করোনাকে হারিয়ে মানবতাকে জেতানোর যুদ্ধে DYFI- সায়নদীপ মিত্র

বুধবার,৮ এপ্রিল, ২০২০

ভোর পাঁচটায় মোবাইল ফোনের ধাতব শব্দ ঘুম ভেঙে গেল টালিগঞ্জের যুব কর্মীর। ফোনের ওপার থেকে ভেসে এলো সুদূর কেরালার এক পরিযায়ী শ্রমিকের আর্তনাদ। সম্পূর্ণ অপরিকল্পিত ভাবে হঠাৎ ঘোষণা করা লকডাউনে গলায় কার্যত আতঙ্কের ছাপ। জীবনধারণের প্রয়োজনীয় রসদ ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় সূর্যের আলো ফোটার সাথে সাথেই সাহায্যের জন্য ফোন।নাম, ঠিকানা,ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে দ্রুত কেরালার ডি ওয়াই এফ আই কর্মীদের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া হলো।প্রায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রশাসন কে সাথে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে কেরালার যুব কর্মীরা সমস্ত আশঙ্কার নিরসন ঘটাল।হাসি ফুটল পেটের তাগিদে ভিন রাজ্যে ছুটে যাওয়া গরিব শ্রমিকের মুখে।

দুপুর ১২ টা। প্রায় খেতে বসার সাথে সাথেই মোবাইল ফোনে বার্তা এলো যাদবপুরের ডিওয়াইএফআই নেতৃত্বের কাছে। মেডিকা নার্সিংহোমে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় একজন রোগী ভর্তি আছে। বিকেল পাঁচটার মধ্যেই এ পজেটিভ রক্ত লাগবে। কোনমতে নাকেমুখে গুঁজে চিরুনি তল্লাশি শুরু হল এ পজেটিভ রক্ত দাতার। তালিকা মিলিয়ে দ্রুত পাওয়া ও গেল। সেই রক্তদাতাকে সঙ্গে নিয়ে মেডিকা হাসপাতালে পৌঁছে রোগীর রক্তের ব্যবস্থা করার পর কিছুটা নিশ্চিন্ত হল সেই যুব কমরেড।

নিউটাউনের একটি নির্মিত বহুতলে বেশ কিছু শ্রমিক অসহায় ভাবে লকডাউন এর যাঁতাকলে আটকে পড়েছে। শ্রমিকদের কাজে নিয়োগকারী সংস্থা সমস্ত দায়-দায়িত্ব অস্বীকার করে উধাও। খাবারের ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছে না।কোন সূত্র মারফত খবর পেয়ে দৌড়ে গেল DYFI নিউ টাউন এর কর্মীরা। দ্রুত কয়েকদিনের রসদ এর ব্যবস্থা করা হল। পরিজনদের কাছে পেয়ে ধীরে ধীরে আতঙ্কের ছাপ মিলিয়ে যেতে শুরু করল ভিন জেলা থেকে আসা অসহায় শ্রমিক দের শরীর থেকে।

বাড়িতে শুধু বৃদ্ধ মা-বাবা।ছেলে কর্মসূত্রে সুদূর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত। ইতিমধ্যেই সে দেশ মারণ ভাইরাসের ছোবলে ক্ষত-বিক্ষত।একদিকে প্রবাসী ছেলের নিজের সুরক্ষা নিয়ে তীব্র মানসিক চাপ,অন্যদিকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে অসুস্থ বৃদ্ধ মা-বাবার নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ। প্রয়োজনীয় ওষুধ নিয়ে আসার ব্যবস্থাটুকুও। সুদূর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে হোয়াটসঅ্যাপে কল গেলো বর্ধমান শহরের DYFI কমরেড এর কাছে।মুহুর্তের মধ্যে মুশকিল আসান।দ্রুত শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত সেই বাড়িতে গিয়ে বৃদ্ধ দম্পতির থেকে ওষুধের প্রেসক্রিপশন নিয়ে এসে প্রয়োজনীয় ওষুধ দ্রত পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা হল।

