Communist and Workers Party 23 Meeting

কমিউনিস্ট ও ওয়ার্কার্স পার্টিগুলির ২৩-তম আন্তর্জাতিক অধিবেশন প্রসঙ্গে তুর্কির কমিউনিস্ট পার্টির তরফে বিবৃতি

পিপল’স ডেমোক্র্যাসি

দুনিয়াজুড়ে কমিউনিস্ট ও ওয়ার্কার্স পার্টিগুলির আন্তর্জাতিক আলোচনা সভার ২৩-তম অধিবেশন আয়োজিত হয়েছিল গত ১৯-২৩ অক্টোবর। তুর্কির ইজমির প্রদেশে এই অধিবেশন আয়োজকের দায়িত্বে ছিল তুর্কির কমিউনিস্ট পার্টি (টিকেপি)। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-র পলিট ব্যুরো সদস্য, পার্টির তরফে আন্তর্জাতিক বিষয়সমূহে দায়িত্বপ্রাপ্ত কমরেড এম এ বেবি ঐ অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন। ৬৮টি পার্টির পক্ষ থেকে মোট ১২১জন প্রতিনিধি এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, এরা ৫৪টি দেশ থেকে প্রতিনিধিরূপে উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন কারণে ৭টি পার্টি এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে না পারলেও এই উপলক্ষে নিজেদের তরফে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠায়। এই আলোচনার মূল বিষয় ছিলঃ পুঁজিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী রাজনৈতিক ও মতাদর্শগত সংগ্রাম পরিচালনা। শোষণ, নিপীড়ন, সাম্রাজ্যবাদী মিথ্যাপ্রচার ও ঐতিহাসিক ভ্রান্তি হিসাবে সংশোধনবাদ বিরোধী সংগ্রামে শ্রমজীবী শ্রেণী সহ যুবসমাজ, মহিলা ও বুদ্ধিজীবীদের কার্যকরী অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করতে কমিউনিস্টদের উপরে ন্যস্ত দায়িত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। শ্রমজীবী সহ জনসাধারণের জন্য সামাজিক ও গণতান্ত্রিক অধিকারসমূহকে সুরক্ষিত রাখা। শান্তি ও সমাজতন্ত্রের পক্ষে এবং সামরিক অভিযান ও যুদ্ধের বিরুদ্ধে কর্মসূচি গ্রহণ।

সমসাময়িক বিশ্ব পরিস্থিতিতে শ্রমিক আন্দোলন ও জনপ্রিয় গণআন্দোলন পরিচালনা করতে গিয়ে কমিউনিস্ট ও ওয়ার্কার্স পার্টিগুলির বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা উঠে এসেছে। আজকের দুনিয়ায় অসাম্য, দারিদ্র, বেকারি, ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব, সংঘাত এবং যুদ্ধের ফলাফল হিসাবে বসবাস থেকে উচ্ছেদ হওয়া মানুষের মিছিল ব্যতীত আর কিছু দেওয়ার মতো ক্ষমতা পুঁজিবাদের নেই। সাম্রাজ্যবাদী ব্যবস্থার মধ্যেই ধনতন্ত্র নিজেকে টিকিয়ে রেখেছে। সেই পুঁজিবাদই ক্রমাগত অভূতপূর্ব মাত্রায় সামাজিক জীবনে প্রতিযোগিতা বাড়িয়ে চলেছে। এমন অবস্থায় সাম্রাজ্যবাদ ক্রমশ আগ্রাসী চেহারায় যাবতীয় প্রতিযোগিতাকে শাণিত করছে, সেই কারণেই এমন এক বিপজ্জনক যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে যা গোটা দুনিয়াকেই গ্রাস করতে পারে।

আজকের বিশ্ব পরিস্থিতিতে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতার বিষয়ে মতামত বিনিময় ও পর্যালোচনা হয়। ন্যাটোর ভূমিকার তীব্র নিন্দা সহ যে কায়দায় বিভিন্ন দেশকে কব্জায় এনে তারা নিজেদের সম্প্রসারণ ঘটিয়ে চলেছে এই বৈঠকে সেই প্রসঙ্গেও বিস্তারিত আলচনা হয়েছে।

