Master Da: That sun never sets – Deepjit Das

‘ We will die at the post but enemy shall not pass!’
গোপনে বৈঠকে জোরালো স্বরে বলে উঠলেন গণেশ ঘোষ।দ্রুত বেগে দখল করে নিতে হবে শহরের সমস্ত পুলিশ ঘাঁটি,টেলিফোন,রেল বিচ্ছিন্ন করে ঘোষণা করে দিতে হবে অস্থায়ী বিপ্লবী সরকার।তারপর প্রবল শত্রুর সাথে লড়ে টিকিয়ে রাখতে হবে সরকার।ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মির গোপন বৈঠকে প্রত্যাঘাতের নিখুঁত ব্লু – প্রিন্ট তুলে ধরলেন মাস্টার দার পছন্দের ছাত্র। সঙ্গ দিলেন অনন্ত সিং।চমকপ্রদ এই পরিকল্পনায় শিলমোহর দিলেন মাস্টার দা। হাতে ধরে সেই পরিকল্পনা নিখুঁত করলেন সূর্য সেন।বাস্তবায়নে প্রাণপাত করে নেমে পরলেন বিশ্বস্ত সৈনিকরা।ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের আকাশে এক নতুন সন্ধিক্ষণ।অহিংস পদ্ধতিতে স্বাধীনতার আন্দোলনে হতাশাক্লিষ্ট যৌবনের মনে নতুন আশার সঞ্চার হলো।ক্ষুদিরাম, কানাইলালের হাতে জ্বালানো অকুতোভয় সংগ্রামের মশাল তখন বন্দর শহর চট্টগ্রামে হাজির হয়েছে প্রখর সূর্যের তেজ নিয়ে।স্থবিরতায় আচ্ছন্ন দেশের মুক্তির লড়াইয়ে নতুন দিশারী হয়ে প্রতিভাত হলো মাস্টার দা ও তার সাথীরা।দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত রাজনৈতিক ডাকাতির মাধ্যমে নিজেদের ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেওয়া নয়,সমস্ত শক্তি সঞ্চিত করতে হবে আগামীর বৃহত্তর মরণপণ সংগ্রামের জন্য। অস্ত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয়তার অর্থ জোগাড় করতে হবে পরিবার থেকে লুকিয়ে।সাফল্যের সিক্রেট হিসেবে যৌবনের প্রতিনিধিদের নিয়েই বাহিনী গঠনে তৎপর হলেন মাস্টার,কারণ ব্রিটিশ শাসনের ভিত কাঁপিয়ে দেওয়ার জন্য তার চাই পিছুটান বিহীন সৈনিক।ব্রিটিশের দাসানুদাস কিছু ভারতীয় কর্মচারীকে হত্যা আসলে দুর্বলতার পরিচয়,বদলে আক্রমণের লক্ষ হবে ব্রিটিশরাই।ব্যক্তি আক্রমণ কখনো বৃহত্তর লক্ষ পূরণে বড় পদক্ষেপ হতে পারে না।সরকারকে চরম বার্তা দেওয়ার জন্য প্রয়োজন নিদেনপক্ষে একটি জেলার ক্ষমতা দখল।এই নীতির উপরই রচিত হল এক অম্লান বীরগাঁথা।সাহায্য এল উত্তর ভারত জুড়ে বিদ্রোহের আগুন ছড়িয়ে বেড়ানো শচীন সান্যালের থেকে।আগামী সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হলো রণ সম্ভার।সারা চট্টল তখন বারুদ গন্ধে তপ্ত হয়ে উথাল পাথাল যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।সারা জেলা জুড়ে বিপ্লবীরা ছাত্র যুবদের জড়ো করে প্রচার করলে তাদের একটাই প্রোগ্রাম – ‘ Organisation, Audacity,Death!’

