মোদী সরকার এই হাহাকারের দায় কখনোই এড়িয়ে যেতে পারে না কারন যে “খোলাবাজারের” উদারবাদী নীতিতে আমাদের দেশে টিকার উৎপাদন সম্পাদিত হয়েছে তাতে এমনটাই ছিল অবশ্যম্ভাবী। জনগণের টাকায় টিকার গবেষণা চলেছে অথচ যখন প্রয়োজন এলো সেই গবেষণালব্ধ টিকা হয়ে গেল বেসরকারি মালিকানাধীন পণ্য! আর কে না জানে পণ্য উৎপাদন এবং তার মূল্য নির্ধারণের আগাগোড়া সবটাই অমানবিক!
Category: Campaigns & Struggle
Left Parties Call: Protest Fortnight
বামদলগুলির পক্ষে সমস্ত রাজ্য ইউনিটগুলির উদ্দেশ্যে আহ্বান জানানো হচ্ছে যাতে কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সমস্ত প্রয়োজনীয় সতর্কতা এবং বাধ্যবাধকতা মেনে এবং নিজেদের রাজ্যের নির্দিষ্ট পরিস্থিতি বিচার করেই উপরোক্ত বিষয়গুলিতে একপক্ষকাল ব্যাপি যথোপযুক্ত প্রতিবাদ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেন।
“When I give food to the poor, they call me a saint. When I ask why the poor have no food, they call me a communist.” And Marx…
এ কাজ কি এনজিও-দের মতো? মিশনের মতো? সংস্কারবাদে বেপথু? হাত গুটিয়ে বসে থাকাই শ্রেয়তর ছিল তাহলে? রাষ্ট্রকে দায়িত্ব পালনের দাবি জানানো এবং চে-বর্ণিত ‘ভুল’ না করা একসঙ্গেই চলার কথা নয় কি? অসহায়, দিকভ্রান্ত মানুষের পাশে যে দাঁড়াচ্ছে তার হৃদয়ের উত্তাপ কি ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েনি সমাজে, নাড়িয়ে দেয়নি এক পক্ষাঘাতকে? স্বতঃস্ফূর্ততার উপাদানেই ক্রমশ মিশবে পরিকল্পনা। আমূল সামাজিক রূপান্তরের স্বপ্ন দেখি বলে এখন দিবাস্বপ্ন দেখব, এ কোনও কাজের কথা নয়। ওই ‘রেড’ মাথায় নিয়ে অনেককে সঙ্গী করে চলাই এদিনের কাজ।
” I Came, I Saw, I Conquered” : Two Years Of Modi Era
বিগত দু’ বছর ধরে এ দেশের মানুষ এবং আমাদের সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র এক ভয়াবহ সময় অতিবাহিত করছে। আজ সময় আগত যে সকল মানুষ ভারতের সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র, তার মানুষের জীবন, জীবিকা, জীবনযাত্রার মান রক্ষা করতে ইচ্ছুক, মানুষের অলঙ্ঘনীয় সাংবিধানিক সমানাধিকার এবং অন্যান্য অধিকারসমূহকে, ব্যাক্তিস্বাধীনতা কে রক্ষা করতে ইচ্ছুক, যারা সাংবিধানিক সকল মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিরোধ গ’ড়ে তুলে ভারতের সাধারণতন্ত্র এবং ভারতীয় মানুষের উপর এই আক্রমণ কে প্রতিহত করতে হবে।
Rescind Latest Dangerous and Retrograde IT Act Rules
অ্যাপের সুরক্ষাবিধিকে দুর্বল করে দিয়ে জনগনের ব্যাক্তিগত মেসেজের তথ্যকে সরকারের পক্ষে নজরদারি চালানোর লক্ষ্যে সহজলভ্য করে দেওয়ার আইন এক ভয়ানক এবং পশ্চাদপদ মানসিকতার পরিচয় দেয়। নাগরিকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকারকে লঙ্ঘন করে এহেন আইন আসলে এক শক্তিশালী পুলিশি রাষ্ট্রের অভিমুখে এগোনোর পথে চলা। সিপিআই(এম)-এর পলিট ব্যুরো এমন সকল আইন অবিলম্বে খারিজ করার দাবী জানাচ্ছে।
