অর্কপ্রভ সেনগুপ্ত
রাস্তা-ঘাটে, চায়ের দোকানে অথবা ট্রেনের কামরায় – বাংলার সাধারণ মানুষকে যদি প্রশ্ন করা হয়,
‘আচ্ছা, এখনকার রাজনৈতিক সংস্কৃতি সম্পর্কে আপনার মত কি?’
অনেকেই হয়ত উত্তর দেবেন,
‘বাংলার রাজনৈতিক সংস্কৃতি? সে তো গোল্লায় গেছে মশাই !’।
এমন বলা ভদ্রলোক অথবা ভদ্রমহিলা, শাসক-বিরোধী যে দলেরই সমর্থক হোন না কেন, মোটামুটি জোর দিয়ে বলা যায় তিনি এই বিষয়ে সহমত হবেন বাংলার রাজনৈতিক সংস্কৃতির মান আজকের সময়ে ম্যারিয়ানা খাতের তলায় নিমজ্জিত। বস্তুত, ‘রাজনীতি’, এই বিষয়টি সম্পর্কেই সাধারণ মানুষের এখন এক প্রবল বিতৃষ্ণা। নেহাতই অত্যন্ত নিকৃষ্ট, আদর্শহীন, নীতিহীন কিছু লোকেরা রাজনীতি করেন বলে তাঁরা মনে করেন। বাংলার শাসক দল ও খাতায়-কলমে তাদের প্রধান বিরোধী দল ও তাদের নেতাদের দিকে একবার তাকালেই এই মূল্যায়ন ভুল, এরকম বলা চলে না।
এমন অবশ্যই নয়, যে আগে সবই ভালো ছিল। এই দাবী করে বসলে আবার অসত্য ভাষণের দায়ে পড়তে হবে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, একমাত্র স্বাধীনতার ঠিক পরে, পঞ্চাশের দশকে বাংলায় কিছু সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ লক্ষ্য করা গেছিল। সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্তি ও সাধারণতন্ত্র হিসেবে দেশের আত্মপ্রকাশের ফলে সঞ্চারিত প্রবল আশাবাদ এবং রাজনীতির প্রায় সকল স্তরে স্বাধীনতা সংগ্রামের আগুনে পরীক্ষিত রাজনৈতিক নেতাদের উপস্থিতি – এগুলিই সম্ভবতঃ ছিল সেই সাময়িক রাজনৈতিক সংস্কৃতির সুস্থতার কারণ। ১৯৫২ সালে চুঁচুড়া বিধান সভার নির্বাচনে এইরকম সুস্থতার এক প্রতিফলন দেখা গেছিল। এই কেন্দ্রে বাম প্রার্থী হয়েছিলেন স্বনামধন্য জ্যোতিষ চন্দ্র ঘোষ, স্বাধীনতা সংগ্রামী ও স্বনামধন্য শিক্ষক। বিপক্ষে কংগ্রেসে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরই ছাত্র – ভূপতি মজুমদার। শোনা যায়, নির্বাচনী প্রচার করতে গিয়ে জ্যোতিষ ঘোষ বলেছিলেন – ‘আপনারা আমাকে ভোট দিতে পারেন, তবে ভূপতিকেও দিতে পারেন। ও খুব ভালো ছেলে, ভোট দিলে ঠকবেন না।’ ভূপতি মজুমদারও নাকি বলেছিলেন – ‘আপনারা আমাকে ভোট দিতে পারেন, তবে মাস্টারমশাই-এর তুলনা তো তিনি নিজেই। ওনাকে ভোট দেবেন না, এই কথা আমি বলতে পারব না।’
এই সংস্কৃতি বেশিদিন বজায় থাকতে পারেনি। বজায় যে ছিল না, তার একটি বড়ো কারণ দল হিসেবে জাতীয় কংগ্রেসের চরিত্রের দ্রুত বদল। শাসকদল হিসেবে কংগ্রেস বাংলায় নিজেদের কর্তৃত্ব দৃঢ় করতে সমাজের বিভিন্ন প্রতিক্রিয়াশীল অংশের সাহায্য গ্রহণের মাত্রা বাড়াতে শুরু করল পাঁচের দশকের শেষ ভাগ থেকেই। ৬০-এর দশকে এই পরিবর্তন গভীর ভাবে প্রতিফলিত হলো বাংলার রাজনৈতিক সংস্কৃতিতেও। কমিউনিস্টরাও বাধ্য হলেন। আসলে বাংলায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি নিজ নিজ যে শ্রেণি অবস্থান গ্রহণ করেছিল, তার ফলে রাজনৈতিক সংঘাত ছিল অনিবার্য। আর সেই সংঘাতের অবধারিত ফলাফল ছিল