৫ অগাস্ট ২০২০ উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদ জেলার অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের ভিত পূজা হল।সেখানে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন ভারতের গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী। সারা পৃথিবী জুড়ে যখন চলছে এক মহামারী। ভারতবর্ষে এই মহামারীর প্রকোপ ক্রমশ বেড়েই চলেছে তখন চিকিৎসাবিজ্ঞানের সমস্ত বিধি নিষেধ অমান্য করেই পালিত হল এক উৎসব।অবিজ্ঞান অপবিজ্ঞান ও কুসংস্কারের উৎসব পালিত হল সংবিধানকে রক্ষা করার শপথবদ্ধ একজন প্রধানমন্ত্রীর মদতে।ওই অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদী, দেশের প্রধানমন্ত্রী একটি ভাষণ দিলেন! ওই ভাষণে ভারতের সংবিধান ধ্বংসসাধনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন। বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী দেশব্যাপী লড়াইয়ের ফলে ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি তার সঙ্গে ৫০০ বছর ধরে হিন্দুদের একাংশ লড়াই করে রাম ভিত পুজো করার লজ্জাজনক লড়াইকে এক করে দিয়েছেন।উনি জানেন যে হিন্দুত্ববাদীদের একাংশ এখনো কোথাও কোথাও বৃটেনের মহারানীর জন্মদিন পালন করে। সাভারকার যেমন ব্রিটিশ সরকারের কাছে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়ে হিন্দুত্ববাদী আন্দোলন করে দেশ বিভাজনে ব্রিটিশদের সাহায্য করেছে মুসলিম লীগের সহযোগিতায়।
সেই ঐতিহ্য অনুসারেই রানীর পূজা হয়। দেশ বিভাজনের পরেও মানুষে মানুষে বিভাজন টিকিয়ে রাখতে আরএসএস গান্ধী হত্যার চক্রান্তের মধ্য দিয়ে ধারাবাহিক অস্থিরতা বজায় রেখেছে। বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে, আদবানি একটি ধাপ এগিয়েছিলেন। তারই একটি পূর্ণ রূপ পেল রামের আবাস তৈরির ভিত পুজোয়।
বৃটিশের বিরুদ্ধে ভারতের সব অংশের জনগণ যুক্ত হয়েছিলেন। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-মুসলমান,নাস্তিক, শ্রমিক-কৃষক, কমিউনিস্ট,ছাত্র-যুব- মহিলা – প্রায় সব অংশের মানুষ।একদিকে যেমন ছিল মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে সত্যাগ্রহ আরেকদিকে ছিল ভারতীয় তরুণদের অসীম সাহসী অস্ত্রহাতে লড়াই।ছিল শ্রমিক-কৃষকের সংগঠিত লড়াই। এই সমস্ত অংশের মানুষই কংগ্রেস দলের সঙ্গে মিশে ছিলেন।
মাস্টারদা সূর্য সেন কংগ্রেসের যেমন জেলা সভাপতি ছিলেন তেমনি আবার অস্ত্রাগার দখল করে চট্টগ্রাম জেলায় প্রথম স্বাধীনতার পতাকা উড়িয়েছিলেন। গণেশ ঘোষ সহ তার বহু সাথীই পরবর্তীকালে কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হয়ে মানবমুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন। নেতাজি সুভাষচন্দ্র কে সামনে রেখে কংগ্রেসের মধ্যে থেকেই বামপন্থী ও কমিউনিস্টরা মহাত্মা গান্ধীর আপসকামী নীতির বিরুদ্ধে পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি তুলেছিলেন। সেই প্রত্যক্ষ সংগ্রামের প্রেরণাতেই নেতাজী সুভাষ বসু এলগিন রোডের বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে পেরেছিলেন কমিউনিস্ট কর্মীদের সহযোগিতায় পেশোয়ার পর্যন্ত। পাঞ্জাবে তরুণ ভগৎ সিং এর নেতৃত্বে একদল তরুণ ‘জীবন মৃত্যু পায়ের ভৃত্য’ পণ করে প্রত্যক্ষ সংঘর্ষ করেছেন ব্রিটিশ পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে। প্রতিহিংসায় মত্ত জেনারেল ডায়ার জালিয়ানওয়ালাবাগের নৃশংস হত্যাকান্ড চালায়। ওদের মূল মন্ত্র ছিল অত্যাচার করে, ভয় পাইয়ে দেওয়া। গোটা দেশ তখন ভয় পেয়ে গেলেও রুখে দাঁড়ালেন রবীন্দ্রনাথ। প্রতিবাদে রানীর মুখের ওপর তার দেওয়া নাইট উপাধি ছুঁড়ে ফেলে দিলেন। না কোনো হিন্দুত্ববাদী কেউই তখন প্রতিবাদ করেননি। