Socialism PP Cover

24th Congress: The Road Ahead Towards Progress

প্রকাশ কারাত

সিপিআই(এম)-এর ২৪তম কংগ্রেস ২ থেকে ৬ এপ্রিল মাদুরাইতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে যখন দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে, ঠিক সেই সময়েই এই কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভারতে বিজেপি’র শাসনে কর্তৃত্ববাদী হিন্দুত্ব-কর্পোরেট শাসনকে শক্তিশালী করার ধারাবাহিক প্রচেষ্টা চলছে। মোদী সরকারের হিন্দুত্ব-কর্পোরেট নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন শক্তিশালী হয়েছে শ্রমিক, কৃষক এবং শ্রমজীবী মানুষের বিভিন্ন অংশের ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের মাধ্যমেই।

মাত্র দু’মাসের মধ্যে, গত তিন দশক ধরে আমেরিকার আধিপত্যে চলা ‘আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে’ ওলটপালট করে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এটা স্পষ্ট হচ্ছে যে ট্রাম্প ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ এবং ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ স্লোগান দিয়ে আরও নগ্ন সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের দিকে এগিয়ে চলেছেন। এটা নিঃসন্দেহে ন্যাটো এবং ইউরোপে তার অন্যান্য ঘনিষ্ঠ মিত্রদের সাথে মার্কিন সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলবে; দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলির বিরুদ্ধে তীব্র শত্রুতামূলক হস্তক্ষেপ ঘটবে এবং প্যালেস্তাইনের জনগণের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের নৃশংস গণহত্যাকে সমর্থন জারি থাকবে।

ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতি শাসনে তাই, আন্তঃ-সাম্রাজ্যবাদী দ্বন্দ্ব সহ সমস্ত প্রধান সামাজিক দ্বন্দ্বের তীব্রতা দেখা যাবে, যা এতদিন স্তিমিত ছিল। পার্টি কংগ্রেস এসব ঘটনার নিরিখেই আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির বিশ্লেষণকে সময়োপযোগী করার আলোচনা করবে।।

মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের এই নতুন আগ্রাসী ভূমিকার সঙ্গে ভারতের যোগসূত্র হলো, শুল্ক ও ভিসার মতো বিষয়ে ভারতের স্বার্থের বিরুদ্ধে তাদের পদক্ষেপগুলো উপেক্ষা করেই নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সরকার ট্রাম্প শাসনের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে। মোদী সরকার এবং বিজেপি বিশ্বব্যাপী অতি দক্ষিণপন্থী শক্তিগুলির সঙ্গে একই সঙ্গে দৃঢ়ভাবে অবস্থান করছে। মোদী সরকারের এগারো বছরের শাসনে দক্ষিণপন্থী, সাম্প্রদায়িক, কর্তৃত্ববাদী শক্তিগুলি অনেক বেশি সংহত হয়েছে নয়া-ফ্যাসিবাদের বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়েই। মোদী সরকার হিন্দুত্ববাদী শক্তি এবং বড় বুর্জোয়াদের জোটের প্রতিনিধিত্ব করে। এই বিশ্লেষণের ভিত্তিতে, আমাদের মূল রাজনৈতিক রণকৌশল হল, বিজেপি-আরএসএস এবং হিন্দুত্ববাদী-কর্পোরেট জোটকে পরাজিত করা।

রাজনৈতিক রণকৌশল

২৪তম কংগ্রেসের খসড়া রাজনৈতিক প্রস্তাবের রাজনৈতিক দিকনির্দেশ নিম্নরূপ:

“২.৮৬ – বিজেপি এবং হিন্দুত্ববাদী শক্তিগুলিকে বিচ্ছিন্ন এবং পরাজিত করার জন্য, হিন্দুত্ববাদী মতাদর্শ এবং সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলির কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক সংগ্রাম প্রয়োজন। হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সমস্ত ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিগুলিকে সমবত করার জন্য প্রচেষ্টা চালাতে হবে।”