সকাল থেকেই উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের পার্টি অফিসে তুমুল ব্যস্ততা।মাটিতে ত্রিপল পেতে চাল-ডাল-আলুর বস্তা উপুড় করে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্যাকেটজাত করা চলছে।বাইরে কমরেডরা দাঁড়িয়ে রয়েছেন।খাদ্যসামগ্রী প্যাকেটজাত হলেই ঝড়ের গতিতে ছুটে যাচ্ছেন পাড়ায়-মহল্লায়।এলাকার অর্থনৈতিক ভাবে প্রান্তিক পরিবারগুলোর কাছে পৌঁছে যাচ্ছে সেই প্যাকেটজাত খাদ্য সামগ্রী।অসহায় পরিবারের মুখের হাসি সম্বল করে আবার ফিরে আসছে পার্টি অফিসে। প্রস্তুতি চলছে পরের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
টুকরো টুকরো এই ছবিগুলোই করণা যুদ্ধের আবহে সারা রাজ্যের যুব কর্মীদের জান কবুল লড়াইয়ের এক-একটা ঝলক। প্রায় এক শতাব্দী পরে মানবসভ্যতা এক সংকটের সামনে দাঁড়িয়ে। মারণ করনা ভাইরাসের সংক্রমণ সারা দুনিয়ার সাথে সাথে আমাদের দেশকেও বিপর্যস্ত করে তুলেছে। অদৃশ্য এক শত্রুর বিরুদ্ধে দুনিয়াজুড়ে কার্যত বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছে। মানবসভ্যতাকে রক্ষা করাই যে যুদ্ধ জয়ের অন্যতম শর্ত।ইতিমধ্যেই গোটা দুনিয়াজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১০লক্ষ অতিক্রম করে গেছে। এই ভাইরাসের সংক্রমণে পরাস্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৮৪ হাজার মানুষের।ক্রমেই সংখ্যা বাড়ছে।তথাকথিত উন্নত দেশগুলো এই ভাইরাসের দাপটে বিপর্যস্ত।

১৩৩কোটি মানুষের ভারতবর্ষকেও প্রতিদিন চোখ রাঙ্গাচ্ছে শুধুমাত্র অণুবীক্ষণ যন্ত্রে দৃশ্যমান ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র এই ভাইরাস।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শক্রমেই এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অন্যতম অস্ত্র সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং।আর আমাদের মত বিপুল জনঘনত্বের দেশে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং প্রয়োগ করা সম্ভব একমাত্র লকডাউন এর পথেই।তীব্র অর্থনৈতিক সংকট এবং এক আকাশ আশঙ্কাকে বুকে নিয়েই মানুষ এই করনা ভাইরাস কে হারাতে লকডাউন আন্তরিক ভাবে গ্রহণ করেছে।কিন্তু দেশ বা রাজ্য সরকারের আরো যেভাবে পরিকল্পিত আকারে এই লকডাউন প্রয়োগ করা উচিত ছিল,অভিজ্ঞতায় দেখা গেল তাতে বহু খামতি আছে।

দৈনন্দিন আয় এর ভিত্তিতে যারা সংসার চালান,কয়েক কোটি পরিযায়ী শ্রমিক, চিকিৎসা করাতে ভিন রাজ্যে যাওয়া অসুস্থ মানুষজন এক ভয়ঙ্কর সংকটের মুখে শামিল হলেন এই অপরিকল্পিত উদ্যোগের পরিণতিতে। একদিকে এই মারন ভাইরাসের আতঙ্ক,অন্যদিকে রুটি-রুজির সংকট।এই জোড়া ফলার আক্রমণে মানুষ বিপর্যস্ত।বাজারে বাজারে শুরু হল প্যানিক বায়িং।কালোবাজারিরা মোক্ষম সুযোগ বুঝে আসরে নেমে পড়ল।জিনিসপত্রের দাম লাগামছাড়া হতে শুরু হল।দোকানে দোকানে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর অপ্রতুলতা যত দিন যাচ্ছে চোখে পড়তে শুরু করছে। ওষুধের দোকানে যোগান কম হওয়ার স্বাভাবিক প্রভাব পড়ছে।সব মিলিয়ে মানুষ এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতির শিকার।কিন্তু এই লকডাউন ছাড়া এই পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করার দ্বিতীয় কোনো রাস্তা নেই।তাই ইতিহাসের দেওয়াল লিখন পড়ে নিয়ে এই অসহায় মানুষের পাশে ঝাঁপিয়ে পড়ছে সারা রাজ্যের বাম যুব কর্মীরা।

