জেলার কথা-অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন ও পূর্ব বর্ধমান জেলা
অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে চতুর্থ পর্যায়ে-১৩ মে মূলত পূর্ব বর্ধমান জেলায় বর্ধমান- দুর্গাপুর, বর্ধমান পূর্ব ও বোলপুর কেন্দ্রের তিনটি বিধানসভার ক্ষেত্রের নির্বাচক মন্ডলী ভোটের লাইনে দাঁড়াবেন। বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের দুটি বিধানসভা আসন বর্তমানে পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্তর্গত। শুধুমাত্র বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত খণ্ডঘোষ বিধানসভার ভোটাররা ষষ্ঠ পর্যায়ে ২৫ মে ভোটদানে অংশ নেবেন। সারা দেশ ও রাজ্যের সাথে আমাদের জেলাতেও রাজনৈতিক প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে যে- এবারের নির্বাচন শুধু সরকার গঠনের প্রশ্ন নয় দেশ, সংবিধান ও এ রাজ্যকে বাঁচানোর সংকল্প। নির্বাচনের ফলাফল ঠিক করে দেবে “আমরা জনগণ” ভোটদানে ভারতীয় সাধারণতন্ত্রের সংবিধান নির্ধারিত ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক চরিত্র রক্ষা করতে পারব কিনা? আরএসএস- বিজেপির গত ১০ বছরে জমানায় সংবিধানের মূল চার স্তম্ভ- ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্ব, যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা এবং সামাজিক ন্যায়কে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংসের প্রক্রিয়া আমরা দেখছি।দেশের এবং এ রাজ্যের সাথে পূর্ব বর্ধমান জেলায় খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ, কৃষক, খেতমজুর, মধ্যবিত্ত কেউ সুখে নেই- এক অনিশ্চিত, উত্তেজনাময় জীবন কাটাতে হচ্ছে। কাজ না পেলে, ফসলের দর না পেলে কিংবা মজুরি না বাড়লে জীবনে কি অন্ধকার নেমে আসে তা এ সময় জেলার মানুষ হারে হারে টের পাচ্ছে।
গত ১০ বছরে জেলায় কৃষক,খেতমজুর প্রায় ৩০০ জনের বেশি আত্মহত্যা করেছে। জেলা কৃষি ব্যবস্থা ভয়াবহ আকার নিয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের চাষীদের সব রকম প্রশিক্ষণের জন্য কৃষি বিকাশ কেন্দ্র (পোশাকি নাম মাটিতীর্থ) নির্মাণে ৫০০ কোটি টাকা খরচ করে করা হয়েছিল। এখন সেটি জঙ্গল আর ভূতের আড্ডা ছাড়া আর কিছু না। গত কয়েকদিন আগে, ভাতারের জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন এবারে ধান সংগ্রহ কম, প্রয়োজনে গাড়ি পাঠিয়ে ধান মেপে নিয়ে নিন।এসব চাষীদের সাথে তঞ্চকতা ছাড়া আর কিছু না। এ বছর রাজ্যে ৬০ লক্ষ টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে এখনো পর্যন্ত মাত্র ৩৮ লক্ষ টন ধান কিনেছে সরকার। প্রয়োজনীয় মূল্য না পাওয়ায়, দীর্ঘ প্রতীক্ষা এবং একাউন্টে টাকা পাওয়ার জন্য অপেক্ষার কারণে চাষীরা দূরের কৃষক মান্ডিতে গিয়ে ধান বিক্রি করতে চাইছে না। কৃষকদের কাছ থেকে মোদি- মমতার কথা মতো কৃষকের আয় দ্বিগুণ- তিনগুণ হওয়া তো অনেক দূরের কথা, লোকসান ও সংকটের কারণে অনেকেই কৃষিকাজ থেকে দূরে সরে যেতে চাইছেন। জেলার প্রায় ৫০০রাইস মিল- চাল কল গুলির অবস্থাও ভালো না- ইতিমধ্যে আদানি-গ্রুপ প্রায় ৩০ টির মতো রাইস মিল কিনেছে। জেলায় আলু চাষীদের অবস্থাও অত্যন্ত সংকট জনক। ফসল ফলানোর পর ক্ষেতে চাষী ন্যায্য দর ধর না পাওয়ায় ও বন্ড কেলেঙ্কারির জন্য লোকসানের বহর বাড়ছে। এছাড়া আলু চাষে চুক্তির মাধ্যমে পেপসির মতো কর্পোরেট যুক্ত হওয়ায় চাষিরা বিপদে পড়ছে। অথচ ফড়েদের হাত ঘুরে আলু বাজারে অনেক বেশি মূল্যে নাগরিকদের কিনতে হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে- ভোটের