ওয়েবডেস্ক প্রতিবেদন
সাবেক চেকোস্লোভাকিয়ার প্রাগে এক শ্রমিক পরিবারে ১৯০৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জন্ম হয় জুলিয়াস ফুচিকের।
পরিবারের সাথে ১৯১৩ সাল নাগাদ পিলসেনে চলে আসেন এবং কিশোর বয়সেই দ্য স্লাভ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করতে শুরু করেন। পিলসেনের স্টেট ভোকেশনাল হাইস্কুলে পড়াশনা করেছিলেন।
১৯২০ সালে প্রাগে ফিরে যান পড়াশনার জন্য, সেখানেই চেকোস্লোভাকিয়ার সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতে যুক্ত হন। পরে সেই পার্টির বাম গোষ্ঠীর সাথে মিলে ১৯২১ সালের মে মাসে প্রতিষ্ঠা করেন চেকোস্লোভাকিয়ার কমিউনিস্ট পার্টি (Communist Party of Czechoslovakia) বা সিপিসি। সেই পার্টির মুখপত্রে লিখতে শুরু করেন ফুচিক, পরে পড়াশনা শেষ হলে পত্রিকার সম্পাদক হন।
১৯৩৮ সালে ফুচিকের সাথে বিবাহ হয় আগস্টা কদ্রিচভা’র সাথে।
১৯৪১ সাল, ফুচিক তখন পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।
১৯৪২ সালের ২৪ এপ্রিল আরও ছয়জন কমরেডদের সাথে প্রাগে গেস্টাপো বাহিনীর হাতে ফুচিক গ্রেফতার হন।
প্রথমে কিছুদিন প্রাগের কয়েদখানায়, পরে তাকে জার্মানির জেলে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই বিচার চলে তার – এরই মধ্যে বন্দিদশায় চলে অকথ্য, নৃশংস শারীরিক অত্যাচার।
সেই দিনলিপি এক সহৃদয় রক্ষীর সাহায্যে সিগারেটের খাপের কাগজে লিখে চললেন জেলের অবর্ণনীয় অভিজ্ঞতা।
সেই রক্ষীই যত্নে রেখে দিয়েছিলেন কালজয়ী সেই সাহিত্যকীর্তি, যা পরবর্তীতে প্রকাশিত হয় “ফাঁসির মঞ্চ থেকে” নামে এবং অনূদিত হয় বিশ্বের নানান ভাষায়।
১৯৪৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর প্লতজিনসি কারাগারে এই মহান কমিউনিস্ট নেতা, ফ্যাসিবিরোধী আন্দোলনের অনন্য সৈনিক জুলিয়াস ফুচিককে ফাঁসি দেওয়া হয়।
ওয়েবডেস্কের পক্ষেঃ সৌভিক ঘোষ