Tilottoma

স্পর্ধার আওয়াজ: তিলোত্তমা

সময় তখন রাত দেড়টার কাছাকাছি,শ্যামবাজারে ছাত্র-যুব-মহিলাদের অবস্থানের চতুর্থ দিন অতিক্রান্ত হয়ে পঞ্চম দিনে পদার্পণ করেছে। ”তিলোত্তমার জন্য ইলা মিত্র নাইট স্কুল”-এ তখন বেশ কিছু খুদে পেন্সিল দিয়ে আঁকিবুঁকি কাটছে কাগজে।তারই মাঝে প্রতিবাদী স্লোগানে মুখরিত হচ্ছে তিলোত্তমা চত্তর। ক্যানভাসে রং তুলির টানে প্রতিবদী চিত্ররা গর্জে উঠছে প্রতিবাদে।

R G Kar Issue - Diptajeet

যন্ত্রণাই বর্শা হয়ে মৌচাকে বিঁধছে

‘আমরা এখনও কোনো ব্যবস্থা নিই নি। রাজ্য সরকারের কিন্তু ক্ষমতা আছে ব্যবস্থা নেওয়ার। এফআইআর করলে ওদের ভবিষ্যত নষ্ট হবে। পাসপোর্ট,ভিসা পাবে না। কেরিয়ার নষ্ট হবে।’ বাছা বাছা শব্দে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভা থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের শীতল হুমকি দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিলোত্তমার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর ২৪ দিন অতিক্রান্ত হলেও বিচারের গতিবিধি আজও দিশাহীন। বিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়াই অপরাধ তাদের।

bangladesh - prabhat

বাংলাদেশ: কীভাবে ‘একটি অলৌকিক অর্থনৈতিক-ব্যবস্থা’ ভেঙে পড়ল

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্থান-পতনের কারণ হিসাবে বেশীরভাগ বিশ্লেষণই শেখ হাসিনার সরকারের উচ্ছৃঙ্খলতা এবং কর্তৃত্ববাদের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে! এই ধরণের বিশ্লেষণগুলি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তনকে উপেক্ষা করে বা সাধারণভাবে অবমূল্যায়ন করে।

সত্য লেখার পাঁচ ঝঞ্ঝাট (২য় পর্ব)

কোন সত্যি কথা বলার মত, প্রথমেই আমরা সমস্যায় পড়ি তা বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে। যেমন, সমগ্র বিশ্বের চোখের সামনে একের পর এক দেশে সভ্য জাতিগুলি বর্বরতন্ত্রের খপ্পরে গিয়ে পড়ছে। এর পাশাপাশি, সকলেই জানে এই দেশগুলিতে বর্বরতা বিরোধী মানুষের বিরুদ্ধে ভয়াবহ পদ্ধতিতে চালানো হচ্ছে এক অভ্যন্তরীণ যুদ্ধ, যা যে কোনও মুহূর্তে একটি বিদেশী যুদ্ধে রূপান্তরিত হয়ে আমাদের মহাদেশকেই একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে দিতে পারে। এই বক্তব্য একটি সত্যি কথা, কিন্তু এ’ছাড়াও তো আরও অনেক সত্যি কথা রয়েছে। যেমন আরামকেদারায় গদি আঁটা থাকে বা বৃষ্টি উপর থেকে নিচে ঝরে। অনেক কবি এই দ্বিতীয় ধরণের সত্যি কথা লিখতেই পছন্দ করেন। ডুবন্ত জাহাজের এক চিত্রশিল্পীর মত তাঁরা চোখ কান বুজে জাহাজের দেওয়ালে নিস্তরঙ্গ জীবনের ‘সত্য’ চিত্র আঁকতেই বেশি আগ্রহী। প্রথম সত্যি কথাটা নিয়ে আমাদের যে ঝঞ্ঝাট, তা নিয়ে মাথা ঘামিয়ে তাঁরা নিদ্রার ব্যাঘাত ঘটান না এবং দ্বিতীয় প্রকার সত্যি কথাগুলির মধ্যে থেকে তাঁরা বিবেক পরিষ্কার রাখেন।

‘বাংলার মাটিতে সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথা তোলার চেষ্টা করলে মাথা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেবো’

কমরেড বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সিপিআই(এম)’র সদস্য পদ লাভ করেন ১৯৬৬ সালে। পার্টির সর্বক্ষণের কর্মী হওয়ার আগে দমদম আদর্শ বিদ্যামন্দিরে বছর দুয়েক শিক্ষকতা করেছিলেন। সেই সময়ে বাংলায় খাদ্য আন্দোলন, ভিয়েতনামের প্রতি সংহতি আন্দোলনসহ বহু গণআন্দোলনে তিনি সক্রিয় ছিলেন। ১৯৬৮ সালে তিনি গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের সম্পাদক নির্বাচিত হন। সিপিআই(এম)’র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন ১৯৭১ সালে।

কমরেড মুজফ্‌ফর আহ্‌মদ, কাকাবাবুর স্মরণে

বাংলা তথা ভারতে কমিউনিস্ট পার্টি গড়ে তলার অন্যতম পথিকৃৎ কমরেড মুজফ্‌ফর আহ্‌মদ। ১৮৮৯ সালের ৫ই অগাস্ট তারিখে তৎকালীন পূর্ববাংলায়, বর্তমান বাংলাদেশের চট্টগ্রামের অন্তর্গত অধুনা সন্দ্বীপ জেলায় তার জন্ম। ১৯৭৩ সালের ১৮ই ডিসেম্বর তার জীবনাবসান হয়।

স্বাধীনতা সংগ্রামে কাকাবাবু ও কমিউনিস্টদের অবদান

ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন কমরেড মুজফ্‌ফর আহ্‌মদ (কাকাবাবু)। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি গঠনের প্রথম যুগের কারিগরদের সঙ্গে তাঁকেও পরাধীন ভারতের ব্রিটিশ সরকারের দমনমূলক আচরণ, একাধিক ষড়যন্ত্র মামলার মোকাবিলা করেই মেহনতী মানুষকে সংগঠিত ও স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন সংগঠিত করতে হয়েছে।

কাকাবাবুর জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে আজকের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে

আমরা কমরেড মুজফ্ফর আহ্‌মদের, অর্থাৎ কাকাবাবুর জন্মদিন পালন করি ১৯৬৩ সাল থেকে। একজন ব্যক্তিকে স্মরণ করার জন্য আমরা কাকাবাবুর জন্মদিন পালন করি না। জন্মদিন উপলক্ষ্য। লক্ষ্য হলো যে কোনও পরিস্থিতিতে, সেই পরিস্থিতির উপযোগী সংগঠন গড়ে তুলে আন্দোলন-সংগ্রাম পরিচালনায় তাঁর অবদান থেকে শিক্ষা নেওয়া।

"বিজ্ঞানসাধক" ( শ্রদ্ধায় ও স্মরণে প্রফুল্লচন্দ্র )

প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের শিক্ষাজীবন শুরু হয় তার বাবার তৈরী এম ই স্কুলে,এরপরে তিনি ১৮৭২ সালে কলকাতার হেয়ার স্কুলে ভর্তি হন,কিন্তু রক্ত আমাশায় আক্রান্ত হবার দরুণ তিনি তার গ্রামে ফিরে আসেন ,তার বাবার লাইব্রেরীতে থাকা বই তার অবসর জীবনের সঙ্গী ছিলো |