দুঃস্বপ্নের এক দশক - চন্দন দাস

নভেম্বর ১৮ ,২০২০ বুধবার

তৃণমূল কংগ্রেস/ পর্ব-১ তৃণমূল: গ্যালিউলিন থেকে আদবানী

তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে সরকার গড়েছে ২০১১-র মে-তে। দলটি তৈরি হয়েছে তার প্রায় তেরো বছর আগে — ১৯৯৮-র জানুয়ারিতে। সব মিলিয়ে মমতা ব্যানার্জির এই দলটির সময়কাল প্রায় তেইশ বছর। দলটি তৈরি হওয়ার সময়টি যেমন তাৎপর্যপূর্ণ, তেমনই তার পশ্চিমবঙ্গে সরকার গড়ার সময়টিও যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য।
গত প্রায় সাড়ে ন’ বছর মমতা ব্যানার্জি কেমন সরকার চালিয়েছেন, তার বিচার চলবে। কিন্তু কেন এই দলটি তৈরি হয়েছিল, কখন তৈরি হয়েছিল এবং তৈরি হওয়ার পর থেকে সরকার গঠনের আগে পর্যন্ত কোন্‌ কোন্‌ পন্থা অবলম্বন করে মমতা ব্যানার্জি চলেছেন, সেদিকে নজর রাখতে না পারলে তার সরকার পরিচালনা বিচার করা কঠিন হবে।

১লা জানুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেস তাদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করে। কেন করে? করার কথা নয়। কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি হয়েছিল। মমতা ব্যানার্জি ‘তৃণমূল’ নামের আলাদা দলের পরিকল্পনার কথা প্রথম প্রকাশ করেন ১৯৯৭-র আগস্টে। তারপর নানা ভাবে কংগ্রেসের মধ্যে থেকেই ভাঙনের প্রক্রিয়া চালিয়ে যান। কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন ১৯৯৭-র ২২শে ডিসেম্বর। নয়াদিল্লি থেকে কংগ্রেসের তৎকালীন মুখপাত্র ভি এন গ্যাডগিলের স্বাক্ষরিত প্রেস বিবৃতিতে মমতা ব্যানার্জিকে বহিষ্কারের ঘোষণা করা হয়েছিল। সেদিন সাসপেন্ড করা হয়েছিল মমতা ব্যানার্জির দুই ঘনিষ্টকে — সুদীপ ব্যানার্জি এবং শোভনদেব চ্যাটার্জিকে। সেই বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছিল সন্ধ্যায়। তার আগে সেদিন দুপুরে দু’টো নাগাদ একাধিক রফা আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন মমতা ব্যানার্জি। সেখানেই তিনি ঘোষণা করেন যে, ‘তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি হলো। তারা আলাদা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। নির্বাচন কমিশনের কাছে আলাদা প্রতীকের জন্য আবেদন করা হবে।’ সেই সঙ্গে সেদিনই আর একবার স্পষ্ট করে দেন যে, বিজেপি-র সঙ্গে জোট বেঁধেই তিনি নির্বাচনে লড়াই করতে চান।
মিডিয়ায় সাক্ষাত পাশে অজিত পাঁজা ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়

