বিমান বসু
বাংলা তথা ভারতে কমিউনিস্ট পার্টি গড়ে তলার অন্যতম পথিকৃৎ কমরেড মুজফ্ফর আহ্মদ। ১৮৮৯ সালের ৫ই অগাস্ট তারিখে তৎকালীন পূর্ববাংলায়, বর্তমান বাংলাদেশের চট্টগ্রামের অন্তর্গত অধুনা সন্দ্বীপ জেলায় তার জন্ম। ১৯৭৩ সালের ১৮ই ডিসেম্বর তার জীবনাবসান হয়।
পারিবারিক সমস্যার জন্য ইস্কুল শিক্ষায় ছেদ পড়ে, পরে নোয়াখালী কারগিল ইশকুল থেকে শিক্ষা সমাপন করে কলকাতায় চলে আসেন। প্রথমে শ্রীরামপুরে হুগলী মহসীন কলেজে, পরে নানা কাজের সাথে যুক্ত থাকায় অসুবিধা হচ্ছে উপলব্ধি করে বঙ্গবাসী কলেজে ভর্তি হন। এই কলেজে পড়াকালীন তিনি কলকাতায় ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী বিভিন্ন প্রতিবাদ মিছিলে অংশগ্রহণ করতেন। জীবনযাপন ও বাসস্থানের জন্য তিনি বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতি’তে সর্বসময়ের কর্মী হিসাবেযুক্ত হন ও তাদের অফিসেই বসবাসের ব্যবস্থা স্থির করেছিলেন।
১৯১৭ সালে রুশ দেশের বিপ্লবে গোটা পৃথিবীর সাথে আমাদের দেশেও আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। এই বিপ্লবের কথা জানার পর থেকেই কমরেড মুজফফর আহমদ ভারতের বুকে কমিউনিস্ট পার্টি গড়ে তোলার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। ভরা যৌবনের দৃঢ়তার সঙ্গে যা শুরু করেছিলেন তা পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে চলেছিল। এক সময়ে মুজফ্ফর আহ্মদ খবর পান ১৯২০ সালের ১৭ই অক্টোবরে উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে এম এন রায়ের নেতৃত্বে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি গঠিত হয়েছে। ঐ সময়ে মস্কোতে প্রাচ্যদেশীয় শ্রমিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করে একদল ভারতীয় দেশে ফিরে এলে তাদের সাথে কাকাবাবুর যোগাযোগ হয়। শওকত উসমানী ও মহম্মদ শফিক ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। লক্ষ্যনীয় বিষয় হল প্রায় একই সময়ে কমরেড শিঙ্গারাভেলু চেট্টিয়ার ভারতে কমিউনিস্ট পার্টি গড়ে তোলার কাজে যুক্ত হয়ে যান। এর কিছুটা পরে হলেও ত্রিবাংকুর কোচিনে ই এম এস নাম্বুদিরিপাদ জাতীয় কংগ্রেসের সদস্য থাকা অবস্থাতেই কমিউনিস্ট পার্টির সাথে যুক্ত হয়েছিলেন। সে যুগে ভারতে বিপ্লবীদের অনেকেই জাতীয় কংগ্রেসের পতাকার তলায় থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামের কাজে নিজেদের যুক্ত করতেন। কমরেড মুজফ্ফর আহ্মদের মতো কয়েকজন যুবক সেই সময় একইসাথে দেশের শ্রমিক – কৃষকদের সংগঠিত করার কাজে নির্দিষ্ট দায়িত্ব নিয়েছিলেন। কংগ্রেসের অধিবেশনে তারা যে বক্তব্য রাখতেন তাতে শ্রমিক কৃষকের স্বার্থ রক্ষা করার ক্ষেত্রে কিছু প্রস্তাবও উত্থাপন করতেন। উল্লেখ্য ১৯১৯ সালে অমৃতসরে জালিয়ানওয়ালাবাগে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কলকাতায় যে বড় সভা ও মিছিল হয়েছিল তাতে কমরেড মুজফ্ফর আহ্মদ অংশগ্রহণ করেন।
