এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার নিজের ছেলে জড়িত, ঘটনার পরে তিনি কৃষকদেরই দোষারোপ করে এহেন নৃশংসতাকে সমর্থন করেছেন। সাইরেন বাজিয়ে কৃষকদের সমাবেশে গাড়ি চালিয়ে তাদের হত্যা করার স্পষ্ট প্রমাণ হিসাবে ঘটনার ভিডিও রেকর্ডিং রয়েছে। এই ঘটনায় আহত এবং নিহতদেরকে “বহিরাগত” বলে অভিযুক্ত করার পাশাপাশি নিজেকে এবং তার আত্মীয়দের রক্ষা করার অজুহাতে আন্দোলনকারীদের “খালিস্তানি” বলে দাবি করেছেন তিনি।
Category: Press Release
গাড়ি চালিয়ে কৃষকদের পিষে মারার ঘটনায় সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার প্রেস বিবৃতি
হেলিপ্যাড এলাকায় কৃষকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করার সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলে আশীষ মিশ্র টেনীই যে তিনটি গাড়ি সমেত সেই বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে আসেন এবং কৃষকদের গাড়ি চালিয়ে পিষে দেন তা নিশ্চিত। এই জঘন্য কান্ডের শেষে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতা তাজিন্দর সিংহ ভার্ককেও আক্রমণ করা হয় এবং তাকেও গাড়ি চালিয়ে পিষে মারার চেষ্টা চলে। এই হামলার ঘটনায় গুলি অবধি চলেছে এবং আশিস মিশ্র টেনি ও তার দলবলের ছোঁড়া গুলিতেই একজনের মৃত্যু হয়েছে।
ধর্মঘটের সাফল্যে দেশবাসীকে অভিনন্দন জানালো সারা ভারত কৃষকসভা
গত কয়েক বছর ধরে লাগাতার বিভিন্ন আন্দোলনে যৌথ সংগ্রামের ফলে দেশের শ্রমিক-কৃষকের মধ্যে যে দৃঢ় শ্রেণীগত ঐক্য গড়ে উঠেছে তারই সাফল্যের প্রমান আজকের ভারত বনধ, দেশজুড়ে কর্পোরেট শোষণের বিরুদ্ধে কৃষি, শিল্প ও পরিষেবাক্ষেত্রেসহ বৃহত্তর যুক্তফ্রন্টের সংগ্রামই হল এই আন্দোলনের রাজনৈতিক দিশা। যে রাজনৈতিক দলগুলি এখনো কর্পোরেটদের স্বার্থ রক্ষা করছে তারা জনগণের পক্ষ থেকে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখোমুখি হবে এবং জনগণের উত্তাল আন্দোলন আগামীদিনে জনবিরোধী রাজনীতিকে পশ্চাদপসারণ করতে বাধ্য করবে।
২৭ শে সেপ্টেম্বর বনধ - বামদলগুলির সমর্থন
সংগ্রামরত কৃষকদের সাথে আলাপআলোচনা করে সমস্যার সমাধান করতে মোদী সরকার এখনও অস্বীকার করছে। মোদি সরকারের এহেন আচরনের নিন্দা করার পাশাপাশি বামদলগুলি দাবি জানাচ্ছে কৃষি আইনগুলিকে অবিলম্বে বাতিল করতে হবে, এমএসপি বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দিতে হবে, ন্যাশনাল মানিটাইজেশন পাইপলাইন প্রকল্প এবং শ্রম কোড বাতিল করতে হবে।
অসমে নারকীয় পুলিশি নিপীড়ন প্রসঙ্গে পলিট ব্যুরোর বিবৃতি
কৃষকদের উপর ভয়াবহ বর্বরতায় জড়িত যাদের ক্যামেরায় দেখা গেছে সেইসব পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। গুয়াহাটি হাইকোর্টের একজন সিটিং জজের অধীনে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাচ্ছে সিপিআই(এম)। উচ্ছেদ কর্মসূচি এখনই বন্ধ করতে হবে, নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আসামে বিজেপি সরকারের সাম্প্রদায়িক, বিদ্বেষী রাজনীতির স্বরুপ উন্মোচন করতে এবং তাকে প্রতিরোধ করতে সেই রাজ্যের ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক শক্তিসমুহের লড়াইকে সমর্থন জানাচ্ছে পলিট ব্যুরো।
