People’s Talk Towards People

গ্রামবাংলায় তৃণমূল জমানার আগেও নব্যধনীর উত্থান দেখা গেছিল কিন্তু তাদের ধনী হওয়ার ক্ষেত্রটি প্রধানতঃ ছিল ব্যবসা, বাণিজ্য। ব্যতিক্রমি ক্ষেত্র ছাড়া তাদের লুঠেরা, অত্যাচারীর ভুমিকা দেখা যায় নি। ২০১১সালের পর তৃণমূল জমানায় নব্যধনীদের বেশির ভাগটাই রাতারাতি বাড়ি, গাড়ি, জমি, সম্পত্তির শীর্ষে পৌঁছাতে আশ্রয় নেয় রাজনীতির যা ২০১১-র আগে বাম জমানায় ছিলনা। এরা শুধু আশ্রয় নিচ্ছে এমনটা শুধু না, এরা শাসক দলের কর্তৃত্বের আসনে চলে এসেছে। গ্রামের প্রধান, সমিতির সভাপতি, জেলা পরিষদের সদস্য, এম.এল.এ., আবার কেউ কেউ সরকারী পদ না পেলেও দলের অঞ্চল বা ব্লক সভাপতি হয়ে এসব কাজ চালাচ্ছেন। আবার কেউ এসব সরকারী পদে নেই কিন্তু গ্রামের মধ্যে প্রধান দল ও প্রশাসনের প্রধান কর্তৃত্বে এরাই আছেন।

Draupadi is deprived by Manuvadis

দেশের সংবিধানের ৭৯নং অনুচ্ছেদে স্পষ্ট উল্লেখ করা আছে “সংসদ রাষ্ট্রপতি এবং দুটি কক্ষ নিয়ে গঠিত”। প্রধানমন্ত্রী সংসদের নিম্নকক্ষ বা লোকসভার সদস্য হলে তার নেতা হন, আর উচ্চকক্ষ বা রাজ্যসভার সদস্য হলে তার নেতা হন। তিনি কোনোভাবেই সমগ্র সংসদের নেতা নন। সংসদ ভবনে লোকসভা এবং রাজ্যসভা দুই কক্ষেরই অধিবেশন হয় এবং দুই কক্ষের যৌথ অধিবেশনও প্রয়োজন অনুযায়ী হয়। এটি কোনও একটি কক্ষের নেতার অধীন নয়। সংবিধানে একমাত্র রাষ্ট্রপতিকেই অধিকার দেওয়া আছে, সংসদের অধিবেশন আহ্বান বা Summon করার এবং অধিবেশন স্থগিত করা Prorogue করার।

The Nation Stands Behind The Wrestlers

মুখ বুজে এখনো তথাকথিত সেলিব্রিটিরা। স্পোর্টস স্টাররা। দেশের অলিম্পিকস কমিটির প্রধান তথা সদ্য বিজেপির সাথে দহরমমহরম করা পি.টি. ঊষাও বিজেপি নেতাদের সুরে সুর মিলিয়ে বললেন,’দেশের মুখ কালো করছে এই কুস্তিগির দের প্রতিবাদ।’ প্রতিবাদে গর্জে ওঠে কুস্তি সমাজ। পরে প্রতিবাদ স্থলে আসতে বাধ্য হয় পি.টি. ঊষা।

বঙ্কিমচন্দ্রের ‘কম্যুনিস্ট’ প্রসঙ্গ, রবীন্দ্রনাথের উত্তর, ‘সনাতন’-র বিদায় বিপ্লবে

রাশিয়ার এই গুণগত পরিবর্তনের অনুঘটক ছিল নভেম্বর বিপ্লব। পৃথিবী জানে। ‘কয়েক বৎসর পূর্বে ভারতবর্ষের’ মত রাশিয়াকে বলা হত ‘ইউরোপের পিছনের উঠোন।’ বিপ্লব পরবর্তী রাশিয়া সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের উপলব্ধি কী ছিল? তাঁর দেখা রাশিয়াকে তিনি অভিহিত করলেন,‘পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রাঙ্গন দ্বার।’ ঠিক কী লিখলেন ২৫শে সেপ্টেম্বর, ১৯৩০-র চিঠিতে? কবি লিখলেন,‘‘মনে মনে ভাবছিলুম, ধনশক্তিতে দুর্জয় পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রাঙ্গনদ্বারে ঐ রাশিয়া আজ নির্ধনের শক্তিসাধনার আসন পেতেছে সমস্ত পশ্চিম-মহাদেশের ভ্রূকুটিকুটিল কটাক্ষকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে, এটা দেখবার জন্যে আমি যাবো না তো কে যাবে?’’

