Site icon CPI(M)

About the district -South Dinajpur : Manabesh Chowdhury

একটি ঐতিহ্যশালী লোকসভা আসন –বালুরঘাট


বালুরঘাট লোক সভা আসনটি সমগ্র দেশের নির্বাচনী মানচিত্রেরই একটি অংশ। এ রাজ্যের তৃণমূল সরকার সর্বাংশেই চলছে আর এস এস-এর যে রাজনৈতিক দলটি কেন্দ্রে আসীন, সেই বিজেপি দলেরই দোসর হিসাবে। তাই বিজেপি –তৃণমূলের অপশাসনের কথাবার্তাই এই আসনেও মূল আলোচ্য।
মূল যে কথা বামপন্থীদের আলোচনায় আসছে তা হলো, পরিস্থিতি খুবই জটিল ও কঠিন। কিন্তু সম্ভাবনাময় । ‘সময় শেষ’ – এই শব্দবন্ধটি বিজেপি-রাজ সম্পর্কে উঠে গিয়েছে। পরিস্থিতির মধ্যে ইতিবাচকতা হলো, শত্রুরা ভয় পেতে শুরু করেছে, মোদী ও মমতা তাই রাষ্ট্রযন্ত্রকে নামিয়ে নিয়ে এসেছে, অত্যাচার করছে। গুণ্ডাদের নামিয়েছে, দিন যত যাবে তার মাত্রা বাড়বে। এসব ঘটনায় বোঝা যায়, ওদের পায়ের তলায় মাটি সরে যাচ্ছে। দিশাহারা হয়ে তৃণমূল ও বিজেপি উভয় দলই যেসমস্ত হিংস্র দুষ্কাণ্ড করছে, তা ওদের শক্তির লক্ষণ নয়, দুর্বলতার লক্ষণ। বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ।
আমাদের সামনে এক যুগ সন্ধিক্ষণ উপস্থিত হয়েছে। হয় এই নির্বাচনই শেষ নির্বাচন হবে। নয় অবরুদ্ধ গণতন্ত্রের দরজা খুলে যাবে।


হিন্দুরাষ্ট্র কায়েম করা আর এস এস-এর এজেণ্ডা। তাতে সঙ্গত করছে তৃণমূল। তথাকথিত প্রতিযোগিতা, কিন্তু আসলে সহযোগীতা মূলক সাম্প্রদায়িকতার চাষ করছে তারা।
কিন্তু এই পরিকল্পনা অনেকটা ভেস্তে গিয়েছে। মানুষ নতুন দিশা খুঁজছিলেন। শাসকদল দু’টির অপকাণ্ড ও প্রতিদিনের লড়াইয়ের ফলে, অনেকে দিশা পেয়েও গিয়েছেন। তাই ভালোর দিকে, শুভ ও কল্যানের দিকে পরিবর্তনের বিষয়গুলো এখন বিরাজ করছে বলাই যায়।
পুঁজিপতিদের টাকায় চলে কেন্দ্র ও এরাজ্যের সরকার। ওরা যে রাজনৈতকভাবেই পুঁজিপতিদের ক্রীতদাস, ইলেকটোরাল বণ্ড ও পি এম কেয়ারসের ফাণ্ডে – তা আরও প্রমাণিত।
সাম্পতিক সময়ে ব্রিগেডে যুবদের ঐতিহাসিক সভা, সাম্প্রতিক স্থানীয় নির্বাচনগুলিতে বামপন্থীদের বিপুল জয়, সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষের নিত্য দিনের বর্ধমান সংগ্রাম, দিল্লি ও অন্যান্য রাজ্যে সংযুক্ত কিষান মোর্চার মহা পঞ্চায়েত, হরিয়ানার গ্রামে গ্রামে বিজেপিকে ঢুকতে না দেওয়া, জে এন ইউ ‘তে এ বি ভি পি-র শূন্য হয়ে যাওয়া, মনিপুর ও লাদাখে দেশের দুই প্রান্তে ভয়ংকর বিক্ষোভ, বিজেপির মধ্যে বিভিন্ন রাজ্যে অন্তর্বিরোধ, মিজোরামে ওদের সঙ্গী দলের জোট ছেড়ে যাওয়া, এরজ্যে প্রার্থী কে হবে, তা নিয়ে মাংসের টুকরো নিয়ে কুকুরদের মারামারির মতো মারামারি, রাজ্যে বিজেপি ও তৃণমূল প্রার্থীদের দেখলে মানুষের তেড়ে আসা ইত্যাদি চলছে। সন্দেশখালির ও ভূপতিনগরের ঘটনা তৃণমূলীদের লুটের ভীত নাড়িয়ে দিয়েছে। রেগার টাকা নিয়ে বাগাড়াম্বর কিন্তু আসলে তা যে ফাঁকি তা বেআব্রু হয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন গ্রামীণ মানুষের ক্ষোভে বিক্ষোভে।
কেজরিওয়াল ও হেমন্ত সোরেনকে অন্যায় ও অসংবিধানিকভাবে জেলবন্দি করে রাখার প্রসংগ আসছে এখানেও।