১৯২০ সালের এ কে ফজলুল হক একটি বাংলা দৈনিক পত্রিকা প্রকাশ করেন। কাজী নজরুল ইসলাম ও কমরেড মুজফ্ফর আহ্মদের যুগ্ম সম্পাদনায় ঐ সান্ধ্য দৈনিক ‘নবযুগ’ প্রকাশ করা শুরু হয়। যুগ্ম সম্পাদক হলেও পত্রিকায় সম্পাদকীয় প্রবন্ধগুলি প্রধানত তিনিই লিখতেন। এই পত্রিকায় কৃষক সমাজ ও শ্রমিকদের খবর বেশি ছাপা হত। ফজলুল হোক সাহেব তাতে খুশিই হতেন।
বলশেভিক বিপ্লবের আতংকে ভারতের ব্রিটিশ সরকার সর্বদা সচেতন ছিল। তারই সুবাদে এদেশে একের পর এক কমিউনিস্ট ষড়যন্ত্র মামলা সাজানো হয়েছিল। প্রথম থেকেই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ ভারতে কমিউনিস্ট আন্দোলন এবং কমিউনিস্ট পার্টিকে অন্যতম বিপদ হিসাবে চিহ্নিত করেছিল। ১৯২৩-২৪ সালে নর্থ-ওয়েস্ট ফ্রন্টিয়ার এলাকায় ‘পেশোয়ার কমিউনিস্ট ষড়যন্ত্র মামলা’ এবং ১৯২৪ সালে ‘কানপুর কমিউনিস্ট ষড়যন্ত্র মামলা’ দায়ের হয়। ১৯২৮ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে কলকাতায় সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অনেকগুলি গোষ্ঠী একত্রে ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পিজ্যান্টস পার্টি গড়ে তোলে। অল ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসেও তখন কমিউনিস্টদের প্রভাব অনেকটাই বেড়েছে। আসন্ন কমিউনিস্ট বিপ্লবের ভয়ে ব্রিটিশ সরকার প্রমাদ গুনেছিল। এই বিপদ থেকে মুক্তি পেতে তারা ১৯২৯ সালে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করেছিল। ভারতে কমিউনিস্ট আন্দোলনকে ধ্বংস করতে চেয়েই এই মামলা হয়েছিল, কিন্তু এর ফল হল সম্পূর্ণ বিপরীত। এই মামলায় অভিযুক্ত কমিউনিস্ট নেতৃত্ব আদালতের কাঠগড়াকেই পার্টির কাজের প্রচার এবং প্রসারের মঞ্চ হিসাবে ব্যবহার করেন। তারা সিদ্ধান্ত নেন পার্টির পক্ষে কেউ নিজের বক্তব্য আলাদা করে না জানিয়ে সম্মিলিত একটি সাধারণ বক্তব্য তুলে ধরা হবে। সেই বক্তব্যই হবে আদালতের সামনে তাদের জবাব, দেশবাসীর সামনে তাদের কর্মসূচী। গোটা দেশে কমিউনিস্টদের খবর ছড়িয়ে পড়ে।
কমরেড মুজফফর আহমদ ছিলেন শ্রমিক শ্রেনীর বন্ধু, কৃষক সমাজের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় এবং সমাজ পরিবর্তন ও শোষণ ভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা অবসানের লড়াইতে অংশগ্রহণকারী সমস্ত মানুষের একান্ত সুহৃদ। তিনি প্রবাসে কমিউনিস্ট পার্টির গড়ে ওঠার ইতিহাস সম্পর্কে অর্থাৎ তাসখন্দে যে পার্টি গড়ে উঠেছিল সে সম্পর্কে নানাধরনের লেখা ও তথ্য সংগ্রহ করার ব্যাপারে বিশেষভাবে উদ্যোগী ছিলেন। সেই অনুযায়ী জাতীয় কংগ্রেসের সভায় আলোচনার পয়েন্টস নির্দিষ্ট করে নিতেন। তিনি সেই সময় বঙ্গ প্রদেশের পিসিসি (প্রভিন্সিয়াল কংগ্রেস কমিটি)’র সদস্য ছিলেন, এআইসিসি(অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটি)’রও সদস্য ছিলেন। কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনাল থেকে এবং ব্রিটেনের কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে মুজফফর আহমদের নামে চিঠি আসতো। সেই সব চিঠি তিনি সবসময় পেতেন না, বেশ কিছু পুলিশের গোয়েন্দা বাহিনীর হাতে চলে যেত, আবার কিছু পেতেন। এই কারণে পরে জাহাজে কাজ করা লোকজনের মাধ্যমে চিঠি পাঠানো শুরু হয়েছিল। এই সব উল্লেখ করার কারণ ১৯২৫ সালে কানপুরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের আগে থেকেই মুজফফর আহমদের কাছে বিদেশ থেকে চিঠিপত্র আসতো, এই তথ্য আজকের দিনে আমাদের মনে রাখতেই হবে। একথাও মনে রাখতে হবে পরাধীন ভারতে কমিউনিস্ট পার্টি গড়ে তোলার কাজ ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ ছিল।
