আজকের ভারতে আমরা দ্বিবিধ আক্রমণের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছি। একদিকে রাজনৈতিক স্বাধীনতা যার অপব্যবহার করে বিজেপির মতো সাম্প্রদায়িক দল নিজেদের কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, আরেকদিকে মুনাফার শৃঙ্খলে সবকিছু জড়িয়ে ফেলায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতাটুকু কার্যত কর্পোরেটদের হাতে সঁপে দেওয়া হয়েছে যার সুবাদে যা কিছুই হোক না কেন, কোথাও কোনও প্রতিবাদ নেই, কোনও বিরুদ্ধ স্বর নেই।
Category: Campaigns & Struggle
সংকটকালে একচেটিয়া পুঁজির শাসন নিরাপদ রাখার উদ্দেশ্যই ফ্যাসিবাদের আবির্ভাব
যে আমরা সবাই নাগরিক এবং প্রত্যেকে সমানভাবে মত প্রকাশের অধিকারী। যদি এই সম অধিকারের প্রাথমিক অঙ্গীকার থেকে সরে গিয়ে আমরা এটা মনে করতে শুরু করি যে এই দেশে কেবলমাত্র একটি ধর্মের মানুষের বা কোনো গোষ্ঠীর অধিকার বেশি হওয়া উচিত অথবা সংখ্যালঘুদের অধিকার কম হওয়া উচিত তা হলে গণতন্ত্রের ভিত্তিকেই টলিয়ে দেওয়া যায়।
হিন্দুত্ব জাতীয়তাবাদ ও আজকের ভারত
ব্যক্তি রাষ্ট্রের জন্য ত্যাগ স্বীকার করে। কিন্তু সেই ব্যক্তির জীবনধারা রাষ্ট্রের নিরিখে গুরুত্ব পায় না। কারন বুর্জোয়া জাতীয়তাবাদে ব্যক্তি ও রাষ্ট্রের পৃথক সত্ত্বা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। কাজেই গড়ে তুলতে চাওয়া হিন্দু রাষ্ট্র ব্যক্তির ইচ্ছা অনিচ্ছা নিরপেক্ষ হযে দাঁড়ায়।
আজকের ভারত কাদের উত্তরাধিকার ?
আমি চাইবো আমাদের ইতিহাসের শিক্ষা এই প্রত্যয়েই স্থিত হোক, আমরা ধর্মনিরপেক্ষ, সাধারণতন্ত্র বিশিষ্ট গণতান্ত্রিক দেশ হিসাবে ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাব এবং অতীতের ভুলকেই পুনরাবৃত্ত করে ভারতকে একটি ‘হিন্দু পাকিস্তান’-এ পরিণত হতে না দেবার শপথ গ্রহণ করব।
নাগপুর থেকে মুচিপাড়া: সঙ্ঘের ‘নেশানহুড ডিফাইনড’
সাভারকারের প্রতিটি মুচলেকা আসলে তার বিশ্বাসের প্রতিফলন। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইকে আদপে স্বাধীনতা সংগ্রাম মনে না করার ধারনা প্রতিফলিত হয়েছে তার নিদারুণ ক্ষমা প্রার্থনায়।
লোকসভায় বামপন্থীরা যখন ৬১ জন (৬ষ্ঠ পর্ব)
দেশ পরিচালনার ভার আজ তাঁদের হাতে যাঁদের দেশে স্বাধীনতা সংগ্রামে কোন ভূমিকা ছিল না। বৃটিশের সাথে আপোষ আর দালালিই ছিল তাঁদের একমাত্র কাজ। তাঁদের হাতে দেশ কি নিরাপদ থাকতে পারে?
বাম শাসিত রাজ্য সরকারগুলি : ক্ষমতা নয় দায়বদ্ধতার বিকল্প মডেল (৫ম পর্ব)
একচেটিয়া পুঁজি, সামন্ততন্ত্র এবং সাম্রাজ্যবাদী শক্তির স্বার্থরক্ষা করেই বিপজ্জনক শক্তি বিজেপি। মানুষের সার্বিক ঐক্য আর লড়াই ক্রমশ জোরদার করা, এরকম সময়ে অনেক বেশী জরুরী।
ইতিহাস বিকৃতি বনাম যুক্তিবাদ
, ‘এখন ইতিহাস চর্চার নামে পৌরাণিক নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে।’ যে হিন্দু রক্ষক শক্তি হিন্দুর হৃতগৌরব পুনরুদ্ধারের জন্য অন্যের ঘর ভাঙতে পিছপা হয় না, তারা কি হিসেব রাখেন কতগুলো বৌদ্ধসঙ্ঘ ভেঙেছিল হিন্দু ব্রাহ্মণরা?
স্বাধীনতার শপথ রক্ষার লড়াইতে অবিচল কমিউনিস্টরা (৪র্থ পর্ব)
, বামপন্থীদের আপোষহীন লড়াই স্বৈরাচারী শক্তির বিরুদ্ধে। সত্তর দশকে বাংলা প্রত্যক্ষ করেছে আধা ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাস। পরবর্তীতে দেশজুড়ে জরুরী অবস্থার বীভৎসতা। অজস্র, অসংখ্য কর্মী আক্রান্ত। আক্রান্ত সাধারণ মানুষ। আক্রান্ত বিরোধী মনোভাবাপন্ন যে কেউ। প্রতিবাদের অধিকারটুকু পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া হল।
নেহেরু যুগ এবং তারপর। যেভাবে দেশ পরিচালিত হল (৩য় পর্ব)
লোকসভায় সিপিআই(এম) নেতা কমরেড এ.কে গোপালন স্পষ্টতই জানিয়ে দিলেন যে গণতন্ত্র, মানুষের অধিকার এবং স্বার্থরক্ষার যেকোনো সংগ্রামে পার্টি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার লড়াই চালিয়ে যাবে।