বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ববর্গকে নানাভাবে মানহানির মামলায় জড়িয়ে ফৌজদারি বিধির আওতায় ফেলতে চাইছে বিজেপি

বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ববর্গকে নানাভাবে মানহানির মামলায় জড়িয়ে ফৌজদারি বিধির আওতায় ফেলতে চাইছে বিজেপি
চন্দন দাস বাংলায় লেখা একটিই বই দু’বার নিষিদ্ধ হয়েছিল অবিভক্ত পাকিস্তানে। অন্যতম ‘কারন’ — সূর্য সেন!বাংলাদেশের তখনও জন্ম হয়নি। বইটির
গণতান্ত্রিক অধিকারের পক্ষে যেকোনো লড়াইতে আমরা সংগ্রামী মানুষের সহযোদ্ধা, এই অনুভবেই আমাদের পথ চলা জারী রয়েছে।
শ্রম শক্তিতে মেয়েদের অংশ বিপজ্জনক ভাবে কমছে। ২০১৭ থেকে ২০২১-এর মধ্যে ২ কোটি মহিলা শ্রম শক্তির বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে। এর বড় অংশই তরুণী। একদিকে কাজ নেই, কাজ খোওয়া যাচ্ছে। বেকারী বৃদ্ধির হার বাড়ছে। বেকারীর হার নিয়ে যে পরিসংখ্যান দেখা যায় মাঝে মাঝেই তা আংশিক সত্য। কেননা এখানে যে বিপুল অংশ কাজ করতে পারতেন কিন্তু করছেন না, তাদের ধরাই হয় না। সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ কাজ খুঁজছেন না, কেননা পাচ্ছেন না। মেয়েদের মধ্যে কাজ করতে পারতেন এমন জনসংখ্যার মাত্র ৯ শতাংশ কাজ করছেন।
প্রাক-মহামারী সময়ের তুলনায় মহামারীর পরে শহরে মেয়েদের মাসিক গড় কর্মসংস্থান ২২ শতাংশ কমে গেছে।
মধুজা সেন রায় গত কয়েকদিন ধরে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল একটি সাংবাদিক সম্মেলন এবং তার জেরে একটি অনৈতিক ও বেআইনি গ্রেফতার
মনু সংহিতা’য় মহিলারা দ্বিতীয় স্তরের নাগরিক, তাঁদের বিনেপয়সার শ্রমেই সামন্ত পরিবারে উদবৃত্ত মজুত বাড়তে থাকে। কিন্ত এ বিনামূল্যের শ্রম কে দীর্ঘ মেয়াদি করার উপায় কি? মনু তার উপায় ও বাতলে গেছেন, সংস্কারে, ধর্মে, আচারে মেয়েদের মন গুলো কে বাঁধতে হবে আগে, তাকে পড়তে দেওয়া যাবেনা, জানতে দেওয়া যাবে না, ভাবতে দেওয়া যাবেনা। ছোটবেলা থেকেই মূল্যবোধ এর নামে একগাদা মিথ্যে, কুসংস্কার, নিয়মশৃঙ্খল দিয়ে বেঁধে দিতে হবে। যাতে নবীন প্রাণে কোথাও কোনো মুক্তির আঁচ না লেগে যায়। বাল্য বিবাহ, বহু বিবাহ, শিক্ষার অধিকার না দেওয়া, সবর্ণ বিবাহ, নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে, এসবের মধ্যে দিয়ে তার ব্যক্তি স্বাতন্ত্র এর বিকাশ কে অঙ্কুরেই বিনাশ করতে হবে। তবেই না পাওয়া যাবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম এমন একদল মানুষ যারা পায়ের নিচে থাকতেই অভ্যস্ত, স্বচ্ছন্দ।
আগামিদিনে লড়াইয়ের জন্য জরুরী শক্তিতে সঞ্জাত হয়ে মানুষের অধিকার ও স্বার্থরক্ষার সংগ্রামে নিজেদের অঙ্গীকার অনুযায়ী সিপিআই(এম) এগিয়ে চলবে।
সিপিআই(এম) বরাবরই বলেছে যে নির্বাচন কমিশনের নিয়োগটি স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে, সিবিআই ডিরেক্টর, লোকপাল ইত্যাদি নিয়োগের বিষয়ে সংসদ যা আইন করেছে , অনুরূপ ভিত্তিতে হওয়া উচিত।
সিপিআই(এম) এর পলিট ব্যুরো সিবিআই দ্বারা দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেপ্তারের নিন্দা করছে৷ বিরোধী দলের নেতাদের টার্গেট করার জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার জন্য মোদী সরকারের প্রকল্পের একটি অংশ এই গ্রেপ্তার।প্রায় প্রতিটি রাজ্যে যেখানে রআজ্য সরকার বিজেপি বিরোধী দল দ্বারা পরিচালিত হয়, সেখানকার নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়, গ্রেপ্তার করা হয় যাতে বিরোধী দলগুলি পরিচালিত সরকারগুলিকে অস্থিতিশীল করতে পারে।গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচনে জিততে ব্যর্থ হলে মোদী সরকার বিরোধীদের লক্ষ্য করে ভারতের গণতন্ত্রকে দুর্বল করতে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে
ব্যবহার করছে।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ (মঙ্গলবার) আজ থেকে ১৭৫ বছর আগের কথা। তারপর গঙ্গা ও ভল্গার ওপর দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে।