fullora mandal

A Life Against the Stream

সুদীপ্ত বসু

২৯৭৬ দিন। জেলবন্দি তিনি। তার আগে চার বছর ‘আত্মগোপনে’। এখন বয়স প্রায় ৬৯।

কমিউনিস্ট পার্টির নেতা, সংগঠক, কর্মী এমনকি সমর্থকদের কাছেও জেল জীবন কোনও নতুন আবিষ্কার নয়। স্বাধীনতার আগেও একের পর এক ষড়যন্ত্র মামলায় জেল খেটেছেন কমিউনিস্টরা। এই বাংলায় সাতের দশক, তার আগে ছয়ের দশকের সেই উত্তাল দিনগুলি সাক্ষী। তৃণমূল সরকারের আমলে গত ১১ বছরে পঞ্চাশ হাজারের বেশি সিপিআই(এম) কর্মী, সংগঠকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা।

এই ইতিহাসেরই প্রশ্রয় পাওয়া মানুষ ফুল্লরা মণ্ডল।

সংগ্রাম, ষড়যন্ত্র, প্রতিরোধের লড়াইয়ের হাজারো রূপকথার ঐতিহ্যকেই নিজের জীবনের সঙ্গে যাপন করে আসলে এগিয়ে চলেন ফুল্লরা মণ্ডলরা। অনায়াসে, নির্বিকারে সার, বীজ, জলের যোগান দিয়ে চলেন দিনবদলের স্বপ্ন দেখা লক্ষ, অযুত চেতনাকে।

।দুই।
২৯৭৬ দিন! ৮ বছর ৯ মাস ২৬ দিন। গরাদের ভিতরে জীবনের এতগুলো বছর কাটিয়ে সকালের সতেজ রোদ ঝলমলে আলোয় খোলা আকাশের নিচে এসে দাঁড়ালেন ফুল্লরা মণ্ডল। অনুব্রর-পার্থর এই বাংলায় জেল জীবনের মানে আজ অনেক বদলে গিয়েছে। তা হয়তো জানেন না ফুল্লরা মণ্ডল।

প্রায় নয় বছর পরে বাইরে বেরিয়ে চোখের সামনে সেই চেনা রঙ, সেই রক্ত-পতাকা। আবেগে থরথর করে কাঁপছেন ফুল্লরা মণ্ডল। সিপিআই(এম) নেতা, কর্মীরা, ফুলের মালা নিয়ে অপেক্ষায়। শাসকের প্রতিহিংসা, মিথ্যা মামলায় দীর্ঘ জেল জীবন কাটিয়ে আসা সুশান্ত ঘোষও তখন মেদিনীপুর জেল চত্বরে। বাইরে এলেন ফুল্লরা মণ্ডল। চিবুক বেয়ে ধীরে ধীরে নোনা জল নামছে। বাইরে দৃশ্যতই স্থির তিনি, ভিতরে যেন ঝড়!

একবার, একবারের জন্যও প্রায় নয় বছর জেলে থাকার দুর্বিষহ যন্ত্রণা, অভাব, অভিযোগ, হতাশার একটি অক্ষরও মুখ থেকে বেরোয়নি। শুধু প্রথম যে বাক্য বেরিয়েছে তা হলো— সিপিআই(এম)-ই আমার পরিবার, পার্টি আমার পরিবার। আমাদের পার্টির বিরুদ্ধে, বামফ্রন্ট সরকারকে উৎখাত করতে ষড়যন্ত্র হয়েছিল। সেই ষড়যন্ত্রের মুখোশ খোলার লড়াইয়ে আমৃত্যু আমি থাকব। সুশান্ত ঘোষের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘পার্টির যা দায়িত্ব দেবে তা পালন করব, পার্টিই তো আমাদের জীবন।’

এই আবেগ, এই দায়বদ্ধতা, আদর্শের জন্য শেষপর্যন্ত সব কিছু হারিয়েও লড়ে যাওয়া— এটা বিচ্ছিন্ন কোনও প্রবণতা নয়। সিপিআই(এম)-ই বহন করে চলছে এই গর্বিত উত্তরাধিকার।

শিক্ষিত, যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি চুরি থেকে গোরু, কয়লা পাচার, বৈভবের অশ্লীল উদযাপন, চুরির দায়ে জেল খাটা, দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনাতেও বিলকুল জামিনে পেয়ে উৎসবে শামিল হওয়ার এই সামাজিক অধঃপতনের স্বাভাবিক স্রোতে ফুল্লরা মণ্ডল’রা ব্যতিক্রমী, বরাবরই।

।তিন।
সিপিআই(এম) বিরোধী নেতাই ষড়যন্ত্র মামলাতেই দীর্ঘ প্রায় নয় বছরের জেল জীবন। সেই নেতাই কাণ্ডে কীভাবে এফআইআর সাজানো হয়েছিল, সেই রহস্যও আজ দিনের আলোর মত স্পষ্ট। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি নেতাইয়ে ঘটনা।

ততদিনে, তার আগে তিন বছরে ২৯০ জনের বেশি সিপিআই(এম) কর্মী খুন হয়েছেন। আরো অসংখ্য তখনও নিখোঁজ। যদিও এগিয়ে থাকা সংবাদপত্রগুলির সেসবের কোনও হদিশ খুঁজে পাবেন না। মাওবাদী-তৃণমূলী সন্ত্রাসে অবরুদ্ধ, রক্তাক্ত সেই জঙ্গলখণ্ডে তখন প্রতিদিনই ফুল্লরা মণ্ডলদের কাঁধে সহযোদ্ধাদের নিথর দেহ। তবুও সেদিন জঙ্গলমহল আত্মসমর্পন করেনি। ফুল্লরা মণ্ডলরা মাওবাদী-তৃণমূলী বাহিনীর প্রকাশ্য মঞ্চ জনসাধারণ কমিটির বশ্যতা স্বীকার করেননি। লালগড় জুড়ে মহিলাদের সংগঠিত করার পাশাপাশি তাঁদের স্বনির্ভর করে তোলার কাজও নিরলসভাবে করে গিয়েছেন। গণ আদালতের নামে বর্বরতা, খুন, অত্যাচারের মধ্যেও পিছিয়ে যাননি, ঘরবন্দি কর রাখেননি নিজেকে। মাওবাদী-তৃণমূলী অত্যাচার থেকে রেহাই পায়নি তাঁর বৃদ্ধা, অসুস্থ মা’ও। মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম মোবাইল ফোনটিও কেড়ে নিয়েছিল মাওবাদী তৃণমূলী বাহিনী।

সন্ত্রস্ত লালগড়েরই বাসিন্দা ফুল্লরা মণ্ডল ২০০৯ সালের ১৬ জুন থেকে ঘরছাড়া ছিলেন। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি নেতাই কাণ্ডের এফআইআরে রীতিমতো নাটকীয়ভাবেই তাঁর নাম যুক্ত করে দেয় তৃণমূলীরা। কেন? ফুল্লরা মণ্ডল সিপিআই(এম)’র অবিভক্ত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন তখন। সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির জেলা সম্পাদিকা। জেলা পরিষদের কর্মধ্যক্ষ হিসাবে জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত এলাকাতেও গরিব মানুষের স্বার্থবাহী একের পর এক প্রকল্পকে পৌছে দেওয়ার কাজ করছিলেন। ফলে তৃণমূল-মাওবাদীদের এফআইআরে স্বাভাবিকভাবেই তাঁর নাম।

তবে এফআইআরের বয়ান সত্যিই চমকপ্রদ। ফুল্লরা মণ্ডল বয়স তখন প্রায় ৫৮। অসু্স্থ। ঘরছাড়া। কিন্তু তৃণমূলী এফআইআরের বয়ান অনুযায়ী ৫৮ বছর বয়সী মহিলাই নাকি সেদিন সকালে নেতাইয়ের  সশস্ত্র শিবির থেকে নির্বিচারে গুলি চালাতে চালাতে মানুষ খুন করতে করতে নদীর পাড় ধরে বেলাটিকরির দিকে পালিয়ে গিয়েছিলেন! মানে এক অসুস্থ মহিলা এক হাতে বন্দুক নিয়ে গুলি চালাতে চালাতে মাঠ, খাল, বিল, জঙ্গল পেরিয়ে নিমেষে পালিয়ে যাচ্ছে— হলিউডি চিত্রনাট্যকেও হার মানানো এই দুর্ধর্ষ অ্যাকশন চিত্র কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাও মেনে নিয়েছিল। যদিও, ক্যামেরার সামনে খালি হাতে এক ডজন তৃণমূল নেতাকে হাত পেতে ঘুষ নিতে দেখার পরেও ছয় বছর ধরে তদন্ত চালিয়ে, আদৌ তাঁরা হাত পেতে ঘুষ নিলেন, নাকি শুধু সিঙ্গারা খেলেন আর ‘থ্যাঙ্ক ইউ’ বললেন— তা এখন চূড়ান্ত চার্জশিট দায়ের করে জানাতে পারেনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা!