সহনশীল সংস্কৃতির অবক্ষয়। এই দশকের শেষে একদিকে কংগ্রেস রাজনীতির ক্রমবর্ধমান লুম্পেনিকরণ এবং নব-কংগ্রেসের উত্থান আর অন্যদিকে বাম হঠকারিতার ফলস্বরূপ রাজনীতিতে অর্থহীন ব্যক্তিহিংসার ব্যপক প্রসার রাজনৈতিক সংস্কৃতির আরও ভয়ংকর অবনমন ঘটায় – যদিও অবনমনের এই দায়ভাগ দুই পক্ষের সমান সমান ছিল এমন বললে সত্যের অপলাপ করা হবে। ষাটের দশকের শেষ থেকে এই যে অবক্ষয় চলছিল, তা পূর্ণতা লাভ করে ১৯৭২-এর নির্বাচনের সময়। বাংলার রাজনৈতিক সংস্কৃতির অবক্ষয়ের এটি একটি ঐতিহাসিক বছর। এই বছর রাজনীতির নিম্নস্তরের ব্যপক লুম্পেনিকরণের প্রক্রিয়া প্রথম ব্যপক ভাবে উপরমহল কর্তৃক প্রকাশ্যে স্বীকৃত হয় এবং সহযোগিতা লাভ করে। এ ছিল বাংলার রাজনৈতিক সংস্কৃতির অবক্ষয়ের এক জলবিভাজিকা, এই সর্বনাশা পদক্ষেপের ছায়া থেকে আজও বাংলা বেরোতে পারেনি।
১৯৭৭-এর সালে বামফ্রন্টের আগমন বাংলার শতচ্ছিন্ন রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে বেশ কিছুটা মেরামত করতে সক্ষম হয়। এর একটা কারণ ছিল ৬০-৭০-এর অভিজ্ঞতা ‘পার্টি সমাজ’ বা ‘Party Society’-এর ধারণা বাংলার রাজনৈতিক সমাজের একেবারে নিচু স্তর অবধি এত গভীরে গেঁথে দিয়েছিল, যে ‘দল’ বা ‘Party’ মানুষের শুধু রাজনৈতিক পরিচিতি থাকে নি, তার সামগ্রিক সামাজিক পরিচিতিরই একটা বড়ো অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এর সঙ্গে শ্রেণির পরিচিতি সব সময় সচেতন ভাবে না হলেও, যুক্ত হয়ে যেত। এই প্রকার রাজনৈতিক কাঠামো ভারতে অভিনব। এর কিছু ইতিবাচক দিক নিঃসন্দেহে ছিল। ‘পার্টি সমাজ’-এর ধারণার আধিপত্যই জাতপাত ও ধর্মভিত্তিক পরিচিতির রাজনীতিকে বাংলার রাজনৈতিক রঙ্গমঞ্চে দীর্ঘ সময় ঢুকতে দেয়নি। ঐ রাজনীতির চোরাস্রোত বহমান ছিল ঠিকই, কিন্তু তা মূলস্রোতে কখনই স্বীকৃতি লাভ করেনি। করেনি, তার কারণ পরিচিতি হিসেবে ‘পার্টি সমাজ’-এর প্রাবল্য।
রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নতুন মাত্রা যুক্ত হল ৯০-এর দশকে। বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ব্যপক পরিবর্তন এবং বিশ্বায়নের ঢেউ সারা দেশের সাথে বাংলার রাজনীতির মূল সুরকেও দ্রুত বদলে দিতে শুরু করে। গ্রামে ও শহরে কিছু নতুন উপ-শ্রেণি আত্মপ্রকাশ করে তাদের বিশেষ রাজনৈতিক সংস্কৃতি সহ। এই নতুন উপ-শ্রেণির প্রভাবেই গ্রামে ও শহরে রাজনীতির লুম্পেনিকরণ আবারও মাথাচাড়া দিতে শুরু করে। ‘সবাই সমান’ ‘সব রাজনীতিই খারাপ’ ‘সবাই সুবিধাবাদী’ – দীর্ঘকাল ধরেই এই ভাষ্য বাংলার মানুষের মধ্যে প্রচার করা হচ্ছিল। নয়া-উদারবাদ একেই হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে।
