প্রকাশ কারাত
রাশিয়ার সেই দুনিয়া কাঁপানো অক্টোবর বিপ্লবের দিনগুলো মনে হয় আজকের পৃথিবীর থেকে অনেক দূরের কোন ঘটনা। এই ঐতিহাসিক বিপ্লব সংঘটিত হওয়ার ১০৫ বছর পূর্ণ হয়েছে যার ফলস্বরূপ বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ৩১ বছর পার হয়ে গেছে, যে সময় থেকে সাম্রাজ্যবাদের উত্থানই বিশ্বব্যাপী লক্ষনীয়।
১৯৯১ সাল থেকে এই তিন দশকে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ এবং ন্যাটোর হস্তক্ষেপে ভয়াবহ যুদ্ধের একটি নতুন পর্ব দেখা গেছে। এই যুদ্ধগুলোর লক্ষ্য ছিল পারমাণবিক অস্ত্রবিহীন বা দুর্বল সামরিক শক্তি সম্পন্ন উন্নয়নশীল দেশগুলো। ১৯৯৯ সালে সার্বিয়াতে বোমা হামলা, ২০০১ সালে আফগানিস্তান এবং ২০০৩ সালে ইরাকে আক্রমণ এবং দখলদারি এবং ২০১১ সালে লিবিয়ায় বোমা হামলা এবং মাথা গলানো – সবই সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার অব্যবহিত পরের প্রথম দুই দশকে ঘটেছিল।
আধিপত্য বজায় রাখার মার্কিন প্রয়াস
বর্তমান দশকে মার্কিন-ন্যাটো আগ্রাসন বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে এই আগ্রাসন একটি নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। পুরোপুরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটোর মদতপুষ্ট ইউক্রেনের যুদ্ধে এই দেশটা রাশিয়ার মত একটা বিশাল সামরিক শক্তি এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশের মুখোমুখি হয়েছে।এর পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের সাথে তার দ্বন্দ্ব বাড়িয়ে চলেছে।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন চীনকে তার প্রধান কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘ভারতীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয়’’ অঞ্চলে চীনকে লক্ষ্য করে Quad এবং AUKUS এর মতো জোট গঠন করেছে।এরা ইস্রায়েলেকে পশ্চিম এশিয়ায় মূল নির্ণায়ক হিসাবে বেছে নিয়ে জোট এবং গোষ্ঠী তৈরি করছে এবং আফ্রিকম-এর মাধ্যমে আফ্রিকাতে নিজেদের সামরিক উপস্থিতি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করেছে। সারা বিশ্বে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্য বজায় রাখার এই অভিযান এমন এক সময়ে ঘটছে যখন নব্য উদারবাদী পুঁজিবাদের ক্রমাগত সংকট ইউরোপ সহ অন্যান্য উন্নত পুঁজিবাদী দেশগুলোর শ্রমজীবী জনগণের ওপর আরো বেশি বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে।কোভিড মহামারী অর্থনৈতিক সঙ্কটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে এবং বিশ্বব্যাপী মন্দা ঘনীভূত হচ্ছে।
বিশ্ব তীব্র শোষণ প্রত্যক্ষ করছে এবং লগ্নী পুঁজির লুটেরা মনোবৃত্তি বড় কর্পোরেট এবং উচ্চবিত্তদের মুনাফা এবং দ্রুতগতিতে সম্পদ বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত হচ্ছে।
নয়াউদারবাদ এবং সরকারগুলো মানুষের জন্য খরচ কমানোর নীতি (austerity), জাতিভিত্তিক-জাতীয়তাবাদের উত্থান এবং ধর্মীয় উগ্রবাদ সবই বিশ্বব্যাপী ডানপন্থার দিকে মোড় নেওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-চীন সংঘাত
