৩১ শে আগস্ট, খাদ্য আন্দোলনের শহীদ দিবস পালন কর্মসূচি....

আগস্ট ৩১,২০২০ সোমবার,
ওয়েবডেস্কের প্রতিবেদন:


"যব তক ভুকা ইনসান রহেগা
ধরতি পর তুফান বহেগা "

আজ ৩১ শে আগস্ট, খাদ্য আন্দোলনের শহীদ দিবস । প্রতিবছরের মত এবছর ও সারা রাজ্য জুড়ে মর্যাদার সাথে পালিত হল খাদ্য আন্দোলনের শহীদ দিবস। যদিও এই বছরটা অন্যরকম,করোনা মহামারীর জন্য আজকের দিনটি রাজ্য সরকার বেছে নিয়েছে লক ডাউনের জন্য, তবুও লকডাউন বিধি মেনে, সরকার কে সহযোগিতা করেই এই কর্মসূচি রাজ্য জুড়ে পালিত হল।

কোচবিহার : কোচবিহারের শহীদ বাগে খাদ্য আন্দোলনের শহীদের শ্রদ্ধা জানালো বামপন্থী ও সহযোগী দলসমূহ।
কোচবিহার


আলিপুরদুয়ার :রক্ত পতাকা উত্তোলন ও শহীদ বেদীতে মাল্যদান এর মধ্য দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ১৯৫৯ সালের ৩১ শে আগস্ট খাদ্য আন্দোলনের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।
আলিপুরদুয়ার জেলায় কর্মসূচি পালনের ছবি


জলপাইগুড়ি : ঐতিহাসিক খাদ্য আন্দোলন দিবসে জলপাইগুড়ি সুবোধ সেন ভবনে জেলা বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে রক্ত পতাকা উত্তোলন ও শহীদ বেদীতে মাল্যদানের মধ্য দিয়ে অমর শহীদদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হলো. সুবোধ সেন ভবন ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় ও রবীন্দ্রনগর ভাটাখানা এলাকায় এই কর্মসূচি মর্যাদার সাথে পালন করা হয়।
জলপাইগুড়ি জেলার ছবি...


দার্জিলিং : দার্জিলিং জেলা বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে যথাযথ মর্যাদায় গণআন্দোলনের শহীদ দিবস পালিত হয়। শিলিগুড়ি অনিল বিশ্বাস ভবনে এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন সি পি আই এম রাজ্য কমিটির সদস্য ও দার্জিলিং জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার। উপস্থিত আছেন পার্টির রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ও শিলিগুড়ির বিধায়ক কমরেড অশোক ভট্টাচার্য, রাজ্য কমিটির সদস্য কমরেড সমন পাঠক সহ জেলা বামফ্রন্টের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
দার্জিলিং জেলায় কর্মসূচি পালন।


উত্তর দিনাজপুর : খাদ্য আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে- ইসলামপুর সহ ৯৮ টি গ্রাম পঞ্চায়েতে পতাকা উত্তোলন ও মাল্যদান কর্মসূচি পালিত হয়।
উত্তর দিনাজপুর জেলার কর্মসূচি পালন।


দক্ষিণ দিনাজপুর :দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এই কর্মসূচি পালিত হয়। তপনে পার্টির পক্ষ থেকে গৃহ আবাস যোগনায় বঞ্চিতদের ফর্ম ফিলাপ কর্মসূচি পালিত হয়।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কর্মসূচি পালনের ছবি।


মালদা :মালদহে এদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে দিনটি পালন করা হয়। জেলার বিভিন্ন ওয়ার্ড এলাকায় জেলার বিভিন্ন ব্লকে পতাকা উত্তোলন করা হয়। জেলার ১৭ নং ওয়ার্ডে শহীদদের শ্রদ্ধা জানান জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র।

মুর্শিদাবাদ :

নদিয়া : নদিয়ার চাকদাহ, নবদ্বীপ, হাশখালী, কল্যাণী, রানাঘাট, কৃষ্ণনগর, করিমপুর , তেহট্ট প্রভৃতি জায়গায় এই কর্মসুচি পালিত হয়।

উত্তর ২৪ পরগণা : উত্তর ২৪ পরগনা জেলার উত্তর ব্যারাকপুর, সদর এরিয়ার পলতা, শক্তিনগর বাদমতলা, সংগ্রামগর, নবাবগঞ্জ এবং মনিরামপুর সদরবাজার সহ সমস্ত কার্যালয়ে সংগঠনের রক্ত পতাকা উত্তোলন ও শহীদ বেদিতে মাল্যদান করা হয়। কাঁচড়াপাড়া, হালিশহর, নৈহাটি, বিজপুর-পানপুর, ভাটপাড়া, শ্যামনগর, ইছাপুর, বরানগর , বনগা ,বেলঘড়িয়া, দমদম ,কামারহাটি, বিটি রোড, রাজার হাট প্রভৃতি জায়গায় মর্যাদার সাথে এই কর্মসূচি পালিত হয়।

দক্ষিণ ২৪ পরগণা : এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার পার্টির ৪৬ টি এরিয়া কমিটি ও শাখাস্তরে শহীদদের স্মরণ করা হয়। গনসংগঠন গুলির পতাকা উত্তোলন, আন্টি বডি টেস্ট, রক্তদান শিবির হয়। আন্টি বডি টেস্টের সূচনা করেন সুজন চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। এলাকায় ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মী, করোনা যোদ্ধা দের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