এই আলোচনায় অন্যতম গুরুত্বপুর্ন বিষয় হিসাবে প্যলেস্তাইনের সাম্প্রতিক পরিস্থতির প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়েছে। গাজা ও ওয়েস্ট ব্যাংক এলাকায় অবিলম্বে ইজরায়েলী হামলা বন্ধের দাবী জানিয়েছে সব পক্ষই। এই আন্তর্জাতিক বৈঠকে উপস্থিত সকলেই প্যালেস্তাইনের জনগণের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছেন। গাজা উপত্যকা জুড়ে ইজরায়েল যে অমাবনিক অবরোধ জারী করেছে এবং সেনা অভিযানের মাধ্যমে বর্বর কৌশলে গনহত্যা চালাচ্ছে সকলেই তার তীব্র নিন্দা করেছে।

এমন জঘন্য হামলা চালানো স্বত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন সহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইজরায়েলকেই সমর্থন জানিয়েছে। এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় বৈঠকে উপস্থিত সকলেই ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। ইজরায়েলের দখলরাজ শেষ করে স্বাধীন প্যালেস্তাইনকে এক সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবীও তোলা হয়েছে। প্যালেস্তাইনের সীমানার মধ্যে ইজরায়েলের যাবতীয় অবৈধ কর্তৃত্বকে খারিজ করতে হবে। রাজনৈতিক বন্দী হিসাবে ইজারায়েলের জেলে আটক থাকা সমস্ত প্যালেস্তাইন নাগরিকদের মুক্তি দেওয়ার দাবী উঠে এসেছে। ঘরছাড়তে বাধ্য হওয়া উদ্বাস্তু জনসাধারণের ঘরে ফেরা সুনিশ্চিত করতে হবে। গাজা সহ প্যালেস্তাইনের বুকে ইজরায়েলের যাবতীয় ধ্বংসলীলা শেষ করার দাবী সহ প্যালেস্তাইনের জনসাধারণের লড়াইকে উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরে দুনিয়ার সর্বত্র সাধারণ মানুষের সংগ্রামকে শক্তিশালী করার কথাও আলোচিত হয়েছে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সংহতি নির্মাণের পরিকল্পনা গৃহীত হয়।

এই বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসাবে ইউক্রেন যুদ্ধের পরিস্থিতিও আলোচিত হয়। যুদ্ধের গতি-প্রকৃতি ও তার নানা দিক প্রসঙ্গে আলোচনার সময় বিভিন্ন মতামত ও দৃষ্টিভঙ্গি সামনে এলেও ন্যাটোর বিরুদ্ধে সংগ্রামকে আরও জোরদার করার বিষয়ে সকলেই একমত ছিলেন।

আজকের বিশ্ব পরিস্থিতিতে জনসাধারণের বিভিন্ন লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত করা ও নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি তাদের সামনে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরতে হবে। আলোচনার সময় এই প্রসঙ্গে সকলেই বিশেষ জোর দেন। দুনিয়ায়জুড়ে কমিউনিস্ট পার্টি, শ্রেণী দৃষ্টিভঙ্গীর ভিত্তিতে পরিচালিত শ্রমিক সংগঠন, গরীব কৃষক ও খেতমজুরদের দৈনন্দিন সংগ্রামের সাথে জনগণের বিভিন্ন দাবীকে সামনে রেখে গড়ে ওঠা জনপ্রিয় আন্দোলনসমূহকে নিজেদের মধ্যে আরও শক্তিশালী সংহতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং সেই সংহতির ভিত্তি হবে আন্তর্জাতিকতাবাদ।

কিউবা, কিউবার কমিউনিস্ট পার্টি ও সেদেশের জনগণ যেভাবে নিজেদের স্বাধীন করেছেন, সমতা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নিজেদের দেশে সামাজিক ও শ্রমিক অধিকারের মর্যাদা দিয়েছেন তার প্রতি আন্তর্জাতিক সংহতিকে আরও শক্তিশালী করার দাবী উঠে এসেছে। সমাজতন্ত্রের সুরক্ষায় কিউবার সংগ্রাম ও কিউবা বিপ্লবের অর্জিত সাফল্যসমূহকে তুলে ধরতে হবে। আন্তর্জাতিক স্তরে বিরোধিতার সাথে মার্কিন অবরোধ ও গণহত্যার উদ্দেশ্যে নানভাবে আক্রমণ বন্ধ করারও দাবী জানানো হয়েছে।