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে ৫০০ বছর ধরে মন্দির নিয়ে আন্দোলন যারা করছেন বলে মোদি বললেন তারা কেউই ইংরেজ এর বিরুদ্ধে লড়াই করেননি। শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বিজেপি যাকে আইকন করতে চাইছে তিনি বৃটিশের পক্ষে উমেদারি করেছেন।
১৯৪৮
সালে
ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী
এ্যাটলির
সঙ্গে কোলকাতা
হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান
বিচারপতি ফণিভূষণ চক্রবর্তী,
যিনি
ওই সময় অস্থায়ী রাজ্যপালের
দায়িত্বও
পালন করছিলেন তাঁর কথা হয়।
শ্রী
চক্রবর্তী এ্যাটলি
কে প্রশ্ন করেন হঠাৎ স্বাধীনতা
ঘোষণার দিন এগিয়ে এনে ১৫ই
অাগস্ট
১৯৪৭
কেন করা হলো?
ইংরেজরা
কি সত্যাগ্রহ আন্দোলনকে খুব
ভয় পেয়েছিলেন?
উত্তরে
এ্যাটলি
বলেছিলেন,
কেবলমাত্র
সত্যাগ্রহ নয়,
দেশব্যাপী
শ্রমিক আন্দোলন,
কৃষক
সংগ্রাম,
নেতাজির
নেতৃত্বে আইএনএ
বাহিনীর মণিপুর
পৌঁছে যাওয়া এবং সর্বোপরি
নৌ বিদ্রোহের সম্মিলিত কারণেই
দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তরের
সিদ্ধান্ত।
এছাড়াও
আরও একটি কারণ যা তিনি উল্লেখ
করেননি তা হচ্ছে দুটি মৌলবাদী
ধর্মীয় গোষ্ঠী মুসলিম লীগ
এবং হিন্দু মহাসভা তথা আরএসএস
দ্রুত বিভাজন চাইছিল।
সংবিধান সভায়
শ্যামাপ্রসাদের বক্তৃতা
অনুধাবন করলেই
বিষয়টা খুব স্পষ্ট হয়।
মোদির ৫ ই আগস্ট এর বক্তৃতা ১৫ ই আগস্ট এর মূল আদর্শের বিরোধী। পনেরোই আগস্ট ইউনিয়ন জ্যাক নামিয়ে দিয়ে তেরঙ্গা পতাকা লালকেল্লায় পতপত করে উড়লো। মোদির রাজনৈতিক আদর্শ আরএসএস এই তেরঙ্গা পতাকা কে খুশি মনে মেনে নেয়নি। ১৯৫০ ভারত প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হল। সংবিধান গৃহীত হল। আরএসএস পন্থীদের হিন্দু রাষ্ট্রের তত্ত্ব খারিজ হলো। না জওহরলাল, না কমিউনিস্ট, খারিজ করল সংবিধান সভা দীর্ঘ আলোচনা ও বিতর্কের পরে। এ প্রসঙ্গে সংবিধান সভার বিতর্কে মিনু মাসানির বক্তব্য প্রণিধানযোগ্য। একটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি সংবিধান সভায় বলেন-
“….Sir, as a democratic socialist, a socialist who feels that democracy needs to be extended from the political to the economic and social spheres and that, if socialism does not mean that, then it means nothing at all. ….The Resolution, in my view clearly rejects the present social structure; it rejects the social status quo. .. it would not tolerate the wide and gross inequalities which exist in our country. It would not tolerate the exploitation of a man’s labour by somebody else. It certainly means that everyone who toils for the common good will get his fair share of the fruits of his labour.”
