23 March: Take Oath To Resist Divide and Rule

শহীদ ভগৎ সিংয়ের ফাঁসির দিনে দেশের সর্বত্র বিভাজন প্রতিহত করার শপথ নেবেন বামপন্থীরা। ২৩ মার্চ এই কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে পাঁচ বামপন্থী দল। নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সংহত করা হবে সিএএ-এনপিআর-এনআরসি বিরোধী লড়াইকে। পাঠ করা হবে শপথবাক্য।

Picture Source: Google Images

কর্মসূচিতে সংবিধান রক্ষার শপথ নেবেন বামপন্থীরা। রাজনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রত্যেক ভারতীয়ের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার দিকে এগনোর লক্ষ্য ঘোষণা করবেন ফের। বামপন্থী নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আধুনিক এবং সকলের সমান অধিকার রয়েছে এমন দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন শহীদরা। স্বাধীনতার লড়াইয়ে অংশ নিয়েছেন, জীবন দিয়েছেন তাঁরা। 

১৯৩১ সালের ২৩ মার্চ ব্রিটিশ সরকার ফাঁসি দেয় ভগৎ সিং, সুখদেব এবং রাজগুরুকে। বামপন্থীরা বলেছেন, আধুনিক এবং সকলের সমান অধিকার রয়েছে এমন দেশের স্বপ্ন নিয়ে প্রাণ দিয়েছিলেন ভগৎ সিং এবং তাঁর সঙ্গীরা। তেমনই দেশ গড়ার পক্ষে শপথ নেওয়া হবে।

Death Sentence For The Convicted Of Lahore Conspiracy Case
Picture Source: Google
Images

সিপিআই(এম), সিপিআই, সিপিআই (এম-এল) লিবারেশন এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, ডি রাজা, দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, দেবব্রত বিশ্বাসের পাশাপাশি বিবৃতিতে সই করেছেন আরএসপি নেতা মনোজ ভট্টাচার্য। তাঁরা জানিয়েছেন প্রত্যেক রাজ্যের রাজধানী এবং জেলাকেন্দ্রে যৌথ কর্মসূচি পালন করা হবে। মিছিল করে সংগঠিত হবে জমায়েত। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে থাকবেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং কর্মীরা। থাকবেন বুদ্ধিজীবীরা, সমাজকর্মীরাও। রাজনৈতিক বক্তৃতার পাশাপাশি চলবে সাংস্কৃতিক কর্মসূচি।

দেশজুড়ে বিজেপি’র মারাত্মক ধর্মীয় মেরুকরণের অভিযান মনে করিয়েছেন বামপন্থীরা। জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া এবং জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে মারাত্মক আক্রমণে দিল্লি পুলিশের পূর্ণ মদত, বিজেপি-শাসিত উত্তর প্রদেশে প্রতিবাদীদের ওপর প্রশাসনিক নিপীড়নের উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে। দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক হিংসার ছবি তুলে ধরে বামপন্থীরা বলেছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের তদারকিতে দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে থেকেছে দিল্লি পুলিশ। কিছু ক্ষেত্রে হিংসায় মদতও দিয়েছে। সাম্প্রদায়িক হিংসায় নিহত হয়েছেন সরকারি হিসাবেই ৫৩ জন, কয়েকশো মানুষ আহত, কোটি কোটি থাকার সম্পত্তি লুট করা হয়েছে। সময় বেঁধে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বামপন্থীরা।

পাঁচ বামপন্থী দল বিরোধিতা করেছেন কেন্দ্রীয় বাজেটেরও। নেতৃবৃন্দ বলেছেন, এই বাজেটে সুবিধা হবে ধনী এবং কর্পোরেট মালিকদের। সাধারণ মানুষের জীবনজীবিকার ওপর আক্রমণ তীব্রতর হবে। ব্যাপকহারে বেসরকারিকরণের লক্ষ্য জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রের বেসরকারিকরণ চলবে দ্রুত হারে। দেশের অর্থনীতির ভিত্তিগুলিকে খাটো করেছে এই বাজেট। মানুষের যন্ত্রণা বাড়ানো হয়েছে বেনজির মাত্রায়।    

Spread the word

Leave a Reply