On And Off Hte Field

পার্টির ধারাবাহিক এবং জটিল কাজের সাথে যুক্ত হন, সংগঠনকে আরও মজবুত করুন

নির্বাচনী প্রচারে লাগামহীন খরচা ও দুর্নীতি

মিনিমাম ৪০-৪৫ লাখ খরচা করার ক্ষমতা না থাকলে ইউটিউবে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেবেন না। লাভ নেই! আর এই বাজেটেও আপনার বিজ্ঞাপন ৪.৫ মিলিয়নের বেশি ইউনিক ইউজারের কাছে পৌঁছাবে না, ২০ মিলিয়নের বেশি টোটাল ভিউ হবে না। সার্ভিস ক্লসের জন্য আমি বলতে পারবো না যে তৃণমূল-বিজেপি ইউটিউবের বিজ্ঞাপনে কত টাকা খরচা করছে। শুনলে আপনাদের মাথায় হাত পড়ে যাবে!      

ফোনের অপর প্রান্তে যিনি কথাগুলো বলছিলেন তিনি আমাদের দেশের গুগলের পলিটিক্যাল বিজ্ঞাপনের মার্কেটিং হেড। আপনি ইউটিউবে তৃণমূল-বিজেপির বিজ্ঞাপনের বাজেট সম্পর্কে প্রাথমিক একটা ধারণা করতে চাইলে শুনুন, নির্বাচনী প্রচারের মোটামুটি ৫০ দিনে আপনি যদি ইউটিউব সার্ফ করতে গিয়ে কমপক্ষে ৫০ বার তৃণমূল-বিজেপির বিজ্ঞাপন দেখেছেন তাহলে বাজেটটা ৫ কোটি। আর দিনে ২ বার করে গড়ে ১০০ বার দেখে থাকলে ১০ কোটি।

২০ হাজার সেকেন্ড বিজ্ঞাপনের জন্য আমাদের FM চ্যানেলের কোটেশন হল ২০ লাখ!

ফোনের অপর প্রান্তে যিনি কথা গুলো বলছিলেন তিনি কলকাতার জনপ্রিয় FM চ্যানেলের মার্কেটিং টিমের কর্মী। মানে একটা FM চ্যানেলে, আপনার একটা ২০ সেকেন্ডের বিজ্ঞাপন, নির্বাচনী প্রচারের ৫০ দিনে, সকাল ৭-১২টা, মোট ৮৫০ ঘণ্টায়, গড়ে ১ বার করে প্রায় ১০০০ বার চললে, খরচা ২০ লাখ। ৫টা FM চ্যানেলে হলে ১কোটি। যারা শহর বা শহরতলি তে FM শোনেনে তারা জানেন নির্বাচনী প্রচারে ৫০ দিনে যে কোনও FM চ্যানেলে ঘণ্টায় ১০ বার তৃণমূল-বিজেপির বিজ্ঞাপন শোনাটা জাস্ট জল ভাত!

KMC-র ওয়েবসাইট ঘাঁটলে দেখবেন ৮০০ sq ft পর্যন্ত কলকাতা শহরে হোর্ডিং বিজ্ঞাপনের ট্যাক্স, লোকেশন অনুযায়ী ১.৮-৩ লাখের মধ্যে ঘোরাফেরা করে। আচ্ছা নির্বাচনী প্রচারের সময় শহর কলকাতা তে তৃণমূল-বিজেপির বিজ্ঞাপনী হোর্ডিং-র সংখ্যা কত ছিল? ৫০০ ধরলে খরচাটা ১০ কোটি। ১০০০ ধরলে ২০ কোটি। 

এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের তথ্য অনুসারে স্রেফ মার্চ মাসে দিল্লির রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমেছে প্রায় ১৫০টি চার্টার্ড বিমান। কত খরচা হয় দিল্লি থেকে কলকাতার চার্টার্ড বিমান সার্ভিসে? আনুমানিক ১২ লাখ। আর এই যে ভোটের মরশুমে বাংলার আকাশে কাক-চিলের মত দাপিয়ে বেড়াল হেলিকপ্টার! তার খরচা? ১.৫লাখ/ঘণ্টা।