“স্যার, একজন গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক হিসাবে, একজন সমাজবাদী যিনি মনে করেন যে গণতন্ত্রকে রাজনৈতিক থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে প্রসারিত করা দরকার এবং যদি সমাজতন্ত্রের অর্থ এটি না হয় তবে এর অর্থ কিছুই নয়। …এই প্রস্তাবনা, আমার দৃষ্টিতে বর্তমানের সামাজিক কাঠামো পরিষ্কারভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে; এটি সামাজিক স্থিতাবস্থাকে প্রত্যাখ্যান করে। …এটি আমাদের দেশে বিস্তৃত ও কদর্য বৈষম্য সহ্য করবে না। এটি অন্যের দ্বারা কোনও মানুষের শ্রমের শোষণকে সহ্য করবে না। এটির অবশ্যই অর্থ হ’ল যে সাধারণ মানুষের পক্ষে এটি কাজ করবে এবং মানুষ তার শ্রমের ফলের জন্য তার ন্যায্য অংশ পাবে।”
এই সভায় বিহারের আদিবাসী প্রতিনিধি হিসাবে শ্রী জয়পাল সিং-এর বক্তব্য খুবই প্রণিধানযোগ্য-
“ On behalf of more than 30 millions of the Adibasis..,I am not expected to understand the legal intricacies of the Resolution. But my common sense tells me, the common sense of my people tells me that every one of us should march in that road of freedom and fight together. Sir, if there is any group of Indian people that has been shabbily treated it is my people. They have been disgracefully treated, neglected for the last 6,000 years. The history of the Indus Valley civilization, a child of which I am, shows quite clearly that it is the new comers–most of you here are intruders as far as I am concerned–it is the new comers who have driven away my people from the Indus Valley to the jungle fastnesses. This Resolution is not going to teach Adibasis democracy. You cannot teach democracy to the tribal people; you have to learn democratic ways from them. They are the most democratic people on earth. …now we are on the new road, We have to simply learn to trust each other “
“৩কোটির ও বেশি আদিবাসীদের পক্ষ থেকে আমি বলতে চাই…আমার কাছ থেকে প্রস্তাবনার আইনী জটিলতা বোঝার আশা করা হয় না। তবে আমার সাধারণ জ্ঞান আমাকে বলে, আমার মানুষের সাধারণ জ্ঞান আমাকে বলে যে আমাদের প্রত্যেকের উচিত স্বাধীনতার সেই রাস্তায় পদযাত্রা করা এবং একসাথে লড়াই করা। স্যার, যদি ভারতীয় জনগণের এমন কোনও গোষ্ঠী থাকে যার সাথে অশালীন আচরণ করা হয় তবে তা আমার জনগণ। গত ৬০০০বছর ধরে তাদের সাথে অবজ্ঞাপূর্ণ আচরণ করা হয়েছে, তাদের অবহেলা করা হয়েছে। সিন্ধু উপত্যকার সভ্যতার ইতিহাস, আমি যার সন্তান, স্পষ্টভাবে দেখায় যে নবাগতরা, আপনারা অনেকেই আমার প্রেক্ষিতে অনুপ্রবেশকারী , তারা আমার জনগণকে সিন্ধু উপত্যকা থেকে জঙ্গলের দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন। …আপনারা আদিবাসীদের গণতন্ত্র শেখাতে পারবেন না; আপনাদের তাদের কাছ থেকে গণতান্ত্রিক উপায় শিখতে হবে। তারা পৃথিবীর সবচেয়ে গণতান্ত্রিক মানুষ। …এখন আমরা একটি নতুন রাস্তায় আছি। এখন আমাদের একে অপরকে বিশ্বাস করতে শিখতে হবে।”
সংবিধানের প্রস্তাবনা করতে গিয়ে পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু বলেছিলেন-
“We went to our people and spoke to them of freedom and ending of their exploitation;we went to the forgotten creatures, The Indian peasant, and remembered that his poverty was the basic problem of India. We identified ourselves with him in his suffering and talked to him of how to get rid of it through political and social freedom”
