২১শে জুন ১৯৭৭ সালে আমাদের রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বামফ্রন্ট সরকার। প্রথম থেকেই এই সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, কুৎসা, ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে নামে প্রতিক্রিয়ার শক্তি। একের পর এক ভুয়ো, ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে কাদা ছোঁড়ার রাজনীতি করেছে পশ্চিমবঙ্গের বাম বিরোধী রাজনৈতিক গোষ্ঠী। বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে তাদের সেই অভিযোগগুলীকে বারে বারে ভিত্তিহীন, অসার এবং মূলত মিথ্যা প্রমান করে দেওয়া হয়েছে। তবু জনমানসে সেই সব ঘটনা নিয়ে রটনা, কুৎসার প্রচার চালানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের জনগণের সেই সব ঘটনার আসল সত্য জানা উচিত।
একটা ছোট উদাহরণ দিয়েই স্পষ্ট করা যায় কিভাবে এ রাজ্যে বাম বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি মিডিয়ার সাথে হাত মিলিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে।
৩০মে ১৯৯০ দক্ষিণ পূর্ব কলকাতার প্রান্তে বানতলার ঘটনায় প্রত্যেকের বিচারে যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়। দোষী ৬জনের কেউই আইনের হাত থেকে রেহাই পায়নি। এঁদের কেউ-ই সিপিআই(এম) -এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।
গণশক্তির ৪ঠা জুন ১৯৯০ দুই সাংসদ বিপ্লব দাশগুপ্ত ও মালিনী ভট্টাচার্যের বিবৃতি পড়ে নেওয়া যেতে পারে ।
রাইটার্স -এ জ্যোতিবাবুকে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করে আপনি কি মনে করেন না যে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙ্গে পড়েছে?
উনি বলেছিলেন, “নো ইট হ্যাপেনস।এটা একটা ব্যতিক্রম। সমাজবিরোধীরা এরকম করে , তাদের শাস্তি দেয়া হয়।”
আনন্দবাজার চালু করে দেয় বানতলা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জ্যোতিবাবু বললেন, এমনটা তো হয়েই থাকে।
এভাবেই মানুষের মধ্যে বামপন্থীদের সম্পর্কে ঘৃণা ছড়ানোর রাজনীতি করা হয়েছে। এই সংস্কৃতি শুধু এই রাজ্যের বিষয় নয়, সারা দেশে এমনকি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলিও সারা পৃথিবীতেই সমাজতান্ত্রিক দেশগুলী সম্পর্কে মানুষের মনে বিভ্রান্তি, ঘৃণার প্রচার করে এসেছে।
তাই মানুষকে জানাতে হবে সত্যি ঘটনা, প্রকৃত তথ্য। সেই উদ্দেশ্যেই এন বি এ (ন্যাশনাল বুক এজেন্সি) থেকে প্রকাশিত হয় “সেই মিথ্যাচার আজও চলছে” শিরোনামে একটি বই। শুধু বামপন্থী মানুষজন কিংবা সংগঠনের কর্মীরাই নন, এই তথ্যগুলি জানা উচিত শুভবুদ্ধি সম্পন্ন প্রত্যেকের। মানুষকে সাথে নিয়ে প্রগতির লড়াইতে এগিয়ে যেতে আমাদের সবাইকেই সাহসে ভর করে সংগ্রামে নামতে হবে। বামফ্রন্টই রাজ্যে প্রকৃত বিকল্প এই কথা জোরের সাথে বলতে হবে প্রকৃত তথ্য সহ।
নিচের লিংকে ক্লিক করে “সেই মিথ্যাচার আজও চলছে” বইটির পিডিএফ ভার্সন ডাউনলোড করুন।