সরাসরি সামরিক অভিযানই শুধু না, কমিউনিজমের বিরোধিতার উদ্দেশ্যে যে কায়দায় দুনিয়ার নানা প্রান্তে কমিউনিস্ট ও ওয়ার্কার্স পার্টিগুলির বিরুদ্ধে কখনো সরাসরি আবার কখনো গোপন অভিযান, প্রচার ইত্যাদি চলেছে সেসবের প্রভাবে সাম্রাজ্যবাদ সারা পৃথিবী জুড়েই শ্রমজীবীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পথে, সংগঠিত হওয়ার লক্ষ্যে বাধা দিতে সফল হয়েছে- একথা বৈঠকের আলোচনাতেই স্পষ্ট হয়েছে।

আজকের দুনিয়ায় একচেটিয়া পুঁজি তথ্য প্রযুক্তির যাবতীয় সরঞ্জাম ও যোগাযোগের মাধ্যমগুলির উপরে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে। এর জোরে তারা সংবাদমাধ্যম ও শ্রমজীবীদের বিভিন্ন সংগঠনের উপরে ব্যাপক চাপ বজায় রেখেছে। এমন বন্দোবস্তের সুবাদে বুর্জোয়ারা যাবতীয় বিপ্লবী শক্তিরই কণ্ঠরোধ করতে চায়। নিজেদের স্বার্থেই ভুয়ো তথ্য পরিবেশন ও মিথ্যা সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে সাম্রাজ্যবাদ সত্যের বিকৃতি ঘটিয়ে চলে একথাও আলোচনায় স্পষ্ট হয়। এর মোকাবিলায় বুর্জোয়া মিডিয়ার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও মতাদর্শগত সংগ্রাম দুইই চালাতে হয়। এর মাধ্যমে যেমন সত্য বিকৃতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম চলে তেমনই সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী লড়াইও মজবুত হয়।

তুরস্কে শ্রমজীবী জনসাধারণ প্রতিদিন ক্রমবর্ধমান শোষণ ও দারিদ্র্যের সাথে লড়াই করছেন। আন্তর্জাতিক বৈঠকে আগত প্রতিনিধিরা তাদের লড়াই-সংগ্রামের সাথেও সংহতির আহ্বান জানিয়েছেন। এবছর তুরস্কে সাধারণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ, সেই উপলক্ষ্যেই বৈঠকের জন্য তুরস্ককে বেছে নেওয়া হয়েছিল। পুঁজিবাদী শোষণ ও সাম্রাজ্যবাদী আক্রমণের মোকাবিলা করে সাধারণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তুরস্কের কমিউনিস্টদের সংগ্রামকে সমস্ত প্রতিনিধিই সেলাম জানান।

আলোচনার সময় একাধিক প্রতিনিধি তুরস্কে সামাজিক, রাজনৈতিক ও ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে সেদেশের শ্রমজীবীদের লড়াই, আন্দোলন সংগ্রামের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছেন।

নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে দুনিয়াজুড়ে কমিউনিস্ট ও ওয়ার্কার্স পার্টিগুলি আগামী বছরের আগেই এক সংহতিমূলক ও ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচির রূপরেখা নির্মাণ করবে বলে এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

প্যালেস্তাইন প্রসঙ্গে আইএমডব্লিউসিপই’র ঘোষণা

১৯-২৩ অক্টোবর তুর্কির ইজমিরে আয়োজিত কমিউনিস্ট ও ওয়ার্কার্স পার্টিগুলির আন্তর্জাতিক বৈঠকের ২৩-তম অধিবেশনে গৃহীত প্রস্তাবঃ

১) গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের আগ্রাসন ও অবরোধ এখনই বন্ধ হোক। ইজরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সারা বিশ্বের জনসাধারণকে সংগঠিত সংগ্রামে সক্রিয়রূপে সংযুক্ত হতে আহ্বান জানানো হচ্ছে।

