Statewide Agitation Against the Central and State Gvt. on Corona Handling

করোনা মহামারিকে রুখতে লকডাউন গুরুত্ব অনস্বীকার্য । কিন্তু সম্পূর্ণ অপরিকল্পিতভাবে চাপিয়ে দেওয়া কেন্দ্রের নির্দেশিত এই লকডাউন এবং আমাদের রাজ্যে তৃণমূল সরকারের অপদার্থতায় মানুষের অবস্থা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এই প্রেক্ষিতেই পার্টির রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র একটি ট্যুইটারে তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করে জানান পরিস্থিতির বদল না হলে সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মেনেই রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হবে- ” আইসিএমআর-নাইসেড’এর অধিকর্তা সোমবার সংবাদমাধ্যমে এরাজ্যে করোনা ভাইরাসজনিত রোগের পরীক্ষা পরিকাঠামো অব্যবহৃত রাখা সম্পর্কে যা বলেছেন তা শুধু উদ্বেগজনকই নয়, কেলেঙ্কারিও। পশ্চিমবঙ্গ সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তথ্য চাপা দিচ্ছে যা সহ্যের সীমা অতিক্রম করেছে। মুখ্যমন্ত্রীকে এর দায় নিতে হবে এবং  রোগ পরীক্ষা প্রক্রিয়া এড়ানোর কাজ বন্ধ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নাইসেড’এর রোগ পরীক্ষা পরিকাঠামোর পূর্ণ ব্যবহার সুনিশ্চিত করতে হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করোনা মোকাবিলায় রোগ পরীক্ষায় স্বচ্ছতা সুনিশ্চিত না করা হলে আমরা বাধ্য হবো লকডাউনের নিয়মবিধি মান্য করেই প্রতিবাদে নামতে। ” । সিআইটিইউ এর পক্ষ থেকে বুধ ও বৃহস্পতিবার জুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচী ও প্রশাসনের কাছে ডেপুটেশান জমা দেওয়ার আহ্বান করা হয়। উত্তর থেকে দক্ষিন গোটা রাজ্য জুড়েই বাজার, রেশন দোকান সহ বিভিন্ন জায়গায় এই কর্মসূচী পালিত হয় ।

করোনা মোকাবিলায় শিলিগুড়ির মহকুমা শাসককে বুধবার দশদফা দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয় পার্টির দার্জিলিঙ জেলা কমিটির পক্ষে। জীবেশ সরকারের নেতৃত্বে পার্টির রাজ্য কমিটির সদস্য সমন পাঠক, জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য মুন্সি নুরুল ইসলাম, জয় চক্রবর্তী এবং ড. শঙ্কর ঘোষ যান মহকুমা শাসকের দপ্তরে।

দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা ও শিল্পাঞ্চলগুলোতেও আজ বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হয়। এই বিক্ষোভের মূল দাবি গুলি হল :
১. রেশন কার্ড থাক বা না থাক সব গরীব মানুষকে পরিবার পিছু মাসিক ৩৫ কিলোগ্রাম চাল দিতে হবে
২. করোনা রুখতে টেস্টের সংখ্যা বাড়াতে হবে
৩. নাইসেডের কাছে কিট থাকা সত্ত্বেও রাজ্যে যথেষ্ট সংখ্যায় পরীক্ষা করা হচ্ছে না কেন ?
৪. করোনা সংক্রান্ত তথ্য গোপন করা চলবে না
৫. দুর্নীতি ও কালোবাজারি বন্ধ করতে হবে, রেশনে সাধারণ মানুষের জন্য বরাদ্দ সামগ্রী পাচার করা চলবে না ।
৬. সমস্ত প্রান্তিক মানুষকে বাঁচাতে অবিলম্বে কেন্দ্রকে ৫০০০ টাকা ও রাজ্যকে ২০০০ টাকা করে এদের ব্যাঙ্ক এ্যাকাউন্টে জমা করতে হবে ।

Spread the word

Leave a Reply