সি এ এ নিয়ে ভোট এলে ওরা কথা ওঠায়। ভোটের ইস্যু করার জন্য বিষয়টা বিজেপি ও তৃণমূল সাঁট করে নিয়ে এসেছে এই নির্বাচনেও। ময়দানে খুব হল্লাবাজী করছে।
কিন্তু তাতে বামপন্থীদের ভালোই হয়েছে। পুরনো কথাগুলো বলা যাচ্ছে আবার।
বামপন্থীরা সকল রাজ্যবাসীর ভোটাধিকার সহ সংশ্লিষ্ট সব অধিকারের পক্ষে, তা জ্যোতি বসু কতদিন আগে ঘোষণা করে দিয়েছেন। তিনি বলতেন, যাঁরা বাংলাদেশ থেকে এসেছেন, মানবিক কারণেই তাদের পুনর্বাসনের বিষয়টি দেখতে হবে। বামফ্রণ্টের অবস্থান পুর্বে এবং আজকে একই রকম।
সি এ এ আইন যে তৈরি করা হয়েছে ‘ধর্ম’কে যুক্ত করে মুসলমান বিদ্বেষ থেকে, এটা ফ্যাসিবাদের লক্ষণ – একথাটা যথারীতি আলোচনায় আসছে।
২০০৩ সাল থেকে বাংলাদেশীতে ভোটার লিস্ট ভর্তি বলে চিৎকার করেছিলেন মমতা। ২০০৫ সালে ডেপুটি স্পিকারের মুখে কাগজের দলা ছুঁড়ে মারা, ২০০৬ ‘এর নির্বাচনের আগে সারা রাজ্যে এই নিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করা তাঁরই কাজকর্ম ছিলো। যেমন, আমাদের এখানকার তৃণমূল প্রার্থীর কাণ্ড-কারখানা। ইনিই এখানে ২০০৬-এ বাংলাদেশী বিতারণের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। তখন তিনি বিধানসভায় তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন। কমরেড নারায়ণ বিশ্বাস আমাদের প্রার্থী। তৃণমূলের উনি গোহারা হেরেছিলেন।
অন্যান্য দেশবিরোধী বিল পাশের মতো সি এ এ আইন পাশ হবার দিন ২০১৯ সালের ১০ই সেপ্টেম্বর তৃণমূলের ৮ জন সাংসদের অনুপস্থিতির প্রসংগ আসছে।
সারা রাজ্যের শহীদ ভাতা বন্ধ করে দিয়েছে তৃণমূল ২০১১ সালেই। তেভাগার খাঁপুরের শহীদেরও ভাতা বন্ধ ।
বিজেপি’র সাম্প্রদায়িকতা ও মমতার সাম্প্রদায়িকতার মধ্যে মিলগুলির প্রসংগ আসছে।
আলোচনায় আসছে নিজেকে ও অভিষেককে বাঁচানোর জন্য মমতা ও মোদীর গোপন দেখা সাক্ষাত করা, আসছে হেমন্ত সরেন ও কেজরীওয়ালকে গ্রেপ্তার কিন্তু মমতা – অভিষেককে না করার বিষয়।
আলোচনায় আসছে নোটবন্দির ভাঁওতা, জি এস টি’র মাধ্যমে লূটের কথা। কিন্তু মোদীও মমতা কেউই বামফ্রন্টের গায়ে যে কালি ছিটাতে পারে নি, সে কথা গর্বের সঙ্গে বামকর্মীরা বলছেন। আমাদের প্রার্থী ও ওদের প্রার্থী – আকাশ জমিন তফাৎ – সেই প্রসঙ্গটা আসছে। আলোচনা হচ্ছে তাজা নওজোয়ান ও শিক্ষিত নেতা, লড়াকু নেতা-কর্মীরা আমাদের প্রার্থী। আর ওদের সব ওঁচা, জনবিচ্ছিন্ন নায়ক-নায়িকা, বাইরের রাজ্যের বৃদ্ধ অভিনেতা, খেলোয়াড়, দলবদলু ইত্যাদি।
প্রশ্ন আসছে, বাম-কংগ্রেসকে বিজয়ী করে কী হবে? তার উত্তর দেওয়া হচ্ছে, সংবিধানকে বাঁচানোর লড়াই হবে বামেদের বিজয়ীদের মূল লড়াই।
বিজেপি–তৃণমূলের অপশাসনে জনগণের বিভিন্ন অংশ যেভাবে আঘাতপ্রাপ্ত যেমন, শ্রমিক, খেতমজুর, অসংগঠিত ক্ষেত্রের মজুর, বেকার যুবক, ছাত্র, শিক্ষক, নারী, কর্মচারি, পেনশনভোগী ইত্যাদি বিভিন্ন অংশের মানুষের বিষয়গুলি নিয়ে পার্লামেণ্টে শানিতভাবে বলে, তা দূরিকরনে সরকার যাতে ব্যবস্থা নেয়, তার জন্য উদ্যোগী হবেন আমাদের বিজয়ীরা।


