madan ghosh

ইতিহাসের শিক্ষার নতুন নজীর সৃষ্টি করবে এবারের ব্রিগেড

কেন্দ্রীয় সরকার হোক বা রাজ্য সরকার দুই ক্ষেত্রেই গোড়ার কথাটা একই – এরা গরীব, নিপীড়িত, ভুখা পেটে থাকা মানুষের সরকার নয়। সারা দেশ সহ আমাদের রাজ্যেও দুর্দশাগ্রস্থ মানুষই সংখ্যায় বেশি, তারা একজোট হতে চাইছেন। সেই জোট যে কোনও জনবিরোধী কার্যক্রম রুখে দিতে সক্ষম – ইতিহাসের শিক্ষা তাই।

Corporate -Hindutwa Alliance

কৃষকেরা জনকল্যাণকারী রাষ্ট্রের পুনর্নির্মাণ করছেন

হিন্দু, মুসলমান, শিখ সম্প্রদায়ের কৃষকেরা একে অন্যের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শকে তুলে ধরেছেন। কর্পোরেটদের হাতে দেশের কৃষিক্ষেত্রকে তুলে দেবার বিরোধিতা করে আসলে তারা আমাদের দেশকে কর্পোরেটদের সাথে একাকার করে দেখাবার যে রাজনীতি, তারই বিরোধিতা করছেন। গণবণ্টন ব্যাবস্থা চালু রাখার পক্ষে দাঁড়িয়ে আসলে তারা রাষ্ট্রকে দেশের জনগণের কল্যানে নিজের পূর্বঘোষিত ভূমিকার পুনঃস্মরণ করাচ্ছেন। রাষ্ট্রের যে ধারণাকে আজ মোদী সরকার ধ্বংস করে দিতে চাইছে কৃষকেরা আসলে সেই জনকল্যানকারী রাষ্ট্রের ধারনাকেই পুনর্নির্মাণ করছেন।

Dr. pabitro sarkar

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সার্থকতা

আমাদের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে যে জীবন সংকটের সম্মুখীন হতে হয় তাতে লড়াইয়ের রসদ বাংলাটা ভাল করে জানলে, কম পড়ে না। বরং আমি মনে করি মাতৃভাষায় পাঠ্যক্রমের পুরোটা শেখানোর পাশপাশি ইংরেজিটাও ভালভাবেই শেখান চলতে পারে – তাতে কোনও সমস্যা নেই। আজ প্রযুক্তি যে সুবিধা দিচ্ছে, ব্রিটিশ ভারতে শিক্ষার্থীরা সেই সুবিধা পান নি, তাদের জন্য কোনও হাতে গরম ইংরেজিময় পরিবেশ ছিল না। নীরদ চৌধুরীর মতো মানুষ বাংলা মাধ্যমে পড়াশোনা করেও অসাধারণ ইংরেজী রচনা করেছেন – এমনটা করা যায়। যে কোনও সরকারের সেই চেষ্টাই করা উচিত।

বর্তমান কৃষক আন্দোলনঃ এক সুসংহত বিকল্পের লক্ষ্যে আগামী দিনের লড়াই

ভারত এক বিরাট দেশ, এর বিভিন্ন প্রান্তের বৈচিত্র্যময় বাস্তবতাকে আলোচনায় গুরুত্ব না দিয়ে আন্দোলন সামনের দিকে এগোতে পারবে না। নিজেদের অস্তিত্বরক্ষার আন্দোলনে অগ্রাধিকার দিয়ে উক্ত সমস্যাবলী সম্পর্কে সমাধানের লক্ষ্যে এক সুস্থিত কৃষি অর্থনীতি গড়ে তুলতে হবে যা ভারতের সাধারণ অর্থনীতির মেরুদন্ড হিসাবে কাজ করবে। সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাবার পথে জনগণের অন্যান্য অংশকেও এই লড়াইয়ের সাথী করে নিতে হবে, তবেই এই লড়াই এক সার্বিক গণআন্দোলন হিসাবে সার্থক হয়ে উঠবে। আজকের কৃষক আন্দোলন সেই প্রকৃত বিকল্পের দিশা সম্পর্কে ইতিমধ্যেই অনেককে স্বপ্ন দেখাতে সমর্থ হয়েছে।