তবে এসব ঘটনাবলীকে দ্বান্দ্বিকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।যে প্রধান দ্বন্দ্বগুলোর জন্য সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ঘটছে সেগুলোকেও বুঝতে হবে। প্রথম প্রধান দ্বন্দ্ব হল মার্কিন নেতৃত্বাধীন সাম্রাজ্যবাদী ব্যবস্থা এবং গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের মধ্যে যা এমন একটি ব্যবস্থার প্রতিনিধিত্ব করে যা সাম্রাজ্যবাদী ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করে। চীনের ক্রমবর্ধমান সর্বাত্মক শক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে চীনকে মোকাবিলা করতে এবং বিশ্বব্যবস্থার থেকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য তার সমস্ত মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেতে বাধ্য করেছে। মার্কিন অর্থনৈতিক শক্তির আপেক্ষিক দুর্বলতার বিপরীতে চীনের অর্থনৈতিক শক্তি এবং প্রযুক্তিগত প্রক্রিয়ার ক্রমাগত সম্প্রসারণ ঘটছে।মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ তার বিশ্ব ব্যাপী সামরিক আধিপত্য বজায় রাখার জন্যই চীনের বিরুদ্ধে এমন আগ্রাসী মনোভাব দেখাচ্ছে। এটি বিভিন্ন উপায়ে চীনের অগ্রগতি আটকাতে চায়।
প্রেসিডেন্ট বিডেনের ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজি ২০২২ একটি “নির্ধারক দশক” এর কথা বলে যেখানে “আমরা কার্যকরভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব, যেটি লক্ষ্য এবং ক্রমবর্ধমানভাবে, আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে পুনর্নির্মাণ করার সক্ষমতা সম্পন্ন একটি দেশ,চীনই একমাত্র প্রতিযোগী, এর পাশাপাশি বিপজ্জনক রাশিয়াকে আটকানোর সময় এসেছে।”
চীনের সাথে “কৌশলগত প্রতিযোগিতা”-এর জন্য ইতিমধ্যেই চীনের ওপর বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এবং চীনকে উন্নত চিপ থেকে বঞ্চিত করার জন্য সেমি-কন্ডাক্টর শিল্পে প্রযুক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের বিরুদ্ধে একটি বাণিজ্য ও প্রযুক্তি যুদ্ধ ঘোষণা করে এবং চীনের বিরুদ্ধে তার সামরিক জোটকে আরো মজবুত করে চীনকে চাপে ফেলে একটি নতুন স্নায়ুযুদ্ধ শুরু করেছে।
সিপিআই(এম)-এর ২৩তম কংগ্রেসের রাজনৈতিক প্রস্তাবে তাই উল্লেখ করা হয়েছে, মার্কিন-চীন দ্বন্দ্ব সাম্রাজ্যবাদ এবং সমাজতন্ত্রের মধ্যেকার কেন্দ্রীয় দ্বন্দ্বকে তীব্র করার উপর প্রভাব ফেলছে।
পারমাণবিক আক্রমণের হুমকি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিরলসভাবে পারমাণবিক প্রাধান্য প্রতিষ্ঠার নীতি অনুসরণ করে চলেছে। এমনকি ঠান্ডা যুদ্ধের অবসানের পরেও, আমেরিকা তার পারমাণবিক অস্ত্রের উন্নতি ঘটিয়েছে এবং পারমাণবিক আধিপত্য বজায় রাখার চেষ্টা করেছে।২০০২ সালে, প্রেসিডেন্ট বুশ অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক মিসাইল চুক্তি থেকে বেড়িয়ে আসে; ২০১৯ সালে, রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের অধীনে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মাঝারি পাল্লার পারমাণবিক অস্ত্র চুক্তি সরে আসে।এগুলো করাই হয় আমেরিকার পারমাণবিক আধিপত্যের নীতিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য। পোল্যান্ড এবং রোমানিয়াতে মার্কিন ব্যালিস্টিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে রাশিয়াকে লক্ষ্য করে।হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে রাশিয়া এই পদক্ষেপগুলোর মোকাবিলা করার চেষ্টা করেছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ
ইউক্রেন যুদ্ধ এইভাবে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি এবং একটি বৃহত্তর পারমাণবিক সঙ্কটকে আরও অবশ্যম্ভাবী করছে, কারণ এই যুদ্ধের দুটি প্রধান প্রতিপক্ষ – মার্কিন-ন্যাটো জোট এবং রাশিয়া – উভয়েই পারমাণবিক শক্তিধর।
একটি প্রধান পুঁজিবাদী শক্তি হিসাবে রাশিয়ার উত্থান রোধ করার লক্ষ্যে ন্যাটোর পূর্ব দিকে সম্প্রসারণেরই একটি ফলাফল হল ইউক্রেনের যুদ্ধ। যদিও ঠিক আন্তঃ-সাম্রাজ্যবাদী দ্বন্দ্বের ফল নয়, ইউক্রেনের সংঘাত ইউরোপীয় ইউনিয়নের উপর তার আধিপত্যকে সুসংহত করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টার দ্বারাই চিহ্নিত, এবং এই যুদ্ধ প্রতিদ্বন্দ্বী পুঁজিবাদী শক্তিগুলির মধ্যে দ্বন্দ্বের বৈশিষ্ট্য বহন করে।
উন্নয়নশীল দেশগুলোর উপর ক্রমবর্ধমান বোঝা চাপানো
অন্য প্রধান দ্বন্দ্বটি হল সাম্রাজ্যবাদী শক্তি এবং স্বল্পোন্নত পুঁজিবাদী দেশগুলির মধ্যেকার দ্বন্দ্ব, যেগুলিকে উদীয়মান বাজার বলা হয়।স্বল্পোন্নত দেশগুলো বড় ধরনের ঋণ সংকটের সম্মুখীন।এটি অনুমান করা হয় যে ২০২০ সালে উদীয়মান বাজার এবং উন্নয়নশীল অর্থনীতিগুলোর (চীন বাদে) মোট বকেয়া ঋণের পরিমান ছিল ৮.৯ ট্রিলিয়ন ডলার।ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার আক্রমণ, রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এবং এই দুই দেশ থেকে তেল ও খাদ্য সরবরাহ বন্ধের কারণে এসব পণ্য আমদানির ওপর নির্ভরশীল দেশগুলোর অবস্থা আরও সঙ্কটাপন্ন হয়েছে।
রাশিয়া ও চীনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দেশকে সমবেত করার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জি৭ গোষ্ঠীভূক্ত দেশগুলোর প্রচেষ্টাকে অনেক উন্নয়নশীল দেশ এবং মাঝারি শক্তির দেশগুলো সমর্থন করছে না এবং তারা এই দুটো দেশের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জি৭ দেশগুলোর এই জোটগঠনের প্রয়াসে যুক্ত হতেও রাজি নয়। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সাফল্য এবং নতুন সদস্যদেশগুলোর যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে এর সম্প্রসারণ বিরাজমান প্রতিকূলতার মধ্যেও অগ্রগতির নিদর্শন।
লাতিন আমেরিকা : বামপন্থার অগ্রগতি
যদিও আজ ইউরোপে ডানপন্থার দিকে সরে যাওয়া স্পষ্ট হচ্ছে, ব্যতিক্রম হল মার্কিন আধিপত্য এবং নব্য উদারবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যা দক্ষিণ আমেরিকায় বাম শক্তির অগ্রগতির দিকে পরিচালিত হয়েছে।বাম এবং মধ্য-বাম রাষ্ট্রপতি এবং সরকারের নির্বাচনী সাফল্যের সর্বশেষতম হল ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লুলার বিজয়। চিলিতে পাঁচ দশক পর একজন বাম মনোভাবাপন্ন রাষ্ট্রপতি হয়েছেন এবং কলম্বিয়ার ইতিহাসে প্রথমবারের জন্য একজন বামপন্থী রাষ্ট্রপতি হয়েছেন।বর্তমানে, লাতিন আমেরিকা নতুন রূপে সমাজতন্ত্রের জন্য দীর্ঘস্থায়ী সংগ্রামের সম্ভাবনা দেখাচ্ছে।