না ঘাবড়াবেন না। তৃণমূল-বিজেপির নির্বাচনী খরচা সম্পর্কে এই অবধি আপনি যা শুনলেন, সেগুলো জাস্ট টিপ অফ দি আইসবার্গ। এর মধ্যে টিভি, প্রিন্ট-মিডিয়া, অন্য ডিজিটাল স্পেস, বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে বিজ্ঞাপনের কথা উল্লেখই নেই। আই-প্যাক কিম্বা অ্যাশোশিয়েশেন অফ বিলিয়ন মাইন্ডস-র মত বিভিন্ন পেশাদারী সংস্থার খরচা উল্লেখ নেই। প্রার্থীদের নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের কোন খরচা উল্লেখ নেই। আন্ডার দা টেবিল কোন খরচার উল্লেখ নেই। কেন্দ্রীয় ভাবে তৃণমূল-বিজেপির মত রাজনৈতিক দলগুলির খরচার উল্লেখ নেই। আসলে সব মিলিয়ে বাংলার সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে তৃণমূল-বিজেপি ঠিক কত টাকা খরচা করছে, তার কোন হিসেবই নেই!

কোথা থেকে আসছে এতো টাকা? বিজেপির না হয় ইলেক্টোরাল বন্ড? PM Cares? কিন্তু ‘লেসার ইভিল’ তৃণমূলের? বালি খাদানের মাফিয়া রাজ? কয়লার কালো বাজারি? না গরু পাচারের সিন্ডিকেট? আচ্ছা বুকে হাত রেখে বলুন তো, নির্বাচনের পর বহু রাজনৈতিক পণ্ডিতরা তো ফেসবুকে, মিডিয়ার প্রাইম-টাইমে সিপিএম-র পিণ্ডি দান করছেন, তাঁদের কাউকে তৃণমূল-বিজেপির এই বিপুল নির্বাচনী খরচার স্বচ্ছ হিসেব চাইতে দেখেছেন? যে ‘নো ভোট টু ওয়ালারা’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে ক্লাসিক্যাল বামপন্থী  ‘ক্লাস ক্যারেক্টারের’ রিফ্লেকশন দেখতে পান তারা কি এই ব্যয়ের হিসেব চাইতে পারবেন? আছে হিম্মত? 

উদারীকরণের পর দ্রুত পরিপক্কতা পেয়েছে মিডিয়া-কর্পোরেট-রাজনীতির ত্রিকোণ প্রেম। রাজনৈতিক দলগুলির কোষাগার পুষ্ট হয়েছে কর্পোরেট ডোনেশেনে। ব্যয়বহুল রাজনৈতিক প্রচারে ক্ষমতায়ন ঘটেছে কোটিপতি রাজনৈতিক দলগুলির। বিনিময়ে সরকারি নীতি প্রণয়নে লাভবান হয়েছে কর্পোরেট হাউসগুলো। চক্রাবর্ত নিয়মে কর্পোরেট’দের মালিকাধীন মিডিয়াই প্রচারের নিপুণ কায়দায় তৈরি করে দিয়েছে মানুষের রাজনৈতিক মতামত।

