CPIMCC

Central Committee Communique

সোমবার, ৭ই অগাস্ট- ২০২৩

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-র কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক শেষ হয়েছে। গত ৪-৬ই অগাস্ট, নয়া দিল্লিতে এই বৈঠক হয়। কেন্দ্রীয় কমিটির বিবৃতি-

মনিপুর

তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে মণিপুরে জাতি বিদ্বেষ ও সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ চলছে। ইতিমধ্যেই একশোরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, হাজার দশেক পরিবার ঘরছাড়া হতে বাধ্য হয়ে বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে, তারা কার্যত অমানবিক অবস্থায় বেঁচে রয়েছেন। পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি এমন ঘটনায় তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছে। মনিপুরের ঘটনায় রাজ্য সরকারের নিন্দনীয় ভূমিকা যথেষ্টই স্পষ্ট। এখনও অবধি এমন ঘটনার নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি শব্দও উচ্চারন করেননি, কেন্দ্রীয় সরকারও কোনোরকম কার্যকরী ভূমিকা পালন করেনি। এহেন নৈশব্দের ফলেই পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল আকার নিয়েছে, যত দিন যাচ্ছে মণিপুরের অবস্থা ততই নৈরাজ্যের দিকে এগোচ্ছে। পরিস্থিতির দায় এড়িয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রী সংসদে অনুপস্থিত থাকার কৌশল নেওয়ায় সংসদীয় অধিবেশনের যাবতীয় কাজই থমকে গেছে। মণিপুরের ঘটনা যেভাবে উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও প্রভাব ফেলছে তাতে আগামিদিনে ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হবে।

মণিপুরে শান্তি ও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানোর সাথে মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহের পদত্যাগও দাবী করছে কেন্দ্রীয় কমিটি। 

সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ বৃদ্ধির ঘটনাবলী

হরিয়ানায় সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনাঃ

হরিয়ানার রাজ্য সরকার নির্মম কায়দায় বুলডোজারের রাজনীতি চালাচ্ছে। মেওয়াত অঞ্চলে শুরু হওয়া সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা প্রথমে নুহ পরে গুরুগ্রাম হয়ে অন্যান্য স্থানেও ছড়িয়ে পড়েছে। এইসব ঘটনায় জড়িত অপরাধী এবং উস্কানিদাতাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার পরিবর্তে সে রাজ্যের বিজেপি সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কেই নিশানা করছে। মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষদের দোকান ও ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলা শুরু হয়েছে। যাদের ঘরবাড়ি, দোকানপাট ইত্যাদি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে তাদের অনেকেরই আইনি মালিকানার নথি রয়েছে, এমনকি কারও কারও কাছে আদালতের তরফে জারি করা স্থগিতাদেশ অবধি রয়েছে। তা সত্ত্বেও, রাজ্য সরকার এমন ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপ নিয়েছে। গত চার দিন ধরে চলা ঘরবাড়ি সহ অন্যন্য সম্পত্তি ধ্বংসে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে ইতিমধ্যেই পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ জারী করেছে।

ঘৃণা ও বিদ্বেষজনিত অপরাধঃ

চলন্ত ট্রেনে তিনজন মুসলমান যাত্রীকে রেলওয়ে সুরক্ষা কর্মীর গুলিতেই খুন হতে হয়েছে, এমন অমাবনবিক ঘটনা ঘৃণা ও বিদ্বেষজনিত অপরাধের একটি অন্যতম উদাহরন। মুসলমান সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সারা দেশে আরএসএস-বিজেপি যেভাবে জঘন্যতম বিদ্বেষ ও ঘৃণার প্রচার চালাচ্ছে, ঐ ঘটনা তারই ফল। ভারতের সাধারণতান্ত্রিক কাঠামোকে ধ্বংস করতে হিন্দুত্বের বিষাক্ত রাজনীতি যে জঘন্য কৌশল নিয়েছে তার বিরুদ্ধে এবার গোটা দেশের একসাথে জেগে ওঠার সময় এসেছে।    

