Somyadeep Raha Cover

Red November: The Vanguard

সৌম‍্যদীপ রাহা

Vanguard – Central Organ of CPI

১৯২২ সালে ১৫ মে কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম পত্রিকা ‘The Vanguard of the Indian Independence’ জার্মানি থেকে প্রকাশিত হয়। প্রবাসে গড়ে ওঠা ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির পত্রিকা, যার অর্থ ‘ভারতীয় স্বাধীনতার অগ্রসেনা’ ইংরাজি ভাষাতে প্রকাশিত হয়। ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন‍্যতম পথিকৃৎ কমরেড মুজফ্‌ফর আহ্‌মদ তাঁর ‘আমার জীবন ও ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি’ বইতে লিখেছেন, ‘… এর পরিচালনায় মূলতঃ মানবেন্দ্রনাথ রায় ও তাঁর আমেরিকান প্রথমা স্ত্রী এভেলিন ট্রেন্ট রায় ছিলেন। ভারতের কাগজে প্রবন্ধ লেখার সময়ে এভেলিন ট্রেন্ট রায় কোনও কোনও সময়ে নিজের শান্তি দেবী নামও ব‍্যবহার করতেন। আমাদের ঠিকানায় কাগজের প‍্যাকেট গুলি ডাকে আসত। আমরা কাগজ গুলি বিভিন্ন লোকের মধ‍্যে বেঁটে দিতাম। কলকাতায় কোনও কোনও লোকের চিঠির বাক্সে আমরা তা ঢুকিয়ে দিয়ে আসতাম।’ অতএব বোঝা যাচ্ছে যে, কত প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ‍্যে একটা সংবাদপত্র প্রকাশিত হত আর তা আমাদের দেশে প্রচারিত হত। আবার তিনি লিখছেন, ‘… কোনও কোনও ঠিকানায় আবার শুধু একখানা কাগজ আসত। এগুলির আসা অপেক্ষাকৃত নিরাপদ ছিল। কাগজে লেখা থাকত না যে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র এবং এই পার্টি কমিউনিস্ট ইন্টারন‍্যাশনালের অংশ বিশেষ। যখন আমরা দেখতে পেলাম যে , ‘ভ‍্যানগার্ড অব দি ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেন্ডেন্স’ পুলিশের নিকট বড় বেশি জানাজানি হয়ে গেছে এবং কোনও কোনও ঠিকানার প‍্যাকেটগুলি পুলিশ আটকাতেও আরম্ভ করেছে, তখন আমি মানবেন্দ্রনাথ রায়কে পত্র লিখে জানালাম যে , ”এবারে কাগজের নাম পরিবর্তন করুন। তাতে হয়ত কিছু সুবিধা হতে পারে। অন‍্য প্রদেশ হতে আরও কেউ একথা লিখেছিলেন কিনা তা আমি জানিনে, কিন্তু মানবেন্দ্রনাথ আমার পত্রোত্তরে জানিয়েছিলেন যে কাগজের নামের পরিবর্তন তিনি করবেন। তারপরেই কাগজের নাম হল ‘এডভান্স গার্ড’ (অগ্রসর সেনা)।”            

এ ইতিহাস দীর্ঘ সংগ্রামের। কমিউনিস্ট সংবাদপত্র প্রকাশ, শ্রমিক মেহনতি শ্রেণির রাজনৈতিক সচেতনতার বৃদ্ধির প্রধানতম হাতিয়ার। একদিকে স্বাধীনতার লড়াই দেশের অভ‍্যন্তরে কৃষক-শ্রমিকদের সংগঠিত আন্দোলনের দানা বাঁধতে শুরু করেছে। ১৯১৭ সালে ঘটে যাওয়া রুশ বিপ্লবের প্রভাব ভারতীয় সশস্ত্র বিপ্লবীদের মধ‍্যে পড়তে শুরু করেছে। মার্কস-এঙ্গেলস-লেনিন সহ সমাজতান্ত্রিক সাহিত‍্যের সাথে পরিচিতি লাভ করছে এদেশের মানুষ। গোপন পথে কড়া সতর্কতার মধ‍্যে দেশে এসে পৌছচ্ছে সেগুলি।