তবে সেসময় মমতা ব্যানার্জির নির্দেশে মাওবাদীদের দলিলে বর্ণিত ‘যুবরাজ’ তৃণমূলী সাংসদ শুভেন্দু অধিকারির তৎপরতায় সেই এফআইআরের বয়ান অর্থাৎ পেশাদার বন্দুকবাজের মত খাল, বিল পেরিয়ে বন্দুক নিয়ে গুলি চালাতে চালাতে, একাধিক সাধারণ মানুষকে খুন করে পালিয়ে যায় ফুল্লরা মণ্ডল! সেই বয়ান ধরেই তদন্ত চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাও। তখন মমতা ব্যানার্জি ও তাঁর দল সিবিআইয়ের বিশ্বস্ত অনুরাগী, আদালতে তৃণমূলীরা তখন প্রতিদিন সিবিআইয়ের গৌরবজনক কাহিনীর গল্প শোনাচ্ছেন, একইসঙ্গে সিআইডি কত খারাপ সেই কাহিনীও।

।চার।
মাওবাদী-তৃণমূলী নৈরাজ্যের ফসল নেতাই। ৭ জানুয়ারির আগে ২০১০’র ৩১ ডিসেম্বর। উথালপাতাল করা আবেগের শব্দময় বিস্ফোরণের মুখে সেদিন লালগড়। মাত্র ওই একটি ব্লকেই তখনও পর্যন্ত ৯১ জন শহীদ হয়ে যাওয়ার পরেও লালাগড়ের বুকে প্রায় লক্ষ মানুষের সেই সমাবেশ। তৃণমূল-মাওবাদী সন্ত্রাসের মুখে দাঁড়িয়েও লড়াই করেছে লালগড়, তার ভিটেতে থাকার অধিকার ছিনিয়ে এনেছে, ঘরছাড়ারা ঘরে ফিরেছেন। সেই সমাবেশ থেকেই সিপিআই(এম) নেতৃত্ব একইসঙ্গে শুনিয়েছিলেন সাবধানবানী: অসতর্কতা নয়, দু্ষ্কৃতীরা পিছু হটেছে, অবশ্য নির্মূল হয়নি, ষড়যন্ত্রের মাত্রা বাড়তে পারে। লালগড়ের ঐ সমাবেশের পরেই মাওবাদীদের ‘যুবরাজ’ তখন মমতার চোখের মণি শুভেন্দু অধিকারি পালটা ৯ জানুয়ারি লালগড়ে সভার ডাক দেন। আর ৭ জানুয়ারি ঘটল নেতাইের মর্মান্তিক ঘটনা! বাকরুদ্ধ সাহসের সঙ্গে লড়তে থাকা জঙ্গলমহল। উৎফুল্ল মমতা ব্যানার্জি, শুভেন্দু অধিকারি!

নিস্তরঙ্গ কংসাবতীর কোলে নেতাই গ্রাম। লালগড় বাজার হয়ে মোরামের রাস্তা ধরে দু-কিলোমিটার পেরোলেই নেতাই। নেতাইয়ের ভূগোল আসলে নেতাই রহস্যের অনেক উত্তর। নেতাইয়ের ঘটনা এক দীর্ঘস্থায়ী ষড়যন্ত্রের ফসল, বামফ্রন্ট সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্রেরই অংশ।

সেই বিবরণে যাচ্ছিনা, শুধু একটা প্রসঙ্গের অবতারণা এখানে গুরুত্বপূর্ণ। ৭ জানুয়ারি রাতে লালগড় থানায় এফআইআর দায়ের করেছিলেন তৃণমূল কর্মী রঞ্জিত পাত্র। ঘটনার দিন বিকালেই নেতাই পৌছন শুভেন্দু অধিকারি। লালগড়ের তৎকালীন তৃণমূল নেতা তন্ময় রায়সহ অন্যান্যদের সঙ্গে গোপন বৈঠক সারেন শুভেন্দু। তারপরেই থানায় যায় রঞ্জিত পাত্র। আবার সকালে ঘটনার আগেই লালগড় থানায় ফোন চলে গিয়েছিল— গ্রামে গোলাগুলি চলছে!

শুভেন্দু অধিকারি তখন মমতা ব্যানার্জির মধ্যে ‘মা’কে খুঁজে পেয়ছেন। মাওবাদীরা যুবরাজ তকমা দিয়েছেন। সেদিন শুভেন্দু সুশান্ত ঘোষ থেকে অনুজ পাণ্ডে থেকে ফুল্লরা মণ্ডলের বিরদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, লাল ঝাণ্ডা আর হাতে নিতে পারবেন না! লাল ঝাণ্ডা ধরার কোনও লোক থাকবে না! কোন গামছাতেও লাল রঙ খুঁজে পাওয়া যাবে না!