জ্ঞানবাপি মসজিদের ঘটনাঃ

উপাসনাস্থলের কাঠামো সম্পর্কে ১৯৯১ সালের আইনে স্পস্ট বলা রয়েছে স্বাধীনতার সময় বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনাস্থলগুলী ঠিক যে অবস্থায় ছিল সেগুলিকে সেভাবেই বিবেচনা করতে হবে। অযোধ্যার জমি সংক্রান্ত মামলার রায় ঘোষনার সময়ও সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিল ঐ মামলাটি সংশ্লিষ্ট আইনের একমাত্র ব্যতিক্রম হিসাবে দেখতে হবে, অন্যান্য সমস্ত ক্ষেত্রে ১৯৯১ সালের আইনই প্রযোজ্য হবে। গত ৩রা অগাস্ট এলাহাবাদ হাইকোর্ট আর্কিয়লজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে জ্ঞানবাপি মসজিদে জরীপ চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি এমন ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এই পরিস্থিতিতে ১৯৯১ সালের রায়কেই চূড়ান্ত বলে বারে বারে ঘোষনা করা সত্বেও এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ে কেন সুপ্রিম কোর্টের তরফে এখনও স্থগিতাদেশ জারী করা হয়নি তা রহস্যজনক। উপাসনাস্থলের কাঠামো সংক্রান্ত ১৯৯১ সালের আইনকেই অবিলম্বে সারা দেশের জন্য সাধারণ আইন হিসাবে কড়া হাতে প্রয়োগ করতে হবে বলে দাবী জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় কমিটি।

যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত

রাজকোষ সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাঃ

সরকারী ঋণের (পাবলিক বরোয়িংস)-র সংজ্ঞাই বদলে দিয়েছে মোদি সরকার। এর ফলে রাজ্য সরকারগুলির উপরে আরও বেশি আর্থিক সংকটের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। নয়া নিয়মের জোরে বাজেট বহির্ভুত (অফ-বাজেট) এবং বাজেটের অতিরিক্ত ধারসমুহকে এবার থেকে সরকারী ঋণের অংশ হিসাবেই বিবেচনা করা হবে। তবে সেই কানুন কেন্দ্রীয় সরকারী ঋণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না! এমনকি নয়া নিয়মের জোরে ইতিমধ্যে বাজার থেকে গৃহীত ঋণগুলিকেও এই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এতে রাজ্যগুলির উপরে ভয়ানক চাপ তৈরি হবে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় কেরালার ক্ষেত্রে এমন নিয়মের ফলে রাজ্য সরকারের তহবিলে বিপুল পরিমান ঘাটতি দেখা দেবে৷ ইতিমধ্যেই কেরালায় রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য অনুমোদিত বাজেটে ১৭,৩১০ কোটির এক বিশাল ঘাটতির কথা ঘোষনা করা হয়েছে, নয়া বিধির ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল চেহারা নেবে। এমন সিদ্ধান্তে রাজ্যগুলির সাংবিধানিক অধিকারের ওপর মারাত্মক আঘাত নামিয়ে আনা হল।

দিল্লীর জন্য নির্দেশিত অধ্যাদেশ (অর্ডিন্যান্স):