১৮ ই এপ্রিল,১৯৩০।উপস্থিত সেই প্রতীক্ষিত মুহূর্ত।চট্টগ্রামের ৬৪ জন যুবক প্রস্তুত জান বাজি রেখে প্রবল পরাক্রমশালী শক্তির মহড়া নিতে। হাতে সম্বল বলতে ১৩ টি রিভলবার,৬ টি শটগান, চারখানা মোটরগাড়ি।তবে আসল শক্তি দেশ রক্ষার শপথে মনের মধ্যে প্রিয় মাস্টারদার গেঁথে দেওয়া অসীম সাহস, অকুতোভয়তা।সময় মতন বেঁধে ফেলা হলো শহরের সমস্ত মোটর চালকদের।টেলিফোন,রেল বিচ্ছিন্ন করে স্তব্ধ করে দেওয়া হলো যোগাযোগ ব্যবস্থা।মুহূর্তে অধিকৃত হলো পুলিশের অস্ত্রাগারগুলো।’ ইনকিলাব জিন্দাবাদ ‘,’ বন্দে মাতরম ‘ স্লোগানে আকাশ বাতাস মুখরিত করে প্রতিষ্ঠিত হলো বিদ্রোহী সরকার। হেড কোয়ার্টার হিসেবে চিহ্নিত হলো পুলিশ লাইন।কিছুক্ষণের মধ্যেই লুইস গান হতে হাজির হলো ব্রিটিশ ফৌজ।এক সাথে গর্জে উঠলো ৬৪ জন বিপ্লবীরা রাইফেল।নিস্তব্ধ হলো ব্রিটিশ ঔদ্ধত্য। দীর্ঘদিন ধরে দেশের মানুষের উপর অত্যাচার চালিয়ে আসা ইংরেজরা পেল প্রত্যাঘাতের স্বাদ।শীর্ণকায়,বলিষ্ঠ মাস্টারের দলবলের কাছে চুরমার হলো অত্যাচারী শাসক।

চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন

দীর্ঘ দিন ধরেই মাস্টার দা মনে করতেন ব্রিটিশরা যেভাবে দেশের মানুষকে অত্যাচার,শোষণ করে আসছে তার সমুচিত জবাব প্রয়োজন।ইংরেজদের বুঝতে হবে একজন ইংরেজ নাগরিকের জীবনের যা দাম,একজন ভারতীয়র জীবনও একই রকম মূল্যবান।না বুঝলে জীবনের বিনিময়েই তাদের ঋণ শোধ করতে হবে।সামরিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মাস্টারদার ছোঁয়াতেই তার বাহিনীর মনোভাব হয়ে উঠেছিল ইস্পাত কঠিন।চার দিন ধরে ব্রিটিশদের কার্যত নাস্তানাবুদ করে চট্টগ্রাম জুড়ে বিদ্রোহের মশাকের গনগনে আঁচ ছড়িয়ে দেয় সূর্য সেনের বাহিনী।অবশেষে ২২ শে এপ্রিল ট্রেন বোঝাই মিলিটারি পৌঁছায় জলালাবাদ পাহাড়ে।চারদিক থেকে বিদ্রোহীদের ঘিরে চলতে থাকে মুহুর্মুহু গোলাবর্ষণ।অদম্য জেদ,কলিজার জোরে গর্জে ওঠে বিপ্লবীদের মাস্কেট্রি।মাত্র ৫৬ জন বিপ্লবীরা হাতে প্রাণ হারান ৮২ জন ব্রিটিশ সৈন্য।এই গৌরবের যুদ্ধে প্রাণ হারান ১২ জন বিপ্লবী।সারা দেশ উদ্বেলিত হয় এই অসামান্য শৌর্যের কাহিনীতে।চট্টগ্রাম তথা দেশের সাধারণ মানুষের কাছে মুক্তির ধ্রুবতারা হয়ে ওঠেন সূর্য সেন ও তার সেনানীরা।

জালালাবাদের যুদ্ধের পরই নতুন উদ্যমে শুরু ব্রিটিশের দমন নীতি।সূর্য সেনের মাথার দাম ধার্য করা হয়।ব্যাপক ধরপাকড়,তল্লাশির ফলে সমান তালে আক্রমণ চালিয়ে যাওয়া দুষ্কর হয়।অনেক বিপ্লবী এসময় পুলিশের জালে ধরা পরেন।আত্মরক্ষার্থে চট্টগ্রাম ছাড়তে হয় অনেককে।লোকবল কমে আসতে থাকে ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মির।ফুরিয়ে আসতে থাকে রসদও।কিন্তু এই সূর্য অস্তাচলে যাওয়ার নয়।এই সূর্য তেজদীপ্ত হয়ে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিতে চায় অত্যাচারী শাসককে।বারবার বাহিনীর সৈনিকদের উদ্দ্যেশ্যে মাস্টারদা বলতেন ফরাসী দার্শনিক দান্তের কথা,যে কোনো বৈপ্লবিক পরিকল্পনা ও কৌশলের মূল বক্তব্য – ‘ Audacity, Audacity and yet again Audacity.’ এবং যুদ্ধ জয়ের মূল মন্ত্র ‘ বে দারিং,be still more daring- and be daring always!’ স্পর্ধা আর সাহসে ভর করেই একের পর এক দুঃসাহসী রূপকথার জন্ম দিতে থাকলে চট্টগ্রামের বিপ্লব স্পন্দিত যৌবন। জেলবন্দী সাথীদের মুক্তির বার্তা দিতে,জালালাবাদ পাহাড়ে শহীদ সাথীদের বদল নিতে পর পর ল্যান্ডমাইন নড়িয়ে দিল ব্রিটিশ পুলিশের আত্মবিশ্বাস।প্রয়োজনের তাগিদেই সংগঠিত হল কিছু ব্যক্তি হত্যা।মাস্টার দার পরিকল্পনাতেই সরোজকান্তি গুহ হত্যা করলেন ঢাকার জেলা শাসক ডুর্ণকে।শৈলেশ রায়ের গুলিতে খুন হলেন কুমিল্লার পুলিশকর্তা অ্যালিসন।পুলিশ একটি ঘটনারও কিনারা করতে পারলো না।