ডানপন্থার দিকে ঝোঁকার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ
ইউরোপে অতি-ডান ও দক্ষিণপন্থী শক্তির উত্থানের সাথে অনেক সোশ্যাল ডেমোক্রাটিক দলকেও নয়াউদারনীতি গ্রহণ করে দক্ষিণপন্থার দিকে সম্পূর্ণ ঝুঁকে পরতে দেখা গেছে ।দুর্বল বামপন্থী শক্তি দক্ষিণপন্থার দিকে পরিবর্তনের মোকাবিলা করতে পারেনি।এতদসত্ত্বেও, সমস্ত প্রধান ইউরোপীয় দেশের শ্রমজীবী মানুষ জীবনযাত্রার ব্যয় সংকট এবং ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির প্রভাবের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলছে।ব্রিটেন, ফ্রান্স, গ্রীস এবং অন্যান্য দেশে ধর্মঘট এবং জনপ্রিয় সংগ্রামগুলো বামদের পুনরায় সংগঠিত হতে এবং নতুন জোট তৈরি করতে সহায়তা করবে। মূল ঘটনা হল অক্টোবর বিপ্লবের পুঁজিবাদ-বিরোধী উত্তরাধিকার যা সোশ্যাল ডেমোক্রাট বিশ্বাসঘাতকতা এবং আপোষের ফলে ভূলুন্ঠিত হয়েছিল তার স্বরূপ উন্মোচন করার মাধ্যমেই ভবিষ্যতের দিকে এগোতে হবে।
ভারতেও, হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িকতা এবং আক্রমনাত্মক নব্য উদারবাদী পদক্ষেপের জোড়া আক্রমণে দক্ষিণপন্থার দিকে প্রবলভাবে ঝুঁকে পড়ার প্রবনতা প্রকাশিত হয়েছে। সাম্প্রদায়িক-কর্পোরেট আঁতাতের শাসন কর্তৃত্ববাদের সূচনা করেছে, যা মানুষের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকারকে দমন করছে।এই পটভূমিতেই শ্রমজীবী জনগণের সকল অংশের দ্বারা ক্রমবর্ধমান প্রতিরোধ এবং গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষায় জনগণের বিভিন্ন অংশের ক্রমবর্ধমান ঐক্য সাধিত হচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী জলবায়ু সঙ্কট
জলবায়ু উষ্ণায়ন এবং দ্রুত পরিবেশগত অবনতির সাথে বিশ্বব্যাপী পরিবেশগত সংকট জলবায়ুর চরম পরিবর্তন করছে এবং বিশেষ করে দরিদ্র দেশগুলিতে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবিকা ও আবাসস্থল ধ্বংসের ও বিভিন্ন প্রজাতির বিলুপ্তির কারণ হয়ে উঠেছে।বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধ এবং কার্বন নিঃসরণ কমানোর প্রচেষ্টা ধনী দেশ এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যেকার দ্বন্দ্ব প্রকাশ করে। পুঁজিবাদী ব্যবস্থার কাঠামোর মধ্যে পরিবেশ ধ্বংস রোধ করা এবং পরিবেশগত স্থায়িত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়। এটি একটি অত্যাবশ্যকীয় কাজ যা সমাজতন্ত্রের জন্য সংগ্রামকারীদের দায়িত্ব সহকারে পালন করতে হবে।
অক্টোবর বিপ্লব ছিল বিশ্বের প্রথম সাম্রাজ্যবাদ ও পুঁজিবাদ বিরোধী বিপ্লব। অক্টোবর বিপ্লব একটি ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণ এবং মার্কসবাদী তত্ত্ব ও অনুশীলনের সঠিক প্রয়োগের ফসল। একবিংশ শতাব্দীতে সেই সন্ধিক্ষণের আর অস্তিত্ব নেই। কিন্তু আমাদের সময়ের প্রধান সামাজিক দ্বন্দ্বগুলি একটি নতুন সন্ধিক্ষণের জন্ম দিয়েছে যেখানে অক্টোবর বিপ্লবের বিপ্লবী উত্তরাধিকার সমসাময়িক সময়ে সমাজতন্ত্রের জন্য সংগ্রামকে পুনরুজ্জীবিত করতে আমাদের সাহায্য করবে।
ওয়েবডেস্কের পক্ষে ভাষান্তরঃ সরিৎ মজুমদার