এহেন ঝোড়ো সময়ে পার্টি সংগঠন গড়ে তোলার পাশাপাশি মার্কসবাদ-লেনিনবাদ আত্মস্থ করে,সেসব চর্চার যে অভ্যাসে তিনি ব্রতী ছিলেন তারই ফলশ্রুতিতে ১৯৩৩ সালে সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে ও তার পরে বিভিন্ন পর্যায়ে ভারতের বুকে শ্রমিক আন্দোলন, কৃষক আন্দোলন এবং পরে একটি গঠনতন্ত্রের ভিত্তিতে রাজনৈতিক লক্ষ্য, উদ্দেশ্য সম্পর্কে মার্কসবাদ–লেনিনবাদ সম্মত দিশা ঠিক করে এদেশেযথার্থ অর্থে কমিউনিস্ট পার্টি গড়ে উঠেছিল। ভারতে কমিউনিস্ট পার্টি গড়ে ওঠার ইতিহাস বর্ণনা করার জন্য একথা আমি উল্লেখ করছি না। পরাধীন ভারতে এবং স্বাধীনতার পরে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে গণসংগঠন, আন্দোলন-সংগ্রাম এবং পার্টির কাজ পরিচালনা করে এগিয়েছে ভারতের তৎকালীন কমিউনিস্ট পার্টি। ১৯৬২ সালে পার্টির অভ্যন্তরে রাজনৈতিক লাইন সম্পর্কে বিতর্কের ফলাফল হিসাবে পার্টির জাতীয় কাউন্সিল সভা থেকে যে ৩২ জন পদত্যাগ করে বেরিয়ে এসেছিলেন কমরেড মুজফফর আহমদও তাদের অন্যতম ছিলেন। যদিও তিনি তখন বন্দী জীবন যাপন করছিলেন। তারপরে ১৯৬৪ সালে কলকাতায় অনুষ্ঠিত সপ্তম পার্টি কংগ্রেস থেকে পার্টির ভিন্ন পথে যাত্রা শুরু হবে। তখনকার সময়ে সংবাদ মাধ্যমে এবং সরকারের তরফে সেই পার্টিকে বামপন্থী কমিউনিস্ট পার্টি বলা হতো, পরে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) – সিপিআই(এম) নাম হয়। এই পর্বেও কমরেড মুজফফর আহমদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, যদিও এক্ষেত্রে অনেকটা সময় জুড়ে কাজ করতে পারেননি, তাকে সরকার কারাগারে বন্দী করে রেখেছিল।
নির্যাতিত, নিপীড়িত যারা শ্রেণী শোষণের জাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছেন তাদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলাই হবে আমাদের আজকের কাজ। একইসাথে সময়ের বাধ্যবাধকতায় যে ধরণের আন্দোলন সংগ্রাম করা যায় সেভাবেই আন্দোলনে ব্রতী হতে হবে। একদিকে শ্রেণী সংগ্রামকে তীব্র করার লক্ষ্যে, অন্যদিকে বিজেপি’র নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের দ্বারা মানুষে মানুষে যেভাবে নানা বিভাজনের নীতি পরিচালিত হচ্ছে তার বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, ঐক্য, সংহতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমাদের পথ চলতেই হবে।