কোভিড সংক্রান্ত ক্ষতিপূরণের দায় নিক কেন্দ্রিয় সরকার - পলিট ব্যুরোর বিবৃতি
মহামারী মোকাবিলায় প্রোটোকল এবং নির্দেশিকা সবই কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয়েছে। কোভিড আক্রান্তদের ক্ষতিপূরণ দেবার মূল দায়িত্ব তাই কেন্দ্ররই বহন করা উচিত। সুপ্রিম কোর্ট এখনও এই মামলায় চূড়ান্ত রায় দেয়নি। এই দায় বহনে কেন্দ্রের প্রাথমিক দায়িত্ব নিশ্চিত করতে হবে এবং ক্ষতিপূরণের পরিমাণও যথার্থরুপে বৃদ্ধি করতে হবে।
সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার প্রেস বিজ্ঞপ্তি
295th day, 17th September 2021 Samyukt Kisan Morcha issues guidelines for the September 27th Bharat Bandh – Emergency services like
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সভা: প্রেস বিবৃতি
সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা ২৭সেপ্টেম্বর ভারত বন্ধের ডাক দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ওইদিন সর্বাত্মক সাধারণ ধর্মঘট হবে। জনগণের সমস্ত অংশকে এই ধর্মঘটে শামিল করতে এখনই প্রচার তুঙ্গে তুলতে হবে। কোনো বাধা এলে তার মোকাবিলা করেই এই ধর্মঘট হবে।
কমরেড গৌতম দাশের মৃত্যুতে পলিট ব্যুরোর বিবৃতি
কমরেড গৌতম দাশ ১৯৬৮ সালে পার্টিতে যোগ দেন, ১৯৮৬ সালে ত্রিপুরা রাজ্য কমিটিতে নির্বাচিত হন। ১৯৯৪ সালে রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীতে এবং ২০১৮ সালে রাজ্য সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালে ২১তম পার্টি কংগ্রেসে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। শেষ তিন বছর লাগাতার সন্ত্রাসের মোকাবিলা করেই তিনি ত্রিপুরায় পার্টি পরিচালনার জন্য অবিচলভাবে নিজের কাজ করেছেন।
ত্রিপুরায় হামলার প্রসঙ্গে - পলিট ব্যুরোর বিবৃতি
ত্রিপুরায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের ক্রমবর্ধমান অসন্তোষকে চাপা দিতেই আক্রমণ তীব্র হয়েছে। ক্ষমতায় আসার তিন বছর পরেও বিজেপি সরকার নির্বাচনের সময়ে দেওয়া প্রতিশ্রুতিসমূহ পূরণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। অথচ এই সরকারের আমলে চালু জনকল্যাণ প্রকল্পগুলি এবং বামফ্রন্ট সরকারের উপজাতী মানুষ সম্পর্কিত নীতিগুলি বাতিল হয়েছে। আজ ত্রিপুরায় বুভুক্ষার তাড়না এবং অনাহারে মৃত্যুর ঘটনা বেড়েছে, বেকারত্ব বেড়েছে, অপরাধীদের প্রশ্যয় দেওয়া হচ্ছে। অথচ আরএসএস মানুষের মধ্যে ঘৃণা ও বিভাজনের বীজ বপনের চেষ্টায় ব্যস্ত রয়েছে। যখন গণমাধ্যমের খবরে বাস্তব অবস্থার ছবি তুলে ধরছে তখনই তাদের উপরে আক্রমণ নেমে আসছে। ৩০০ জনেরও বেশি গণমাধ্যমকর্মী শারীরিকভাবে আক্রান্ত হয়েছেন। এই পর্যায়ে, বিজেপি সরকারের সমালোচনা করে এমন ৪টি গনমাধ্যমের দপ্তরে হামলা হয়েছে। ত্রিপুরায় সিপিআই(এম) এবং বামপন্থীদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে মানুষের ক্রমবর্ধমান অংশগ্রহণই বিজেপিকে মরিয়া করে তুলেছে।