২২ এপ্রিল মহান বিপ্লবী, বিশ্বের প্রথম সর্বহারার রাষ্ট্রব্যবস্থার স্থপতি কমরেড ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিনের ১৫৩ তম জন্ম দিবস। প্রতিবছরের মতো এবছরও সমগ্র বিশ্বের সাথে ভারতের শ্রমজীবী জনগণ, প্রগতিশীল মানুষ, অত্যাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রামরত সমস্ত মানুষ শ্রদ্ধার সাথে কমরেড লেনিনকে স্মরণ করবেন। সমস্ত ধরনের শাসন ব্যবস্থার অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে সমসাময়িক ও আগামীদিনের সংগ্রামগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কমরেড লেনিনের জীবন ও শিক্ষাকে আত্মস্থ করেই আমাদের অগ্রসর হতে হবে।
লগ্নিপুঁজির ব্যাখ্যা করলেন লেনিন
পুঁজিবাদ ও পুঁজি নিয়ে বিশদে আলোচনা করেন কার্ল মার্কস। পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় শোষণের সাথে শোষণ ব্যবস্থার অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে সর্বহারা বিপ্লবের অবশ্যম্ভাবিতা মার্কসীয় মতবাদ উপস্থিত করলো। মার্কস ও এঙ্গেলস এর মৃত্যুর পর পুঁজিবাদী ব্যবস্থার গতি প্রকৃতি বিশ্লেষণ করলেন কমরেড লেনিন। বিকাশের ধারায় প্রতিযোগিতামূলক পুঁজিবাদের চরিত্র পরিবর্তিত হয়ে একচেটিয়া পুঁজিবাদের উদ্ভব ঘটে। ক্রমান্বয়ে পুঁজির ঘনীভবন ও কেন্দ্রীকরণ ঘটে। একচেটিয়া পুঁজিবাদই সাম্রাজ্যবাদের স্তর। সাম্রাজ্যবাদের স্তরেই লগ্নি পুঁজির অভ্যুদয় ঘটে। অতীব শক্তিশালী লগ্নি পুঁজি হলো সম্রাজ্যবাদের বৈশিষ্ট্য। শিল্প পুঁজি ও ব্যাংক পুঁজির মিলনের মধ্য দিয়েই লগ্নি পুঁজির অভ্যুদয় ঘটে।
লগ্নি পুঁজির লেনিনীয় বিশ্লেষণের পর শতাধিক বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। বিকাশের ধারায় আন্তর্জাতিক লগ্নি পুঁজির আবির্ভাব ঘটেছে। আন্তর্জাতিক লগ্নি পুঁজির কার্যধারা বর্তমান বিশ্ব পুঁজিবাদ- সাম্রাজ্যবাদের কার্যধারা নিয়ন্ত্রণ করছে। লগ্নি পুঁজি সংক্রান্ত লেনিনীয় ব্যাখ্যার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই, লেনিনীয় পদ্ধতি অনুসরণ করেই আন্তর্জাতিক লগ্নি পুঁজির ব্যাখ্যা ও লগ্নি পুঁজির বৈশিষ্ট্যের সাথে তার পার্থক্য চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে আন্তর্জাতিক লগ্নি পুঁজির আধিপত্য ও তার চাহিদা অনুসারে উদারনীতির প্রবর্তন হয়েছে।
পুঁজির উৎপাদনশীল চরিত্র ব্যাপক খাটো হওয়া যেমন আন্তর্জাতিক লগ্নি পুঁজির বৈশিষ্ট্য, আবার ফাটকা পুঁজির ব্যাপক বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক লগ্নি পুঁজির বৈশিষ্ট্য। অর্থ পুঁজির অভাবনীয়, অচিন্তনীয় বিকাশ এই পর্যায়ে ঘটেছে। আন্তর্জাতিক লগ্নি পুঁজির অবাধ, বিশ্বজোড়া, স্বাধীন গতিবিধির স্বার্থেই সাম্রাজ্যবাদী দ্বন্দ্ব ভয়ঙ্কর যুদ্ধের চরিত্র গ্রহণ করতে পারছে না। তারমানে যুদ্ধের অবসান ঘটেছে, তা নয়। সাম্রাজ্যবাদের যুগে যুদ্ধ অনিবার্য। আঞ্চলিক বা বিশ্ব যুদ্ধ যাই হোক। আন্তর্জাতিক লগ্নি পুঁজির স্বার্থ যেমন রয়েছে, তেমনই ভয়ঙ্কর মারণাস্ত্র বর্তমানে অস্ত্র ভান্ডারে মজুত থাকা বিশ্ব যুদ্ধের সম্ভাবনার সামনে প্রায় অলঙ্ঘনীয় বাধা হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