১৯২০ সালে ১৭ অক্টোবর তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত তাসখন্দ শহরে গড়ে ওঠে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি। মোট ৭ জন সদস‍্য-কে নিয়ে। মুহম্মদ শফীক সিদ্দিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। এ সময় ১৯১৯ সালে ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন‍্যতম পথিকৃৎ কমরেড মুজফ্‌ফর আহ্‌মদ ‘দ্বৈপায়ন’ ছদ্মনামে বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত‍্য পত্রিকায় ও ১৯২২ সালে ‘ধূমকেতু’ পত্রিকায় এ বিষয়ে লেখালেখি শুরু করেন। কমিউনিস্ট পার্টি গঠনে ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে সংবাদপত্রের ভূমিকা সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। শোষিত জনগণকে রাজনৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। তাই রুশ বিপ্লবের নেতা লেনিনের মতে, ‘শ্রমিক শ্রেণির সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠা করাই হবে পার্টি গঠনের প্রথম ধাপ।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘সংবাদপত্র কেবল যৌথ প্রচার আন্দোলন-ই করে না, যৌথ সংগঠক হিসাবে কাজ করে। সংবাদপত্র কেবল মতবাদের দিক হতে পার্টিকে সুসংহত করবে তা নয়, স্থানীয় সংগঠনগুলিকেও পার্টি সংগঠনের মধ‍্যে ঐক‍্যবদ্ধ করে। …লেনিনের এই শিক্ষা গ্রহণ করে ১৯১৯ সালে কমরেড মুজফ্‌ফর আহ্‌মদ এবং কাজী নজরুল ইসলাম এবং আরও কয়েকজন আলোচনা করে ঠিক করলেন একটি দৈনিক বার করতে হবে। কাগজের নাম স্থির হল ‘নবযুগ’। … ১২ জুলাই ১৯২০ সালে কমরেড মুজফ্ফর আহমদ্ এবং কাজী নজরুল ইসলামের সম্পাদনায় ‘নবযুগ’ পত্রিকা প্রকাশিত হল।’ (গণ আন্দোলনে ছাপাখানা কমিউনিস্ট পার্টি ও সমদর্শী সংবাদপত্রের ক্রম পর্যায় , প্রথম খন্ড-সমীর দাশগুপ্ত )                

ভারতের মাটিতে পার্টি গড়ার ক্ষেত্রে পার্টির মতাদর্শ প্রচারের জন‍্য দরকার সংবাদপত্র। সেসময় গোটা দেশ জুড়ে কিছু তরুণ যুবক মার্কসবাদে দীক্ষিত হয়ে এ কর্মযজ্ঞে নেমে পড়লেন। ‘… ডাঙ্গের উদ‍্যোগে ও সম্পাদনায় ১৯২৭ সালে ৫ আগস্ট ইংরাজি সাপ্তাহিক ‘The Socialist’ প্রকাশিত হয়। এই সাপ্তাহিকের প্রথম সম্পাদকীয় ছিল ‘Probing at the Root’। মাদ্রাজ থেকে প্রকাশিত হত ‘নবযুগ’ যার সম্পাদনা করতেন ভি কৃষ্ণ রাও। লাহোর থেকে প্রকাশিত হত ‘ইনকিলাব’, যার সম্পাদনায় ছিলেন গুলাম হোসেন ও সামসুদ্দিন। এম সিঙ্গারাভেলু চেট্টিয়ার ও একটি সাময়িক পত্রিকা প্রকাশ করেন। ( বাংলার কমিউনিস্ট আন্দোলনের ইতিহাস অনুসন্ধান- প্রথম খণ্ড সম্পা : মঞ্জুকুমার মজুমদার, ভানুদেব দত্ত)।

১৮৪৮ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশিত হল মার্কস- এঙ্গেলস রচিত বিশ্বের কমিউনিস্ট আন্দোলনের সবচেয়ে মূল‍্যবান সাহিত‍্য ‘কমিউনিস্ট ম‍্যানিফেস্টো’। এই বইয়ে তাঁরা ঘোষণা করলেন- ‘আপন মতামত ও লক্ষ‍্য গোপন রাখতে কমিউনিস্টরা ঘৃনা বোধ করে।’ নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ‍্যেও সদ‍্য গড়ে ওঠা প্রবাসে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ‘ইশতেহারে’ প্রকাশিত এই ঘোষণাকে মাথায় রেখে তাঁরা তাঁদের কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছিল। পত্রিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে এর ব‍্যতিক্রম ঘটেনি। কমরেড মুজফ্‌ফর আহ্‌মদের কথায়— “…. ‘ভ‍্যানগার্ড অফ দি ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেন্ডেন্ ‘ ও ‘এডভান্স গার্ড’ পরিচালনা করার ভিতর দিয়ে এক বছর কেটে গিয়েছিল। দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম সংখ‍্যা শুধু ‘দি ভ‍্যানগার্ড’ নামেই ১৯২৩ সালের ১৫ মে তারিখে প্রকাশিত হল। এবার আর কোনও ঘোর প‍্যাঁচের ব‍্যাপার থাকল না— পরিষ্কার ভাষায় লিখে দেওয়া হল যে, ‘দি ভ‍্যানগার্ড’ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র এবং ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি কমিউনিস্ট ইন্টারন‍্যাশনালের অঙ্গীভূত।