“The Bowstring Strikes” – Somnath Bhattacharya
ফরাসি বিপ্লব(১৭৮৯) এবং নভেম্বর বিপ্লব(১৯১৭) এর মধ্যবর্তী সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সংগ্রাম ছিল প্যারি কমিউন(১৮মার্চ থেকে ২৮ মে,১৮৭১)। কার্ল মার্কস
Yass: Save Sundarban Means Save People Too
সুন্দরবন এলাকার সব মানুষকে একটা দাবিতেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে হবে – সুন্দরবনে পাকা নদীবাঁধের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে অর্থ দিতে হবে। রাজ্য সরকারকে স্বচ্ছতার সাথে এই মেরামতের কাজ করতে হবে।
State Secretary States: West Bengal Now
এখন করােনা মহামারি মােকাবিলাই প্রধান কাজ। কেন্দ্রীয় সরকারের সার্বিক ব্যর্থতা দেশের জনগণকে এক ভয়ংকর বিপদের মধ্যে নিক্ষেপ করেছে। বিজেপি-র মনে রাখা উচিত সদ্য রাজ্যের মানুষ যে তাঁদের সরকারে চায় না, স্পষ্টভাবে সেই রায় দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীরও মনে রাখা উচিত যে এই রায় বিজেপি-র বিরুদ্ধে হলেও তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতি ও স্বৈরশাসনের পক্ষে ইতিবাচক রায় নয়। দুর্নীতির সঙ্গে আপােষ করে, দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে নিয়ে বিজেপি-র মতাে ভয়ংকর শক্তিকে যে মােকাবিলা করা যায় না এই শিক্ষা তৃণমূল কংগ্রেসেরও গ্রহণ করা উচিত।
State Secretary States: WB Lockdown
২০২০ সালে লকডাউনের নিষ্ঠুর ও মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা সকলের হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের জন্য আবার লকডাউনের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে জনগণকে আর্থিক ও চিকিৎসাগত সহায়তা দানের ঘোষণারও প্রয়োজন ছিল। কর্মহীনতা, জীবিকা ও কর্মস্থান থেকে ছাঁটাই এখন মারাত্মক অবস্থায়; আরও শোচনীয় অবস্থার দিকে তা যাচ্ছে। এ সময়ে কর্মচ্যুত ও কর্মহীনদের মাসে সাড়ে সাত হাজার টাকা এবং দৈনিক পাঁচ কেজি করে চাল-গম দেবার অত্যন্ত জরুরি দাবি পূরণ করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও এ জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তার দাবি জানাতে হবে।
On And Off The Field: The CPI(M)
সিপিএম-র নিশ্চয় দুর্বলতা আছে, সাংগঠনিক ও কৌশলগত ত্রুটিও আছে। নির্বাচনী পরাজয়ে তার মুখ্য দায়ও আছে। কিন্তু সার্বিক ভাবে সেই সমস্যার বিশ্লেষণ করা, সমাধান খোঁজা এবং প্রয়োগের কাজ ধারাবাহিক ও জটিল। আপনি যদি বামপন্থীদের নির্বাচনী পরাজয়ের সমব্যথী হন তাহলে নির্বাচনী পরাজয়ের পর সমস্যা গুলো সিপিএম নেতৃত্বের বা সদস্যদের উপর চাপিয়ে না দিয়ে বরং আসুন সেই ধারাবাহিক ও জটিল প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করুন। দয়া করে ফেসবুকে কিম্বা মিডিয়াতে টেনিদা সেজে হতাশার চাষ করবেন না।