“আমারা আমাদের জনগণের কাছে হাজির হয়েছিলাম, তাদের সাথে স্বাধীনতার বিষয়ে এবং তাদের শোষণের অবসানের প্রসঙ্গে কথা বলেছি। আমরা হাজির হয়েছিলাম বিস্মৃত প্রজাতির কাছে, ভারতীয় কৃষক, এবং স্মরণ করেছিলাম ভারতের মৌলিক সমস্যা হচ্ছে কৃষকের দারিদ্র। আমরা তার কষ্টে তার সাথে একাত্ম হয়েছিলাম, কথা বলেছিলাম এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক স্বাধীনতার মাধ্যমে তার মুক্তির উপায় নিয়ে আলোচনা করেছিলাম।”
দীর্ঘ বিতর্ক চুলচেরা বিশ্লেষণের পর গৃহীত হল “We the people of India” অর্থাৎ ভারতের জনগণ কোন ধর্ম সম্প্রদায় ভুক্ত জনগণ নন তারা নিজেরা নিজেদের সংবিধান প্রদান করছেন। যে সংবিধান ভারতবর্ষকে গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে সামাজিক ন্যায়, অর্থনৈতিক ন্যায় ও রাজনৈতিক ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করবে ব্যক্তি মতপ্রকাশ ব্যক্তি মর্যাদা ও পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ এর মাধ্যমে দেশের ঐক্য ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে।
প্রত্যেক ব্যক্তির নিজস্ব মত ও বিশ্বাসকে মর্যাদা দেওয়া প্রজাতন্ত্রের দায় ও দায়িত্ব। কিন্তু প্রজাতন্ত্রের কোন ধর্মীয় বিশ্বাস বা অস্তিত্ব থাকবে না। প্রজাতন্ত্র পরিচালিত হবে সংবিধানের নির্দিষ্ট লক্ষ্যে। সামাজিক ন্যায় ও অর্থনৈতিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা। আদিবাসী প্রতিনিধি আলোচনায় মনে করিয়ে দিয়েছে যে ৬০০০ বছর ধরে তারা বঞ্চিত বহিরাগতদের দ্বারা। তাদের প্রথাগত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নষ্ট করা হয়েছে। ভারতের গণতান্ত্রিক প্রশাসনে আমরা দেখেছি আদিবাসীদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের আস্থা অর্জন অত্যন্ত জরুরী। জয়পাল সিং এর ভাষায় আমাদের পরস্পরের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
মনে রাখতে হবে আদিবাসী সম্প্রদায় মূলত প্রকৃতি পূজারী ।কোন প্রথাগত ধর্মের সঙ্গে সম্পর্ক কম। জয়পাল সিং অভিযোগ করেছেন বহিরাগত (আর্য)রা তাদের বাস্তুচ্যুত করেছে। ভারতের সংবিধান প্রকৃতপক্ষে এক সমন্বয়ের ধারাপাত। সংবিধান রচয়িতারা বহুমুখী ভাবনা ও ভারতের সামগ্রিক ঐতিহ্যকে বিবেচনায় রেখেই সংবিধান রচনা করেছিলেন। সেই বন্ধনকে ভেঙ্গে দেবার পরিকল্পনা করছে আরএসএস পরিচালিত বিজেপি।
৩৭০ ধারা বাতিলের মধ্য দিয়ে গোটা কাশ্মীর- লাদাখ অঞ্চলকে ভারতের মূল ধারা থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হল। কাশ্মীর সংযুক্তির ঐতিহাসিক প্রেক্ষিতকে অবজ্ঞা করে শুধুমাত্র জঙ্গী হিন্দুত্ববাদ দিয়ে বিচার করে সরকারি সিদ্ধান্ত এক ভয়াবহ বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এক বছর একটি অঙ্গ রাজ্যের মানুষকে বন্দুকের মুখে বন্দি করে রাখা আস্থা অর্জনের বদলে গভীর অবিশ্বাসের জন্ম দেবে। কাশ্মীর বিভাজন, রাম মন্দির ভারতের সংবিধানের মূল চিন্তার বিরোধী। সংবিধান বিধিমত পরিচালিত সরকার এ ধরনের অপরিপক্ক কাজ করলে সামাজিক ন্যায় ও অর্থনৈতিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে পারবেনা।৫ই অগাস্ট ২০১৯ কাশ্মীরকে ভেঙে টুকরো করা হলো। ৫ই অগাস্ট ২০২০ ভারতবাসীদের ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজনের বীজ বপিত হলো।