২৭ মার্চ ২০২২ (রবিবার) এই দুনিয়ার চালিকাশক্তি যে শ্রমজীবীরা, যারা তাদের শ্রমের বিনিময়ে আমাদের সকলের খাদ্যের যোগান দিয়ে থাকে তাদের

২৭ মার্চ ২০২২ (রবিবার) এই দুনিয়ার চালিকাশক্তি যে শ্রমজীবীরা, যারা তাদের শ্রমের বিনিময়ে আমাদের সকলের খাদ্যের যোগান দিয়ে থাকে তাদের
২৪ মার্চ ২০২২, বৃহস্পতিবার সুনয়না ঘুম থেকে উঠে খবরের কাগজটা হাতে নিয়েছিল, হঠাৎ মনে পড়ে গেল আজ অফিস তাড়াতাড়ি পৌঁছাতে
২৪ মার্চ ২০২২, বৃহস্পতিবার আগামী ২৮ – ২৯ মার্চ দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটের আহ্বান জানিয়েছেন সারা দেশের ট্রেড ইউনিয়নগুলি, সংযুক্ত কিষান
দেশটা আমাদের ,একে রক্ষা করতে হবে আমাদেরই। দেশরক্ষার কাজে সামিল করতে হবে দেশের ব্যপকতম যুবসমাজকে। বিপথগামিতার পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে ভুল পথে চলা যুবদের। আমরা তা পারব।
আগামী ২৮-২৯ মার্চ ২০২২ এর এই সাধারণ ধর্মঘটকে গুণগতভাবে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে হবে এই স্বৈরাচারী ও ধ্বংসাত্মক সরকার কে চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য, দৃঢ়তার সাথে এগিয়ে যেতে হবে আরো উন্নত চেতনার দিকে যার মাধ্যমে এই নয়া উদারবাদের রাজনীতিকেই সাফল্যের সাথে মোকাবিলা করে পরাজিত করা সম্ভব হয় দেশ এবং দেশের মানুষকে বাঁচানোর স্বার্থে।
এই সাধারণ ধর্মঘট ১৯৯১ সালে নয়া উদারনীতি পর্বের আরম্ভের পরে একবিংশতিতম ধর্মঘট হতে চলেছে। এই তিন দশকের লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, প্রতিটি সাধারণ ধর্মঘটের মধ্য দিয়ে এবং তার মধ্যে শিল্প ও পরিষেবা ক্ষেত্রে সংগঠিত ও অসংগঠিত অংশ মিলিয়ে অসংখ্য নির্দিষ্ট দাবি আদায়ের লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে, ট্রেড ইউনিয়ন সমূহের সংযুক্ত মঞ্চ গড়ে উঠেছে, সম্প্রসারিত হয়েছে, এবং শেষ পর্যন্ত ২০০৯ সালে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলিকে এক ছাতার নীচে আনতে সক্ষম হয়েছে।
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ২৬ তম সম্মেলনের মঞ্চে উপস্থিত হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। এই রাজ্য সারা দেশে বাম আন্দোলন তথা কমিউনিস্ট পার্টি নির্মাণের কাজে অন্যতম নির্ণায়ক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে। এই রাজ্যে আমাদের পার্টির নেতৃত্বে শ্রেণী এবং জনগণের লড়াই, আন্দোলন, সংগ্রামের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের নির্মাতা।
সংগঠনকে সময়োপযোগী করতে হবে। একথা পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির আলোচনাতেও এসেছে, পার্টি কংগ্রেসের খসড়া প্রতিবেদনেও আমরা সেই নিয়ে নির্দিষ্ট প্রস্তাব রেখেছি।
২৬ তম রাজ্য সম্মেলনে পেশ হওয়া খসড়া রাজনইতিক-সাংগঠনিক প্রতিবেদনের উপর আলোচনা শুরু হয়। পার্টি সংগঠন, পার্টি লাইন, আগামী দিনের লক্ষ্য ও কর্তব্য পালনে সাফল্য-ব্যর্থতা সহ গোটা রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তে জনজীবনের দুঃখ–যাত্রা-সংগ্রামের কথা উঠে আসে প্রতিনিধীদের আলোচনায়।
পতাকা উত্তোলন ও শহীদ বেদীতে মাল্যদানের মধ্য দিয়ে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ২৬ তম সম্মেলনের সূচনা হল। পতাকা উত্তোলন করলেন পলিট ব্যুরো সদস্য বিমান বসু।
১৫-১৭ মার্চ, কলকাতায় হতে চলেছে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-র ২৬তম রাজ্য সম্মেলন। ব্রিটিশ শাসনে থাকা ভারতের অবিভক্ত বাংলায় কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম রাজ্য সম্মেলন হয় ১৯৩৪ সালে। মেটিয়াবুরুজে। সর্বহারা-কৃষক মেহনতি মানুষের স্বার্থে শ্রেণিসংগ্রাম, গণআন্দোলন পরিচালনায় এই রাজ্যে কমিউনিস্ট আন্দোলনের ইতিহাস উজ্জ্বল। রয়েছে ঘুরে দাঁড়ানোর অনন্য নজির। মেটিয়াবুরুজ থেকে কলকাতা। প্রথম থেকে ২৬তম সম্মেলন। সেই ইতিহাসেরই গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য রাজ্য ওয়েবডেস্কের পক্ষ থেকে প্রকাশিত হল চারটি পর্বে। আজ চতুর্থ, তথা শেষ পর্ব।