ওয়েবডেস্ক প্রতিবেদন
নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট ছিল আজ ২৭শে মার্চ। সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট অবধি ভোটদানের কাজ চলেছে।
প্রথম দফার ভোটে পূর্ব মেদিনিপুরের ৭টি, ঝাড়্গ্রামের ৪টি, পশ্চিম মেদিনিপুরের ৬টি, পুরুলিয়ার ৯টি এবং বাঁকুড়ার ৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন সম্পন্ন হল। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী বিকাল ৫টা অবধি আমাদের রাজ্যের প্রথম দফার নির্বাচনে প্রায় ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে।
নির্বাচনে তৃণমূল এবং বিজেপি দুটি শাসকদলই ভোটারদের উপরে আক্রমন করেছে, তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে বাধা দিয়েছে। শালবনীতে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীর উপরে আক্রমন হয়েছে। এক জায়গায় প্রিসাইডিং অফিসার ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন, ভোটাররা নিজেরাই সেই ঘটনার প্রতিবাদ করেন। আরেক জায়গায় প্রিসাইডিং অফিসার একজন ভোটারকে পরিবারের আরও অন্যদের ভোট দেবার সুযোগ দেন। এইসব ঘটনাতেই পার্টির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে যথাযথ অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে। গতকাল রাত থেকেই কয়েকটি জায়গায় বোমাবাজি চলেছে, মানুষকে ভয় দেখিয়ে ভোট দিতে না যাবার চেষ্টা করা হয়েছে।
এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল প্রথম দফার নির্বাচনে সেই প্রতিশ্রুতি সব জায়গায় সঠিকভাবে পালিত হতে দেখা যায় নি।
প্রথম দফার নির্বাচনে তৃণমূল এবং বিজেপি দুই শাসকদলই নিজেদের সাধ্যমতো মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছে, তবু যেভাবে মানুষ ভয়কে অতিক্রম করেই ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছেন, নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন তা অন্যান্য দফার নির্বাচনে দৃষ্টান্ত হবে। এটাই আজকের ভোটদানের সারমর্ম। আগামী পর্বের নির্বাচনে এই ঘটনা মানুষকে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে সাহস যোগাবে, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) সেই প্রত্যয়ে দৃঢ়।