ন্যাশনাল ইলেকশন স্টাডির রিপোর্টে, ১৯৯৬'এ যেখানে ১৪% ভোটারের রাজনৈতিক মতামত প্রভাবিত হত টি.ভি'র প্রচারে, ২০১৪'তে সেটা ৪৬%। দেশের ২৪.৬৭ কোটি পরিবারে টি.ভি'র হাত ধরে বেডরুমে পৌঁছে গেছে মিডিয়া। ২০০৬-২০১২'র মধ্যে খবরের কাগজের পাঠক বেড়েছে ১০ কোটি। রাজনৈতিক রণকৌশলের অংশ হিসেবেই বি.জে.পি গত লোকসভা নির্বাচনে শুধু প্রচারের পিছনেই খরচা করেছিল পাঁচ হাজার কোটি টাকা। প্রচার যতই তুঙ্গে উঠেছিল, মিডিয়ার মগজ ধোলাই'র চোটে বি.জে.পি কে বেছে নেওয়ার প্রবণতাও বেড়েছিল পাল্লা দিয়ে। নির্বাচনের একেবারে শেষ লগ্নে প্রতিদিন মিডিয়া ব্যবহার করেন এমন ভোটার'দের মধ্যে নিকটবর্তী কংগ্রেস থেকে বি.জে.পি কে বেছে নেওয়ার প্রবণতা ছিল ১৮% বেশি। 

প্রয়োজন মিডিয়া-কর্পোরেট-রাজনীতির এই আঁতাতের বিরুদ্ধে নিবিড় পাল্টা প্রচারের। প্রয়োজন বিকল্প মিডিয়া'তে সংঘবদ্ধ প্রচারের। ২০০৯’এ ভারতে ইন্টারনেট ব্যবহার করতেন ১.২৮ কোটি মানুষ। ২০১৩'তে সেটা ১৮.৯ কোটি। সাতবছর আগে ফেসবুক ব্যবহার করতেন যে দেশের ৮০ লক্ষ মানুষ, এখন ১৪.২ কোটি। পাঁচ বছর আগেও যে টুইটারের নামও শোনেনি যে দেশের মানুষ, এখন সেই টুইটার ব্যবহারকারী ৩.৩ কোটি। গত তিন বছরে ভারতবর্ষে হোয়াটস-অ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে ১৬ কোটি।

তথ্য এটাও বলছে, যতদিন বিধানসভায় বামপন্থীদের প্রাধান্য ছিল ততদিন বিধানসভায় ছিল সৎ, নিরপরাধ এবং বিত্তহীন বা নিন্নবিত্ত বিধায়কদের আধিক্য। শ্রেণিগত তথা আর্থ-সামাজিক স্তরের বিচারে নির্বাচিতও নির্বাচকরা যেহেতু ছিল কাছাকাছি তাই বিধানসভার কার্যাবলী ও নীতি নির্ধাণে প্রীধান্য পেত গরিবের কথা। এবারের নির্বাচনের আগে মনোনয়ন পত্রে প্রার্থীরা নিজেদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের যে সরকারি হিসাব পেশ করেছিলেন তাতে দেখা যাচ্ছে নির্বাচিত বিধায়কের গড় ঘোষিত সম্পদ আড়াই কোটি টাকারও বেশি। ২৯২জনের মধ্যে ১৫৮জন বিধায়কই কোটিপতি। কোটিপতিদের ৬২ শতাংশ জোড়াফুলের আর ৩৩ শতাংশ পদ্মফুলের। এখানেই শেষ নয় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ৩৭জনের সম্পদ ৫ কোটি টাকার বেশি।

অথচ ২০০৬ নির্বাচিত বিধায়কদের মধ্যে মাত্র ৭জন ছিলেন কোটিপতি। তখন বিধানসভায় বাম বিধায়ক সংখ্যা ২৩৫। ২০১১ সালে বাম সরকারকে হটিয়ে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে কোটিপতির সংখ্যা এক ধাক্কায় ৭ থেকে ৩৭ হয়ে যায়। পরের নির্বাচনে তৃণমূল ফের ক্ষমতায় আসার সাথে সাথে কোটিপতির সংখ্যা আরও বেড়ে হয় ১০০। অর্থাৎ বিধানসভায় বামেদের আসন যত কমেছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গরিবের নিন্নবিত্তের প্রতিনিধিত্বও কমে গেছে।