ফলে ১লা জানুয়ারি ১৯৯৮ তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মদিন নয়। মমতা ব্যানার্জি ঘোষণা করলেও নয়। দল তৈরির গোড়াতেই নীতিগত দুটি অবস্থান ঘোষণা করেছিলেন মমতা ব্যানার্জি। দুটিই জাতীয় এবং পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। এই ক্ষেত্রে ১৬ই ডিসেম্বরের ঘটনার উল্লেখ করা যেতে। তখনও মমতা ব্যানার্জি কংগ্রেসে। সেদিন সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে মমতা ব্যানার্জির বৈঠক হয়। সেই বৈঠক ব্যর্থ হয়। ‘কংগ্রেসের ভোট যেন ভাগ না হয়’ — সোনিয়া গান্ধী এই আবেদন জানিয়েছিলেন, তা মমতা ব্যানার্জিই সাংবাদিকদের জানান। সেদিন তাঁর আগামী রাজনীতির কৌশল সম্পর্কে মমতা ব্যানার্জি সাংবাদিকদের বলেছিলেন,‘‘তৃণমূল কংগ্রেসের আসল লক্ষ্য যাবতীয় সিপিআই(এম) বিরোধী শক্তিকে এক জায়গায় জড়ো করা। বাংলা বাঁচাও ফ্রন্ট খোলা হচ্ছে সেই কারনেই। সিপিআই(এম) বিরোধী সব রাজনৈতিক গোষ্ঠীকেই আমরা এই ফ্রন্টে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’’ আর সাম্প্রদায়িকতা? মমতা ব্যানার্জি জানিয়েছিলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা নন-ইস্যু। এই সব বিষয় নিয়ে নির্বাচনে লড়াই করার কোনও অর্থ নেই। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, যা তিনি তার আগে প্রায় মাস পাঁচেক ধরে বলছিলেন,‘‘বিজেপি অচ্ছুৎ নয়। এত লোক ওদের ভোট দিচ্ছে।’’ অর্থাৎ দুটি বৈশিষ্ট্য তৃণমূল কংগ্রেস গড়ে ওঠার ভিত্তি। প্রথমত, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা কমিউনিস্ট বিরোধী। বামপন্থার শত্রু। দ্বিতীয়ত, বিজেপি-র স্বাভাবিক মিত্র, জন্মের সময় থেকেই। যদিও একটি বিষয় উল্লেখের প্রয়োজন। পরবর্তীকালে সমাজের একাংশের মানুষ, যাঁরা সাম্প্রদায়িকতাকে অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে মনে করেন, যাঁরা ধর্মনিরপেক্ষ, তাঁদের সমর্থন নানা কৌশলে নিজেদের পক্ষে নেওয়ায় সফল হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এরা তৃণমূল কংগ্রেসের মূল রাজনৈতিক ভিত্তির অনুসারী নন। এদের সমর্থন বামপন্থী, ধর্মনিরপেক্ষ অংশ পেতে পারে নির্দিষ্ট সাংগঠিন প্রক্রিয়ায়, রাজনৈতিক কথা সঠিক ভাবে হাজির করার মাধ্যমে।

এবার প্রশ্ন হলো ১৯৯৭-র শীতে তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম হলো কেন? তার আগে আই কে গুজরাল নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের সরকারের পতন হয়। জাতীয় রাজনীতিতে তা এক অস্থিরতার সময়। ১৯৯৫-র এপ্রিলে সিপিআই(এম)-র পঞ্চদশ কংগ্রেসের রাজনৈতিক প্রস্তাবে এই সম্ভাব্য অস্থিরতার ইঙ্গিত দিয়েছিল। ১৯৯৮-র অক্টোবরে পার্টির কলকাতা কংগ্রেসে ১৯৯৬, ১৯৯৮-র নির্বাচনী ফলাফলের বিশ্লেষণ করে সেই সময়কালে প্রবণতাগুলিকে চিহ্নিত করা হলো — প্রথমত, কংগ্রেস একচেটিয়া ক্ষমতা হারানোর পর একদলীয় শাসনের যুগ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয়ত, কংগ্রেসের পতনের পাশাপাশি ঘটেছে বিজেপি-র উত্থান। তৃতীয়ত, বাম ও গনতান্ত্রিক শক্তির দুর্বলতার কারনে বিজেপি মানুষের অসন্তোষকে কাজে লাগিয়েছে। জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের দুর্বল হয়ে পড়ার সময়কালে এবং সাম্প্রদায়িক বিজেপি-র এই উত্থান পর্বে মমতা ব্যানার্জির আলাদা দল তৈরি। এবং তার বিজেপি-র ঘনিষ্ট মিত্র হওয়ার ঘোষণা করেই দল তৈরি করা। মমতা ব্যানার্জি কংগ্রেস থেকে বহিষ্কারের আগেই বিজেপি-র প্রতি হাত বাড়িয়ে ছিলেন। আর তাতে বিজেপি, সঙ্ঘ উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়ে। উদাহরণ? লালকৃষ্ণ আদবানীর বক্তব্য। দিনটি ছিল ১১ই ডিসেম্বর, ১৯৯৭। নয়াদিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে আদবানী বললেন,‘‘কেন্দ্রে নিজেদের উপস্থিতির তুলনায় অনেক বেশি শক্তি মার্কসবাদীরা অর্জন করেছে রাজনৈতিক কৌশলের মধ্যে দিয়ে। মার্কসবাদ-বিরোধী লড়াই যিনিই করবেন, বিজেপি তাকে সমর্থন করবে। মমতা ব্যানার্জি বলেছেন বিজেপি অচ্ছুৎ নয়। তার এই অবস্থানকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।’’