লাইনে দাঁড়াবার আগে, শাসকের দেয় প্রতিশ্রুতিগুলি কতটা পালন হলো তা কি বিচার হবে না? অর্থনীতিবিদরা বলছেন-ভারতে যেটুকু আর্থিক বৃদ্ধি ঘটছে তার পুরোটাই অতিধনীদের কুক্ষিগত-তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার এবং দেশে ধনী ও দরিদ্রের আর্থিক অসাম্য সর্বকালের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। দেশের ঋণ, রাজস্ব ও আর্থিক ঘাটতি,মুদ্রাস্ফীতি ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। মানুষের আয় ও সঞ্চয় কমছে-গৃহস্থের ঋণের বোঝা বাড়ছে।
প্রত্যেকদিন জীবনযাপনের জন্য যা না হলেই নয়, সেই খাবার চাল, ডাল, চিনি, তেল, সবজি, ফল, মাছ,মাংস, ডিম, দুধ এসবের দাম প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। এর সাথে বিদ্যুৎ, রান্নার গ্যাস, পেট্রোল- ডিজেল- কেরোসিনের দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। গোদের উপর বিষফোঁড়া- ওষুধ, হাসপাতালে ভর্তি, অপারেশন করে রোগ মুক্ত হওয়া এসবের খরচ আকাশ স্পর্শ করছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছোট ছোট বৈঠক, পথসভা,জনসভা, বাড়ি বাড়ি প্রচারে এসব অভিজ্ঞতাগুলি আলোচিত হচ্ছে। কর্পোরেট ও ধনীদের বিপুল সম্পত্তি এবং মুনাফা এ সময় বেড়েছে।এদের সেবায় ব্যাপক ব্যাংক ঋণ ও কর মকুবের সাথে দেশের সম্পদ- রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার শেয়ার জলের ধরে বিক্রি করা হচ্ছে-যা লুটের সরকারি ব্যবস্থাপনা-মোদি কা গ্যারান্টি।বিনিময়ে বিজেপি ও তৃণমূলের কোষাগার- নির্বাচনীবন্ডের নামে কর্পোরেট কোম্পানিগুলির দানে ফুলে উঠছে। ইলেক্টোরাল বন্ড দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক আর্থিক কেলেঙ্কারি- শাসকই তোলাবাজ প্রমানিত।
দেশের কৃষি, শিল্প, পরিষেবা অর্থনীতির প্রধান ক্ষেত্রগুলির অবস্থা ভয়াবহ। উল্টে উচ্চকণ্ঠে প্রচার হচ্ছে-তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি, অমৃতকাল, বিকশিত ভারত প্রভৃতি। অথচ মাথাপিছু আয়ের নিরিখে, মানব উন্নয়ন সূচকে, বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে আমরা নিচের দিকে। আসলে মোদিবাবুরা তৃতীয় বার সরকার গড়ার প্রশ্নে শুধু ‘হিন্দু জাতীয়তাবাদ’ ও রামমন্দির নিয়ে উতরে যাওয়ার ক্ষেত্রে একেবারেই আত্মবিশ্বাসী নয়- তাই দেশের ভয়াবহ অন্ধকারের বাস্তব চিত্র ঢাকতে অসত্য ভাষণ, মিথ্যা প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ির প্যাকেজ ও মার্কেটিং হচ্ছে। বিরোধীদের কণ্ঠ রোধ করতে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে অপব্যবহার করতে মোদী-অমিত শাহরা নির্লজ্জভাবে তৎপর। অথচ এ রাজ্যে দুর্নীতিরোধে লুকোচুরি, কানামাছি ভোঁ ভোঁ খেলা হচ্ছে।সাম্প্রতিক অতীতে বিজেপির মন্ত্রিসভায় ও নির্বাচনী জোটে অংশগ্রহণ, সংসদে বিল পাস, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন সহ নানা ইস্যুতে মোদি সরকারকে সাহায্য, বর্তমানেএ রাজ্যে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত, আরএসএস-এর শাখা বৃদ্ধিই প্রমাণ করে তৃণমূল কংগ্রেস কখনই বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে বিশ্বাসযোগ্য দল নয়। উল্টোটাও সত্যি।সারাদেশেই বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে আমাদের পার্টিই, বামপন্থীরা এজেন্ডা সেট করছে-তা ৩৭০ ও ৩৫ ক ধারা বাতিলের বিরুদ্ধে, কৃষি বিল ও শ্রমকোড বাতিল, ইলেক্টোরাল বন্ড,সিএএ-এনআরসি বাতিল প্রভৃতি প্রশ্নে।
আজকে আমাদের রাজ্যে ও জেলায় অবস্থাটা কি?
