দারুণ সঙ্কটে পড়েছেন মাল মহকুমার মানাবারি চা বাগানের শ্রমিকরা।
একসময় পাশের বস্তি ও গ্রাম এলাকার অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখা এই বাগানের শ্রমিকরা এখন অন্ধকারের দিকে।৭০০ শ্রমিকের এই বাগানের বেহাল অবস্থায় আতঙ্কে ভূগছেন শ্রমিকরা।প্রায় চার বছর আগে বোনাসের ঝামেলাকে কেন্দ্র করে বাগান কার্যত বন্ধ।করোনা আতঙ্কের থাবায় এই চা বাগানের শ্রমিকরা এখন না খাওয়া অবস্থার মধ্যে আছে।বাগানে সরকার থেকে শেষ যে রেশন দেওয়া হয়েছিল তা এখন তলানিতে। বাগান বন্ধ হওয়ার পর বেশ কিছু শ্রমিক বাইরে চলে যায় কাজ করতে।কিছু নদীতে পাথর ভাঙার কাজ করে সংসার চালাতো।তাছাড়া বাগানের কাঁচাপাতা তুলে অন্য বাগানে বিক্রি করে কোনরকমে দিন গুজার হতো। বাইরে কাজ বন্ধ,নদীতে পাথর ভাঙার কাজ আর নেই।বন্ধ কাঁচা পাতি তোলা।
বাগানের শ্রমিক বিষ্ণু ওঁরাও বললেন অনেকের ঘরে খাওয়ার নাই। গাছের পাতা, কচুপাতা সিদ্ধ করে চলছে খাওয়া।অসুখ হলে চিকিৎসা করার ক্ষমতা নাই।সরকারি রেশন নাই।পঞ্চমী ওঁড়াও নামে এক মহিলা শ্রমিক জানালেন অঙনাওয়ারী কেন্দ্র থেকে আলু,চাল পাওয়া গেছে।সেই চালের মাড়,ঠেকি শাক জোগাড় করে মাড় ভাত খাচ্ছেন অনেকে।এই অবস্থায় মালের বিধায়ককে বলা হয়েছে। তিনি দেখবেন বলেছেন।ওদলাবাড়ি লাগোয়া এই বাগান হওয়ায় শ্রমিকরা জেনে গেছেন কোথাও কোথাও চাল ডাল আলু পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।এক শ্রমিক বললেন তাদের বাগানে তো কেউ দিতে আসলো না আমরা কি না খেয়ে মৃত্যুর দিকে যাব? এ ব্যাপারে মাল মহকুমা শাসক শান্তনু বালা বলেন ১ এপ্রিল থেকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে।তার আগে জরুরি হলে মাল বিডিওকে জানাতে হবে।