BIMANBOSE-1

‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচী সফল করার আহ্বান বামফ্রন্টের

দিল্লির বুকে প্রায় আড়াই মাস ধরে সারা ভারত কৃষক সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটি ও সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার আহবানে সরকারী দমনপীড়নের কর্মসূচীকে ব্যর্থ করে ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলন চলছে। কৃষক আন্দোলনের দাবি, দেশের কৃষকবিরোধী ৩টি আইন প্রত্যাহার করতে হবে এবং বিদ্যুৎ বিল বাতিল করতে হবে।

মানুষের লড়াইকে আরো শক্তিশালী করে তুলতে নতুন উদ্যোগ

যুক্ত থাকুন আমাদের সাথে, তুলে ধরুন করোনাকালে স্বজন হারানো মানুষের কথা। সামাজিক না, করোনা মোকাবিলার সুনির্দিষ্ট প্রয়োজনে বজায় রাখুন শারীরিক দূরত্ব। গড়ে তুলুন সামাজিক ঐক্য। করোনার বিরুদ্ধে, করোনা মোকাবিলার যাবতীয় ত্রুটি-বিচ্যুতি-অবহেলার বিরুদ্ধে, মানুষের লড়াইকে আরো শক্তিশালী করে তুলুন।

Delhi Police

অমানবিক আচরণ দিল্লী পুলিশের - পলিট ব্যুরোর বিবৃতি

কৃষকদের প্রতিবাদ আন্দোলনকে উৎখাত করতে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ দিল্লী পুলিশ কৃষকদের অভুক্ত রাখার উদ্দেশ্যেই এমন অমানবিক আচরণ করছে। কৃষকদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এমন জঘন্য আচরণ করলেও সরকার কিছুতেই তাদের প্রতিবাদের কণ্ঠরোধ করতে পারবে না। তাদের এই দৃঢ় এবং অকুতোভয় মনোভাবে উদ্বুদ্ধ হয়ে আন্দোলনের ময়দানে শক্তিবৃদ্ধি করতে প্রতিদিন আরও অনেক কৃষকের সমাগম হচ্ছে

বিকল্প ও উন্নততর ভাবনা (জমির লড়াই, মানের লড়াই) - শুদ্ধস্বত্ব গুপ্ত

কেবল ওই এক আইনেই গ্রামের গরিবের হাতে জমি তুলে দেওয়া যায়নি। ১৯৮১ এবং ১৯৮৬-তে পাশ করতে হয়েছে দ্বিতীয় ও তৃতীয়

Logo oF Communism

কেন্দ্রীয় বাজেট সম্পর্কে পলিট ব্যুরোর বিবৃতি

করোনা সংক্রান্ত খাতে সরকারী খরচ অনেক আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, কেবলমাত্র প্রতিষেধকের জন্য খরচটুকুই সরকারের ব্যায় হিসাবে এখন প্রয়োজন। এখন যে প্রসঙ্গে সরকারের অনেক বেশী পরিমানে ব্যায়বরাদ্দ করা প্রয়োজন তা হল মোটের উপর অর্থনৈতিক সংকট যার প্রধান খাতগুলি হল ধ্বংসপ্রাপ্ত কর্মসংস্থানের চেহারা, জীবন – জীবিকার সুরক্ষা, জনগণের আয় বৃদ্ধি এবং বাজারে চাহিদা হ্রাস পাওয়ার মোকাবিলা করা। যেভাবে সরকার গতবারের ব্যায়বরাদ্দের খরচ বকেয়া রেখেছে, এবং এবারের বাজেটেও ব্যায়বরাদ্দে কাটছাঁট করেছে তাতে বলাই যায় জনগণের উপরে এক বিপর্যয় নেমে আসতে চলেছে। এর ফলে জনগনের দুর্দশা বাড়বে এবং বৈষম্য বাড়িয়ে দেবে যার জন্য ইতিমধ্যেই ভারত সারা পৃথিবীতে সুপরিচিত।

Logo oF Communism

পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাম্প্রতিক বৈঠকের সিদ্ধান্ত

আগামী দিনে প্রচারের মূল লক্ষ্যই হবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনগুলিতে বিজেপি-কে পরাস্থ করা এবং কেরালায় সিপিআই(এম)-এর নেতৃত্বে বাম গনতান্ত্রিক সরকারের পুনঃপ্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করা, পশ্চিমবঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষ, গনতান্ত্রিক বিকল্প বামপন্থী সরকারের প্রতিষ্ঠা, তামিলনাড়ুতে বিজেপি – এআইএডিএমকে জোটকে পরাস্থ করে ডিএমকে’র নেতৃত্বে ফ্রন্টের জয় এবং আসাম বিধানসভায় আরও বেশী পার্টির প্রভাব বিস্তার করা।

