ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) এর কেন্দ্রীয় কমিটি নয়াদিল্লিতে ৩-৫, নভেম্বর ২০২৪ বৈঠক করে নিম্নলিখিত বিবৃতি জারি করেছে:
Author: Krishnayan Ghosh
অবিলম্বে সাংসদদের অধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করতে হবে - পলিট ব্যুরো বিবৃতি
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-এর পলিট ব্যুরো ভেনেজুয়েলার কারাকাসে অনুষ্ঠিত ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংসদীয় ফোরামে যোগদানের জন্য রাজ্যসভার সাংসদ ডক্টর ভি শিভাদাসনকে রাজনৈতিক ছাড়পত্র দিতে অস্বীকার করার কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করেছে৷ এটি স্পষ্টভাবে ক্ষমতাসীন দলের মতামতের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এমন কোনও কণ্ঠকে দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা।
আর জি করের লড়াই অনন্য কেন?
এরপর মৃতার বাবা মাকে ময়না তদন্তের কাগজপত্রে সই করানো হয়। তার মা চেয়েছিলেন এই ময়নাতদন্ত অন্য কোথাও হোক। কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের তিনি সেকথা জানিয়েওছিলেন। একথা জানানোর পরেও পুলিশ কাগজপত্রে তাঁদের সই করতে বাধ্য করে।
কমরেড সীতারামের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি
সীতারামের স্মৃতিচারণায় ইতিমধ্যে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বেশ কিছু আলোচনা উঠে এসেছে, প্রায় সকলেই দেশজুড়ে বিরোধী দলগুলিকে একত্রে টেনে নিয়ে এসে একটি মঞ্চ গড়ার বিষয়ে তাঁর অবদানকে তুলে ধরেছে। এ কাজে তার দক্ষতা দেশের জনসাধারণ সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছেন। তাই আমি চাইব পার্টির অভ্যন্তরে মার্কসবাদ চর্চায় তাঁর গুরুত্বপুর্ণ অবদান নিয়ে কিছু আলোচনা করতে। পার্টি কেন্দ্র ও পলিটব্যুরোতে সীতারামের নির্দিষ্ট দায়িত্ব ছিল, মার্কসবাদ-লেনিনবাদের ভিত্তিতে পার্টির মতাদর্শগত অবস্থান নির্ধারণ করা।
কমরেড সীতারাম ইয়েচুরির স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে সিপি আই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেস বিবৃতি
তাঁর শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক।
স্পর্ধার আওয়াজ: তিলোত্তমা
সময় তখন রাত দেড়টার কাছাকাছি,শ্যামবাজারে ছাত্র-যুব-মহিলাদের অবস্থানের চতুর্থ দিন অতিক্রান্ত হয়ে পঞ্চম দিনে পদার্পণ করেছে। ”তিলোত্তমার জন্য ইলা মিত্র নাইট স্কুল”-এ তখন বেশ কিছু খুদে পেন্সিল দিয়ে আঁকিবুঁকি কাটছে কাগজে।তারই মাঝে প্রতিবাদী স্লোগানে মুখরিত হচ্ছে তিলোত্তমা চত্তর। ক্যানভাসে রং তুলির টানে প্রতিবদী চিত্ররা গর্জে উঠছে প্রতিবাদে।
যন্ত্রণাই বর্শা হয়ে মৌচাকে বিঁধছে
‘আমরা এখনও কোনো ব্যবস্থা নিই নি। রাজ্য সরকারের কিন্তু ক্ষমতা আছে ব্যবস্থা নেওয়ার। এফআইআর করলে ওদের ভবিষ্যত নষ্ট হবে। পাসপোর্ট,ভিসা পাবে না। কেরিয়ার নষ্ট হবে।’ বাছা বাছা শব্দে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভা থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের শীতল হুমকি দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিলোত্তমার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর ২৪ দিন অতিক্রান্ত হলেও বিচারের গতিবিধি আজও দিশাহীন। বিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়াই অপরাধ তাদের।
বাংলাদেশ: কীভাবে ‘একটি অলৌকিক অর্থনৈতিক-ব্যবস্থা’ ভেঙে পড়ল
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্থান-পতনের কারণ হিসাবে বেশীরভাগ বিশ্লেষণই শেখ হাসিনার সরকারের উচ্ছৃঙ্খলতা এবং কর্তৃত্ববাদের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে! এই ধরণের বিশ্লেষণগুলি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তনকে উপেক্ষা করে বা সাধারণভাবে অবমূল্যায়ন করে।
সত্য লেখার পাঁচ ঝঞ্ঝাট (২য় পর্ব)
কোন সত্যি কথা বলার মত, প্রথমেই আমরা সমস্যায় পড়ি তা বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে। যেমন, সমগ্র বিশ্বের চোখের সামনে একের পর এক দেশে সভ্য জাতিগুলি বর্বরতন্ত্রের খপ্পরে গিয়ে পড়ছে। এর পাশাপাশি, সকলেই জানে এই দেশগুলিতে বর্বরতা বিরোধী মানুষের বিরুদ্ধে ভয়াবহ পদ্ধতিতে চালানো হচ্ছে এক অভ্যন্তরীণ যুদ্ধ, যা যে কোনও মুহূর্তে একটি বিদেশী যুদ্ধে রূপান্তরিত হয়ে আমাদের মহাদেশকেই একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে দিতে পারে। এই বক্তব্য একটি সত্যি কথা, কিন্তু এ’ছাড়াও তো আরও অনেক সত্যি কথা রয়েছে। যেমন আরামকেদারায় গদি আঁটা থাকে বা বৃষ্টি উপর থেকে নিচে ঝরে। অনেক কবি এই দ্বিতীয় ধরণের সত্যি কথা লিখতেই পছন্দ করেন। ডুবন্ত জাহাজের এক চিত্রশিল্পীর মত তাঁরা চোখ কান বুজে জাহাজের দেওয়ালে নিস্তরঙ্গ জীবনের ‘সত্য’ চিত্র আঁকতেই বেশি আগ্রহী। প্রথম সত্যি কথাটা নিয়ে আমাদের যে ঝঞ্ঝাট, তা নিয়ে মাথা ঘামিয়ে তাঁরা নিদ্রার ব্যাঘাত ঘটান না এবং দ্বিতীয় প্রকার সত্যি কথাগুলির মধ্যে থেকে তাঁরা বিবেক পরিষ্কার রাখেন।
কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য ও যৌবনের দুর্দম তরঙ্গ
১৯৪৪ সালে সুকান্ত পার্টিতে সদস্য পদ লাভ করেন এবং পার্টির একজন সক্রিয় কর্মী হয়ে ওঠেন