কেবল নির্দেশ দানকারী নয় মাস্টার দা ছিলেন সর্বাধিনায়ক।যে কোনো লড়াই সম্মুখ সমরে থেকেই লড়তে পছন্দ করতেন কমান্ডার। নাগরখানার যুদ্ধে,পুলিশ লাইন দখলে,জালালাবাদের রণাঙ্গনে, ধলঘাটের লড়াইয়ে মৃত্যুর মুখে দাড়িয়েই সূর্য সেন হয়ে উঠেছিলেন প্রকৃত অ্যাকশন হিরো।ফলত তার বাহিনীর মধ্যে মাস্টার দার গ্রহণযোগ্যতা ছিল তুলনাহীন।বারবার আত্মরক্ষার্থে ভিন রাজ্যে,ভিন দেশে পারি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সেই সময়ের নেতারা। চট্টল সূর্য মাস্টার দা ছিলেন নিজের জন্মভূমির প্রতি নিয়োজিত প্রাণ।নিষ্ঠা,ভালোবাসা,প্রত্যয়,স্বপ্ন দিয়ে গড়া সংগঠনের অন্যদের রক্ষা ও ক্রমাগত প্রত্যাঘাত চালিয়ে যাওয়ার লক্ষে এক মুহূর্তের জন্যও চট্টগ্রাম ছাড়ার ভাবনাকে প্রশ্রয় দেননি তিনি।

দেশপ্রেমের প্রগাঢ় মশাল সূর্য সেন ছিলেন চিন্তা চেতনায় সময়ের থেকে এগিয়ে থাকা।সেই সময়ের সমাজ ছিল পঙ্কিলতায় আচ্ছন্ন।নারীদের প্রতি বিভেদমূলক আচরণ ছিল সর্বত্র। ইংরেজরাও সেই সুযোগ নিয়ে ভারতীয় নারীদের প্রতি অত্যাচার চালাত।তখনই মাস্টার দার বাহিনীতে যুক্ত হয়ে অসম সাহসের সাথে স্বাধীনতা সংগ্রামের নিযুক্ত হন প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার,কল্পনা দত্ত,শান্তি, সুনীতিরা। পাহাড়তলির ব্রিটিশ ক্লাব আক্রমণে মাস্টারদার প্রেরিত ,আট জনের বাহিনীর নেতৃত্ব দেন প্রীতিলতা।৭ জন পুরুষের বাহিনীর নেতৃত্বে তাকে নির্বাচনের বিষয়ে প্রীতিলতা মাস্টার দাকে প্রশ্ন করলে তিনি উত্তর দেন, ‘ আমি চাই ভারতীয় নারী সমাজ তাদের স্বাধীন স্বত্ত্বা নিয়ে সমান অধিকারে পুরুষের পাশে এসে দাড়াক।তোমার সাহস ও চরম আত্মত্যাগের আদর্শ ভারতের নারীসমাজের মধ্যে জাগরণ সৃষ্ঠি করুক।’ মূলত তার পরিকল্পনাতেই অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী শান্তিসুধা ঘোষ,সুনীতি চৌধুরী কুমিল্লার জেলাশাসক স্টিভেনসকে খুন করেন।প্রকৃত নেতার মতনই সামাজিক ভাবে নারীদের মর্যাদার লড়াইয়ে অবদান রাখেন মাস্টার দা।