সরকার দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ - বর্তমান কৃষক আন্দোলন এই শিক্ষাই দেয় (পর্ব ২)

ভারতে সাধারণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে ২৬শে জানুয়ারি,২০২১ দেশের সাধারণতন্ত্র দিবসের দিনে সারা ভারত এবং গোটা পৃথিবী সাক্ষী রইল এক ঐতিহাসিক

দেরিতে হলেও কৃষকদের চিন্তায় রাজ্য সরকারের হুঁশ ফিরেছে

ডঃ সূজন চক্রবর্তী তার বক্তব্যে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন গত বছরের ২০শে সেপ্টেম্বর তারিখে রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় সরকার আইন পাশ করার পরেই ২৪ শে সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভায় বামেরা এমন প্রতিশেধমূলক বিল পাশ করার আবেদন জানিয়েছিল। তখন রাজ্য সরকার সেই আবেদনে সাড়া দেয় নি। পরে নানা অজুহাতে সেই প্রস্তাব রাজ্য সরকারের আনা প্রস্তাবের সাথে Same Kind – Same Spirit বলে উল্লেখ করে খারিজ করা হল। এখন যখন সারা দেশে এই আইনের প্রতিবাদে আন্দোলন চলছে, কেন্দ্রীয় সরকার নিজেই বিল স্থগিত করার প্রস্তাব দিয়েছে তখন আমাদের রাজ্যে কেন্দ্রীয় বিল প্রতিশেধি আইনের প্রস্তাব নেওয়া চলছে।

পশু শক্তির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াইয়ের পাশাপাশি সংগঠিত করতে হবে সামাজিক আন্দোলনকে

গান্ধীহত্যাকারীরা যখনই রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়েছে নানা ছুতো নাতায় জয়ললিতা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো আঞ্চলিক ও কায়েমী স্বার্থবাহী শক্তি তাদের কাছাকাছি চলে এসেছে। মুখে অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলে সাম্প্রদায়িক বিজেপির সঙ্গে ক্ষমতার মৌতাত নিতে কেন্দ্র বাজপেয়ী মন্ত্রীসভার সদস্য হতে মমতার এতোটুকু সমস্যা হয় নি। বিমুদ্রাকরণের জেরে নিজের এবং নিজেদের লুম্পেন ক্যাপিটাল অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় মমতা অপসারণ চেয়েছেন মোদির, তাবলে গান্ধী হত্যাকারী বিজেপির অপসারণ একটি বারের জন্যেও চান নি। বরং মোদির বদলে আডবানী বা জেটলির মতো বিজেপি নেতারা প্রধানমন্ত্রী হলে তাঁর কোনোই আপত্তি নেই-তা প্রকাশ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন। আর তার বিনিময়ে গান্ধীহত্যাকারী আর এস এস ‘র বর্তমান প্রধান মোহন ভাগবত খোদ কলকাতার বুকে সভা থেকে মমতা বা তাঁর “গরমেন” কিংবা তাঁর দল সম্পর্কে সম্পুর্ণ নীরব থেকে উভয়ের বোঝাপড়ার মাত্রাটিকে পরিস্কার করে দিয়ে গিয়েছেন।এই অমানিশার অবসানে সমস্ত গণতন্ত্রপ্রিয়, ধর্মনিরপেক্ষ মানুষকে আজ প্রত্যয়ে দৃঢ় হতে হবে।সাম্প্রদায়িক এবং অগণতান্ত্রিক পশু শক্তির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াইয়ের পাশাপাশি সংগঠিত করতে হবে সামাজিক আন্দোলনকেও।

হিটলার, মুসোলিনির আদর্শে গড়ে উঠেছিল আর এস এস

আর এস এস ভিন্নস্বর, ভিন্নমত কে ভয় পায়। তাই তারা সবার আগে ভারতের অন্যতম বৈশিষ্ট্য বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের ধারণাকে আক্রমণ করে। বিভিন্ন ভাষা, বহুবিধ আস্থা এবং যুগের পরে যুগ ধরে বিভিন্ন দার্শনিক মতবাদ যে দেশে সহাবস্থান করেছে এবং সবশেষে মানবতার সমুদ্রে এসে মিলিত হয়েছে সেই দেশেরই নাম ভারত। এমন দেশ আর এস এস এর মত সংকীর্ণ, মানবতা বিরোধী এবং ফ্যাসিস্ট সংগঠনের দেশ হতে পারে না। এদেশের বুকে দেশবিরোধী যদি সত্যিই কেউ থাকে তবে সেই তালিকায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ প্রথম স্থান পাবে, এটাই তাদের ইতিহাস, এটাই তাদের ভবিতব্য।