ভ‍্যানগার্ডের সংখ‍্যায় দেশের নানা জায়গার নাম সহ খবর প্রকাশিত হতে থাকে। জার্মানিতে প্রকাশ হলেও ভারতবর্ষের বৈপ্লবিক আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি বিবরণ ‘ভ‍্যানগার্ড’-এর পাতায় থাকত। এ বিষয়ে কমরেড মুজফ্‌ফর আহ্‌মদ লিখেছেন, ” শুরু হতেই ‘ভ‍্যানগার্ড ‘ প্রভৃতি জার্মানীতে ছাপা হয়েছে। তবুও ভারতের নানা শহরের নাম তাতে ছাপা হত। সেই সঙ্গে মুদ্রিত ব্লকে বোম্বে, কলকাতা, মাদ্রাজের নাম- তো ছাপা হতোই, যতোটা মনে পড়ছে, কানপুরের নামও কোনও কোনও সময় ছাপা হয়ে থাকবে ।”

দেশের সশস্ত্র বৈপ্লবিক আন্দোলনের প্রয়োজনে অস্ত্র সংগ্রহ করতে বিদেশে যান অবিভক্ত চব্বিশ পরগনার অধুনা দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার চাংড়িপোতার ছেলে নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য ‘মানবেন্দ্রনাথ রায়’ ছদ্মনাম নিয়ে। বিদেশে গিয়ে মার্কসবাদে দীক্ষিত হয়ে তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি গড়ে তোলার জন‍্য উদ্যোগ নেন। এ সময়েই তিনি ও তাঁর স্ত্রী এই পত্রিকাটি প্রকাশ করেন। এই পত্রিকা প্রকাশের উদ্দেশ‍্য সম্পর্কে বলা হয়েছিল: ‘… আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের এক নতুন পর্বে আমরা প্রবেশ করতে চলেছি। আমরা আর অন্ধকারে হাতড়ে বেড়াব না। আমরা আর ক্ষুধার্ত জনগণকে জোর করে বলব না যে তোমরা কিছু কাল্পনিক স্বরাজের জন‍্য কষ্ট স্বীকার করে চলো যা অর্জিত হবে দারিদ্র‍্যের আগুনে আত্মশক্তি শুদ্ধ হওয়ার মধ‍্য দিয়ে। যদিও অপরিপক্ক সময়ে হিংসার কথা বলাটা মূর্খতা , তবুও আমাদের মত হল এই যে, অহিংস বিপ্লব ব‍্যাপারটি একেবারে অসম্ভব। ভারতীয় জনগণ অর্থাৎ ট্রেড ইউনিয়নের শ্রমিক, আকালি দল, কিষাণ সভা, ঐক‍্য সভা প্রভৃতির মধ‍্য দিয়ে কৃষকদের সংগ্রামী সংগঠন গড়ে তোলার জন‍্য আমাদের রাজনৈতিক সংগ্রামে এক বাস্তবানুগ দিকমুখীনতা নিয়ে আসতে হবে। অত‍্যন্ত প্রয়োজনীয় এই বাস্তবানুগ দিকমুখীনতা গড়ে তুলতে সাহায‍্য করাই হল ‘ভ‍্যানগার্ডের উদ্দেশ‍্য’।’ ( বাংলার কমিউনিস্ট আন্দোলনের ইতিহাস অনুসন্ধান – প্রথম খণ্ড- সম্পা: মঞ্জুকুমার মজুমদার, ভানুদেব দত্ত ) ।              

মানবেন্দ্রনাথ রায় রচিত ‘Indian in Transition’ ১৯২২ এর এপ্রিল-মে মাসে প্রকাশিত হয়। ওই বছর-ই ২৩ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ সরকার ভারতে সেটি নিষিদ্ধ করে দেয়। একই সময়ে ‘ Indian’s Problem ‘ ও ‘ What do we want ‘ নামক মানবেন্দ্রনাথ – এর আরও দুটি বই প্রকাশিত হয়। এসব গ্রন্থ আন্দোলন সংগ্রামের অমূল‍্য সম্পদ। আগেই উল্লেখ করেছি ওই সময় লাহোরের কমিউনিস্ট পার্টির উদ্দ‍্যোগে উর্দু ভাষায় গুলাম হোসেনের সম্পাদনায় ‘ইনকিলাব’ নামে একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশিত হতে শুরু করে। এই গুলাম হোসেন একটি সরকারি কলেজের অধ‍্যাপনার চাকরি ছেড়ে কমিউনিস্ট পার্টি গড়ার কাজে লেগে পড়েন ।