রাজনীতির এহেন লুম্পেনিকরণের সেই ঢেউ বাংলায় একটি নতুন দলের জন্ম দিল যার রাজনৈতিক সংস্কৃতি বাংলার পূর্বতন সকল রাজনৈতিক দলের থেকে মূলগত ভাবে আলাদা। এই প্রথম এমন একটি দল আত্মপ্রকাশ করল, যার শুধু নিচের তলায় না, উপর মহলে নেতৃত্বের স্তরও প্রধানত লুম্পেনদেরই হাতে। এই দলটিই বাংলার বর্তমান শাসকদল – তৃণমূল কংগ্রেস। এদের কোনও নীতি নেই, কোনও দীর্ঘমেয়াদী রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই, কোনও বিশেষ আদর্শের অনুগামীও দলটি নয়। তাহলে এই দলটি কেমন দল ? এটি হল, যাকে বলা যায় একটি ‘Party of Power’। শুধু ক্ষমতার জন্যই রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল ও তার সেই ক্ষমতাকে ব্যবহার করে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হওয়া এই দলটির এক ও একমাত্র উদ্দেশ্য। অধিকাংশ রাজনৈতিক দলেরই ক্ষমতা দখল নিমিত্ত, আসল উদ্দেশ্য রাষ্ট্র ও সমাজকে কোনও বিশেষ অভিমূখে চালিত করা। এই দলটির ক্ষেত্রে ক্ষমতা উদ্দেশ্য, কোনও বিশেষ পরিবর্তন সাধনের নিমিত্ত নয়। এই আদর্শহীনতার জন্যই দলটি মতাদর্শগত ভাবে স্বতন্ত্র এবং তারই প্রভাবে একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের মতো সাম্প্রদায়িক ও উগ্র দক্ষিনপন্থী ও বিভিন্ন নকশাল নামধারী শক্তিকে এই দলটি বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে এক ছাতার নিচে আনতে সক্ষম হয়েছিল। চলতি শতকের গোড়ার দিক থেকেই এমনটা ঘটতে শুরু করে।
বামফ্রন্ট যতদিন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিল, একপ্রকার সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি বজায় রাখার প্রচেষ্টা উপর থেকে বজায় ছিল। এটা যে কোনও নিরপেক্ষ মানুষের দৃষ্টিতেই ধরা পড়তে বাধ্য। ২০১১ পরবর্তী সময়ে এই উপর থেকে সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং এই বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করলেন এবং বিভিন্ন ‘ছোট্ট ঘটনা’-য় যোগ্য সঙ্গতও দিলেন তার নানা মন্ত্রী ও অনুগামীরা। ৯০-এর দশকের পর থেকেই যে প্রক্রিয়া চলছিল, তা ক্রমশ পূর্ণতা পেতে লাভ করল। অবক্ষয় শুধু যে উপর থেকে হল, তা নয় – দ্রুত সমাজের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে লাগল। উৎকোচ প্রদানকে খুবই স্বাভাবিক বিষয় বলে জনমানসে নামিয়ে আনা সক্ষম হল। ‘সবাই খারাপ’ ‘রাজনীতিবিদ মানে তো টাকা নেবেই’ –এমন অভিসন্ধিমূলক ভাষ্যের অবিরত প্রচারের অন্তিম ফলই ছিল রাজনীতির একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে জনমানসে দুর্নীতির প্রসঙ্গে আপাতভাবে নিরপেক্ষ থাকার আবহাওয়া তৈরি হওয়া। ঠিক এই কারণেই সারদা কেলেঙ্কারির মতো দুর্নীতিও বেশীদিন গণমাধ্যমে জায়গা ধরে রাখতে পারেনি। একদম নিচু স্তর থেকে উপরের স্তরে ক্রমশ জাঁকিয়ে বসল দুর্নীতি, আদর্শহীনতা এবং অ-গণতান্ত্রিক মানসিকতা। শাসক দল তার ‘পার্টি সমাজ’-কে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি কাঠামোর অংশ করে তুলল ওতপ্রোত ভাবে এবং তা করা হল একেবারে উপরমহলের অনুমোদন নিয়েই।
