April 2,2020
আশঙ্কা পরিণত হল বাস্তব বিপর্যয়ে। এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি মুম্বইয়ের ধারাভিতে হানা দিল Covid-19। সংক্রমণের জেরে মারা গেলেন ৫৬ বছর বয়েসি প্রৌঢ়।
মঙ্গলবার ধারাভিবাসী ওই প্রৌঢ়কে প্রথমে সিওন হাসপাতালে ভরতি করা হয়। বুধবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয় কস্তুরবা গান্ধী হাসপাতালে। কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্সে তোলার আগে সিওন হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
এ দিকে, গতকাল মুম্বইয়ের বিশালকায় ধারাভি বস্তির বাসিন্দা ওই প্রৌঢ়ের নমুনায় করোনাভাইরাসের খোঁজ পাওয়ার পরে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাণিজ্য নগরীতে।
ভারতে করোনা সংক্রমণ তালিকার শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্রে। তবে এ দিনের ঘটনায় শহরে সংক্রমণের তীব্রতা যে বহু গুণ বাড়বে, তার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকমহল।
এশিয়ার বৃহত্তম হিসেবে পরিচিত ৬১৩ একর জমির উপরে ছড়িয়ে থাকা ধারাভি বস্তিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এককথায় অসম্ভব। তার জেরে ভয়াবহ সংক্রমণ বস্তির ১৫ লাখের বেশি বাসিন্দার মধ্যে কী বিশাল সংকট তৈরি করবে, তা ভেবে শিউরে উঠছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
বস্তিবাসীর জীবনযাপনে স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাস্তবে সম্ভব নয়। বাসস্থানে নেই পর্যাপ্ত আলো-বাতাস চলাচলের সুবিধা। রয়েছে পানীয় জলের তীব্র অভাবও। ধারাভিতে এ দিন প্রথম এক আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেলেও অচিরে গোটা মুম্বই শহর ও সংলগ্ন এলাকা যে গভূর বিপদের মুখে পড়তে চলেছে, তা সহজেই অনুমেয়।
এর আগে মহারাষ্ট্র স্বাস্থ্য মিশনের অধিকর্তা সতীশ পাওয়ার ধারাভি বস্তিতে সম্ভাব্য সংক্রমণের মোকাবিলায় আইসোলেশন-এর সুবিধা দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছিলেন। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা কতটা বাস্তবায়িত হবে, তাই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ লকডাউনে নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গকারীদের কড়া শাস্তি হবে বলে ঘোষণা করেছেন।