দিল্লী রাজ্য সরকারের অধিকার প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়কে বাতিল করার জন্য মোদী সরকার একটি অধ্যাদেশ জারি করেছে। রাজ্য সরকারের অধিকার খারিজ করে তাদের উপরে নিজেদের কর্তৃত্ব চাপিয়ে দিতে এমন অধ্যাদেশ জারী করা কার্যত এক নির্লজ্জ পদক্ষেপ ছাড়া আর কিছুই না। দিল্লীতে কর্মরত আমলাদের নিয়ন্ত্রণ ও রাজ্য পরিচালনার প্রধান প্রধান ক্ষেত্রগুলিতে সেই রাজ্যের নির্বাচিত সরকারের সাংবিধানিক অধিকারকেই নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। আমলাদের নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকারের বদলে একটি পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের হাতে ক্ষমতা থাকবে বলে উল্লেখ রয়েছে ঐ অধ্যাদেশে। এ কেবল আদালত অবমাননাই নয়, দেশের সংবিধানের যুক্তরাষ্ট্রীয় (ফেডারেল) বৈশিষ্টেও আঘাত। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সরকার পরিচালনা প্রসঙ্গে নির্বাচিত সরকারের জবাবদিহির দায় থাকে- সুপ্রিম কোর্ট সেকথা বারে বারে মনে করিয়ে দিয়েছে। দেশে গণতান্ত্রিক শাসনের যে মানদণ্ড নির্ধারিত রয়েছে এমন কর্তৃত্বকারী অধ্যাদেশ (অর্ডিন্যান্স) জারী করে তার উপরেই সরাসরি আক্রমণ চালানো হয়েছে।

লোকসভায় একচেটিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবং রাজ্যসভায় বিজেডি, ওয়াইএসআরসিপির ন্যায় আঞ্চলিক দলগুলির সমর্থনের জোরে এমন নির্লজ্জ বিধিকে আইন হিসাবে প্রণয়ন করতে সক্ষম হয়েছে।

জাতীয় সম্পদের লুঠঃ

মোদী সরকার আসলে কর্পোরেট-সাম্প্রদায়িক শক্তির আঁতাত। এদের শাসনে নিত্য-নতুন আইন প্রণয়ন করে জাতীয় সম্পদ লুটপাটকে বৈধ ঘোষনা করা চলছে। জাতীয় সম্পদের ঢালাও বেসরকারীকরণের উদ্দেশ্যে সংসদীয় রীতিনীতিকে খারিজ করে গুরুত্বপূর্ণ নানা বিল পাস করানো হচ্ছে। যেমন ২০২৩ সালের বন (সংরক্ষণ) সংশোধনী আইন। উন্নয়নের দোহাই দিয়ে কর্পোরেটদের প্রাকৃতিক সম্পদ লুটে সহায়তা দিতেই ঐ আইনে বিবিধ ব্যতিক্রমী সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এমন আইনের সুবাদে বনসম্পদ উজাড় হবে যা দেশের জলবায়ুতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। একই উদ্দেশ্যে খনি ও খনিজসম্পদ সংক্রান্ত (উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ-২০২৩ সংশোধনী) আইন পাস হয়েছে। লিথিয়াম সহ গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান খনিজ সম্পদগুলীকে ব্যক্তিগত খনি মালিকানার অধিকারের আওতায় নিয়ে আসে। সমুদ্রতীরবর্তী এলাকা (উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সংশোধনী, ২০২৩) আইন পাস করানো হয়েছে যা অপরিশোধিত তেলের খনি অনুসন্ধানে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন শিল্পদ্যোগকে বিশেষ সুযোগ ও সুবিধা দেবে।

মহিলা ও শিশুদের উপরে আক্রমণের ক্রমবর্ধমান ঘটনাবলীঃ

ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো হতে প্রাপ্ত তথ্য বলছে গড় হিসাবে ভারতে প্রতিদিন ৮৬টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। ২০২১ সালে মহিলাদের বিরুদ্ধে সংগঠিত অপরাধের গড় হিসাব প্রতি ঘণ্টায় ৪৯টি। ২০২০ সালে মোট ২৮০৪৬টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল, ২০২১ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৩১,৬৬৭টি। ঐ একই পর্বে মহিলাদের বিরুদ্ধে সংগঠিত অপরাধ বেড়ে হয়েছে ৪,২৮১২৭৮, তার আগের বছর যা ছিল ৩,৭১,৫০৩। বহু ঘটনাতেই জড়িতদের মোদী সরকারের তরফে কার্যত সমর্থন যুগিয়ে দেওয়া হয়েছে, এর ফলে অপরাধীদের শাস্তি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার এক প্রচলন দেখা দিচ্ছে।    