Women Day: Today’s Issue

শ্রম শক্তিতে মেয়েদের অংশ বিপজ্জনক ভাবে কমছে। ২০১৭ থেকে ২০২১-এর মধ্যে ২ কোটি মহিলা শ্রম শক্তির বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে। এর বড় অংশই তরুণী। একদিকে কাজ নেই, কাজ খোওয়া যাচ্ছে। বেকারী বৃদ্ধির হার বাড়ছে। বেকারীর হার নিয়ে যে পরিসংখ্যান দেখা যায় মাঝে মাঝেই তা আংশিক সত্য। কেননা এখানে যে বিপুল অংশ কাজ করতে পারতেন কিন্তু করছেন না, তাদের ধরাই হয় না। সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ কাজ খুঁজছেন না, কেননা পাচ্ছেন না। মেয়েদের মধ্যে কাজ করতে পারতেন এমন জনসংখ্যার মাত্র ৯ শতাংশ কাজ করছেন।
প্রাক-মহামারী সময়ের তুলনায় মহামারীর পরে শহরে মেয়েদের মাসিক গড় কর্মসংস্থান ২২ শতাংশ কমে গেছে।

গুলাব ভি, ইনকিলাব ভি: মনু আর মোদী’র দেশে বাঁচিয়ে রাখার লড়াই

মনু সংহিতা’য় মহিলারা দ্বিতীয় স্তরের নাগরিক, তাঁদের বিনেপয়সার শ্রমেই সামন্ত পরিবারে উদবৃত্ত মজুত বাড়তে থাকে। কিন্ত এ বিনামূল্যের শ্রম কে দীর্ঘ মেয়াদি করার উপায় কি? মনু তার উপায় ও বাতলে গেছেন, সংস্কারে, ধর্মে, আচারে মেয়েদের মন গুলো কে বাঁধতে হবে আগে, তাকে পড়তে দেওয়া যাবেনা, জানতে দেওয়া যাবে না, ভাবতে দেওয়া যাবেনা। ছোটবেলা থেকেই মূল্যবোধ এর নামে একগাদা মিথ্যে, কুসংস্কার, নিয়মশৃঙ্খল দিয়ে বেঁধে দিতে হবে। যাতে নবীন প্রাণে কোথাও কোনো মুক্তির আঁচ না লেগে যায়। বাল্য বিবাহ, বহু বিবাহ, শিক্ষার অধিকার না দেওয়া, সবর্ণ বিবাহ, নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে, এসবের মধ্যে দিয়ে তার ব্যক্তি স্বাতন্ত্র এর বিকাশ কে অঙ্কুরেই বিনাশ করতে হবে। তবেই না পাওয়া যাবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম এমন একদল মানুষ যারা পায়ের নিচে থাকতেই অভ্যস্ত, স্বচ্ছন্দ।

Remove Discrimination by Changing The Society

মধুজা সেন রায় গত কয়েকদিন ধরে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল একটি সাংবাদিক সম্মেলন এবং তার জেরে একটি অনৈতিক ও বেআইনি গ্রেফতার

PB Statement

PB Communique

কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৩-২৪ এমন এক সময়ে পেশ হয়েছে যখন ভারতের অর্থনীতি অতিমারীর কারণে গতি হারিয়ে ফেলেছে, ২ অতিমারী বছরে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অতিমারী পরবর্তীতে অর্থনীতি চাঙ্গা হতে গিয়ে বিশ্ব-অর্থনীতির গতিহীনতার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যে বিশ্ব-অর্থনীতি সম্ভবত এক মন্দার দিকে এগোচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানো, কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি, গৃহস্থের চাহিদা পূরণের মত কেন্দ্রীয় বিষয়গুলি এই বাজেটে উল্লেখ হওয়া উচিৎ ছিল।

Budget 2023-24 : Budget Cut in Central Projects including MGNREGA

একশো দিনের কাজের প্রকল্প(রেগা) বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে ৬০,০০০কোটি টাকা। যা গতবছরে ছিল ৭৩,০০০কোটি টাকা। তার আগের বছর, অর্থাৎ ২০২১-২২-এ এই প্রকল্পে বাজেট বরাদ্দ ছিল ৯৮,৪৬৮কোটি টাকা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এবার রেগায় বাজেট বরাদ্দ কমানো হয়েছে ১৭.৮০%। ২০২১-২২-র তুলনায় তা আরও বেশি — ৩৯.০৬%!