একতরফা সন্ত্রাস ও দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম হয়েছে-নিকৃষ্টতম সমাজবিরোধীদের জড়ো করে লুট চলছে। এ রাজ্যের অর্থনীতি ধ্বংসের পথে-৭ লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা, শ্রমিক- ক্ষেতমজুর ন্যূনতম মজুরি থেকে বঞ্চিত, লক্ষ লক্ষ কর্মহীন মানুষ অন্য রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে। আমাদের জেলা থেকে এমন কি মহিলারাও অন্য রাজ্যে যাচ্ছেন কাজের খোঁজে। শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি প্রশ্নে জেলায় বেকার ছাত্র যুবদের মধ্যে মারাত্মক ক্ষোভ ও হতাশা। অথচ প্রচারে এপ্রশ্ন আসছে -১৯৯৮ থেকে ২০১১ বামফ্রন্ট সরকারের আমলে স্কুল সার্ভিস কমিশন মোট ১১ বার পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ করেছিল ১৭৯৬০৩ জনকে। এই ১৩ বছরে হাইকোর্টকে কোন হস্তক্ষেপ করতে হয় নি, কাউকে বিক্ষোভ কিংবা ধরনায় দিনের পর দিন বসতে হয়নি। আজকের এই নিয়োগ দুর্নীতির জন্য কে দায়ী? কেন যোগ্যদের আবার যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে? সমগ্র মন্ত্রীসভা এর দায় এড়াতে পারে না।পঞ্চায়েত নির্বাচনেও পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে ক্ষমতার দখলদারি বজায় রাখতে নজিরবিহীন অগণতান্ত্রিক পথের আশ্রয় নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। এতদসত্ত্বেও পূর্ব বর্ধমান জেলায় লুটের ভোটে বামপন্থীরা প্রায় ২৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে, বিজেপি ১৫ শতাংশ পেয়ে তৃতীয় হয়েছে। জেলার জনগণ তথাকথিত মিডিয়া সৃষ্ট বাইনারি ভেঙে দিতে পেরেছেন। মোদি ও মমতার নীতির কারণে জেলার ৩০ হাজার চালকল শ্রমিক, কালনা- পূর্বস্থলী- কাটোয়া- কেতুগ্রাম- জামালপুরে গামছা,লুঙ্গি তসর, জামদানি, বালুচরী শাড়ি তৈরিতে যুক্ত ৩০ হাজার তাঁত শিল্প শ্রমিক, প্রায় ৬০ হাজার নির্মাণ শ্রমিক সহ অসংখ্য অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকেরা জীবন জীবিকার সংকটে নিমজ্জিত। সামাজিক সুরক্ষা- সুবিধা থেকে বঞ্চিত। নয়া উদারনীতির ফলে গ্রামে নব্য ধনীদের চক্রের শোষণ ক্রমশ দৃঢ় হচ্ছে। গ্রামে নব্য শোষক -মহাজনি কারবার বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি জেলায় শোষকদের বিরুদ্ধে সংগ্রামও প্রধানত জমি, শ্রম, মহাজনি ঋণ (মাইক্রোফিনান্স) ঘিরে তীব্র হচ্ছে। ৩১ আগস্ট ২০২২ বর্ধমান শহরে হাজার হাজার মানুষের আইন অমান্য আন্দোলনের মেজাজ তারই প্রমাণ।
বর্ধমানের মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখা গেছে যখন তথাকথিত বর্ধমান মডেল রেলস্টেশনের বিল্ডিং, জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়েছিল- মানুষ মারা গেছেন, আহত হয়েছেন। যাত্রী পরিষেবা শিকেয় উঠেছে। জেলার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সহ অন্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে কংকালসার ভয়ংকর চেহারা।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগার লুট হচ্ছে- ফিন্যান্স অফিসারের কাস্টোডি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার আমানত পাচার হচ্ছে।