প্রকৃত তথ্য এড়িয়ে যাওয়ার মনোভাব
জাতীয় স্বাস্থ্য সমীক্ষার ষষ্ঠ পর্যায়ে যেভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ও অ্যানিমিয়া সংক্রান্ত বিবিধ প্রশ্নকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি সেই প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়।

পূর্ববর্তী সমীক্ষা থেকে জানা যায় ভারতে ৫৭ শতাংশেরও বেশি মহিলা এবং ৬৭ শতাংশেরও বেশি শিশু রক্তাল্পতায় ভুগছে। মা ও শিশুমৃত্যুর ঘটনায় অন্যান্য কারণের মধ্যে রক্তাল্পতাও একটি অন্যতম জরুরী বিষয়। শারীরিক অক্ষমতা সম্পর্কিত বিবিধ প্রশ্নগুলি বাদ দেওয়ার অর্থ জনস্বাস্থ্যে উন্নতির বদলে কার্যত পিছিয়ে যাওয়া।

সঠিক তথ্যের প্রতি অবজ্ঞা ও জনসমক্ষে তার প্রচার হওয়ার ভয়ে চুপ থাকাকেই শ্রেয় মনে করে মোদী সরকার। জনগণনার মাধ্যমে জরুরী বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের গুরুত্বপূর্ণ কাজটি বিশ্বের অন্যান্য দেশে স্বাভাবিকভাবেই চলে, অথচ আমাদের দেশে তা অনির্দিষ্টকালের জন্য বিলম্বিত হয়ে চলেছে।

মোদী সরকার সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর পপ্যুলেশন সায়েন্সেসের পরিচালক কে এস জেমস’কে বরখাস্ত করেছে। ঐ সংস্থা জাতীয় স্তরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সমীক্ষা পরিচালনা করে। সেইসব সমীক্ষায় যেসকল তথ্য উঠে এসেছে তাতে মোদী সরকারের অনেক গালভরা দাবীই ভুল প্রমানিত হয়ে যাবে বলেই জেমস’কে বরখাস্ত করা হয়েছে। মোদী সরকার অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে ভারতকে ‘প্রকাশ্যে মলত্যাগ মুক্ত’ দেশ বলে ঘোষনা করেছে, জেমস’দের সমীক্ষা সেই দাবিকে নস্যাৎ করে দেয়।

আদিবাসী জনসাধারণের সংগঠিত বিক্ষোভ প্রসঙ্গেঃ

ভারতে আদিবাসীদের জল-জঙ্গল-জমির অধিকার বহু পুরানো। সম্প্রতি মোদী সরকার বন সংরক্ষণ (সংশোধনী, ২০২৩) আইন জারী করেছে যা সেই অধিকারকে খারিজ করে। তারা অভিন্ন দেওয়ানী বিধি প্রণয়নের কথাও প্রচার করছে। এমনসব আইনের জোরে আদিবাসী ও অন্যান্য অংশের জন্য বনসম্পদের অধিকার আইন সহ দেশের সংবিধান স্বীকৃত অনেক অধিকারই কেড়ে নেওয়া হবে।

কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বানঃ

১. মূল্যবৃদ্ধি ও চাকরীর দাবিতে পার্টির সমস্ত ইউনিট আগামী সেপ্টেম্বর মাসের ১ থেকে ৭ তারিখ অবধি দেশজোড়া প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে।

২. যত দ্রুত সম্ভব সমস্ত বামদলগুলী একত্রে চার্টার অফ ডিম্যান্ড প্রস্তুত মারফত একটি জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন করবে।  

৩. কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলী এবং সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার যৌথমঞ্চ থেকে ঘোষিত কর্মসুচিসমুহকে সমর্থনের জন্য সকলকে আহ্বান জানানো হচ্ছে।

৪. আগামী ৫ই অক্টোবর দিল্লীতে সারা ভারত মহিলা সমিতির পক্ষে আয়োজিত সমাবেশে সমর্থনের আহ্বান জানানো হচ্ছে।

Spread the word

Leave a Reply