মমতা ব্যানার্জীর মায়ের সাথে অটল বিহারী বাজপেয়ী'র সাক্ষাত

দল তৈরির আগেই আরএসএস তথা বিজেপি-র শীর্ষনেতাদের বরাভয় পেয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জি। কারন — বামপন্থীরা যখন জাতীয় রাজনীতিতে ক্রমশঃ শক্তি বাড়াচ্ছে, বামপন্থীদের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘাঁটিতে তখন পা রাখার জন্য মমতা ব্যানার্জিকে পা দানি বানানোর সুযোগ তখন বিজেপি-র কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের গড়ে ওঠার পরিপ্রেক্ষিত এটিই।
সোমনাথ চ্যাটার্জী ও কমরেড জ্যোতি বসু

এই পরিস্থিতিতে দেশের বহুজাতিক সংস্থাগুলির সহায়ক রাজনৈতিক শক্তির, মার্কিণ যুক্তরাষ্ট্রসহ সাম্রাজ্যবাদীদের পক্ষের পশ্চিমবঙ্গে একটি এজেন্ট দরকার ছিল। আবার দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যে বামফ্রন্টকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করে পরাজিত হতে থাকা ক্ষমতা হারানো জোতদারদেরও একটি সংগঠন দরকার ছিল। কংগ্রেসের পক্ষে তাদের নীতি, পথ নিয়ে আর বামফ্রন্টকে মোকাবিলা করা সম্ভব হচ্ছে না — বোঝা যাচ্ছিল। গ্রামে, শহরে বামফ্রন্ট শাসনে নিদারুন ‘কষ্টে’ থাকা লুম্পেনরাও একটি যোগ্য আশ্রয় খুঁজছিল। এই সময়ে পশ্চিমবঙ্গও আর একটি নির্মাণের পর্যায়ে ছিল। ভূমিসংস্কারের সুফলে গ্রামে অর্থনীতির বিকাশ ঘটেছিল। গ্রামে বাজার বিকশিত হয়েছিল। নতুন মধ্যবিত্ত অংশ মাথা তুলছিল। শহরেও একই ছবি। কৃষির বিকাশের উপর শিল্প, কর্মসংস্থানের স্বাভাবিক প্রয়োজনিয়তা মাথা তুলছিল। কমরেড জ্যোতি বসু, সোমনাথ চ্যাটার্জিসহ বামফ্রন্টের নেতৃত্বের উদ্যোগে সেই কাজও শুরু হয়ে গেছিল।

লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপি ও টিএমসি'র যৌথ প্রচার

এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম। নেতা হিসাবে এমন কাউকে দরকার ছিল যিনি নিজস্ব আচরন, সামাজিক অবস্থানের কারনে হঠকারি, বিক্ষিপ্ত, উগ্র অংশকে উৎসাহিত করতে পারবেন। নয়া আর্থিক নীতির নিষ্পেশনে উদভ্রান্ত হয়ে উঠতে থাকা মধ্যবিত্ত, পেটিবুর্জোয়ার একাংশকে বিভ্রান্ত করতে পারবেন। তাই মমতা ব্যানার্জি। কবীর সুমন তাঁর ‘নিশানের নাম তাপসী মালিক’ বইয়ে লিখেছেন,‘‘মমতা একটি ফেনোমেনা।’’ আমি একদম একমত। একটি ক্ষুব্ধ, আপাত দিশাহীন পরিবেশ, উন্মত্ততা, অস্থিরতার প্রতিনিধিত্ব করেন মমতা ব্যানার্জি।

মমতা ব্যানার্জি যতটা না কংগ্রেসী, তার চেয়েও বেশি সঙ্ঘ-অনুসারী। ধর্মনিরপেক্ষতা তার কাছে কোনও ইস্যু কোনদিনই নয়।