হাওড়া : হাওড়ার গ্রাম ও শহর মিলিয়ে ২৬ টি এরিয়া কমিটি ও শাখা দপ্তরে কর্মসূচি পালিত হয়। জেলার প্রায় ৬৯০ টি স্থানে কর্মসূচি পালিত হয়।

হুগলী : হুগলি জেলার ৫২০০ বুথের মধ্যে তিনহাজার বুথে এই কর্মসূচি পালিত হয়। ডানকুনিতে পতাকা উত্তোলন করেন জেলার সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ। চন্দননগরের নাড়ুয়ায় এদিন গণশক্তি নতুন বোর্ড উদবোধন করা হয়।

পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর : পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কেন্দ্রে দিনটি পালিত হয়।এদিন জেলার কোলাঘাট, পাশকুড়া, কাকটিয়া, মুগবেরিয়া, কাথি,মারিশদা, প্রতাপ দিঘি সহ পার্টির প্রতিটি এরিয়া কমিটিতে কর্মসূচি পালিত হয়। সশহীদ কমরেড দেবকুমার ভূঁইয়া সহ ৬২ টি শহীদ পরিবারকে শ্রদ্ধা জানানো হয় ।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বন্যা বিধস্ত এলাকার মানুষ সাঁতার কেটে, গলা সমান জল ঠেলে নদীর বাঁধে সমবেত হয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। এছাড়াও ব্লক, মৌজা, পাড়ায় পাড়ায় এই কর্মসূচি পালিত হয়।

পুরুলিয়া : গ্রাম থেকে শহর পুরুলিয়া জেলার সর্বত্র পালিত হয় শহীদ দিবস। বলরামপুর থানার দারদা গ্রাম পঞ্চায়েতের কদমডি, বন্দয়ানে কর্মসূচি পালিত হয়। আদ্রার কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সিপিআই(এম) জেলা সম্পাদক প্রদীপ রায়।

বাঁকুড়া : বাঁকুড়া জেলাজুড়ে খাদ্য আন্দোলনের শহীদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। বাঁকুড়া শহরে সিপিআই(এম) জেলা কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু করে জেলার সমস্ত ব্লক এলাকায় শহরে ও গ্রামে কর্মসূচি পালিত হয়। বাস শ্রমিক, মুটিয়া শ্রমিক,বড়জোরা ,বিষ্ণুপুর প্রভৃতি জায়গায় শ্রদ্ধার সাথে দিনটি পালিত হয়।

পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা: জামুড়িয়ার ডোবরানা, জামুড়িয়া বাজার ,পরিহারপুর, আখলপুর, নিংঘা ,চিচুরিয়া, চুরুলিয়া, বগুড়া, সহ পশ্চিম বর্ধমান জেলার ৪৯ টি জায়গায় কর্মসূচি পালিত হয়। কাকসার জঙ্গলমহলে সহ সমস্ত পঞ্চায়েত এলাকায় খাদ্য আন্দোলনের শহীদ স্মরণ করা হয়। জেলা জুড়ে সাত হাজারেরও বেশি মানুষ কর্মসূচিতে শামিল হয়েছিলেন। জেলায় ৩৭৬ টি স্থানে শহীদ স্মরণে অনুষ্ঠান হয়।

বীরভূম : বীরভূম জেলাজুড়ে শহীদ দিবস পালিত হয় শহীদবেদিতে মাল্যদান ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে। জেলা কমিটির উদ্যোগে সিউড়ির রেডক্রসের শহীদ বেদিতে মালয়দাঙ্করেন ডাক্তার রামচন্দ্র ডোম। বোলপুর সহ পার্টির এরিয়া কমিটি,শাখা ও গণসংগঠনের অফিস গুলিতেও শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়।

ইতিহাসের পাতা থেকে ভেসে আসে সেই লড়াই আন্দোলনের গৌরব গাঁথা । সেদিনের ৩১শে আগস্টের খাদ্য আন্দোলনের শহীদ দিবস পালন করার মধ্যে দিয়ে শুধু স্মৃতি রোমন্থন নয় পরতে পরতে মিলিয়ে নিতে হবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে তার প্রাসঙ্গিকতা তার গুরুত্ব ।সময় পাল্টছে কিন্তু শাসকের চরিত্র পাল্টেছে কী?করোনা অতিমারীকালীন পরিস্থিতিতেও রেশনিং ব্যবস্থা নিয়ে চরম দুর্নীতি, পরিযায়ী শ্রমিকদের চরম দুরাবস্হা,ক্রমবর্ধমান কৃষক আত্মহত্যাই বলে দিচ্ছে মোদি_দিদির রাজত্ব কালে খাদ্য সমস্যার আদৌ কোন সুরাহা হয়নি । বরং তা ক্রমশঃ তীব্র থেকে তীব্রতর আকার ধারণ করেছে । অত্যাচারী শাসকের চরিত্র আজও অপরিবর্তিত । আর এখানেই বর্তমান সময়ে ও দারুণ ভাবে প্রাসঙ্গিক ৩১শে আগস্টের খাদ্য আন্দোলন ও তার বীরগাঁথা।
শেয়ার করুন

উত্তর দিন