কি বলছেন? অ্যাপোলোজেটিক? আজ্ঞে না! শুষ্ক সিম্প্যাথি জন্য এসব বলছি? আজ্ঞে না! সিপিএম-র টাকা নেই তাই হেরে যাচ্ছে টাকা থাকলে জিতে যেত, এটা বলতে চাইছি? আজ্ঞে না। বরং আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাইছি, কেবল নির্বাচনী বিপর্যয়ের পর নয়, সিপিএম দীর্ঘদিনই সংসদীয় রাজনীতিতে নির্বাচনী অ্যায়-ব্যয়ের এই পক্ষপাতদুষ্ট বিষয়টির বিরুদ্ধে লড়ছে, অন অ্যান্ড অফ দি ফিল্ড। ঠিকই, লড়ে হারছে, হোঁচট খাচ্ছে, আঘাত পাচ্ছে, শিখছে; কিন্তু তারপর আবার লড়ছে। অ্যাটলিস্ট গ্যালারি তে বসে ‘লেসার ইভিল’র নামে লেজুড় বৃত্তি করছে না!

‘লেসার ইভিল’র তাত্ত্বিকদের অবগতির জয় জানাই, বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধীন এন.ডি.এ সরকার ক্ষমতায় এসেই, 'ন্যাশনাল এজেন্ডা ফর গভর্ণেন্স'র ২২নং অনুচ্ছেদে, ‘গোস্বামী কমিটির’ সুপারিশের ভিত্তিতে এই নির্বাচনী ব্যবস্থা কে দুর্নীতি এবং অপকর্ম মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রবীণ সাংসদ ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত'র নেতৃত্বে, সোমনাথ চ্যাটার্জি, মনমোহন সিং'দের নিয়ে গঠিত হয়েছিল সর্বদলীয় সংসদীয় কমিটি।

সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক শেষে; মেম্বারশিপ ফিজ ছাড়া পার্টি ফান্ডে সমস্ত প্রাইভেট অনুদান বন্ধ, শুধুমাত্র সরকারি বরাদ্দ থেকেই রাজনৈতিক দলগুলির নির্বাচনী তহবিল গঠনের আইনানুগ বাধ্যবাধকতা, প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের রাজ্য শাখায় নির্দিষ্ট এবং সমান ভর্তুকি প্রদান সহ একগুচ্ছ প্রস্তাবের পাশাপাশি কমিটি সেই রিপোর্টে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়েছিল, ভবিষ্যতে সরকারি বরাদ্দের মধ্যেই সম্পূর্ণ নির্বাচনী ব্যবস্থা কে সীমায়িত করা না গেলে এই দুর্নীতি দমন সম্ভব নয়।

খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন, সেদিনও সিপিএম সহ বামপন্থী দলগুলি ছাড়া পার্টি ফান্ডে কর্পোরেট ডোনেশেন বন্ধের প্রস্তাব সমর্থন করেনি কেউ। বিজেপি-কংগ্রেস তো বটেই, এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোদ নিজেও। স্বাধীন ভারতের অন্য অনেক কমিটি আর কমিশনের পাতা জোড়া রিপোর্টের মতোই, ঐ রিপোর্টেরও জায়গা হয়েছে ডাস্টবিনেই।

আর আপনার যারা কেউ কেউ সিপিএম-র রোগ সারানোর জন্য মিডিয়া কিম্বা ফেসবুকে ফুটেজ খাচ্ছেন, দশ-বারো দফা প্রেসক্রিপশন লিখে দিচ্ছেন; যারা ঠাট্টা করছেন, ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করছেন, খিল্লি করছেন, খিস্তি করছেন, অলঙ্করণে ব্যক্তি আক্রমণ করছেন, তরুণ তুর্কি থেকে সো-কলড পক্বকেশ, পলিটব্যুরো থেকে সিপিএম দরদী শিল্পী-সাহিত্যিক এমনকি লেনিন-স্তালিন কাউকেই বাদ দিচ্ছেন না; তাদের সকলের সমালোচনা কে স্বাগত জানিয়েই মনে করিয়ে দিই, আপনারা সিপিএম-র লড়াইটা যতটা সহজ ভাবছেন, যতটা লিনিয়ার ভাবছেন ঠিক ততটা নয়! রাজনৈতিক নাবালকত্ব কাটলে নিশ্চয় বুঝবেন!