১১ বছর পেরিয়েছে। জার্সি বদলে শুভেন্দু এখন আরএসএস-বিজেপি শিবিরে। উগ্র সাম্প্রদায়িকতার চাষ করার জন্য হাল ধরেছেন। মমতা শুভেন্দুকে গদ্দার বলছেন, শুভেন্দু মমতা ব্যানার্জিকে ‘পিসি চোর, ভাইপো চোর’ বলছেন। শুভেন্দুর নিজের পতাকাই বদলে গিয়েছে।সেই ছত্রধর মাহাতো তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক হয়ে এখন আবার জেলে, ধরমপুরে সিপিআই(এম) কর্মী খুনের ঘটনায়।

আর অনুজ পাণ্ডে, ফুল্লরা মণ্ডলদের পতাকা? দীর্ঘ নবছর পরে ফুল্লরা মণ্ডল জেল থেকে বেরিয়ে কাঁধে তুলে নিয়েছেন সেই লাল পতাকাই। চেনা রঙ। ফুল্লরা মন্ডলদের রাজনীতি ‘চোরদের পাঠশালা’ থেকে বেরোনো ছাত্রদের পক্ষে বোঝা কঠিন। এটা একটা অনুশীলন— মতাদর্শের জন্য সব কিছু ত্যাগ করা যায়।

শাল মহালের মাটি বেইমানিকে ঘৃণা করে।
এই কঠিন সময়ে, বিভ্রান্তির এই জটিল সময়ে, যখন বিকিয়ে যাওয়াই দস্তুর তখন ফুল্লরা মণ্ডলরা আসলে স্রোতের বিপরীতে জীবনের কবিতা লিখছেন, অমিত্রাক্ষর ছন্দে।

।পাঁচ।
জেল জীবনেই পেয়েছেন মাতৃ বিয়োগের যন্ত্রণা, পেয়েছেন দাদার মৃত্যুর খবর। তবুও শেষ দেখার সুযোগ মেলেনি। প্যারোলে মুক্তি মেলেনি। এমনকি আত্মীয়রা, পার্টির কর্মীরা তাঁকে ওষুধ দিতে গেলেও বারেবারে জেল থেকে নানা অজুহাতে বাঁধা দেওয়া হয়েছে। থাইরয়েড, কোলেস্টরলের ওষুধ দিতেও নানান টালবাহানা মমতা ব্যানার্জির সরকারের প্রশাসনের।

তবুও, না তবুও ফুল্লরা মণ্ডল মাথা নিচু করেননি শাসকের দাপটের সামনে। অন্ধকার কুঠুরিতে বসে তবুও জীবনের ওপর বিশ্বাস হারাননি, লাল ঝাণ্ডার প্রতি আস্থা এতটুকুও টোল খায়নি, খেতে দেননি… কারণ ফুল্লরা মণ্ডলদের ব্যক্তিজীবন আর রাজনৈতিক জীবন অবিভাজ্য…
জেল থেকে বেরিয়ে সহযোদ্ধাদের আবেগে, ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন বারেবারে। দিনের শেষে ঝাড়গ্রামে পার্টি অফিসে বসে তখন ফুল্লরা মণ্ডল তাঁকে দেওয়া ফুলের স্তাবক, মালা দেখিয়েছে বলছেন, এই যে ভার আমায় দিয়েছেন কমরেডরা সেই ভার বহন করার জন্য আমাকে, আমাদের সবাইকে আরো শক্তি অর্জন করতে হবে!!

বিশ্বাস করুন, প্রায় নয় বছর পরে জেল থেকে বেরোনো মহিয়সী মহিলা বলছেন তাঁকে দেওয়া কমরেড ফুলের মালার ভার বহন করতে আরো বেশি করে কাজ করতে হবে। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে!!

কাঁসাইয়ের পাড়ে এক আস্ত জীবনবোধের নির্মাণ।
হতাশা নামক বস্তু যখন আমাদের মধ্যবিত্ত জীবনকে গ্রাস করতে আসে, সুগভীর হৃদের জায়গায় অগভীর পুকুরের অভিনয় যখন করে চলি আমরা, তখন, ঠিক তখনই আপনি বারেবারে এসে দাঁড়ান আমাদের চেতনার সামনে।

সুশান্ত ঘোষের কথায়, এখনও আমাদের ১০১ জন নিখোঁজ, ৩৭২ জন কে খুন করেছিল ওরা, নৃশংসভাবে। গলা কেটে রাস্তায় ফেলে রাখা হয়েছিল আর আতঙ্ক তৈরি করতে। সালকুর দেহ সৎকার করতেও দেয়নি। সেই মাওবাদীদের অধিকাংশ এখন তৃণমূলের পার্টি অফিস খুলে বসেছে। ফুল্লরা সেদিন যা ছিল আজও আছে। একেবারে প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ধীরে ধীরে পার্টির জেলা স্তরে উঠে এসছিল। পার্টিজান। আত্মগোপন থাকাকালীন ও পার্টির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছিল।

পার্টিজান ফুল্লরা মণ্ডল। শাল পিয়ালের মাটিতে, প্রায় শুকিয়ে যাওয়া কাঁসাইয়ের পাড়ে মহাকাব্যিক এক রূপকথার লড়াইয়ে আমাদের কাছে আগুনের পরশমণি।

Spread the word

Leave a Reply