গত কয়েক বছর ধরে লাগাতার বিভিন্ন আন্দোলনে যৌথ সংগ্রামের ফলে দেশের শ্রমিক-কৃষকের মধ্যে যে দৃঢ় শ্রেণীগত ঐক্য গড়ে উঠেছে তারই সাফল্যের প্রমান আজকের ভারত বনধ, দেশজুড়ে কর্পোরেট শোষণের বিরুদ্ধে কৃষি, শিল্প ও পরিষেবাক্ষেত্রেসহ বৃহত্তর যুক্তফ্রন্টের সংগ্রামই হল এই আন্দোলনের রাজনৈতিক দিশা। যে রাজনৈতিক দলগুলি এখনো কর্পোরেটদের স্বার্থ রক্ষা করছে তারা জনগণের পক্ষ থেকে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখোমুখি হবে এবং জনগণের উত্তাল আন্দোলন আগামীদিনে জনবিরোধী রাজনীতিকে পশ্চাদপসারণ করতে বাধ্য করবে।
Tag: AgriBills2020
Strike Hard On 27Sept! The Backdrop (Part – I)
লড়াই কৃষকরা একা লড়ছেন বললেই সবটা বলা হয় না – বলতে হবে আজকের দিনে পুঁজি বনাম শ্রমের যে মূল লড়াই জারী রয়েছে তারই একটা ফ্রন্টে ভারতের কৃষকরা লড়াই শুরু করেছেন। জীবন বাজি রেখে কৃষকদের লড়াই-আন্দোলন শুধুই নিজেদের স্বার্থে না, গোটা দেশের জনগণের খাদ্য সুরক্ষার স্বার্থেও। সেই জন্যেই তারা দেশের জনসাধারনকে নিজেদের লড়াইতে পাশে থাকার আহবান জানিয়েছেন – ২৭শে সেপ্টেম্বরের ধর্মঘটে গোটা দেশের মানুষ সেই লড়াইতে যুক্ত হবেন, জনবিরোধী কৃষি আইন বাতিল করার দাবীতে তাদের লড়াইয়ের সাথে জুড়বে সারা দেশের মানুষের শক্তি। লেখা হবে নতুন ইতিহাস।
Opposition Parties Support May 26 Kisan Protest
নিজেদের একগুঁয়েমি পরিত্যাগ করে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত এখনই সমস্যার সমাধা করতে সংযুক্ত কিষান মোর্চার সাথে আলোচনায় বসা।
Reclaiming The Concept Of The Nation: The Raison D’être
হিন্দু, মুসলমান, শিখ সম্প্রদায়ের কৃষকেরা একে অন্যের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শকে তুলে ধরেছেন। কর্পোরেটদের হাতে দেশের কৃষিক্ষেত্রকে তুলে দেবার বিরোধিতা করে আসলে তারা আমাদের দেশকে কর্পোরেটদের সাথে একাকার করে দেখাবার যে রাজনীতি, তারই বিরোধিতা করছেন। গণবণ্টন ব্যাবস্থা চালু রাখার পক্ষে দাঁড়িয়ে আসলে তারা রাষ্ট্রকে দেশের জনগণের কল্যানে নিজের পূর্বঘোষিত ভূমিকার পুনঃস্মরণ করাচ্ছেন। রাষ্ট্রের যে ধারণাকে আজ মোদী সরকার ধ্বংস করে দিতে চাইছে কৃষকেরা আসলে সেই জনকল্যানকারী রাষ্ট্রের ধারনাকেই পুনর্নির্মাণ করছেন।
Chakka Jam – A Note Of Declaration
দিল্লির বুকে প্রায় আড়াই মাস ধরে সারা ভারত কৃষক সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটি ও সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার আহবানে সরকারী দমনপীড়নের কর্মসূচীকে ব্যর্থ করে ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলন চলছে। কৃষক আন্দোলনের দাবি, দেশের কৃষকবিরোধী ৩টি আইন প্রত্যাহার করতে হবে এবং বিদ্যুৎ বিল বাতিল করতে হবে।
Inhuman Blockade of Kisan Protests: Polit Bureau Statement
কৃষকদের প্রতিবাদ আন্দোলনকে উৎখাত করতে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ দিল্লী পুলিশ কৃষকদের অভুক্ত রাখার উদ্দেশ্যেই এমন অমানবিক আচরণ করছে। কৃষকদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এমন জঘন্য আচরণ করলেও সরকার কিছুতেই তাদের প্রতিবাদের কণ্ঠরোধ করতে পারবে না। তাদের এই দৃঢ় এবং অকুতোভয় মনোভাবে উদ্বুদ্ধ হয়ে আন্দোলনের ময়দানে শক্তিবৃদ্ধি করতে প্রতিদিন আরও অনেক কৃষকের সমাগম হচ্ছে
Reclaim The Republic (Part – II)
ভারতে সাধারণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে ২৬শে জানুয়ারি,২০২১ দেশের সাধারণতন্ত্র দিবসের দিনে সারা ভারত এবং গোটা পৃথিবী সাক্ষী রইল এক ঐতিহাসিক
Better Late Than Never: Sujan Chakrabarty To WB Govt
ডঃ সূজন চক্রবর্তী তার বক্তব্যে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন গত বছরের ২০শে সেপ্টেম্বর তারিখে রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় সরকার আইন পাশ করার পরেই ২৪ শে সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভায় বামেরা এমন প্রতিশেধমূলক বিল পাশ করার আবেদন জানিয়েছিল। তখন রাজ্য সরকার সেই আবেদনে সাড়া দেয় নি। পরে নানা অজুহাতে সেই প্রস্তাব রাজ্য সরকারের আনা প্রস্তাবের সাথে Same Kind – Same Spirit বলে উল্লেখ করে খারিজ করা হল। এখন যখন সারা দেশে এই আইনের প্রতিবাদে আন্দোলন চলছে, কেন্দ্রীয় সরকার নিজেই বিল স্থগিত করার প্রস্তাব দিয়েছে তখন আমাদের রাজ্যে কেন্দ্রীয় বিল প্রতিশেধি আইনের প্রস্তাব নেওয়া চলছে।
Reclaim The Republic (Part – I)
দেশের ভবিতব্য ঠিক করবেন দেশের জনসাধারণ, কোন আধিপত্যবাদী কর্তৃত্ব নয়। কোন নির্বাচনের ফলাফল ঠিক করতে পারে না এই দেশ কোন ক্ষমতার অনুসারি হয়ে চলবে, ক্ষমতাসীন দলের এই ধারণা ভুল যে তারা নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন বলে এই দশ তাদের সম্পত্তিতে পরিণত হয়েছে। একেবারেই নয়, তাদের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন ভারতের জনসাধারন। সেই কাজে যে তারা ব্যর্থ একথাই আজ ভারতের জনসাধারন এই ট্র্যাক্টর প্যারেডের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিলেন।
Samyukta Kisan Morcha Press Statement
সংযুক্ত কিষান মোর্চার প্রেস বিবৃতি ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দেশের সাধারণ তন্ত্র দিবসে কৃষকদের পক্ষ থেকে ট্রাক্টর সহ প্যারেডের আহ্বানে