কুরুচিপূর্ণ, বিশ্রী সংস্কৃতি এবং আদর্শহীনতা, এই দুই-ই ছিল এদের রাজনীতির স্বাভাবিক অংশ। এই বোঝাপড়ার বিস্তারে যেমন একদিকে বিগত দশকে বাংলায় ভয়ংকর ক্ষতি হয়েছে আরেকদিকে ঐ বোঝাপড়াই এ রাজ্যে রাজনৈতিক ভাষ্যের বদল ঘটিয়েছে। পূর্বে বামফ্রন্ট যখন শাসন ক্ষমতায় ছিল, তখন মূল রাজনৈতিক ভাষ্যের ভরকেন্দ্র ছিল মূলত অর্থনীতি, সামাজিক সম্প্রীতি। তখন শাসকদল তাদের ভাষ্য সাজাতেন অর্থনীতির ক্ষেত্রে তাঁদের সাফল্যকে তুলে ধরে। সমালোচনার সময় বিরোধীরাও তাদের বিঁধতেন প্রধানত অর্থনীতি প্রসঙ্গেই। ২০১১ পরবর্তী সময়ে বাংলার রাজনীতির মূল ভাষ্য সরল এবং অতি দ্রুত। বিধানসভায় বিরোধী শক্তি হিসেবে বামেদের ক্ষয়ের সুযোগ নিয়ে প্রথম যেটা হয় তা হল বিরোধী দলের নাম করে হিসেবে বিজেপি’র উত্থান। এদের জমানায় রাজনৈতিক আলোচনাকে অর্থনীতি ও জনকল্যাণ থেকে টেনে নিয়ে যাওয়া হল ধর্ম-সম্প্রদায়কে কেন্দ্র করে গরিব মানুষকে একে অন্যের বিরুদ্ধে লড়িয়ে দিতে এবং সেই অছিলায় নিজেদের লুটের বন্দোবস্তটিকে পাকা করতে। এমনকি সোজাসাপটা অর্থনৈতিক বিষয়গুলিতেও সর্বত্র সাম্প্রদায়িক রং লাগানো হল। এতে হাফ ছেড়ে বাঁচল শাসকদল, কারণ তারা তো এমন প্রশ্নপত্রেই স্বচ্ছন্দ। তাদের আপাত সংখ্যালঘু প্রেম (বাস্তবে সংখ্যালঘুদের অবস্থা যে তিমিরে সেই তিমিরেই রইল) একদিকে যেমন বাংলার নতুন বিরোধীদের অক্সিজেন যোগাল তার সঙ্গে সঙ্গে বাংলার মাঠ উন্মুক্ত করে দিল প্রতিযোগিতামূলক সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতির জন্যও।
এখন, ২০২৪-এর যা পরিস্থিতি, তাতে উঠতে, বসতে নিজেদের প্রবল বলে দাবী করেন এমন পক্ষেরা আসন্ন নির্বাচনের রাজনৈতিক ভাষ্য হিসাবে সেই ধর্ম ভিত্তিক ভাষ্যকে সম্বল করেই আবর্তিত হতে চাইছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প, কৃষি – ইত্যাদি এদের মূল আলোচনার মধ্যে কোথাও নেই। বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনে যে অঞ্চলগুলি সবথেকে অধিক প্রভাবিত হচ্ছে, তার মধ্যে অন্যতম হল গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ অঞ্চল। সুন্দরবনে তার প্রভাব ইতিমধ্যেই দেখা দিচ্ছে। কিন্তু এসব নিয়ে তাদের রাজনীতি এগোয় না।
এমন কুচক্রী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে প্রতিহত করতে পারলে তবেই নাতিদীর্ঘ প্রাত্যহিক অভিজ্ঞতা থেকে মানুষের ধারণা আবার দৃঢ় হবে। তারা পুনরায় ভরসা পাবেন। রাজনীতি মানেই উৎকোচ গ্রহণের ব্যবসা না, আত্মকেন্দ্রিক ক্ষমতালিপ্সা কিংবা পদে পদে বিশ্বাসঘাতকতার কাহিনী না। রাজনীতি মানে সমাজকে সাজিয়ে গুছিয়ে সবার জন্য সুন্দর করে তোলার প্রক্রিয়া। সেই বিশ্বাসটুকু তৈরি হলেই বাংলার রাজনৈতিক ভাষ্যের গোড়াটি ধর্ম ও পরিচয় ভিত্তিক রাজনীতির ভেদাভেদ থেকে আবার শিল্প, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যের ন্যায় প্রকৃত ও জরুরী প্রসঙ্গে আবর্তিত হতে শুরু করবে। লুটের রাজনীতির বিরুদ্ধে, দুর্বৃত্তির রাজনীতির বিরুদ্ধে এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধেই বামপন্থীদের চিরায়ত লড়াই। বামপন্থীরা এই সংগ্রামে যেমন আজ রয়েছেন, পরেও থাকবেন।