“যে দেশে না খেতে পেয়ে শুকিয়ে মরা, কিছু না বুঝে ছুরি খেয়ে শেষ হওয়া, এবং তারই পাশে ধনিকের টাকার জোরে সমগ্র শাসনযন্ত্রটাকে হাত করে উল্লাসিত উদ্দাম পৈশাচিকতা,” সেই দেশেরই এক রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। তার রাজধানী কলকাতা প্রতিবাদের শহর। দাঙ্গার রক্তস্নাত অমিত শাহ রবিবার কলকাতায় এসেছিলো। দিল্লির সংঘর্ষে সোমবার দুপুর অবধি প্রাণ গেছে ৪৭ জন মানুষের। আর তাই রবিবার দিনভর অমিত শাহের বিরুদ্ধে পোস্টার আর কালো পতাকা হাতে প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে কলকাতা আবার প্রমান করলো কেন কল্লোলিনী তিলোত্তমা প্রতিবাদের শহর।
সোমবার অর্থাৎ আজ ফের রাস্তায় নামবে কলকাতা। রবিবার সাংবাদিকদের সিপিআই(এম)’র পলিট ব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেছেন, কলকাতা শহর এবং শহীদ মিনার ময়দান স্বাধীনতার আগে থেকে বহু গণআন্দোলনের সাক্ষী। দেশে ও বিদেশে বহু অন্যায়ের প্রতিবাদে মানুষ এখানে সোচ্চার হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সহযোগিতায় সেই কলকাতায় এসে অমিত শাহ বিষ ছড়িয়ে গেছেন। সোমবার কলকাতার মাটিকে বিষমুক্ত করে শান্তি, সম্প্রীতি ও ঐক্যের বার্তা ছড়িয়ে দিতে মিছিল হবে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে।
দিল্লিতে রাষ্ট্রীয় মদতে আরএসএ-বিজেপি’র গণহত্যার প্রতিবাদে এবং এরাজ্যে শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখতে এদিন দুপুরে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে এই মিছিলে হাজার হাজার মানুষ শামিল হবেন। মিছিল শেষ হবে মহাজাতি সদনের সামনে। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র জানিয়েছেন, সব অংশের নানা মতের মানুষ এই মিছিলে আসবেন তাই সবাইকে দলীয় ঝান্ডা ছাড়াই আসতে বলা হয়েছে। তবে নানা পোস্টার এবং ফেস্টুন থাকবে এই মিছিলে।
সোমবার দুপুর তিনটেয় সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে জমায়েত করে মিছিল বের হবে বামপন্থী ও সহযোগী দলগুলি এবং জাতীয় কংগ্রেসের আহবানে । শান্তির আহ্বান জানিয়ে এই মিছিল শেষ হবে মহাজাতি সদনে। দলমত নির্বিশেষে বিজেপি এবং তৃণমূল বিরোধী সব রাজনৈতিক দল, সংগঠন এবং গণতান্ত্রিক মনোভাবাপন্ন মানুষের কাছে এই মিছিলে অংশগ্রহণের আবেদন জানানো হয়েছে। আহ্বানকারীদের কথায়, ঐতিহাসিক মিছিল দেখবে কলকাতা। সকল শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষকের কাছে আবেদন এই মিছিলে সামিল হবার।