ধৈর্য ধরুন। যদি মনে হচ্ছে বহু ধৈর্য আপনি ধরে নিয়েছেন এবার অধৈর্য হওয়াই আপনার পবিত্র কর্তব্য পারলে তাহলে একটু ইতিহাস পড়ুন। দেখবেন, ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারের পিছনে রয়েছে দীর্ঘ ৫০ বছরের রক্ত-ঘাম-অশ্রু-আত্মত্যাগের বিশাল ইতিহাস। সেই ইতিহাসের প্রতি বাঁক বামপন্থীদের জন্য সুখের ছিল কি? ২০০৯-২০২১ যে প্রবল আক্রমণ ও সন্ত্রাসের মুখে সিপিএমের অসংখ্য কর্মী সমর্থকদের এ রাজ্যে পড়তে হয়েছে ভূ-ভারতে জ্ঞানত তার কোন তুলনা আপনারা দিতে পারেন কি?

সিপিএম-র নিশ্চয় দুর্বলতা আছে, সাংগঠনিক ও কৌশলগত ত্রুটিও আছে। নির্বাচনী পরাজয়ে তার মুখ্য দায়ও আছে। কিন্তু সার্বিক ভাবে সেই সমস্যার বিশ্লেষণ করা, সমাধান খোঁজা এবং প্রয়োগের কাজ ধারাবাহিক ও জটিল। আপনি যদি বামপন্থীদের নির্বাচনী পরাজয়ের সমব্যথী হন তাহলে নির্বাচনী পরাজয়ের পর সমস্যা গুলো সিপিএম নেতৃত্বের বা সদস্যদের উপর চাপিয়ে না দিয়ে বরং আসুন সেই ধারাবাহিক ও জটিল প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করুন। দয়া করে ফেসবুকে কিম্বা মিডিয়াতে টেনিদা সেজে হতাশার চাষ করবেন না। 

হতাশ লাগলে একঝাঁক বামপন্থী তরুণ তুর্কি প্রার্থীর কথা ভাবুন, যারা এই ভোগবাদী সমাজের মধ্যে থেকেই পার্টির জন্য নিজেদের কেরিয়ার বিসর্জন দিয়ে এই কঠিন লড়াইর ব্যাটন তুলে নিয়েছে। হতাশ লাগলে লকডাউনের সময়, অনলাইন জনস্বাস্থ্য, পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্য, শ্রমজীবী ক্যান্টিন, বিনামূল্যে বাজার, আম্ফানের ত্রাণ -রাজ্যের প্রতি কোণাতে বামপন্থীদের মানবিক উদ্যোগে যে অসংখ্য নতুন মুখের ভিড় এসেছে তাঁদের কথা ভাবুন। হতাশ লাগলে, এই কোভিড সংক্রমণের বারুদ স্তূপে বসে যে হাজার হাজার বামপন্থী ছেলে মেয়ে রেড ভলান্টিয়ার্সের কাজ করছেন তাঁদের কথা ভাবুন। বামপন্থী কর্মী-সমর্থক-দরদী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিচ্ছেন তো, তাহলে শৃঙ্খলাটা শিখুন। সদস্য নাই বা হলেন।

আসলে কি জানেন তো কমিউনিস্ট পার্টি তো, সদস্য হয়ে কেউ শৃঙ্খলা শেখে না। শৃঙ্খলা শেখে বলেই সদস্য হয়।  


শেয়ার করুন

উত্তর দিন