বয়স্ক মানুষের ওষুধ এনে দেওয়ার কেউ নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বাজার থেকে আনা যাচ্ছে না। মুশকিল আসান সেই ডি ওয়াই এফ আই কর্মীরাই। শুধুমাত্র একটা ফোনের অপেক্ষা।সমস্ত আতঙ্ক ছুঁড়ে ফেলে করছে মানুষের সাহায্যে ঝাঁপিয়ে পড়ছে সারা রাজ্য জুড়ে।কলকাতা থেকে ক্যানিং,বাঁকুড়া থেকে জয়পুর। একটা ফোনেই প্রয়োজনীয় ওষুধ পৌঁছে যাচ্ছে দূরত্বের সমস্ত হিসেবকে ওলট-পালট করে।মানুষের অসুস্থতা স্বাভাবিকভাবেই লকডাউন এর নিয়ম কানুন মানছে না।হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে,অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করা,যেকোনো সমস্যাতেই পাশে আছে ডিওয়াইএফআই কর্মীরা।সে দিন হোক
বা রাত। শুধুমাত্র কয়েক হাজার থ্যালাসেমিয়া বা লিউকোমিয়া পেশেন্ট আছে আমাদের রাজ্যে।নিয়মিত রক্ত সঞ্চালন এই মানুষগুলোর জীবন কাঠি।

লকডাউনে এই নিয়মের কোন পরিবর্তন হয় না।সেই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে এই তীব্র আতঙ্কের আবহে ও হাসপাতালে ছুটে যাচ্ছে ডিওয়াইএফআই কর্মীরা। সরকার নির্দেশিকা জারি করে খালাস কোন রাজনৈতিক দল নাকি রক্তদান করতে পারবেন না‌।কিন্তু মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা সরকারি নির্দেশিকার পরোয়া করে না। তাই স্বাস্থ্যবিধি এবং লক ডাউনের নিয়মকানুন মেনেই হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে রক্তের মধ্য দিয়েই নিজেদের ভালোবাসা উজাড় করে দিচ্ছেন DYFI কর্মীরা‌‌সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো তালিকা প্রকাশ করে দিয়েছে‌।যে কোন রক্তদাতার প্রয়োজনে শুধু যোগাযোগ করলেই হবে।এক লহমায় সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে কত যে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করেছে তার ইয়ত্তা নেই। কাঁচামাল নেই,কাঁচামালের দাম আকাশছোঁয়া।কিন্তু সব প্রতিবন্ধকতা শুধুমাত্র ইচ্ছার কাছে পরাস্ত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বারবার হাত পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দিয়েছে।তাই মানুষের কাছে নিজেদের তৈরি করা হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং সাবান নিয়ে সাধ্যমত পৌঁছে গেছে DYFI কর্মীরা।

শুধুমাত্র রাজ্যের মধ্যেই নিজেদের কাজ সীমাবদ্ধ থাকেনি।ফেসবুক থেকে পাওয়া হেল্পলাইন নম্বর দেখে ভিন রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকরা ফোন করছেন বিভিন্ন জেলার যুব কর্মীদের কাছে।তাদের কাছ থেকে যাবতীয় তথ্য নিয়ে দ্রুততার সাথে সেই তথ্য অন্য রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা DYFI কর্মীদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে‌। যেখানেই DYFI সংগঠনের বিস্তৃতি কিছুটা কম আছে সেখানে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে CITU নেতৃত্ব।

করোণা সংক্রমণের মোকাবিলায় বা পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্যের প্রশ্নে কেরালা যথারীতিই বিকল্প। কেরালায় আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্যের ক্ষেত্রে প্রশাসন, রাজনৈতিক কর্মী এবং যুব আন্দোলনের কর্মীরা যেভাবে ঝাপিয়ে পড়ছে তা কার্যত মডেল।কিন্তু অন্যান্য রাজ্যেও যুব আন্দোলনের কর্মীরা তাদের সমস্ত সীমাবদ্ধতাকে হেলায় হারিয়ে যেভাবে সাহায্যের হাত বিস্তৃত করেছে বাম যুব আন্দোলনের কর্মী হিসেবে তা আমাদের কাছে সত্যিই এক গর্বের।ভিন রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিক ব্যতীত আমাদের রাজ্যেও এক জেলা থেকে অন্য জেলায় কাজ করতে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদেরও সাধ্যমত সাহায্যের চেষ্টা করছেন বিভিন্ন জেলা যুব আন্দোলনের কর্মীরা।