নিজ লোকসভা এলাকায় যে সমস্ত সমস্যা আছে, তা দুরীকরণে আমাদের বিজয়ীরা ভূমিকা নেবেন। ইতোমধ্যে সি পি আই (এম) কংগ্রেসের ইশতেহার প্রকাশিত হয়েছে। সেসব নিয়েই তাঁরা পার্লামেণ্টে বলবেন, দাবি উঠাবেন। তাঁদের ভেতরের লড়াইয়ের পাশে রাস্তায় বেগবান হবে জনতার লড়াই। আমরা আশা করছি, শয়তানি না করলে, এবার বিজেপির ১৮০-এর বেশি আসন পাওয়ার কথা নয়। তাহলে নতুন সরকার গঠিত হবে। আমরা নতুন সরকারের কাছে দাবি রেখে জনস্বার্থবাহী কর্মসূচীগুলির বিষয়ে আইন করিয়ে নিতে পারবো। যেমন, ২০০৪ –এ মনোমোহন সরকারের আমলে করা গিয়েছিলো। সর্বোপরি পার্লামেণ্টের মাণ ভয়নাক ভাবে নেমে গিয়েছে। তা পুরুদ্ধার করবেন আমাদের বামপন্থী বিজয়ী প্রার্থীরা। বালুরঘাটের বামপ্রার্থী তাঁদেরই একজন হবেন।