পুঁজির সাথে শ্রমের দ্বন্দ্বের সাথে সাথে সাম্রাজ্যবাদী যুগের সমস্ত দ্বন্দ্বগুলির তীব্রতা বর্তমান সময়ে আমরা প্রত্যক্ষ করছি। ভারত সহ সমগ্র বিশ্বজুড়ে সমাজের তীব্র মেরুকরণ ঘটছে। মুষ্টিমেয় সম্পদশালীর সম্পদের পরিমাণের বিপুল বৃদ্ধি ঘটে চলেছে। শ্রমজীবী মানুষ সহ জনগণের অবস্থা ক্রমান্বয়ে সঙ্কটপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নিঃস্ব থেকে নিঃস্বতর হচ্ছে জনগণ। প্রযুক্তির অগ্রগতি, কৃত্রিম মেধার ব্যবহার পুঁজি বনাম শ্রমের দ্বন্দ্বকে তীব্রতর করেছে, আবার সর্বোচ্চ মুনাফার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক লগ্নি পুঁজির কার্যধারার পরিণতিতে প্রাকৃতিক সম্পদ লুণ্ঠনের ফলে সৃষ্ট পরিবেশ সংকটের দায়িত্বভার সাম্রাজ্যবাদ উন্নয়নশীল দেশগুলির ওপর চাপিয়ে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোর সাথে ভারতসহ উন্নয়নশীল দেশগুলির দ্বন্দ্ব তীব্রতর হচ্ছে।
মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে বাজার দখল ও সম্প্রসারণের অভিপ্রায়ে সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোর কার্যধারা আন্তঃসাম্রাজ্যবাদী দ্বন্দ্বের মূল কারণ। যার পরিণতিতে যুদ্ধ। বিশ্ব যুদ্ধ না হলেও আঞ্চলিক যুদ্ধ তো প্রতিনিয়ত ঘটছে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধেও সাম্রাজ্যবাদীদের নিজেদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব পরিলক্ষিত হচ্ছে।
তথাকথিত ঠান্ডা যুদ্ধের অবসানের পরও সমাজতন্ত্র ও সাম্রাজ্যবাদের শুধু বিরাজই করছে না, এই মুহূর্তে তার তীব্র আকার ধারণ করছে। একদিকে সমাজতান্ত্রিক চীনের ক্রমান্বয়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, অত্যন্ত শক্তিশালী অর্থনৈতিক শক্তি হিসাবে চীনের আত্মপ্রকাশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদের উদ্বেগের কারণ। চীনকে অবরুদ্ধ করা, চীনকে সঙ্গীহীন করার সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্তও মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নেতৃত্বে চলছে। চীন-মার্কিন দ্বন্দ্বর বৃদ্ধি যুগের কেন্দ্রীয় দ্বন্দ্ব অর্থাৎ সমাজতন্ত্র বনাম সাম্রাজ্যবাদের তীব্রতর সূচক।
আন্তর্জাতিক লগ্নি পুঁজির আধিপত্যের পর্যায়ে বিশ্বজুড়ে দেশে দেশে শ্রমজীবী মানুষসহ বঞ্চিত, লুন্ঠিত শোষিত মানুষের সংগ্রাম চলছে। সমস্ত পুঁজিবাদী দেশে শ্রমিক, বেকার যুব, বঞ্চিত ও অবহেলিত জনগণ, নারীদের বিভিন্ন ধারার সংগ্রাম চলছে। দীর্ঘমেয়াদী আন্দোলন ও ধর্মঘট কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও সংগঠিত হচ্ছে। শ্রেণী সংগ্রামের তীব্রতা সমস্ত পুঁজিবাদী দেশেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মানব সভ্যতার নিরন্তর বিকাশ ধারায় পুঁজিবাদী ব্যবস্থা বর্তমান সময়ে প্রতিবন্ধক। বিকাশের ধারার প্রয়োজনেই পুঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদের পতন ও সমাজতন্ত্রের জয়লাভ অবশ্যম্ভাবী। কমরেড লেনিনের এটাই তো শিক্ষা। দক্ষিণপন্থী আর কিছুটা শক্তিবৃদ্ধির কালে, সমাজতন্ত্রের অনিবার্যতার প্রতি দৃঢ় আস্থা রেখে প্রতিকূলতার সমস্ত শক্তিকে মোকাবিলা করে অগ্রসর হওয়ার অঙ্গীকারে আবদ্ধ হয়ে কমিউনিস্টদের অগ্রসর হতে হবে – এটাই কমরেড লেনিনের শিক্ষা।