প্রশাসন বা সরকারের যে কাজ করা প্রয়োজন,সেই কাজ সমস্ত সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে যেভাবে আমাদের রাজ্যের এবং দেশের বিভিন্ন রাজ্যের যুব কর্মীরা সংঘটিত করল তা সত্যিই দৃষ্টান্ত।সামাজিক দায়বদ্ধতার এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মানুষের অকৃপণ ভালোবাসা পেয়েছি আমরা। অসংখ্য মানুষ নিজেদের উজাড় করে সাধ্যমত সাহায্য করেছেন আমাদের। আর সেই সাহায্য ক্লান্তিহীন পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে অর্থনৈতিকভাবে প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে যুব সংগঠনের কর্মীরা।

না আমাদের এই কাজ করতে গিয়ে মিডিয়ার অনুকম্পার প্রয়োজন হয়নি।সরকারি সাহায্যকে ব্যবহার করে শাসক দলের কর্মীরা কোন বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে,৫০ জন লোক নিয়ে মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য সমাজ দরদী সাজছেন । রাস্তায় ছবি আঁকার মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণা হয়তো এদের উৎসাহিত করছে।কিন্তু নির্ভেজাল সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এ রাজ্যের যুব কর্মীরা যেভাবে রাস্তায় ঝাঁপিয়ে পড়ছে, মানুষের ভালোবাসাই এক্ষেত্রে একমাত্র সম্বল।মিডিয়ার ক্যামেরার ফ্ল্যাশ বাল্বের থেকেও যে ভালবাসার আলোর তীব্রতা অনেক বেশি। তবে মানুষের পাশে নানাভাবে থাকার উদ্যোগ তো আছেই। তার সাথে সাথেই,এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার এবং প্রশাসনকেই যে একমাত্র দায়িত্ব পালন করতে হয় তা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের উপর লাগাতার নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। সরকার প্রয়োজন মনে করলে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে বাম যুব কর্মীরা এই লড়াইতে শামিল হতে ইচ্ছুক, সেই বার্তাও দেওয়া হয়েছে।শুধু নিয়ম করে সাংবাদিক সম্মেলন করলেই এই যুদ্ধে জেতা যায় না।




সে কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার সাথে সাথেই জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার উপকরণ দেওয়া থেকে শুরু করে বিনামূল্যে মানুষকে রেশন দেওয়ার মত অসংখ্য দাবি আমাদের দাবীতে উঠে এসেছে।। শুধুমাত্র রাজ্য সরকার ই নয,ফেসবুক লাইভের মতো অভিনব কর্মসূচির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছেও নির্দিষ্ট প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। থালা বাজানো বা মোমবাতি জ্বালানো র পরামর্শ দেওয়া ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর আরো কিছু কাজ আছে তা মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।


মানব সভ্যতা কে বাঁচাতে সারা দুনিয়া আজকে যুদ্ধে শামিল।পুঁজিবাদের সমস্ত আস্ফালন অদৃশ্য এক ভাইরাসের চোখ-রাঙানিতে কার্যত ঘরবন্দি।ঘরে বসেই মানুষও আজ যুদ্ধজয়ের লড়াই করছে। কিন্তু শুধু ঘরে নয়। প্রয়োজন হলে রাস্তায় নেমে ও সামনে থেকেই এই যুদ্ধে লড়াই করছে বামপন্থী যুব আন্দোলনের কর্মীরা। বিজ্ঞানকে মেনে।লকডাউন কে মেনে। বামপন্থার জিনগত বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ভাইরাসের আতঙ্ক আমাদের বেঁধে রাখতে পারেনি। মানুষের বিপদে প্রয়োজনে আমরা বাঁধ গড়তে জানি।ভাঙতেও জানি।


শেয়ার করুন

উত্তর দিন