“২.৮৭ – হিন্দুত্ববাদী নয়া-উদারবাদী শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রামে সাফল্য অর্জনের জন্য সিপিআই(এম) এবং বাম শক্তিগুলির নিজস্ব শক্তি বৃদ্ধি প্রয়োজন। হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই এবং নয়া উদারবাদী নীতির বিরুদ্ধে লড়াই, এই দুই লড়াইকে সমন্বিত করা দরকার।”

২.৮৮ – মোদী সরকার এবং বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই কর্পোরেটপন্থী, নয়া-উদারবাদী নীতির বিরুদ্ধে শ্রেণী এবং গণসংগ্রাম পরিচালনার মাধ্যমে পরিচালনা করতে হবে, যা শ্রমজীবী মানুষের শোষণকে তীব্র করেছে এবং তাদের জীবিকা ও জীবনযাপনের মানের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছে। লুটেরা পুঁজিবাদ (Crony Capitalism), জাতীয় সম্পদের লুট এবং ব্যাপক বেসরকারীকরণের বিরোধিতা করার ক্ষেত্রে পার্টিকে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে।”

এর পাশাপাশি, সিপিআই(এম) গণতন্ত্রের উপর কর্তৃত্ববাদী আক্রমণ, দানবীয় আইনের ব্যবহার এবং সংবিধান ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে দুর্বল করার প্রচেষ্টার মতো বিষয়ে সমস্ত ধর্মনিরপেক্ষ এবং গণতান্ত্রিক শক্তির সাথে সহযোগিতা ও কাজ করবে। এই লক্ষ্যে, পার্টি INDIA মঞ্চের মতো ধর্মনিরপেক্ষ বিরোধী শক্তির বৃহত্তর মঞ্চের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্যও কাজ করবে।

পার্টির স্বাধীন শক্তি বৃদ্ধি করুন

আগের ২৩তম কংগ্রেসে গৃহীত রাজনৈতিক কৌশল কীভাবে কাজ করেছে, তার ওপর কেন্দ্রীয় কমিটি যে পর্যালোচনা রিপোর্ট প্রস্তুত করেছে, সেখানে পার্টির নিজস্ব শক্তি বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা এবং গুরুত্বের কথা বলা হয়েছে। পার্টি কংগ্রেসে এটাই প্রধান আলোচ্য বিষয় হবে, কারণ পার্টির নিজস্ব শক্তি না বাড়লে বিজেপি-আরএসএস শক্তির বিরুদ্ধে কার্যকরভাবে লড়াই করা যাবে না।

পার্টিকে শক্তিশালী করার জন্য মৌলিক শ্রেণীগুলির (Basic Class) মধ্যে কাজকে অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন। গ্রামের ধনী এবং তাদের যোগসাজশে গ্রামীণ গরীবদের ওপর যে শোষণ চলছে, সেই শোষণ-বিরোধী লড়াইগুলোকে গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করতে হবে। উৎপাদন ও কৌশলগত শিল্পে সংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের মধ্যে পার্টির প্রভাব বিস্তার করতে হবে এবং সংগঠিত ক্ষেত্রের চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের সংগঠিত করার উপর গুরুত্ব দিতে হবে।

পার্টির বিভিন্ন মঞ্চগুলিকে ব্যবহার করে নিজস্ব প্রচার এবং সাধারণ মানুষকে সমবেত করার দিকে আরও বেশি নজর দিতে হবে। নির্বাচনী সমঝোতা বা জোটের কারণে আমাদের স্বাধীন স্বত্বা যেন অস্পষ্ট না হয় বা আমাদের স্বাধীন কার্যকলাপ যেন কমে না যায়, তাও নজরে রাখতে হবে। আরএসএস-হিন্দুত্ববাদী শক্তির মতাদর্শ ও কার্যকলাপ মোকাবিলায় মতাদর্শগত কাজ ও প্রচারের দিকে আমাদের বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।

