বিংশ শতাব্দীতে মানবসভ্যতার বিরুদ্ধে ভয়ানক আক্রমণ হলো দুটি বিশ্বযুদ্ধে, তেমনই মানব সভ্যতার অগ্রগতির উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা হলো মহান নভেম্বর সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব-
Category: Home Banner
বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটের নয়া উদারবাদী সমাধান!
মোদি সরকার নয়া-উদারবাদী পথে চলতে নরকে যেতেও রাজি আছে। অর্থনীতিতে শ্রমজীবীদের কল্যানের উদ্দেশ্যে যেটুকু সংস্থান রয়েছে নির্লজ্জের মত সেইসবকিছু জলাঞ্জলি দিয়ে আন্তর্জাতিক লগ্নী-পুঁজির নির্দেশ পালনেই তাদের একমাত্র আগ্রহ। সরকারি ব্যায়বরাদ্দ এবং রাজস্বঘাটতিকে ক্রমাগত কমিয়ে দেবার পাশাপাশি শ্রমজীবীদের যাবতীয় অধিকারের উপরে একের পর এক আক্রমন নামিয়ে আনছে তারা। এই সরকারের স্পষ্ট অর্থনীতি হল উদ্বৃত্তে ক্রমশ মজুরির অংশ কমিয়ে দিয়ে মুনাফার হার বাড়ানোর কাজে পুঁজিপতিদের সহায়তা যুগিয়ে যাওয়া। শ্রমজীবী জনতার পকেট কেটে আগামিদিনে আরও উচ্চহারে টোল আদায় করবে তারা।
পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি জারী থাকবে
পেট্রোপন্যে কেন্দ্রীয় শুল্ক পেট্রোলের প্রতি লিটারে ৩৩ টাকা এবং ডিজেলের প্রতি লিটারে ৩২ টাকা। সেই কারনে দামের এহেন হ্রাসে সার্বিক অর্থনীতি কিংবা জনগণের উপর অত্যধিক জ্বালানির মূল্যের বোঝা এতে কমে না। কয়েকটি রাজ্যের উপনির্বাচনে বিজেপি’র খারাপ ফলাফলের জন্য এভাবে দাম কমানো হয়েছে, কার্যত এ হল উঠে দাঁড়ানোর আগে হাঁটু ঝাঁকুনি দেবার মতোই তাচ্ছিল্যের বহিঃপ্রকাশ।
ভারতে জাতীয় শিক্ষানীতির মূল ভাবনা কোন পথে?
ভারতীয় সমাজের নির্দিষ্ট সমস্যাসমূহ (যেমন জাতি এবং বর্ণভিত্তিক শোষণ ব্যবস্থা) দেশের জাতীয় পাঠ্যক্রমে গুরুত্ব হারাবে, কারণ বিশ্বায়িত পুঁজির বিকাশে এই ধরনের সমস্যাগুলি প্রাসঙ্গিক নয়। রাজনৈতিক হিন্দুত্বের ধ্বজাধারীরাও এতে হন খুশি কারন এতে তাদের তিলমাত্র শান্তি বিঘ্নিত না হয়েই তলে তলে ভারতীয় সভ্যতার প্রাচীন “মহাত্ম্য”-এর প্রচার চালানো যায়। এটা কোনো দুর্ঘটনা নয় যে জাতীয় শিক্ষানীতির কোথাও একটিবারের জন্যেও ভারতীয় সমাজের এক ঘৃণ্য বৈশিষ্ট্য হিসাবে, অথবা শিক্ষার্থী ভর্তি, শিক্ষক নিয়োগ কিংবা পদোন্নতির প্রক্রিয়া সংক্রান্ত নিয়মকানুনে জাতিগত পরিচয়ের কোনো উল্লেখই নেই। এই নীরবতা আসলে ঐ একজাতীকরণেরই অনুসারী পদক্ষেপ।
শক্তিশালী পরিযায়ী শ্রমিক আইন পুনর্বহাল করার দাবিতে লড়াই চলবে
পূর্বতন পরিযায়ী শ্রমিক আইনের আওতায় একজন পরিযায়ী শ্রমিকের কাজের প্রায় সবটুকু অংশকেই আনা হয়েছিল’, যেমন, তার কর্মনিযুক্তি, নথিভুক্তি, আসা যাওয়ার ভাড়া, কর্মক্ষেত্রে তার বাসস্থানের ব্যবস্থা, মজুরি নির্ধারণ এবং তার নিয়মিত সময়ে প্রদান, ঠিকাদারদের এবং মুখ্য নিয়োগকারী সংস্থার তার প্রতি দায়দায়িত্ব ইত্যাদি। কাজের ক্ষেত্রে মালিকপক্ষের সাথে কোনো রকম সংঘাতের প্রশ্নে শিল্প বিরোধ আইন প্রযোজ্য ছিল এবং সামাজিক নিরাপত্তাসমূহের জন্য শিল্প মজুরি আইন, ইএসআই, ভবিষ্যনিধি প্রকল্প সংক্রান্ত আইনসমূহ প্রযোজ্য ছিল। এই নতুন কোডের আওতায় নিয়ে আসার মাধ্যমে পরিযায়ী শ্রমিকদের যাবতীয় পুর্বোক্ত অধিকার হরণ করা হচ্ছে। সে কারণে কর্পোরেটদের দাসানুদাস বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের এই অমানবিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ১৯৭৯ সালের পরিযায়ী শ্রমিক আইন পুনরায় বহাল করার এবং তাকে আরো শক্তিশালী করার দাবিতে লড়াই চালিয়ে যেতেই হবে।
নাগরিকদের উপরে নজরদারি বাড়াতে আইনে সংশোধনী বাতিল করতে হবে - পলিট ব্যুরোর বিবৃতি
নাগরিকদের জন্ম ও মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য নিবন্ধন আইন (১৯৬৯)-এর প্রস্তাবিত সংশোধনীর জোরে কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টার (NPR) আপডেট করার কাজে সুবিধাপ্রাপ্ত হবে। এই জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টার (NPR)-এর ভিত্তিতেই নাগরিকদের জাতীয় নিবন্ধন (NRC) প্রস্তুত করতে হবে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সহ এনপিআর (NPR)-এনআরসি (NRC) দেশের জনসাধারণের জন্য কার্যত জনগণের মধ্যে এক বিভাজনমূলক প্রক্রিয়া যাতে দেশের মানুষের অনেকেরই নাগরিকত্ব অস্বীকার করা হবে।
পেগাসাস মামলায় স্বাধীন তদন্তের রায় সুপ্রিম কোর্টের - পলিট ব্যুরোর বিবৃতি
সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির অধীনে বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটি গড়ে এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। সংশ্লিষ্ট ঘটনার সাথে সম্পর্ক রয়েছে এমন প্রত্যেকের সাথে কথা বলে তাদের বক্তব্য শুনবে তদন্তকারী কমিটি। পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও এই একই স্পাইওইয়্যার ব্যবহার হয়েছে বলে এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক স্তরের বিশেষজ্ঞদের মতামতও নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
নিরন্তর মানবাধিকার খর্ব করা
মোদি সরকার সংবিধানের অধীনে সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে অবমূল্যায়ন করছে এবং তাদের সারমর্মকে অস্বীকার করছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (NHRC) ২৮তম প্রতিষ্ঠা দিবস