বজ্রকঠিন মানসিকতার নেতা মাস্টার দা নিজের জীবনে ছিলেন আবেগপ্রবণ মানুষ।প্রাণ খোলা হাসিতে মাতিয়ে রাখতে পারতেন সকলকে।অবসর সময়ে নিজ মনে গান করতেন।বিশ্বাস করতেন বিপ্লবী হতে গেলে তাকে আবেগপ্রবণ হতে হয়।কোনো বিষয়ে সংবেদনশীল,অনুভূতিপ্রবণ না হলে শত্রুকে আপোষহীন ভাবে ঘৃণাও করা যায় না।সমগ্র চট্টগ্রামবাসীর মনের মানুষ ছিলেন সূর্য সেন।তাই একাধিক গোপন আস্তানায় দীর্ঘদিন ব্রিটিশ পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বিদ্রোহের কাজ সংগঠিত করেন তিনি।বিশ্বাসঘাতকতা ছিল তার সংগঠনের ক্ষমার অযোগ্য।দলের এক সদস্যের গুপ্তচর বৃত্তির সন্দেহে তার প্রিয় ছাত্র হিমাংশু সেই বেইমানকে গলা টিপে খুন করেন।স্বজাতির প্রতি আবেগ,দেশের মানুষের কষ্টে আকুলতা, শত্রুর প্রতি ঘৃণা,বিশ্বাসঘাতকের প্রতি ক্ষমাহীনতার ভিতেই গড়ে উঠেছিল মাস্টার দার বিদ্রোহের স্থাপত্য।

চট্টগ্রামের যুব বাহিনীর পরপর দুঃসাহসী কার্যকলাপে ভিত হয়ে এবং বিপ্লবীদের অসাধারণ শৃঙ্খলায় কোনো ঘটনার হদিশ করতে না পেরে ব্রিটিশ পুলিশ প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে ওঠে।মাস্টার দার মাথার দাম শেষ পর্যন্ত দশ হাজার টাকা ধার্য করা হয়।স্টেশন,বাজার,অলিতে গলিতে মাস্টার দার ছবি দিয়ে ব্রিটিশরা পরোয়ানা জারি করে।নেত্র সেনের বিশ্বাসঘাতকতায় ১৯৩৩ সালের ১৬ ই ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশের হাতে গ্রেপ্তার হন সূর্য সেন।প্রহসনের বিচারে সূর্য সেন ও তরবেশ্বর দস্তিদারের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ হয়।প্রতিশোধের বর্বরতায় জেলে ব্যাপক অত্যাচার চলে তাদের উপর।১৯৩৪ সালের ১২ ই জানুয়ারি ফাঁসির দিন ধার্য হয়।ফাঁসির আগের দিন ব্রিটিশ পুলিশ সাঁড়াশি দিয়ে হাত ও পায়ের ২০ টি আঙ্গুলের নখ উপড়ে নেওয়া হয়।হাতুড়ির আঘাতে হাড় ভেঙে দেওয়া হয়।১২ ই জানুয়ারি ভোরে কার্যত অচৈতন্য অবস্থায় চট্টগ্রামের জেলে ফাঁসি হয় মাস্টার দা ও তারকেশ্বর দস্তিদারের।অমানবিকতার সমস্ত সীমা ছড়িয়ে ব্রিটিশরা মৃতদেহ পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়নি। বস্তায় মৃতদেহ ভোরে চট্টগ্রাম থেকে বঙ্গোপসাগর ধরে জাহাজে এগিয়ে মাঝ সাগরে ফেলে দেওয়া হয় বীর বিপ্লবীদের মৃতদেহ।ব্রিটিশ প্রমাদ গুনছিল।মাস্টার দার মৃত্যুশোক চট্টগ্রাম জুড়ে শোকের আগুন জ্বালিয়ে দিতে পারে।তাদের কথায় ‘ জ্যান্ত মাস্টারের থেকে মরা মাস্টার বেশি ভয়ংকর ‘। মাস্টার দাকে হত্যা করে নেভানো যায়নি তার চেতনার মশালকে।যে বিদ্রোহের আগুন মাস্টার দা জ্বেলেছিলেন চট্টগ্রামে তা দাবানল হয়ে ছড়িয়ে পরে ভারত জুড়ে।মাস্টার দার প্রিয় ছাত্ররা অনেকেই স্বাধীনতার আগে ও পরে দেশের মুক্তির আন্দোলনে ,শোষিত মানুষের লড়াইয়ে সামিল হন।যুবেবিদ্রহের অন্যতম সেনানী গণেশ ঘোষ,সুবোধ রায়,অনন্ত সিংরা বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হন।জেল বন্দী দশায় মাস্টার প্রায়ই গেয়ে উঠতেন ‘ অস্তাচলের পারে আসি,পূর্বাচলের পানে তাকাই।’ স্বদেশপ্রেমী মানুষের মনে মাস্টার দা নামক সূর্য কখনও অস্তাচলে যায় না।দেশের প্রতি সীমাহীন ভালোবাসা,স্বাধীনতার অবিরাম আকাঙ্ক্ষায় উদ্ভাসিত সূর্যের আলোক আজও পূর্বাচলের রক্তিম আভা হয়ে প্রতিভাত হয় যে কোনো অন্ধকার সময়ে।

Spread the word

Leave a Reply