দীর্ঘস্থায়ী ভাবে স্থানীয় ভিত্তিতে সাধারন মানুষ ও শ্রেণীগত সমস্যাগুলি নিয়ে সংগ্রাম করার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। পার্টির উচিত সমাজে জাতপাত, মহিলাদের উপর অত্যাচার, এই সবের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ ভাবে প্রচার ও লড়াই করা। সমাজের এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াইকে, গরিবদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে। অনেক বেশি যুবককে আকৃষ্ট করে পার্টিতে নিয়ে আসা দরকার। তার জন্য, পার্টির রাজনৈতিক লক্ষ্য আর দাবিগুলো এমনভাবে সাজাতে হবে, যাতে সেগুলি তরুণদের কাছে প্রাসঙ্গিক হয়।

সংগ্রাম এবং প্রতিরোধ

২০২৪ সালের মে মাসে লোকসভা নির্বাচনী যুদ্ধে ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক বিরোধী দলগুলির খানিকটা লাভ হলেও, বিজেপি তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানো সত্ত্বেও, তৃতীয় দফার মোদী সরকারের দশ মাসের কাজের অভিজ্ঞতায় দেখা যাচ্ছে যে, হিন্দুত্ব-কর্পোরেট আঁতাত তাদের নিজেদের কর্মসূচী বাস্তবায়নে কোনরকম শিথিলতা রাখছে না। মোদী সরকারের অর্থনৈতিক ও হিন্দুত্ববাদী নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধকে শক্তিশালী ও প্রসারিত করা তাই আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

২৩তম কংগ্রেসের পর থেকে শ্রমিক শ্রেণী, কৃষক, মহিলা, যুব ও ছাত্রদের উল্লেখযোগ্য সংগ্রাম ও ঐক্যবদ্ধ লড়াই দেখা গেছে। তামিলনাড়ুর কাঞ্চিপুরমে স্যামসাং-এর মতো একটি বিশাল বহুজাতিক সংস্থার বিরুদ্ধে কর্মীদের ৩৮ দিনের ধর্মঘট একটি সফল সংগ্রামের উজ্জ্বল উদাহরণ। বিশাখাপত্তনম ইস্পাত কারখানার বেসরকারীকরণ এবং বিদ্যুৎ বিপনণ সংস্থার বেসরকারীকরণের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চলছে। বিভিন্ন রাজ্যে প্রকল্প কর্মীদের অসংখ্য সংগ্রাম হয়েছে, যার মধ্যে অনেকগুলি ক্ষেত্রে দাবি আদায়ে সাফল্যও অর্জন করেছে। বিভিন্ন জায়গায় এমএনআরইজিএ, মজুরি, জমি এবং আবাস ও বাসস্থানের দাবীর মতো বিষয়ে সংগ্রাম হয়েছে।

কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ মঞ্চ এসকেএম, এমএসপি’র আইনি অধিকার এবং অন্যান্য দাবি নিয়ে তাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। আদিবাসী ও কৃষকদের খনি প্রকল্পের কারণে বাস্তুচ্যুতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম হয়েছে। মহিলা, ছাত্র এবং যুবরাও খাদ্য নিরাপত্তা, মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ, জাতীয় শিক্ষা নীতি এবং বেকারত্বের মতো বিষয়ে লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে।

আগামী দিনগুলিতে, নয়া উদারবাদী নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধকে প্রসারিত ও তীব্র করতে হবে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি চারটি শ্রমিক বিরোধী শ্রম কোড চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে আগামী ২০ মে এক দিনের সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।

পার্টির সর্বস্তরের কমিটিগুলিকে এই সংগ্রামগুলিতে অংশগ্রহনকারী সাধারন মানুষ এবং যারা শ্রেণী ও গণসংগঠনের সদস্য হয়েছেন তাদের রাজনীতি সচেতন করার দিকে আরও মনোযোগ দিতে হবে। সংগ্রামের মধ্যে থাকা বিপুল সংখ্যক জঙ্গি ও অংশগ্রহনকারী কর্মীদের রাজনীতি সচেতন করে পার্টিতে টেনে আনতে পারলে তবেই পার্টির স্বাধীন শক্তি বৃদ্ধি পাবে।

ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতি শাসনে বিশ্ব আরও আগ্রাসী সাম্রাজ্যবাদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মোদী সরকার স্বেচ্ছায় ট্রাম্পের বিশ্বব্যাপী এই নকশার মিত্র হয়ে উঠছে। এই কারণেই দেশে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনকে জোরদার করা এবং মোদী সরকারের মার্কিনপন্থী নীতির বিরোধিতা করা আরও বেশি প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। শুধুমাত্র সিপিআই(এম) এবং বামপন্থীরাই এই কাজের দায়িত্ব পালন করতে পারে।

কেরালার এলডিএফ সরকার

কেন্দ্রীয় সরকারের শত্রুভাবাপন্ন এবং বৈষম্যমূলক মনোভাবের মুখেও, ‘নতুন কেরালা’ গড়ে তোলার জন্য বিকল্প নীতি বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে, আর এই কারণেই তারা অন্যদের থেকে আলাদা। কেন্দ্রীয় সরকারের বৈরী ও বৈষম্যমূলক মনোভাবের মুখোমুখি হয়েই এই কাজ করা হচ্ছে। সিপিআই(এম) কেরালায় ধারাবাহিক ভাবে ধর্মনিরপেক্ষ-গণতান্ত্রিক বিকল্পের সমর্থনে জনগণকে সংগঠিত করছে। দেশের সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে একত্রিত করে এলডিএফ সরকারকে রক্ষা করতে হবে।

শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তোলো

রাজনৈতিক ও আদর্শগত অবস্থান থেকেই পার্টি সংগঠনকে সুবিন্যস্ত ও প্রসারিত করার জন্য প্রয়োজনীয় আগামী পদক্ষেপগুলি নিয়ে পার্টি কংগ্রেস আলোচনা করে তা বাস্তবায়নের পথনির্দেশিকা তৈরি করবে।

২৩তম কংগ্রেস কিছু সাংগঠনিক কাজ নির্ধারণ করেছিল: পার্টি সদস্যদের গুণমান উন্নত করা; শাখা অর্থাৎ প্রাথমিক ইউনিটগুলিকে সক্রিয় করা; শাখা সহ সমস্ত স্তরের পার্টি কমিটিগুলিকে শ্রেণী ও জনগণের সমস্যাগুলি চিহ্নিত করে সংগ্রামে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম করে তোলার জন্য গণ লাইন গ্রহণ করা। হিন্দুত্ববাদী আদর্শ ও কার্যকলাপ মোকাবিলায় মতাদর্শগত কাজ গ্রহণের জন্য পার্টি সংগঠনকে প্রস্তুত করার উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। এই সমস্ত বিষয়ের পর্যালোচনা সাংগঠনিক প্রতিবেদনে করা হবে। উপর থেকে নিচ পর্যন্ত নিজেদের কাজ কতটা ভালো ভাবে করা গেছে আর কোথায় ভুল হয়েছে, সেটা আত্মসমালোচনার দৃষ্টিতে দেখা হবে। তারপর ভবিষ্যতের কাজ ঠিক করা হবে, যাতে সংগঠন আরও কার্যকরী ভাবে রাজনৈতিক কার্যকলাপ পরিচালনা করতে, লড়াই ও আন্দোলনকে প্রসারিত করতে এবং মতাদর্শের জন্য লড়াই চালাতে পারে।

সিপিআই(এম)-এর নিজস্ব শক্তি বাড়ানোর সাথে সাথে বাম দলগুলোর মধ্যে আরও বেশি ঐক্য তৈরি করতে হবে এবং বাম ও গণতান্ত্রিক বিকল্প গড়ে তুলতে হবে। বাম ও গণতান্ত্রিক মঞ্চ তৈরি করতে হবে ধৈর্য ধরে, খেটে খাওয়া মানুষ এবং তাদের সংগঠনগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে।

২৪তম কংগ্রেস সমস্ত বাম, গণতান্ত্রিক এবং ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানাক, যাতে প্রতিক্রিয়াশীল অন্ধকার শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক এবং প্রগতিশীল পথে উন্নয়নের বিকল্প পথ খুলে দিতে পারে।

Spread the word

Leave a Reply