১৯২৩ সালে ‘The Vanguard’ প্রকাশের এক বছর উপলক্ষে কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডিয়ামের পক্ষে দেওয়া একটি তারবার্তা প্রকাশিত হয় । সেটি হল:

TELEGRAM

To The Editor

‘Vanguard’

The executive committee of the communist international greets the first organ of Indian Communist thought on the occasion of its first anniversary. The Communist international and it’s section follow the activities of the Vanguard with the closest interest and observe with pleasure it’s growing influence among the Indian working class .There is no doubt that the Vanguard will play a great part in the history of the communist movement in India . We wish further success to herald of Indian social Revolution.

 Long live free India!

 Long live the Communist party of India!

Long live the Vanguard!

Presidium of the communist international.

কমিউনিস্ট পার্টি তার জন্মলগ্ন থেকেই ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতার দাবিতে সরব হয়েছে এবং আন্দোলনে সামিলও হয়েছে। এই দীর্ঘ সংগ্রামে পার্টি তার শক্তি সঞ্চয় করেছে। আমাদের পার্টি তার ঘোষিত কর্মসূচীর ১.৬ প‍্যারায় বলেছে- ‘কমিউনিস্ট পার্টির জঙ্গী ও ধারাবাহিক সামাজ্র‍্যবাদ বিরোধী অবস্থান বিভিন্ন বিপ্লবী ধারার যোদ্ধাদের পার্টিতে যোগদানের ব‍্যাপারে আকর্ষণ করেছিল । তাঁদের মধ‍্যে ছিলেন পাঞ্জাবের গদর বীরেরা, ভগৎ সিংয়ের সহকর্মীরা, বাংলার বিপ্লবীরা, বোম্বাই ও মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির জঙ্গী লড়াকু শ্রমিকরা এবং কেরালা , অন্ধ্রপ্রদেশ সহ দেশের বিভিন্ন অংশের প্রগতিবাদী সামাজ্র‍্যবাদ-বিরোধী মনোভাবাপন্ন কংগ্রেস সদস‍্যরা। এভাবে গোটা দেশের সেরা যোদ্ধাদের পেয়ে পার্টি সমৃদ্ধ হয়েছিল।’

শোষিত মানুষের মস্তিষ্ক নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ার কৌশলকে যুগে যুগে দেখা যায়। আবার এর সাথে- সাথেই তার বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত লড়াই করে শ্রমিকশ্রেণি তাদের বেঁচে থাকার সংগ্রামের সাথে রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধির তাগিদকে শক্তিশালী করে চলেছে। সংবাদপত্র প্রকাশ মুদ্রণ শিল্পে নিঃসন্দেহে এক বিপ্লব ঘটিয়েছে। সমাজের অভ‍্যন্তরে প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা চীন বিপ্লবের রূপকার মাও সে তুঙয়ের কথায়, ‘বাস্তব অবস্থার অনুসন্ধান করা এবং দ্বন্দ্বমূলক পদ্ধতিতে বিশ্লেষণ’ করতে একটি সত‍্যকারের মেহনতী মানুষের সংবাদপত্র সহায়তা করে। আর এ বিষয়ে এর সহায়তা ছাড়া আমরা এক কদমও এগোতে পারব না। কারণ মাওয়ের কথায়, ‘বাস্তব পরিস্থিতির তথ‍্যানুসন্ধান ব‍্যতিরেকে শ্রেণি শক্তির ভাববাদী গুণ বিচার ও কার্যপ্রক্রিয়ায় ভাববাদী পথনির্দেশ ঘটতে বাধ‍্য যার পরিণতি ঘটে হয় সুবিধাবাদে আর না হয় আকস্মিক বিদ্রোহবাদে।’ এ বিষয়ে আমাদের সদা সতর্ক থাকতে হবে।

পরিশেষে বলি, তাই শুধু দৃষ্টি নয়; সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ার ক্ষেত্রে অতীত চর্চা খুবই জরুরি। শোষণের মতাদর্শগত আঘাতকে প্রতিহত করতে দরকার মার্কসীয় দর্শনের সঠিক জ্ঞান। সাথে অতীত থেকে সঠিক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে এগিয়ে যেতে হবে আমাদের । তাই দরকার অতীত চর্চার সাথে বাস্তব সময়ের সঠিক বিশ্লেষণ ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।

Spread the word

Leave a Reply