পরীক্ষার ফল প্রকাশে বিলম্ব, বিভ্রাট-বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম তলানিতে। স্কুলগুলিতে হতশ্রী চেহারা। বর্ধমান শহরের ব্যবসা-বাণিজ্য শুকিয়ে যাচ্ছে -তিনকোনিয়ায় সিটি বাসট্যান্ড চালু করতে না পারা ও শহরে বাস প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার পরিনিতিতে জেলার প্রাণকেন্দ্রের আরো শোচনীয় অবস্থা। আউসগ্রামের জঙ্গলমহল সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে, শহরে প্রবেশের দুই প্রান্তে ব্যাপক গাছ কেটে ও চারদিকে বিল- জলাশয় ভরাটে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে চলছে বেআইনি নির্মাণ-প্রোমোটার রাজ। গত ১০ বছরে জেলায় মহিলাদের সম্মানহানি, নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে।২০১১ সালের পর প্রাক্তন বিধায়ক প্রদীপ তা, কমল গায়েন, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজিবুল ইসলাম, পুলক সরকার সহ ১৯ জন নেতা-কর্মীকে এ সময় আমাদের জেলায় নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। তাই আমাদের রাজ্যে কর্পোরেট মিডিয়ার বাইনারি সৃষ্টির অপচেষ্টা ব্যর্থ করেই, কর্পোরেট- হিন্দুত্ববাদ, দুর্নীতি, অপশাসন রুখতে বিজেপি- তৃণমূল বিরোধী ভোটকে এক জায়গায় আনতে সার্বিক ঐক্যের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা আমরা চালাচ্ছি। এই ঐক্যের প্রধান শর্ত- সংবিধান, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং বিকল্প জনমুখী নীতির নির্মাণ। এ সময়ে আমাদের পার্টি ও গণফ্রন্টগুলির উদ্যোগে আইন অমান্য কর্মসূচি, ইনসাফ যাত্রা, যৌবনের ডাকে জনগণের ব্রিগেড, গ্রাম- শহরে নিবিড় পদযাত্রা, স্থানীয় ইস্যুর ভিত্তিতে ব্লকে ব্লকে বিক্ষোভ, পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমাদের অগ্রগতি এই নির্বাচনী সংগ্রামে এগুতে সাহায্য করবে। এই নির্বাচনে মেহনতী মানুষের উপর বৃহৎ পুঁজির নেতৃত্বে আরো শোষণ বঞ্চনা চাপবে কিনা, ফ্যাসিস্টিক মতাদর্শের আরএসএস সমগ্র দেশটাকে দখল নেবে কিনা, ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক ভিত্তি দুর্বল হবে কিনা, বিরুদ্ধ স্বর টিকে থাকবে কিনা, শিক্ষায় সাম্প্রদায়িকীকরণ- বাণিজ্যকরণ রোধ হবে কিনা, এ রাজ্যের আর্থিক সংকট- দুর্নীতি- মেরুকরণ আরো তীব্র হবে কিনা- তা নির্বাচক মন্ডলীর মতামত ও ভোটাধিকার প্রয়োগের উপর নির্ভর করবে।
ভূমি সংস্কার, পরিকাঠামোয় সরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি, খাদ্য -স্বাস্থ্য- শিক্ষা- কাজের অধিকার নিশ্চিত করতে উচ্চধনীর উপর মাত্র ২% সম্পদ কর সংগ্রহ, প্রত্যক্ষ কর বৃদ্ধি, কর্পোরেটদের মকুব ঋণ ফেরত, ইলেক্টোরাল বন্ডের কালো টাকা বাজেয়াপ্ত করে জনস্বার্থে ব্যবহার, পিএম কেয়ার ফান্ডের টাকা জনসমক্ষে প্রকাশ,মহিলাদের সমান অধিকার ও সমমর্যাদার দাবিতে -বিজেপি -তৃণমূলকে পরাস্ত করে,দেশে জনমুখী বিকল্পের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গঠনে বামফ্রন্ট মনোনীত এবং জাতীয় কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালনে এই অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।