প্রেস বিবৃতি
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)’র পলিট ব্যুরোর পক্ষ থেকে নিম্নলিখিত বিবৃতি দেওয়া হয়েছেঃ
অধ্যাদেশ প্রত্যাহার করঃ সমবায় ব্যাংকগুলীর উপরে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ বাতিল করতে হবে।
১৫৪০ টি শহর এবং গ্রামীণ সমবায় ব্যাংকের উপরে হস্তক্ষেপ করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে কর্তৃত্বকারী অধ্যাদেশ জারী করেছে সিপিআই(এম)’র পলিট ব্যুরো তার নিন্দা জানাচ্ছে।
ব্যাংক সমেত গোটা সমবায় ক্ষেত্রে নজরদারির দায়িত্ব নির্দিষ্ট রাজ্য সরকারগুলির উপরে থাকে অথচ এধরনের কর্তৃত্বকারী হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্ত কোন নির্বাচিত রাজ্যসরকারের সাথে আলোচনা ছাড়াই নেওয়া হয়েছে। আমাদের দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপরে আঘাতের এটি আরেকটি ঘটনা। এভাবে অতি কেন্দ্রিকরনের প্রক্রিয়ায় বস্তুত আমাদের সংবিধানের মূলগত ভিত্তিকেই অপমান করা হয়, সেই ভিত্তি হল যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যাবস্থা। এধরনের সিদ্ধান্তে সমবায়গুলীর স্বশাসনের কাঠামো সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে।
বর্তমানে সমবায় ব্যাংকগুলীতে মোট ৮.৪ কোটি মানুষের অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং সবমিলিয়ে মোট ৪.৫ লক্ষ কোটি টাকা জমা হিসাবে রয়েছে। এই সিদ্ধান্তে স্পষ্ট হয়ে গেছে যে কেন্দ্রীয় সরকার এই বিপুল ধনরাশি সরিয়ে ফেলতে চাইছে ঠিক যেমন ের আগে আরবিআই’র তহবিলের ক্ষেত্রে করা হয়েছিল।
সারা দেশের বিভিন্ন অংশে, গ্রামীন এলাকাগুলিতে এবং সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে কৃষিক্ষেত্র সর্বতোভাবে এই সমবায় ক্ষেত্র এবং সমবায় ব্যাংক ব্যাবস্থার উপরে নির্ভরশীল। এই সিদ্ধান্তে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে গরীব মানুষের দুর্দশা আরও বাড়ানোর বিনিময়েই সমবায় ব্যাংকের থেকে তহবিল সরিয়ে তা ধনীদের জন্য ব্যবহার করার বন্দোবস্ত করে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে কোটি কোটি ভারতবাসীর জীবন-জীবিকা ধ্বংস হয়ে যাবে।
দেশে অভ্যন্তরীন জরুরী অবস্থা জারী হবার ৪৫ বর্ষপূর্তির দিনেই যেভাবে এই অধ্যাদেশ জারী করা হয়েছে তা নিশ্চিত একটি অর্থবহ ব্যাজস্তুতি। ভারতের সাংবিধানিক কাঠামোর উপরে এই অধ্যাদেশ একটি গভীর ক্ষতবিশেষ।
সিপিআই(এম)’র পলিট ব্যুরোর পক্ষ থেকে অবিলম্বে এই অধ্যাদেশ বাতিল করার দাবী জানানো হচ্ছে।
শেয়ার করুন