীতির বিরোধিতার পাশাপাশি সরকার বদলে দিতে প্রত্যক্ষ সংগ্রামের আহ্বানও জানিয়েছে। নয়া-উদারবাদ বিরোধী আন্দোলনে এমন রণকৌশল অভূতপূর্ব
ন্যুনতম সহায়ক মুল্য হল সেই ব্যবস্থা যার কারনে কেন্দ্রীয় খাদ্যভান্ডারে খুব বেশি প্রভাব না ফেলেই সারা দেশজূড়ে ফসল বিক্রির ক্ষেত্রে কৃষকদের লাভজনক দাম পাওয়ার নিশ্চয়তা বজায় থাকে। ফসলে সহায়ক মূল্য বাড়ানো হলে সরকারী গুদামে চাপ বেশি না বাড়িয়েও কৃষকদের আয় বৃদ্ধি পায়। ঐ তিনটি রাজ্য (পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তর প্রদেশ) বাদে সারা দেশে নিজেদের গুদাম স্থাপনের কাজে এফসিআই’র অকর্মণ্যতা নিশ্চই রয়েছে। সেই কারনেই কয়েকটি রাজ্য সরকার খাদ্য মজুত করার কাজে নিজস্ব সংস্থাগুলিকে কাজে লাগাতে বাধ্য হয়েছে। যেখানেই রাজ্য সরকারের সংস্থাগুলি সেই কাজ পরিচালনা করেছে, মজুতের কাজে খুব সফল না হলেও এদের কারনেই সেই সব রাজ্যে কৃষকরা লাভজনক আয় করতে পেরেছেন। তাই উচিত হবে গুটিকয়েক রাজ্যে নিজেদের কাজে পরিধিকে সীমাবদ্ধ না রেখে সর্বভারতীয় স্তরে এফসিআইকে আরও সক্রিয় করে তোলা অর্থাৎ কেন্দ্রীয় খাদ্য মজুত প্রক্রিয়াকে আরও বিস্তৃত করা।
যে নয়া তিন কৃষিআইনের বিরুদ্ধে কৃষকরা সংগ্রাম করছেন সেগুলির লক্ষ্য কৃষক নির্ভর কৃষিব্যবস্থাকে একচেটিয়া পুঁজির দখলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া। এই তিন আইনের আগে মোদী সরকার শ্রমিক বিরোধী আইন প্রণয়ন করেছে যা শ্রমিক সংগঠনের গুরুত্ব কমিয়ে দেবার সাথেই শ্রমিকদের উপরে শোষণের মাত্রা বাড়িয়ে দেবে। আজকের দুনিয়ায় শ্রমিক শ্রেণীর নেতৃত্বে শ্রমিক-কৃষক জোটের লড়াই শুধুই কৃষকদের অসমাপ্ত গণতান্ত্রিক আশা-আকাংখা পূরণে জমিদারতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই না; এই সংগ্রাম শ্রমিকশ্রেণী এবং কৃষক উভয়েরই শোষণমুক্তির লড়াই। তারা উভয়েই একইসাথে আন্তর্জাতিক লগ্নী পুঁজির আক্রমণের শিকার, দেশীয় একচেটিয়া পুঁজিপতিদের হাতে শোষণ সেই মুল প্রক্রিয়ারই অংশ।
ভারত এক বিরাট দেশ, এর বিভিন্ন প্রান্তের বৈচিত্র্যময় বাস্তবতাকে আলোচনায় গুরুত্ব না দিয়ে আন্দোলন সামনের দিকে এগোতে পারবে না। নিজেদের অস্তিত্বরক্ষার আন্দোলনে অগ্রাধিকার দিয়ে উক্ত সমস্যাবলী সম্পর্কে সমাধানের লক্ষ্যে এক সুস্থিত কৃষি অর্থনীতি গড়ে তুলতে হবে যা ভারতের সাধারণ অর্থনীতির মেরুদন্ড হিসাবে কাজ করবে। সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাবার পথে জনগণের অন্যান্য অংশকেও এই লড়াইয়ের সাথী করে নিতে হবে, তবেই এই লড়াই এক সার্বিক গণআন্দোলন হিসাবে সার্থক হয়ে উঠবে। আজকের কৃষক আন্দোলন সেই প্রকৃত বিকল্পের দিশা সম্পর্কে ইতিমধ্যেই অনেককে স্বপ্ন দেখাতে সমর্থ হয়েছে।
নভেম্বর ২২ ,২০২০ রবিবার পর্ব- ৫ ‘ভাতের কারখানা’য় বিজেপির পথেই তৃণমূল…. ‘ভাতের কারখানা ধ্বংস করে, মোটর গাড়ির কারখানা/সে হবে না,
The Pratirodh Diwas or Resistance Day against the three Anti-Farmer Bills on 25th September, 2020 has by far been the