সুশৃংখল, শক্তিশালী পার্টি সম্পর্কে লেনিন
পুঁজির শোষণ চিরতরে বন্ধ করতে পুঁজিবাদী ব্যবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। সর্বহারার নেতৃত্বে বিপ্লবের মধ্য দিয়ে এই পরিবর্তন সংঘটিত হবে। সর্বহারার নিজস্ব সংগঠন অর্থাৎ কমিউনিস্ট পার্টি ব্যতীত এই বিপ্লব সফল হতে পারে না। সাম্রাজ্যবাদের যুগে কমিউনিস্ট পার্টির মূল বৈশিষ্ট্যগুলি সম্পর্কে লেনিনের শিক্ষা আজ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ।
শ্রমিক শ্রেণী ও কৃষকসহ সমস্ত মেহনতী মানুষদের সাথে জীবন্ত সম্পর্ক পার্টির শক্তি নির্ধারণ করে – লেনিনের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা। এই সমস্ত অংশের মধ্যে পার্টি কে গড়ে তুলতে হবে। সংগ্রাম আন্দোলনে ধারায় যারা এগিয়ে আসছেন, শ্রমজীবী মানুষদের সেই প্রতিনিধিদের মতাদর্শগত চেতনায় উন্নীত করে পার্টির সদস্যে রূপান্তরিত করতে হবে। নিষ্ক্রিয়তার কোন প্রশ্ন কমিউনিস্ট পার্টিতে নেই। পার্টির সমস্ত সদস্যকে সক্রিয় হতে হবে। বলিষ্ঠতার সাথে কমরেড লেনিন একথা বারে বারে বলতেন। কমিউনিস্ট পার্টি সদস্যর মাপকাঠি সম্পর্কে রুশ দেশের পার্টির অভ্যন্তরে কমরেড লেনিনের সাথে মার্তভের বিতর্ক আজও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। শুধুমাত্র মৌখিকভাবে পার্টি কর্মসূচিকে স্বীকৃতি জানানোই যথেষ্ট নয়, পার্টির প্রত্যেক সদস্যকে নিরন্তর, প্রবাহমান, দৈনন্দিন পার্টির কার্যধারায় শামিল হতে হবে। নেতৃত্ব থেকে সাধারণ সদস্য সকলের ক্ষেত্রেই এটা হবে প্রযোজ্য। পার্টি সদস্যপদের মাপকাঠি প্রসঙ্গে এটাই ছিল কমরেড লেনিনের সুস্পষ্ট বক্তব্য। লেনিনের এই জোরালো বক্তব্য সমগ্র রুশ পার্টি গ্রহণ করে।
লেনিনের শিক্ষাকে আত্মস্থ করেই ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) পার্টিরসদস্যদের জন্য পাঁচটি ন্যূনতম মাপকাঠি নির্ধারণ করেছে। শ্রমিকশ্রেণী বিপ্লবী পার্টির প্রত্যেক সদস্যের গুণগতমান সুনিশ্চিত করার জন্য এই পাঁচটি মাপকাঠির সর্বশেষ গুরুত্বের কথা সদ্য অনুষ্ঠিত 23 তম পার্টি কংগ্রেস বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে। প্রত্যেক পার্টি সদস্যকে নিয়মিত পার্টি ইউনিটের সভায় উপস্থিত হয়ে নিজের বক্তব্য পেশ করতে হবে, পার্টি আহূত সমস্ত কর্মসূচি-আন্দোলন-সংগ্রামে অংশগ্রহণ করতে হবে, পার্টি পত্রিকা পাঠ করতে হবে ও জনপ্রিয় করতে হবে, পার্টিকে নিয়মিত অর্থ সাহায্য করতে হবে ও পার্টির জন্য জনগণের থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে হবে, পার্টি পরিচালিত কোনো না কোনো সংগঠনে প্রতিটি সদস্যকে কাজ করতে হবে- এই হলো পাঁটি নির্ধারিত পাঁচটি ন্যূনতম কাজ, যা হলো পার্টির সদস্যপদের মাপকাঠি।