প্যালেস্তাইনের জনগণের সংগ্রামের সাথে আমরা পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করছি। আমরা গাজা উপত্যকায় ইজরায়েলের তরফে নৃশংস সামরিক আক্রমণ, অমানবিক অবরোধ এবং বর্বর গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এই আক্রমণে হাজার হাজার সাধারণ নাগরিক, শিশু ও বৃদ্ধ, খাদ্য, পানীয় জল, ওষুধ ও বিদ্যুৎ সরবরাহের সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ইজরায়েলের তরফে নামিয়ে আনা এমন নির্লজ্জ আক্রমণের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে সমর্থন যুগিয়ে চলছে আমরা তার নিন্দা জানাচ্ছি।

২) বিগত কয়েক দশক ধরে প্যালেস্তাইন ভূখণ্ডে ইজরায়েল নিজেদের দখলদারিত্ব বজায় রেখে চলেছে। প্যালেস্তাইনের নাগরিকদের হত্যা করেছে, কারাবাসে পাঠিয়েছে, তাদের উপরে যাবতীয় নিপীড়ন চালিয়েছে এবং জবরদস্তি বসতি অবধি স্থাপন করেছে। আমরা ইজরায়েলের দখলরাজ শেষ করে স্বাধীন প্যালেস্তাইনকে এক সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবী জানাচ্ছি। নিজেদের ভূমিখণ্ডের উপরে তাদের মালিকানার অধিকারকে আমরা সমর্থন জানাই। ইজরায়েলের দখলদারিত্বের অবসান ঘটিয়ে, একটি স্বাধীন প্যালেস্তাইন রাষ্ট্রের সৃষ্টি ও স্বীকৃতি সহ সেদশের ভূখণ্ডে যাবতীয় অবৈধ বসতি স্থাপন বন্ধ করে ও ইতিমধ্যে দখলীকৃত নির্মাণ ভেঙে ফেলার দাবীও আমরা জানাচ্ছি। ইজরায়েলের কারাগার থেকে যাবতীয় প্যালেস্তানিয় নাগরিকদের মুক্তি দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের আলোচনায় গৃহীত ১৯৪ নং প্রস্তাবনা অনুযায়ী শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তনের অধিকার রয়েছে, ঘরছাড়াদের অবিলম্বে ঘরে ফেরাতে হবে।

ইজরায়েল কর্তৃক প্যালেস্তাইন দখল, প্যালেস্তিনিয় জনগণ এবং এই অঞ্চলের সমস্ত জনগণের দুর্দশার প্রকৃত উৎস হল মার্কিন-ন্যাটোর পরিচালনায় সাম্রাজ্যবাদী শক্তি। যতদিন এই দখল বজায় থাকবে, সংঘাতও চলতে থাকবে। এমন অবস্থায় প্যালেস্তাইনের জনগণকে শান্তিতে বসবাস করতে বারংবার বাধা দেওয়া হবে, এক নিরবিচ্ছিন্ন যুদ্ধের ঘূর্ণিতে আটকে থাকার ঝুঁকি রয়েই যাবে।

৩) গাজা উপত্যকায় গণহত্যা বন্ধ করতে এবং প্যালেস্তাইনের উপরে ইজরায়েলের দখলদারিত্ব অবসানের সংগ্রামকে শক্তিশালী করার জন্য আন্তর্জাতিক বৈঠকের ২৩-তম অধিবেশনে উপস্থিত কমিউনিস্ট ও ওয়ার্কার্স পার্টিগুলি সমস্ত দেশের শ্রমিক, জনগণ, যুবসমাজের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে। ইজরায়েলের আক্রমণের মুখোমুখি প্যালেস্তিনিয় জনসাধারণের সংগ্রামের প্রতি এই আন্তর্জাতিক এক কার্যকরী সংহতি পালনের অঙ্গীকার করছে।

পিপল’স ডেমোক্র্যাসি পত্রিকার অক্টোবর ২৩-২৯ সংখ্যায় প্রকাশিত প্রতিবেদন

ভাষান্তরঃ সৌভিক ঘোষ


শেয়ার করুন

উত্তর দিন