তৃণমূল বা বিজেপি জেলার কি করেছে ?
তৃণমূল প্রার্থী একই অঙ্গে তৃণমূলী ও বিজেপি। সে যে আবার বিজেপি’তে যাবে না, তার গ্যারাণ্টি কী? একই অঙ্গে দু- দলের তামুক খাওয়া প্রার্থী যেমন রাজ্যে অনেক আছে, ইনিও তেমনি।
বুনিয়াদপুর রেলওয়ে ওয়াগান তৈরির প্রতিস্রুতি কোথায় গেল! রেলমন্ত্রীরা কোন দিন এবিষয় নিয়ে পরে কথা বলেছেন? মমতার প্রতিশ্রুতির পরও, পর পর দু’বার ওদের দলরেই রেলমন্ত্রী ছিল। তারপর বিজেপির রেলমন্ত্রী ও এখানকার বিজেপি প্রার্থীই বা কী করল? বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত রেললাইল কোথায় গেলো? বুনিয়াদপুর থেকে কালিয়াগঞ্জের রেল লাইন কোথায় গেল ? একটা ট্রেন উঠিয়ে আরেকটা চালু করে, আর মালদা থেকে যে ট্রেনটা দিল্লিতে চলতো, তাকে বালুরঘাট পর্যন্ত নিয়ে এসে বুক বাজানো হচ্ছে! জেলার লোককে ওরা এতোই বোকা ভাবে!
তাঁরা কোন দিন জেলাবাসীর জীবনের কোন সমস্যা নিয়ে কথা বলেছেন ?
ইস্যু ধরে ধরে বলছেন কর্মীরা যেমন, চাকুরি। মোদী-মমতা যেহেতু কর্ম সংস্থান বিরোধী, তাই ঐ দু’দলের প্রার্থীরাও চাকুরি নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য করছেন না।
এরকমই, ঐ দুই দলের নীতি অনুযায়ী, পরিযায়িদের নিজ জেলায় কাজের সংস্থানের ব্যাপারে, কলকারখানা, কৃষি, কৃষি ফসল, বিদ্যালয়, শিক্ষা ইত্যাদি ব্যাপারে এই দুই প্রার্থীর ভূমিকাও নৈরাজ্য জনক।


কত গ্রামের রাস্তার পিচ উঠে যাচ্ছে, কনট্রাক্টরদের সঙ্গে সাঁট করে টাকা মারায়, কত গ্রামে প্রয়োজনীয় সেতুটা পর্যন্ত হলো না এখনও। কত গ্রামে কী বিষম জলকষ্ট! বিশেষ করে তপন থানার গ্রামগুলিতে। অনেক গ্রামে খাদ্য সংকট শুরু হয়ে গিয়েছে। কি করেছে ঐ দুই দলের প্রার্থীরা?
করোনার অছিলায় বরিষ্ট নাগরিকদের চালু থাকা সুযোগগুলো কেড়ে নেওয়া হয়েছে। মোদীর এই অপকর্মের বিরুদ্ধে মৌন হয়ে ছিলেন ও আছেন মমতা। সেরমই এখানকার বিজেপি ও তৃণমূল প্রার্থী।
হিলির আর্ন্তজাতিক বানিজ্যের ক্রমশ হীন দশা কেন ? কেন সেখানে প্রতিদিন তোলা আদায় করা হয়?
তাঁরা কোন দিন আমাদের জেলার তিন পাশে যে বর্ডারের ধারের ও ওপারের ভারতের গ্রামগুলোর মানুষের কষ্ট, তাদের নিত্যদিনের দুর্বিসহতার বিষয়ে কথা বলেছেন? বলেন নি।। বিজেপি প্রার্থীর দত্তক গ্রাম চকরামের তো কোনো উন্নতিই হয়নি। আমাদের জেলার জলা ভূমিগুলির সংস্কার বামফ্রণ্ট আমলে করা হয়েছিল। কয়েক বছর পরপর তা করতে হয়। না হলে মজে যায় আবার। এসব সংস্কার করতে তো বারো/চৌদ্দ বছর ওদের দেখলাম না। মৎস্য চাষের উন্ননয়নের জন্য একটা নয়া পয়সাওতো খরচ করতে দেখলাম না ওদের কাউকে। জেলার ঐতিহ্যশালী তাঁত শিল্পের হতদ্দশা কাটানোর জন্য ওনারা কী করেছেন! কী করেছেন ধোকড়া, মাদুর, বাঁশ-বেতের শিল্প, মুখা শিল্প, কারুশিল্প ইত্যাদি – যে আমাদের জেলার গুলির খুব সুনাম ছিল, বাইরের রাজ্যে ও বিদেশেও, এবং যার দৌলতে কয়েকলক্ষ মানুষের ভরণ-পোষণ হতো, সেগুলি যে বিনষ্ট হয়ে গেল, সেববের পুনরুদ্ধারের জন্য কোন প্রকল্প নিয়ে এগোতে দেখা গেল না তো ওদেরকে? বাম আমলের আন্যান্য জেলার মতো আমাদের কৃষি প্রধান জেলার ভুমি সংস্কার, পঞ্চজনার পঞ্চায়েত নির্মান, পানীয় জলের ব্যবস্থা, এক ফসলা জমিকে তিন/চার ফসলা করা, কৃষির উন্নয়ন্নের বাড়তি বরাদ্দ, জমির উৎপাদন ও উৎপানশীলতা বাড়ানোর যে কর্মসূচীগুলি নেওয়া হয়েছিল – যার ফলে কৃষির বিকাশ হয়েছিল অভূতপূর্ব ভাবে, সব সাফল্য হাওয়ায় উড়ে গেল এদের আমলে। জনস্বাস্থ্য ও জনশিক্ষা নিয়ে যে বিশাল কর্মদ্যোগ সৃষ্টি করা হয়েছিল বাম আমলে, কোন শূণ্যে তা গেল মিলিয়ে!


