Lenin 150 – A Memoir

Film name:- LENIN: A SHORT BIOGRAPHY (27 mins)
Direction:- Arunava Ganguly

ভ্লাদিমির ইলিচ উলিয়ানভ (২২ এপ্রিল ১৮৭০ – ২৪ জানুয়ারি ১৯২৪) সারা পৃথিবীতে “লেনিন” নামেই অধিক পরিচিত।

পৃথিবীজূড়ে মানুষ শুধু তাকে স্মরণ করেন তাই নয়, বিশ্ববিপ্লবের একজন পথপ্রদর্শক কিংবা শিক্ষক হিসাবেও তাকে এবং তার অবদান সমুহকে নিজেদের জীবনচর্চাতে বজায় রাখেন। লেনিন তাই একইসাথে মানুষের সংগ্রামের ইতিহাস এবং প্রাসঙ্গিক বর্তমান দুভাবেই সক্রিয় – আজও।


১৮৭০ সালের ২২ এপ্রিল লেনিনের জন্ম হয়, তার জন্মের সার্ধশতবর্ষ উদযাপন শুরু হবে এই বছর।


লেনিন-১৫০ এই শিরোনাম শুধুই এক স্মরণিকা নয় – বরং পুঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদের শিকল ছিঁড়ে ফেলে সমাজবদ্ধ মানুষ, এবং মানুষের মতো মানুষ গড়তে যে লড়াই দুনিয়াজূড়ে আজও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক সেই লড়াইয়েরই একটি অবিচ্ছেদ্য কর্মসূচি।


“লেনিন” তার বিভিন্ন লেখায় নির্মাণ করেছেন সেই সবকিছুর যার উত্তরধিকার এগিয়ে নিয়ে চলেছেন সারা পৃথিবীর সংগ্রামী জনতা এবং কমিউনিস্টরা। সেগুলীর মধ্যে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য পাঁচটি গ্রন্থ হলঃ

১. রাশিয়ায় পুঁজিবাদের ক্রমবিকাশ (১৮৯৯) / The Development of Capitalism in Russia (1899)


২. কি করতে হবে? (১৯০২) / What Is to Be Done? (1902)


৩. জাতিসমুহের আত্মনির্ধারণের অধিকার (১৯১৪) / The Right of Nations to Self-Determination (1914)


৪. সাম্রাজ্যবাদ, পুঁজিবাদের সর্বোচ্চ পর্যায় (১৯১৬) / Imperialism, the Highest Stage of Capitalism (1916)


৫. রাস্ট্র ও বিপ্লব (১৯১৭) / The State and Revolution (1917)

পুঁজিবাদের গ্রাস কিভাবে ভাষা-সংস্কৃতিকে হাতিয়ার করে বিভিন্ন দেশ, জাতিকে গিলে খেতে চায় তা বুঝতে জাতিসমুহের আত্মনির্ধারণের অধিকার (১৯১৪) – বইতে উল্লিখিত এই ছোট অংশটিই যথেষ্ট হবে “পণ্য উৎপাদনের পরিপুর্ন বিজয়ের জন্য অভ্যন্তরীণ বাজার বুর্জোয়াদের দখল করা চাই, থাকা চাই একভাষি জনসমষ্টি অধ্যুষিত রাষ্ট্রীয় সংহতিসম্পন্ন ভুখন্ড, যেখানে সেই ভাষার বিকাশ এবং সাহিত্যে তা রুপায়নের পথে সমস্ত বাধা দূর হয়েছে – এটা হল জাতীয় আন্দোলনগুলীর অর্থনৈতিক ভিত্তি। ভাষা হল লোকেদের মধ্যে আদান-প্রদানের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটা উপায়; আধুনিক পুঁজিতন্ত্রের উপযোগী পরিসরে সত্যিকারের অবাধ এবং ব্যাপক বানিজ্য-আবর্তনের জন্য, আলাদা-আলাদা সবকটি শ্রেণী হিসেবে জনসমস্টির অবাধ আর ব্যাপক জোটবন্ধনের জন্যে, আর পরিশেষে, বাজারের সঙ্গে ছোট-বড় সর্ববিধ ও সমস্ত মালিকের মধ্যে, আর ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের জন্য আবশ্যক অতি গুরুত্বপুর্ন শর্ত হল ভাষার একত্ব এবং অব্যাহত বিকাশ।
তাই, আধুনিক পুঁজিতন্ত্রের এইসব প্রয়োজন যাতে সবচেয়ে ভালভাবে মেটে তেমন জাতীয় রাষ্ট্র গঠন হল প্রত্যেকটি জাতীয় আন্দোলনের প্রবণতা-প্রয়াস। সবচেয়ে গভীর অর্থনৈতিক উপাদানগুলীই সেই দিকে ঠেলে, সেইজন্যে সমস্ত পশ্চিম ইউরোপের ক্ষেত্রে, শুধু তাই কেন, সমগ্র সভ্য দুনিয়ার ক্ষেত্রে পুঁজিতান্ত্রিক পর্বের পক্ষে জাতীয় রাষ্ট্রই টিপিক্যাল, স্বাভাবিক।” …

প্রগতি প্রকাশন, মস্কো ( ISBN 5-01-000801-7)

এই লেনিন-কে ভুলিয়ে দেবার উদ্দেশ্যেই মিথ্যার প্রচার, কুৎসা এবং ইতিহাসের বিকৃতি ঘটানোর জন্য পুঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদী চক্র আজও সক্রিয়। তারা চায় মানুষের চেতনা থেকে লেনিন’কে মুছে দিতে, যাতে সেই চেতনার উপরে লুঠ এবং মুনাফার আস্তরন চাপিয়ে তাদের সামাজিক অবস্থান, কায়েমি শ্রেনিস্বার্থ বজায় থাকে। এরই বিপ্রতিপে দুনিয়াজুড়ে মানুষ লেনিন’কে স্মরণে রেখেছেন। সেই লড়াইকে জারী রাখতে হবে, আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

লেনিন কে জানুন, লেনিন কে পড়ুন – তার অনুসারী হন।

এই উদ্দেশ্যেই পরিচালক অরুনাভ গঙ্গোপাধ্যায় ২০০৮ সালে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন যার নাম “লেনিন”। সেই তথ্যচিত্র আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চেও প্রদর্শিত হয়। সেই তথ্যচিত্রকেই ২২ এপ্রিল ২০২০, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)’র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত হবে সবার জন্য।

বর্তমানে সারা দেশে এবং আমাদের রাজ্যেও করোনা সংক্রমনের প্রতিরোধে লকডাউন ঘোষণা হবার কারনে প্রকাশ্যে এই দিন সম্মিলিত কোন বড় জমায়েত সম্ভব নয়, কিন্তু রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তে কমরেড লেনিনের জন্মদিবস পালনের জন্য পার্টির কর্মী, সমর্থক এবং সাধারণ মানুষ ইচ্ছুক। লকডাউনের বিধি মেনেই যাতে তারা এই কর্মসূচি পালন করতে পারেন সেই উদ্দেশ্যেই সবার জন্য এই উদ্যোগ।

Spread the word

Leave a Reply