বিধানসভা নির্বাচনের মাত্র দুই মাস বাকি, শাসক দল প্রশাসন ও পুলিশের যোগসাজশে রাজনৈতিক বিরোধীদের লাগাতার আতঙ্কিত করে চলেছে।

বিধানসভা নির্বাচনের মাত্র দুই মাস বাকি, শাসক দল প্রশাসন ও পুলিশের যোগসাজশে রাজনৈতিক বিরোধীদের লাগাতার আতঙ্কিত করে চলেছে।
অর্থনৈতিক তত্ত্বের দৃষ্টিভঙ্গিতে বিবেচনা করলে এঙ্গেলসের লেখাটি খুব একটা নতুন কিছু না ঠিকই। কিন্তু তাঁর এই লেখাটি থেকেই আমরা একটি রাস্তা খুঁজে পাই- ভেকধারি বুদ্ধিজীবী, আধুনিক প্রযুক্তির নামে বড়াই করা বিজ্ঞানীকুল ও সামাজিক সুযোগসুবিধার উপরে সার্বিক দখলদার বুর্জোয়াদের রাতারাতি মানবিক সাজার পিছনে যে বিরাট ভণ্ডামি (যা আজও চলছে) সেসবের মুখোশ কিভাবে টেনে ছিঁড়ে ফেলতে হয়।
রাজ্যের সমস্ত কলেজকে দুষ্কৃতিমুক্ত করতে হবে। ফিরিয়ে আনতে হবে সকলের মতপ্রকাশের পরিসর। নাবালক থেকে নাগরিক হয়ে ওঠার কারখানা এই সব কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সমস্ত কিছুকে দেখার ঠান্ডা হাওয়া বইয়ে দিতে হবে। সব ভোট হলেও ছাত্র ভোট ওরা করছে না। কারণ ওরা জানে, ছাত্রভোট হওয়া মানে ‘তোমারে বধিবে যে, গোকুলে বাড়িছে সে!’ আর এসএফআই এর বেড়ে ওঠা মানে, এসএফআই এর ইউনিয়ন মানে গরীব ঘরের ছেলেটার মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো। ফার্স্ট ইয়ারের থতমত মেয়েটার সিআর হিসেবে ব্যস্ত দিন। গাছতলায় গিটার আর কলেজ মাঠে ক্রিকেট।
অমিত’রা যাদের ইচ্ছায় এসব বলছেন, করছেন তাদের মাথায় একটা ভূত ঢুকে রয়েছে। সেই ভূত অতীত সম্পর্কে ভিত্তিহীন অহমিকাকে আশ্রয় করে গড়ে ওঠে, বাস্তব পরিস্থিতির সমস্যা সমাধানের ব্যর্থতা ভুলে থাকতে অজুহাত যুগিয়ে টিকে থাকে।
বিজেপির শাসনে গ্রাম শহর নির্বিশেষে গরীব মানুষের অবস্থা আরো খারাপ হয়েছে, কমেছে ক্রয় ক্ষমতা, চাহিদা কমেছে, কিন্তু পুঁজি উৎপাদন কমায়নি মুনাফার লোভে – অতি উৎপাদন সমস্যার আকার নিয়েছে।
মোদী যতই নেহরুর বিরোধী সাজুন না কেন, আসলে তিনিও তাকেই অনুসরণ করেছেন, কিছুটা অতিক্রমও করেছেন। ঐ একই আক্ষেপ বুকে চেপে তিনি প্রমাণ করতে চাইছেন কর্পোরেটরা দেশের জন্য অনেক কিছু করছেন- আর তাই সরকারী আর্থিক নীতিতে কর্পোরেটদেরই সর্বাধিক করছাড় দেওয়া চলছে। আন্তর্জাতিক ফিন্যান্স পূঁজির শব্দকোষে গায়ের চামড়া বলে কোনও শব্দ নেই যে!
১৯১৫ সালের ৪ এপ্রিল বার্ন সম্মেলনে নয়টি দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।কিন্তু এরপরে সোশ্যালিস্ট ইন্টারন্যাশনাল তৈরি হতে, জিমারওয়াল্ড সম্মেলন বলা হয় যেটাকে- আরও পাঁচ মাস সময় নেয়। এটাই দেখিয়েছিল আন্তর্জাতিক ধারণা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় তরুণদের অগ্রণী ভূমিকা।
সংগঠনে এবং সংগ্রামে গান, নাটক, কবিতার অসামান্য ভূমিকা প্রমাণ করেছিল কমিউনিস্ট পার্টিই। এগুলি ছাড়া লড়াই হবে না।
‘ধনগরিমার ইতরতা অবসানে’ সুদীর্ঘ সংগ্রামের লক্ষ্যে অবিচল উন্নত সংস্কৃতির প্রথম জাগরণ ঘটিয়েছে নভেম্বর বিপ্লব-ই।
শোষণের মতাদর্শগত আঘাতকে প্রতিহত করতে দরকার মার্কসীয় দর্শনের সঠিক জ্ঞান। সাথে অতীত থেকে সঠিক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে এগিয়ে যেতে হবে আমাদের । তাই দরকার অতীত চর্চার সাথে বাস্তব সময়ের সঠিক বিশ্লেষণ ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।