কতটা তা? উদাহরন অনেক। ১৯৯৭-র উদাহরণই দেওয়া যাক। ২২ শে ডিসেম্বর তৃণমূল কংগ্রেসের আনুষ্ঠানিক পৃথক দল হিসাবে আত্মপ্রকাশের ঘোষণা। একই দিনে বিজেপি-র প্রতি মমতা ব্যানার্জির বন্ধুত্বের ফের ঘোষণা। আর তারপর, ২৮শে ডিসেম্বর বিজয়ওয়াদায় আদবানী একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেদিন তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রে বিজেপি-র সরকার হলে আইন করেই অযোধ্যায় রামমন্দির বানানো হবে।’’ মমতা ব্যানার্জি কোনও বিরোধিতা করেননি। বরং তাদের সঙ্গে জোট বেঁধেই নির্বাচনে লড়েছিলেন। এই অবস্থানকে সেদিনই রাজ্যের ভবিষ্যতের পক্ষে বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করেছিল সিপিআই(এম)। রাজ্যের তৎকালীন স্বরাষ্ট্র এবং তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মৌলালি যুব কেন্দ্রে শিল্পী, কলাকুশলীদের এক সভায় তৃণমূল কংগ্রেসের নাম না করে বলেছিলেন,‘‘নির্বাচনে আসন সমঝোতা করে কংগ্রেসের একটি পক্ষ সাম্প্রদায়িক শক্তিকে এরাজ্যে পা রাখার জন্য জমি ছেড়ে দিচ্ছে। ভবিষ্যতে এর ফল ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। এই অশুভ আঁতাতকে ছাড়া যাবে না এক ইঞ্চি জমিও।’’
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

দিনটি ছিল ১৩ই জানুয়ারি। ১৯৯৮।
পশ্চিমবঙ্গে যতবার বামপন্থীদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত হয়েছে, ততবারই কোনও না কোনও বিদেশী শক্তির যোগসূত্র মিলেছে। এমনকি তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মের ক্ষেত্রেও। রুশতেন গ্যালিউলিন একটি বই লিখেছিলেন। নাম —‘দ্য সি আই এ ইন এশিয়াঃ কভার্ট অপারেশন এগেইনস্ট ইন্ডিয়া অ্যান্ড আফগানিস্তান।’ সেখানে তিনি পশ্চিমবঙ্গের বিষয়ে উল্লেখ করেন। আশ্চর্য! কী আছে সেখানে? গ্যালিউলিন লিখছেন,‘‘ভারতীয় সেনাবাহিনীর অ্যাসিস্ট্যান্ট চিফ অব জেনারেল স্টাফ সি বি আই-র পশ্চিমবঙ্গ কার্যালয়ে একটি অভিযোগ জানিয়েছিলেন। অভিযোগটি ছিল, মার্কিণ যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক জর্জ শেরম্যান নিজেকে আমেরিকার কলকাতাস্থ বাণিজ্য প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে দেখা করেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর লেফটেনান্ট জেলারেল এস কে সিং-য়ের সঙ্গে। সিংকে শেরম্যান প্রস্তাব দেন পশ্চিমবঙ্গে একটি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল তৈরি করতে হবে। শেরম্যানের আরও প্রস্তাব ছিল — রাজ্যে ওই দল আমেরিকান দূতাবাসের আশ্রয়ে কাজ করতে পারবে, সমস্ত বামপন্থী দল ও সংগঠনের বিকল্প হবে। শেরম্যান ওই দল গঠনের যাবতীয় খরচ বহন করার অঙ্গীকারও করেছিলেন।’
লালকৃষ্ণ আদবানী ও মমতা ব্যানার্জী

মার্কিণ প্রশাসনের সঙ্গে মমতা ব্যানার্জির সম্পর্ক খুবই মসৃণ। গত পাঁচ বছরে তা বোঝা যাচ্ছে। এমনকি ২০০৯-র লোকসভা নির্বাচনের আগে রায়চকে শুভাপ্রসন্নর বাগান বাড়ির বৈঠকে মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে
খাওয়াদাওয়াসমেত বৈঠকে যেমন আরএসএস নেতা তথাগত রায়কে দেখা গেছিল, তেমনই একাধিক বিদেশী দূতাবাসের প্রতিনিধিরাও ছিলেন। সে কথাও বিস্তৃত আকারে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ কবীর সুমন লিখেছেন।

অর্থাৎ? পশ্চিমবঙ্গ একটি চক্রান্তের প্রেক্ষাপট ছিল। বামফ্রন্টকে পরাস্ত করা, বামপন্থীদের নিকেশ করার পথ একটি ক্রাইম থ্রীলারের থেকেও রোমহর্ষক ছিল।

---------------------------------------
ধারাবাহিক চলবে ......


শেয়ার করুন

উত্তর দিন