কমরেড মুজফফর আহমদ পার্টি সংগঠনকে রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী করতে চাইতেন, জনগণের আন্দোলন সংগ্রামকে তীব্র করার লক্ষ্যে। আমাদের তার জন্মদিনে শপথ নেওয়ার প্রয়োজন যেখানেই মানুষ অত্যাচারিত হচ্ছেন, নিপিড়িত হচ্ছেন তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। বিভিন্ন গণসংগঠনের নেতৃত্বে নিজস্ব আন্দোলন গড়ে তোলা আবার একইসাথে যুক্ত আন্দোলনের পথ ধরেও চলা – দুইই আমাদের কর্তব্য। আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে যে, মুজফ্ফর সাহেব অনেক ত্যাগ তিতীক্ষার মধ্য দিয়ে যেভাবে পার্টি ও গণসংগঠন গড়ে তুলে জনসংযোগ বৃদ্ধি করে আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তুলতেন তা বর্তমান প্রজন্মের নেতা নেত্রীদের নতুন পরিবেশে আত্মস্থ্য করতেই হবে। কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে নতুন শিক্ষানীতি চালু হবার কথা ঘোষণা করেছে তা সাধারণ মানুষের ছেলে মেয়েদের শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যে। আবার ঘোষিত শিক্ষানীতি যে পদ্ধতিতেঘোষিত হয়েছে স্বাধীন ভারতে তা নজিরবিহীন। শিক্ষা ভারতের সংবিধানের যৌথ তালিকাভুক্ত, ইংরেজিতে যাকে ‘কনকারেন্ট লিস্ট’ বলে। কেন্দ্রীয় সরকারকে রাজ্য সরকারগুলির সাথে আলাপ আলোচনা করেই এব্যাপারে নির্দিষ্ট নীতি প্রনয়ন করবে – এটাই সাংবিধানিক পথনির্দেশ। শিক্ষার মতো একটি বিষয় যা জাতি গঠনের প্রশ্নের সাথে সংশ্লিষ্ট, সেক্ষেত্রে হঠাৎ কারোর মস্তিস্কপ্রসুত কোনকিছুকে কার্যকরী করা যায় না, তিনি যেই হোন না কেন। এতে শিক্ষাবিদদের, শিক্ষা বিষয়ক গবেষকদের মতামত নিতে হয়। আমাদের দেশে এর আগে শিক্ষানীতি বিষয়ক যেসব কমিশনগুলি আগে হয়েছে যেমন স্কুলশিক্ষার ক্ষেত্রে ১৯৫২ সালের মুদালিয়ার কমিশন, ১৯৬৪ সালেসামগ্রিক শিক্ষা বিষয়ক কোঠারি কমিশন এই সব ক্ষেত্রেই কমিশনের সুপারিশগুলি লোকসভায় পেশ করা হয়েছে, এবং সংসদে আলোচনার ভিত্তিতে সংযোজিত, সংশোধিত হয়ে তবে গৃহীত হয়েছে তবে তা রুপায়িত করা হয়েছে। কিন্তু এইবার আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রস্তাবিত শিক্ষানীতিকে সংসদে পেশ না করেই, সংসদের মতামত না নিয়েই – একতরফাভাবে তাকে কার্যকরী হিসাবে ঘোষণা করে দিলেন। এই আচরণ কিসের ইঙ্গিত? এ হল স্বৈরতান্ত্রিক কার্যকলাপ পরিচালনার অশনি সংকেত।
কমরেড মুজফফর আহমদের জন্মদিনে আমাদের শপথ নিতে হবে।আমাদের পার্টি কোন নেতার জন্মদিন বা মৃত্যুদিন পালনে সাধারনভাবে কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে না। কিন্তু বিশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ১৯৬৩ সালে তখনকার পার্টির নেতৃত্ব – যারা জেলে বন্দি ছিলেন, বাইরে প্রকাশ্যে এবং আত্মগোপনে কাজ করতেন এমন সবার আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হয়েছিল পার্টির পক্ষ থেকে কমরেড মুজফফর আহমদের জন্মদিন পালন করা হবে। এ প্রশ্নে মুজফফর সাহেব নিজে ঘোরতর আপত্তি তুলেছিলেন, কিন্তু তা গ্রাহ্য হয়নি। ১৯৬৩ সালে ৫ই অগাস্ট কলকাতার রামমোহন হলে মুজফফর আহমদের প্রথম জন্মদিন পালন করা হয়।
বর্তমান সময়ে কমরেড মুজফ্ফর আহ্মদকে স্মরণে রেখে ধর্মনিরপেক্ষ ভারত রাষ্ট্রের কাঠামোকে রক্ষা করতে, ভারতে বিভিন্ন ধর্ম, বিভিন্ন বর্ণ, বিভিন্ন জাতি এবং বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের ঐক্যের মেলবন্ধনকে দৃঢ় করার লক্ষ্যে পথ চলাই হবে আমাদের আজকের দিনের শপথ।