তৃণমূলের ও বিজেপির মধ্যেও এজেলায়ও গোলমাল চলছে। তৃণমূলের নেতাদের গোলমান ওদের নেতারা কেউ থামাতে পারে নি। বিজেপি সমস্যায় পরেছে বিশেষ করে মতুয়া সম্প্রদায়ের বিভিন্ন দলগুলি নিয়ে। ওদের প্রার্থীকে সেই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। তৃণমূল প্রার্থী আদিবাসী পাড়ায় গিয়ে – শ্মশানথান নিয়ে আদিবাসী পাড়ায় ও খাঁপুরে গিয়ে শহীদ পরিবারের প্রশ্নের মুখে পড়েন – কেন শহীদভাতা উঠিয়ে দিয়েছে তৃনমূল সরকার?
এককথায় , যা ‘আছে ভারতে তা আছে ভারতে’ – মানে আমার বাংলায় আমার জেলায়।
একটা পুতিগন্ধময় পরিবেশ। তা দূরিকরণের জন্যই চলছে বালুরঘাট আসনেও বামফন্ট-কংগ্রেসের সংগ্রাম।

আমরা জানি প্রশাসন ও আরক্ষাবাহিনী এদের ক্রীতদাস। লুটের টাকা ও বণ্ডের অঢেল অর্থ ওদের হাতে। না হলে সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত নির্বাচনেও তো বেশিরভাগ আসনে বামেদের বিজয় ঘটতো।
আমাদের বামকর্মীদের হুঁশিয়ার ও সচেতন–সতর্ক থাকার জন্য বার বার নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।
বালুরঘাট আসনে ১৯৭৭ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এক নাগাড়ে বামপন্থী ফ্রণ্টের আর এস পি বিভিন্ন প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। এ জেলা তেভাগা লড়াইয়ের অনন্য ভূমি খাঁপুরের জেলা। ১৯৫৯ ‘এর খাদ্য আন্দোলনের লড়াইয়ে এ জেলার ছিল মহান অংশগ্রহন। এসব ঐতিহ্যের পরম্পরায় এবারে লোকসভা আসনে বিজয়ী হওয়াটা কোন অসম্ভব ব্যাপার নয়।

শেয়ার করুন