CPI(M) state Secretary Suryakanta Mishra has demanded that the census must be postponed …

সিপিআই(এম)’র রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র দাবি জানিয়েছেন ,করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সবকিছু যখন সরকার বন্ধ করে দিচ্ছে তখন আগামী ১ এপ্রিল থেকে জনগণনার যে কাজ শুরু হওয়ার কথা তাও পিছিয়ে দেওয়ার হোক। বুধবার সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন,” মোদী সরকার জনগণনার সঙ্গে এনপিআর’কে যুক্ত করে দিয়েছে। সেই জন্য আমরা আগেই বলে দিয়েছি যে ‘নো এনপিআর’, আমরা এনপিআর মানব না। জনগণনায় আমাদের আপত্তি নেই। এখনও আমরা সেই অবস্থানেই রয়েছি। কিন্তু করোনা সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা জনগণনার কাজ আপাতত স্থগিত রাখতে বলছি। এখন যাতে সামগ্রিক পরিস্থিতিতে কোনও উত্তেজনা বা বিতর্ক সৃষ্টি না হয় তার জন্যই এটা স্থগিত রাখা দরকার। কিছুদিন পরে জনগণনার কাজ শুরু করলে কোনও ক্ষতি হবে না। স্কুল কলেজ, পৌরনির্বাচন সবকিছু সরকার সঠিকভাবেই বন্ধ করে দিয়েছে, আমরা এসব পদক্ষেপ সমর্থনও করেছি। করোনো সংক্রমণ মোকাবিলার সময় অযথা জনগণের মধ্যে অন্য কোনও উদ্বেগ তৈরি করাটা ঠিক হবে না বলেই জনগণনা পিছিয়ে দেওয়ার দাবি করছি। ”

সূর্যকান্ত মিশ্র রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি করেছেন,” জনগণকে দুশ্চিন্তামুক্ত করতে মুখ্যমন্ত্রীকে সরকারিভাবে ঘোষণা করতে হবে যে এরাজ্যে এনপিআর হবে না। অনেক রাজ্যই তো বলেছে যে এনপিআর করবে না। আমাদের মুখ্যমন্ত্রীও সরকারিভাবে ঘোষণা করে দিন যে রাজ্য সরকারের কোনও কর্মী এনপিআর’এর কাজে যুক্ত হবেন না। ”

এদিনই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান এবং বামপরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী যুক্তভাবে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে এবং এনপিআর বাতিলের দাবি করেছেন। চিঠিতে তাঁরা বলেছেন, রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের জনগণনা শাখার একজন অতিরিক্ত সচিব এনপিআর’এর কাজ সাময়িক স্থগিত রাখার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। কিন্তু বিধানসভায় আলোচনা করে এই বিষয়ে কোনও প্রস্তাব গ্রহণ করা অথবা রাজ্য সরকারের সর্বোচ্চ স্তর থেকে সার্বিক কোনও নির্দেশ আজও জারি হয়নি। 

এনআরসি করার লক্ষ্যে এনপিআর তৈরির যে দূরভিসন্ধিমূলক উদ্দেশ্য কেন্দ্রীয় সরকারের রয়েছে তার উল্লেখ করে মান্নান এবং সুজন চক্রবর্তী চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি করেছেন, জনগণনার কাজের সাথে এনপিআর যুক্ত করা চলবে না। পশ্চিমবাংলায় এনপিআর কার্যকর করা চলবে না এই মর্মে যথাযথ সরকারি সিদ্ধান্ত সরকারের সর্বোচ্চ স্তর থেকে নির্দেশনামায় জারি করতে হবে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষিতে জনগণনার কাজ পিছিয়ে দেওয়া হোক। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯ বাতিলের জন্য অবিলম্বে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক। 

Spread the word

Leave a Reply