PB Statement

পেট্রোপন্যে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানালো পলিট ব্যুরো

দেশের কতিপয় ধনী এবং নিজেদের পছন্দের তালিকায় থাকা ধান্দাবাজদের মুনাফার স্বার্থে মোদী সরকার যেভাবে করছাড়ের পুরস্কার দিয়েছে সেই ক্ষতি মিটিয়ে নিতেই দেশের জনগণের উপরে করের বোঝা ক্রমশ বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই অর্থনৈতিক মন্দা এবং মহামারীর দ্বিবিধ প্রকোপে জনসাধারনের জীবন জীবিকা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, তার উপরে সরকার বাড়তি করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে।

মনে রাখবে ওরা সবাই

সবাইকে ভালো রাখার লড়াইতে তুমি হারো নি। তোমাকে মনে পড়বে রোজ – ১৫০০০ হাজার যুবক-যুবতীর, যারা তোমাদের লড়াইয়ের দিনই, লড়াইয়ের চাপে শিক্ষকপদের নিয়োগপত্র পেয়েছে। মনে পড়বে ১৩০০০ ছেলেমেয়ের, যারা তোমার শহীদ হওয়ার দিনে, PSC র থেকে নিয়োগের ডাক পেয়েছে। মনে রাখবে ওরা সবাই, যাদের কোলে মাথা রেখে তুমি বলেছিলে – আমি আর বাঁচবু নি! তাদের লড়াই তোমাকে বাঁচিয়ে রাখবে মইদুল।

Biman-Basu

আগামীকাল বনধ পালনের আবেদন জানালেন বিমান বসু

১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ কলকাতা বাম ও বাম সহযোগী দলসমূহের পক্ষ থেকে বিমান বসুর বিবৃতি। আজকে বামপন্থী ছাত্রযুব সংগঠনগুলি এবং জাতীয়

সাফল্য শস্য উৎপাদনে- শুদ্ধস্বত্ব গুপ্ত পর্ব-৪

সাফল্য শস্য উৎপাদনে- শুদ্ধস্বত্ব গুপ্তপর্ব-৪ ধান উৎপাদনে ঘাটতি রাজ্য ছিল পশ্চিমবঙ্গ। কেন্দ্রের পাঠানো চালের ওপর ভরসা করে থাকতে হতো। সেই

জো বাইডেন করোনা মোকাবিলায় যা করেছেন

সংকটের সময় কেন্দ্রীয় সরকার নির্লজ্জের ন্যায় শুধু যে নিজের ব্যায়বরাদ্দ কমিয়েছে তাই নয়, জিএসটি বাবদ ক্ষতিপূরণের যে অর্থ রাজ্য সরকারগুলির ন্যায্য পাওনা ছিল তাকেও বকেয়া রেখে দিয়েছে। অত্যন্ত লজ্জার হলেও এটাই সত্য যে আজ সারা পৃথিবীতে ভারতের অবস্থান সেইসব দেশের সাথে যারা মহামারী চলাকালীন জনকল্যানে নিজেদের ব্যায়বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছে। কেবলমাত্র একটি প্রেক্ষিত বিচার করলেই নরেন্দ্র মোদীর তুলনায় জো বাইডেনের অবস্থানগত ফারাক স্পষ্ট হয়ে যায়।

BIMANBOSE-1

‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচী সফল করার আহ্বান বামফ্রন্টের

দিল্লির বুকে প্রায় আড়াই মাস ধরে সারা ভারত কৃষক সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটি ও সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার আহবানে সরকারী দমনপীড়নের কর্মসূচীকে ব্যর্থ করে ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলন চলছে। কৃষক আন্দোলনের দাবি, দেশের কৃষকবিরোধী ৩টি আইন প্রত্যাহার করতে হবে এবং বিদ্যুৎ বিল বাতিল করতে হবে।