বিগত মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ২৬ তম সম্মেলন থেকে দেখা গেছে পার্টি সদস্যের এক উল্লেখযোগ্য অংশ ন্যূনতম এই পাঁচটি কাজ করেন না। নিষ্ক্রিয়তার ব্যাধি পার্টি সংগঠনের অভ্যন্তরে বিরাজ করছে। সদ্য অনুষ্ঠিত ২২ তম পার্টি কংগ্রেসের রাজনৈতিক-সাংগঠনিক রিপোর্টে সমগ্র দেশে পার্টির অভ্যন্তরে নিষ্ক্রিয়তার ব্যাধির কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সমস্ত পার্টির সদস্যর সক্রিয়তা ব্যতিরেকে বিপ্লবী পার্টি গঠন সম্ভব নয়। প্রতিটি পার্টি সদস্যের নিরন্তর সক্রিয় ভূমিকা ব্যতিরেকে গণলাইন সম্পন্ন বিপ্লবী পার্টি হিসাবে সিপিআই(এম)-এর গড়ে ওঠা সম্ভব নয়। অন্তর্ভুক্তির পূর্ব থেকেই পার্টির সদস্যদের ধারাবাহিক মতাদর্শগত-রাজনৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা পার্টি সংগঠনের এক অতি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী মতাদর্শগত আগ্রাসনের মোকাবিলায় সক্ষম এমনভাবে মতাদর্শগতভাবে সমস্ত পার্টি সদস্যর গড়ে ওঠার ওপর ভারতীয় সমাজে বর্তমানের চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করা ও তাকে পরাস্ত করার জায়গায় পার্টিকে পৌঁছে দিতে পারে। মতাদর্শ, রাজনীতি ও সাংগঠনিক দিক দিয়ে পার্টিকে প্রস্তুত করার বিষয়টির প্রতি কমরেড লেনিন বিশেষভাবে জোর দিয়েছেন।
জনগণের বিপুল অংশের সাথে কমিউনিস্ট পার্টির ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের দিকটি সংগঠনের প্রসঙ্গে আলোচনায় কমরেড লেনিন বারবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। শ্রমিক, ক্ষেতমজুর, কৃষক, মহিলা, যুব, ছাত্রসহ বিভিন্ন সংগঠনের কার্যধারা এই লক্ষ্যেই পরিচালনা করা লেনিনীয় সাংগঠনিক পদ্ধতির গুরুত্বপূর্ণ দিক। গনলাইন সম্পন্ন বিপ্লবী পার্টি গঠনের লক্ষ্যে ২৩ তম পার্টি কংগ্রেস থেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। কমরেড লেনিনের শিক্ষাই এক্ষেত্রে দিক নির্দেশক।
কমরেড লেনিনের ১৫৩ তম জন্মদিবসে বিশ্ব সর্বহারার এই অসাধারণ নেতাকে শ্রদ্ধা জানানোর সাথে সাথে আমাদের অঙ্গীকার গ্রহণ করতে হবে। বিশ্বের অন্যান্য পুঁজিবাদী দেশগুলির সাথে সাথে আমাদের ভারতেও মার্কসবাদ-লেনিনবাদের মতাদর্শর তরবারির সাহাজ্যে দক্ষিণপন্থার ভ্রান্ত ও বিকৃত মতাদর্শর বিরুদ্ধে আক্রমণ পরিচালনা করবে সর্বহারার বিপ্লবী আন্দোলন। সন্ত্রাস, হিংসা, প্রতিক্রিয়ার আক্রমণ মোকাবিলায় সক্ষম এমন ভাবে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-কে গড়ে তুলতে হবে। তরুণ প্রজন্মসহ মেহনতী জনগণের সমস্ত অংশের সাথে নিবিড় সম্পর্কই পার্টিকে অপরাজেয় শক্তিতে পরিণত করবে। কমরেড লেনিনের দেখানো পথ ও তার শিক্ষাকে অবলম্বন করেই আমরা অগ্রসর হবো।
পথপ্রদর্শক, শিক্ষক, মহান বিপ্লবী কমরেড লেনিন – আপনাকে অভিবাদন।
২২ এপ্রিল,২০২২ গনশক্তি পত্রিকায় প্রকাশিত লেখা